নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভেবেছিলাম সোহানী'র লেখা তো ব্লগে অনেক পড়েছি - সময় পেলে বইটি পড়ে নেবো। তার স্টাইল ও লেখার বিষয় আমার অনেকটাই জানা। বইটির প্রকাশককে আগেই জিজ্ঞেস করেছিলাম, বইটি কেমন? আত্মবিশ্বাস নিয়ে নিজেই উত্তর দিলাম, সোহানীর লেখা শুধু যদি তার ব্লগপোস্ট গুলোর মতোও হয়, তবু অনেক ভালো একটি গ্রন্থ হবে সেটি। বইটি সংগ্রহে রাখার জন্য যথাস্থানে আগ্রহ প্রকাশ করলাম। চাইলাম মেঘ, হয়ে আসলো ঝড় - প্রকাশক অনেক দয়ার্দ্র হয়ে আমার জন্য একটি কপি নিয়ে হাজির হলেন একদম আমার আস্তানায়!
কিন্তু তার বই পড়ে পাঠক হিসেবে আমার পূর্বধারণা পাল্টেছে। বলতে পারেন আপগ্রেড হয়েছে। বন্ধুর লেখা বই তো পড়তেই হবে - ব্যাপারটি এমন নয়। মনে হলো, এই লেখক তো আমার কাছে নতুন! প্রবাসী লেখক সোহানী'র লেখা বইটি বন্ধুর বই বলে চালিয়ে দেওয়া যায় না। বই পড়ে সোহানীর লেখক সত্ত্বার সাথে পরিচিত হবার সুযোগ হলো।
বলে রাখছি যে, এটি কোন রিভিউ নয় - পাঠক প্রতিক্রিয়া*। লেখার ভেতরের গল্প এখানে নেই (দুঃখিত!)।
ছোট ছোট গল্প দিয়ে সাজানো রঙ্গিন মোড়কের একটি বই। প্রচ্ছদ এমন করে আঁকা, এমন রঙে রঞ্জিত - মনে হবে একটি উপহার। পাঠকের জন্য প্রবাসীর লেখা জীবিকার গল্প। আমার মতে, এটি লেখার গুরুত্বপূর্ণ আকর্ষণ। প্রথমেই দেখা হলো সহব্লগার আহমেদ জী এস-এর সাথে। শুরুতেই আছে তার লেখা পরিমার্জিত একটি মুখবন্ধ, যা না পড়ে বইয়ে প্রবেশ করা হবে ভুল।
পাঁচ-সাত মিনিট লাগবে একেকটি গল্প পড়তে। প্রথম পড়ায় আমি তিনটি গল্প পড়ে ফেলেছিলাম। এর কারণ হলো, প্রথমটিতে দারুণ হোচট খেয়েছি, যার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। সেটি সামলে নেবার জন্য ব্যাক-টু-ব্যাক বাকি দু'টো পড়া! সময় করে শেষ করলাম জীবন ও জীবিকার গল্প। হোচট খাবার মতো গল্প প্রায় সবগুলোই। বিভিন্ন কারণে। পরিশ্রমী লেখা। কাল অতিক্রম করলে এটি গবেষণার বিষয় হতে পারে।
একেকটি গল্প একেকটি জীবন টুকরো। লেখক সোহানীই, কিন্তু থিমগুলো ভিন্ন ভিন্ন। বিষয়ের বিন্যাস আলাদা, কিন্তু লক্ষ্য এক - জীবন ও জীবিকা।
কিছু গল্প এদেশের; কিছু গল্প এদেশ ছাড়িয়ে - দেশান্তরের; কিছু গল্প একদমই বিদেশের। একটি অসম্ভব সুন্দর এনথোলজি, যা শুধু দেশ-পাড়ি-দেওয়া লেখকের পক্ষেই সম্ভব।
যোগাযোগ প্রচুক্তির কল্যানে পাঠক হয়তো পশ্চিমা জীবনের ধারণা পেয়েই থাকবেন, কিন্তু সেখানে জীবনের অভিজ্ঞতা না থাকলে সবই মূল্যহীন।
স্বাভাবিক ধারায় লেখা গল্পগুলো পড়ে পাঠক আমার মতো হোচট খাবেন বারবার। একটিই কারণ, সত্য বড়ই 'অনাবৃত'। জীবিকা আর জীবন পরিক্রমায় চাওয়া-না-চাওয়া বেআব্রু বিষয়গুলো সামনে আনার কাজটি লেখক করেছেন। প্রশ্ন তৈরি হবে প্রচলিত জীবন ও জীবনবোধ সম্পর্কে। বারবার মলাট উল্টিয়ে লেখককে পড়ার ইচ্ছে জাগবে পাঠকের।
আধুনিক সময়ের সবজান্তা নির্লিপ্ত পাঠক অপ্রত্যাশিতকে পেতে চায় 'প্রত্যাশিত রূপে'। সোহানীর গল্পে সাসপেন্স অনুপস্থিত, ঘটনাগুলোর পরম্পরা অনেকটাই প্রত্যাশিত। প্রতীকের ব্যবহার নেই তেমন, চরিত্র আর ঘটনাগুলো প্রায় অনাবৃত। অপ্রাসঙ্গিকতাও আছে কিছু জায়গায়। গল্পে নেই অপ্রত্যাশিত মোড়, কেউ বলেন মোচড়, ইংরেজিতে বলি টুইস্ট। এসব বিষয় আহমেদ জী এস আরো পরিষ্কার করে বলেছেন।
কিন্তু লেখার মধ্যে যত্রতত্র 'ফিগারস অভ্ স্পিচ' প্রয়োগ করার পক্ষে আমি নই। যা হোক স্বস্তির বিষয় যে, সিম্বল-সিমিলি-মেটাফরের অভাবে 'জীবন ও জীবিকার গল্প' পাঠকের মনে অতৃপ্তি জাগাতে পারে নি - এটি আমার অভিমত। গল্প তো জীবনের প্রতিচ্ছবি (তাই আমি ঠিক জানি না গল্পের জন্য ওসব প্যারামিটার কতটুকু সার্বজনীন)।
জীবন ও জীবিকার গল্পে এসেছে পারিবারিক বিচ্ছিন্নতা, পৈশাচিকতা, কিশোর জীবনের দ্বন্দ্ব, পরিবার-কেন্দ্রিক নৃশংসতা, পুরুষতান্ত্রিকতা, ব্রোকেন ফেমিলির ক্যাসকেডিং প্রভাব, ক্ষণিক সুখের জন্য চিরস্থায়ি প্রতারণা, অবিশ্বাস আর আস্থাহীনতার কথা। বিষয় অনেক। কিন্তু একটি জায়গায় লেখাগুলোকে গ্রন্থ বলা যায়, সেটি হলো: পারিবারিক বন্ধন; অথবা অবন্ধন। এটি ছিলো মূল উপজীব্য। তথাকথিত উন্নত সমাজ, আধুনিক জীবন ও প্রযুক্তির সহজলভ্যতা - এসব অবসেশনে আপনার জীবনকে কতটুকু বিলিয়ে দেবেন, মনে প্রশ্ন জাগতে পারে। হ্যাপি রিডিং!
-------------------------------
*ব্লগার লেখকদের লেখা নিয়ে এরকম প্রতিক্রিয়া সুযোগ পেলেই করে যাবো।
২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:২৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, ঠাকুরমাহমুদ!
২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:০৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংলার সাধারণ মানুষদের জীবনের কোন সাড়াশব্দ পেলেন?
২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:২৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
কিছু পেয়েছি। সবটুকু নয়। চেষ্টা অতুলনীয়।
৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:১০
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: সোহানীর লেখার স্টাইল ভালো লাগে। বইটি পড়ার আগ্রহ লাগছে
ধন্যবাদ আপনাকে
২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:২৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ।
৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:১৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
প্রচ্ছদ কেমন মনে হচ্ছে?
২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৪৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
মন্দ নয়। আপনার অভিমত কী?
৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:১৫
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: কেমন পাঠ-প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করলেন, বোঝা গেল না। বলছেন, হোঁচট খাবার মতো সব গল্প, আবার বলছেন টুইস্ট নেই, বেশ প্রত্যাশিত ঘটনা পরম্পরা।
২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:২৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
লেখা পড়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, এস এম মামুন অর রশীদ। অনেক শুভেচ্ছা
৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাহ ! চমৎকার।
২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:২৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
মনিরা সুলতানা, আপনাকে ধন্যবাদ
৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩৪
শায়মা বলেছেন: সোহানী আপুর গল্পগুলো অর্থবহ এবং জীবনের কথা বলে। আর এমনিতেও আপুনি আমার অনেক প্রিয়!!!!!!!!!! তার নানা রকম বুদ্ধিদীপ্ত কমেন্ট আর ছবিগুলির জন্য.....
২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:২৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ধন্যবাদ।
৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৩০
ঢুকিচেপা বলেছেন: “জীবন ও জীবিকার গল্প” এর পাঠপ্রতিক্রিয়া খুব ভালো হয়েছে। যেভাবে লিখলে বইটি পড়ার আগ্রহ জন্মাবে ঠিক সেভাবে। যে বিষয়টা আমাদের জন্য গর্বের তা হলো আপু শিশুদের কল্যাণে বিক্রির পুরো টাকা দান করেছেন।
২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমি আনন্দিত। ধন্যবাদ
৯| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:১০
রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর করে লিখেছেন।
রকমারিতে বইটি বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে।
২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, রাজীন নূর
১০| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:১২
রাজীব নুর বলেছেন: আমি এই বইটি পড়ে একটি রিভিউ লিখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এখন আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। কারন আমি আপনার মতো এত সুন্দর করে লিখতে পারতাম না।
২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩১
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অবশ্যই লেখক এরজন্য আনন্দের সাথে অপেক্ষা করবেন
১১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:৩৫
সোহানী বলেছেন: ও আল্লাহ্.., এইটা কি লিখলেন মইনুল ভাই। আমিতো গর্ত খুঁজছি.... কোথায় লুকানো যায়। প্রচন্ড ব্যাস্ততায় সারাদিন কেটেছে। প্রচন্ড টায়ার্ড আর মাথা ব্যাথা নিয়ে কফি হাতে ব্লগ পড়ছিলাম। কয়েকটা কমেন্ট করে দেখতে দেখতেই হঠাৎই আপনার লিখা চোখে পড়লো। মুুহুর্তেই টায়ার্ডনেস আর মাথা ব্যাথা উধাও..........হাহাহাহা
আমার এ অখাদ্য বই নিয়ে আপনি এতো চমৎকার করে বিশ্লেষন করেছেন যে আমার লেখক জীবন যেমন স্বার্থক তেমনি বইটা বের করাও স্বার্থক। এতো সুন্দর করে আমি লিখতে পারি না। তার উপর রিভিউ বলেন বা পাঠ প্রতিক্রিয়া বলেন তা তো প্রশ্নই উঠে না! আমি কোনভাবেই এর যোগ্য নই।
যদি সত্য বলি, তাহলে বলবো আমি নিজেই স্যাটিসফাইড না বইয়ের গল্পগুলো নিয়ে। প্রতিটা গল্পই লিখার পর মনে হয়েছে আরো বিশ্লেষন দরকার, আরো গভীরে যাওয়া দরকার। কিন্তু বইয়ের পৃষ্ঠা সংখ্যা, গল্প সংখ্যা সব কিছু মাথায় রাখতে যেয়ে গল্পের ধারাবাহিকতা কোথাও কোথাও হোচট খেয়েছে। যে কাহিনীগুলো বলার চেষ্টা করেছি তার প্রতিটিই স্বতন্ত্র উপন্যাস এর দাবী রাখে। কিন্তু হায় সে সময় যে আমার নেই!
আমার মাঝে মাঝে মনে হয় আমার মাঝে একটা শিক্ষক সুলভ ভাব আছে, আর তা আমি মাত্রই সেটা বুঝতে পারলাম। আর সে কারনে আমার প্রতিটি লিখা কেমন যেন কঠিন এবং কঠোর হয়। সব কিছুতে ইশপের মতো একটা মোরাল দেবার চেস্টা করি ......হাহাহাহাহা (এ অভ্যাস ছাড়তে হবে )
আসলে সত্যিকারের জীবনের বাইরে কল্পনার জগতে আমার বাস নয়। আমি একেবারে নির্ভেজাল বাস্তবে বাস করি। কড়ায় গন্ডায় প্লাস মাইনাস। যার রিফ্লেকশান আমার লিখায়। যা সত্য তা তোমাকে জানতে হবে, সেটা বুঝে তোমাকে সাবধান হতে হবে। জীবন আড়াই ঘন্টার মুভি নয়! যার একজন নায়ক থাকে যে যেকোন সময় তোমাকে ভিলেন থেকে উদ্ধার করবে। এটাই আমি বোঝাতে চাই সবসময়। আসলে বয়স হয়েছেতো, তাই হয়তো টিনএজদের মতো চিন্তা করি না........হাহাহাহা
প্রথম গল্প নিয়েও আমার সবচেয়ে বড় সমালোচক আমার বাবা অবজেকশান দিয়েছেন। উনার মতে ওটা বইয়ের প্রথমে না দিয়ে মাঝে দেয়া উচিত ছিল। আসলে সেভাবে চিন্তা করে গল্পগুলো সাজাইনি। প্রকাশক এর উপর নির্ভর করেছি। এটাও একটা অভিজ্ঞতা। নেক্সট্ অবশ্যই এটা নিয়ে সাবধান হবো।
প্রথম গল্পটার কাহিনী লিখেছি বেশ কিছুদিন আগেই কানাডায় তোলপাড় হওয়া এরকম ঘটনা নিয়ে। গল্পের সে মেয়েটির সাক্ষাতকার আমি পড়েছিলাম। খুব খুব খারাপ লেগেছিল মেয়েটির জন্য। মেয়েটি মিডিয়ার সামনে অনেক কেদেঁছিল।
তবে আমার সবচেয়ে তৃপ্তি এখানে যে, আপনি আমার মনের গভীরে লুকিয়ে থাকা থিমটি ঠিকই ধরতে পেরেছেন।
ধন্যবাদ দিতেই লজ্জা পাচ্ছি। তারপরও বলি, অনেক অনেক ধন্যবাদ।
হ্যাপি ব্লগিং।
২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
লেখা নিয়ে লেখকের অতৃপ্তি পাঠকের জন্য আনন্দের বিষয়। অবশ্যই আরো ভালো লেখা আশা করা যায়।
আপনার বিনয়ী মন্তব্যে পাঠক ও মন্তব্যকারী সবাই কৃতজ্ঞ।
সে পর্যন্ত মূল্যবান লেখাটি পাঠকের জন্য পাথেয় হয়ে থাকবে।
১২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:৫০
সোহানী বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন: বাংলার সাধারণ মানুষদের জীবনের কোন সাড়াশব্দ পেলেন?
হাঁ, কয়েকটা গল্প আছে পিউর বাংলার সাধারণ মানুষদের জীবনের সাড়াশব্দ নিয়ে। তবে চেস্টা করেছি দুই ভুবনের ঘটনাই তুলে আনতে।
১৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:৫৪
সোহানী বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: প্রশংসা সবাই করতে পারেন না। প্রশংসা করার জন্য যোগ্যতা লাগে। আপনি নিশ্চয় জানেন প্রশংসাপত্র কারা কারা প্রদান করেন।
হাহাহাহা......... আমি সেটাইতো বলছি। প্রশংসা করার জন্য যোগ্যতা লাগে।
১৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:৫৯
সোহানী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ রাবেয়া রাহীম আপুুনি, মনিরা, শায়মা, ঢুকিচেপা, রাজিব ভাই।
রাজিব ভাই, আপনার রিভিউ এর অপেক্ষায় কিন্তু আছি। আপনি আপনার ভূবনে সেরা।
এস এম মামুন অর রশীদ ভাই, দুভাবেই ব্যাখ্যা করা যায়। আপনি যদি সে ভূবনের সাথে পরিচিত হোন তাহলে প্রত্যাশিত কিন্তু সাধারন চিন্তা করেন তাহলে হোচট খাবেন। সেটাই মনে হয় মইনুল ভাই বোঝাতে চেয়েছেন।
১৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:১৪
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
বইটি পড়ার ইচ্ছে আছে। নিশ্চয় দারুন সব অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ জীবন ও জীবিকার বয়ান যা পাঠককে করবে মুগ্ধ।
২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ধন্যবাদ। পড়ে দেখুন
১৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: বোন আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: আমি আপনার বইয়ের কথা বন্ধু বান্ধব আত্বীয় স্বজন সবাইকে জানিয়েছি।
১৮| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:৩৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার পাঠ-প্রতিক্রিয়ায় ভালো লাগা রইলো।++
ধন্যবাদ ও অভিনন্দন আপুকে সুন্দর একটি বই আমাদের উপহার দিয়েছেন।
নিরন্তর শুভেচ্ছা জানবেন।
২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, পদাতিক চৌধুরি
১৯| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:১৯
ইসিয়াক বলেছেন: আমি বইটি এখন হাতে পাইনি। খুব তাড়াতাড়ি পেয়ে যাবো আশা রাখি। আপনার রিভিউ ভালো লাগলো।
শুভ কামনা।
২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ধন্যবাদ, মন্তব্য করার জন্য
২০| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:০৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: মাঈনউদ্দিন মইনুল,
লিখেছেন - " সত্য বড়ই অনাবৃত"। আসলেই সোহানীর গল্পগুলো কিছু কিছু সত্যকেই অনাবৃত করেছে যেন। জীবনের এক একটা ঘটনা এক একটি মেসেজই দিয়ে গেছে।
এখানে আমার ভূমিকার কথা যে ভাবে আপনি উল্লেখ করেছেন তাতে বলতেই হয়, তেমন উল্লেখযোগ্য কোনও ভূমিকা আমার নেই। লেখকের স্বাধীনতায় আমি পূর্ণ বিশ্বাসী। তাই তাকে নিজের মতো করেই লিখতে বলার কথা বলেছি। উনি তাই-ই করেছেন।
আমি তার সেই স্বাধীনতার আলোকেই মুখবন্ধটুকু লিখেছি।
আপনার পাঠ প্রতিক্রিয়া বলতেই হবে সুন্দর ও বিশ্লেষণাত্বক হয়েছে। বইটির পাঠক নিশ্চয়ই আপনার মতোই অনূভব করবেন বইটি পড়ে।
অনেকদিন পরে আপনার দেখা মিললো।
ভালো থাকুন, থাকুন সুস্থ্য-নিরোগ।
২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
জী এস ভাই, সহব্লগারের লেখায় এভাবে আপনি যুক্ত হয়েছেন, এটি আমাদের সবারই জন্য আনন্দ ও প্রেরণার বিষয়।
আপনি এমনই করে সবাইকে প্রেরণা দিয়ে যাবেন। অনেক শুভেচ্ছা
২১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৫৩
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমি তো জানতামই না প্রিয় দোস্ত ব্লগার সোহানী'র বই এর খবর। অতি শীঘ্রই পড়ে প্রতিক্রিয়া তো জানাতেই হবে। অভিনন্দন এবং ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার সোহানী'কে। শুভকামনা নিরন্তর।
মইনুল ভাই আপনার পাঠ প্রতিক্রিয়া নিজেই একটা আগ্রহের সৃষ্টি করবে পাঠকের মনে। ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার এই পোস্টের জন্য। ভাল থাকুন সবসময়।
২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৪৭
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
বোকা মানুষ! আপনার মন্তব্য সবসময় আমাকে আলাদা করে ভাবিয়েছে। এবারও।
অনেক ধন্যবাদ
২২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৪:৫৪
সোহানী বলেছেন: যেহেতু মইনুল ভাই উত্তর দিতে দেরী করছেন তাই এর দায়িত্ব নিজেই কাঁধে তুলে নিচ্ছি।
রাজীব নুর: অনেক ধন্যবাদ। আপনি শীঘ্রই নিজস্ব মতামত নিয়ে ফিরবেন। এই প্রত্যাশায়।
পদাতিক ভাই: পাঠ-প্রতিক্রিয়া কিভাবে লিখতে হয় তা আবারো শিখলাম মইনুল ভাই এর কাছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ইসিয়াক: প্রথম থেকে যে ক'জন বরাবরেই আমার বইয়ের সাথে ছিলেন তার মাঝে আপনিও একজন। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩৯
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, সোহানী। আমার হয়ে কিছু দায়িত্ব পালন করার জন্য।
আমি দুঃখিত এজন্য যে, পাঠকের মন্তব্য গুলোর সঠিক উত্তর দিতে পারছি না।
একই কারণে ব্লগে নিয়মিত লিখতে পারি না।
কিন্তু ব্লগার আমার কাছে একটি আনন্দের বিষয় হয়েই থাকবে।
অনেক শুভেচ্ছা আপনার সুলিখিত বইটির জন্য
২৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৫:১৪
সোহানী বলেছেন: আহমেদ জী এস ভাই, এই সুযোগে কিছু কথা বলে নেই।
আগে গুরুগৃহে রেখে ছাত্রদের দীক্ষা দিতো যাতে হাতে কলমে সব কিছু শিখতে পারে। ঠিক তেমনিই সামহোয়ারের গৃহে আমার ক'জন গুরু আছেন। যাদেরকে দেখে প্রতিনিয়ত আমি নিজেকে আপডেট করি। কারো কাছ থেকে লিখার স্টাইল, কারো কাছ থেকে মন্তেব্যের ধরন, কারো কাছ থেকে পজিটিভ বিহেব। আমি নিজেকে সবসময়ই শেখার উপরে রাখি। সে হিসেবে আপনি সহ আরো বেশ ক'জনের কথা মাথায় ঘুরছিল (সবার নাম আর বল্লাম না) যাদের সাথে আমি পরামর্শ করতে পারি বই নিয়ে। সে হিসেবে আপনার কথা যখন নীলদাকে বল্লাম ও আপনার ফোন নাম্বার চাইলাম। (আমি ভেবেছিলাম উনি টেলিফোন ডিরেক্টরী। সব ব্লগারের নাম্বার পাওয়া যাবে।) কিন্তু উনি জানালেন আপনার নাম্বার নেই। তখন তো মাথায় হাত। কিন্তু সে অসাধ্য সাধন করে ঠিকই আপনাকে খুঁজে বের করেছি.........হাহাহাহাহা
আপনার সাহস না পেলে এ পথে হাটতাম না এটা অনস্বীকার্য।
আর মইনুল ভাই এর দেখা পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। সেই সূত্রে উনার দেখা পেয়েছের আমার যন্ত্রনায় সেটার জন্য ধন্যবাদ পেতে পারি........ ।
এবার মইনুল ভাই আর আপনার বই বের করার সময় হয়েছে। ভুমিকা আর পাঠ-প্রতিক্রিয়া দিয়ে দায়িত্ব পালন করে পালালে চলবে না। আমার আত্ববিশ্বাস যে আপনাদের বই বিশাল কিছু হবে। এতো চমৎকার আপনাদের লিখার হাত।
অনেক ভালো থাকেন।
২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৪৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
আমাদের অনেক সহব্লগার বই প্রকাশ করেন। তারা আমাকে বইও পাঠিয়ে থাকেন। আমার অপরাধ হলো এই যে, পড়ি কিন্তু প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করতে পারি না। আপনাকে দিয়ে এটি শুরু হলো। এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ, কারণ শুরু করার জন্য এরকম একটি গ্রন্থের প্রয়োজন ছিলো।
আপনি আরও লেখবেন এবং নিজের সমস্ত অতৃপ্তিকে পরিপর্ণ করে কিছু উপন্যাস প্রকাশ করার কাজে সফল হবেন।
সেটি হবে আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।
২৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৫:১৫
সোহানী বলেছেন: বোকা মানুষ বলতে চায় ..... জ্বী ব্লগ ছেড়ে পালায়ে থাকলে জানবে কি করে কোথায় কোন ক্যাচাল লাগছে।
রিভিউ এর অপেক্ষায়।
২৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৫৪
নীল আকাশ বলেছেন: সুন্দর একটা পাঠ প্রতিক্রিয়া লেখার জন্য আপ্নাকে ধন্যবাদ।
সোহানী আপু অন্যরকম লেখায়। উনার এই বই আমি অবশ্যই পড়বো। পড়ার পর আমিও একটা রিভিউ লিখবো ইনশা আল্লাহ।
শুভ কামনা।
২১ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৪৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
নীল আকাশ, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
রিভিউর অপেক্ষায় থাকলাম।
ভালো থাকবেন
২৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:২৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
সোহানী একজন গণমুখী লেখিকা । তাঁর লেখায়
গণমানুষের জীবন জীবিকার কথা উঠে আসাটাই
অতি স্বাভাবিক। পাঠ প্রতিক্রিয়া সুন্দর হয়েছে।
বইটি পাঠের অপেক্ষায় রইলাম । ব্ইটি এখনো
সংগ্রহে নিতে পারিনি । আগামী মাসের শেষের
দিকে বইটি হাতে আসতে পারে বলে মনে
করছি ।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:১৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, ড. এম এ আলী!
২৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:১০
আখেনাটেন বলেছেন: সোহানী'পা মলাটবদ্ধ গল্পের বইও বের করে ফেলেছে। চমৎকার। চমৎকার।
আপনার রিভিউ পড়ে লেখা পড়ার আগ্রহ আরো বাড়ল।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:১৫
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ধন্যবাদ
২৮| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:০০
প্রামানিক বলেছেন: ব্লগে অনিয়মিত হওয়ার কারনে অনেক কিছুই অগোচরে থেকে যাচ্ছে। ধন্যবাদ মইনুল ভাই।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫১
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
অবসর জীবন কেমন কাটছে?
ছড়াকার প্রামানিক ভাইকে অনেক ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা!
২৯| ১৭ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:০৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: মেলা শুরু হোক, বইটি একদিন মেলায় গিয়েই নিয়ে আসবো। তবে এ মুহূর্তে যা দেখছি, তাতে মনে হচ্ছে করোনার সদম্ভ প্রত্যাবর্তন সে আশায় ছাই ফেলতে পারে।
"কিছু পেয়েছি। সবটুকু নয়। চেষ্টা অতুলনীয়" (২ নং প্রতিমন্তব্য) - অসামান্য পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন, ততোধিক সুন্দর হয়েছে এর সংযত প্রকাশ।
একজন সহব্লগারের আসন্ন প্রকাশিতব্য বই এর মুখবন্ধ লিখে আহমেদ জী এস যুগপৎ লেখককে এবং সকল পাঠককে সম্মানিত করেছেন, এজন্য তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সোহানীকে আন্তরিক অভিনন্দন এবং শুভকামনা। বই এর বিক্রয়লব্ধ অর্থ শিশুদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে জেনে মুগ্ধ হলাম। এজন্য লেখককে সাধুবাদ।
পোস্টে ভাল লাগা + +।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:২৮
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
চাঁদগাজী আমার পছন্দের ব্লগারদের একজন। এখানে মনে রাখতে হবে যে, সবাইকে একই কারণে পছন্দ হবে, এমন কথা নেই
যেমন আপনিসহ আপনার মন্তব্যে উল্লেখিত ব্লগারদ্বয়ও আমার অনেক পছন্দের। সবই ভিন্ন ভিন্ন কারণে
পড়া ও মন্তব্যের জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৯
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
প্রশংসা সবাই করতে পারেন না। প্রশংসা করার জন্য যোগ্যতা লাগে। আপনি নিশ্চয় জানেন প্রশংসাপত্র কারা কারা প্রদান করেন। আপনার প্রশংসাপত্র ভালো লেগেছে। আপনাকে ধন্যবাদ। ধন্যবাদ সোহানী আপাকেও।