![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পহেলা বৈশাখে ঘটে যাওয়া নারী নির্যাতন অনেককে অবাক করছে , কেউ প্রতিবাদ
করতেছে ,কেউ প্রতিকার খুঁজছে , কার ও দরকার এর পিছনের কারন ।
কিন্তু এইটা অবাক হওয়ার মত নতুন ঘটনা না । প্রতিদিন ব্যস্ত ওভার ব্রিজে, বাসে,
প্রতি বছর বাণিজ্য মেলায় , বই মেলায় , বৈশাখে অহরহ এই সব ঘটছে । আগে
এ সব নিয়ে নির্যাতিতা ও মুখ খুলে নাই , আমরা দেখে ও দেখি নাই ।
অনেক পরে হলেও এই বার প্রতিবাদ হচ্ছে ।
কারন হিসেবে অনেকে পোশাককে দায়ী করছে , অনেকে আইন -শৃংখলা কে দায়ী করছে ।
এটা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায় ভীড়ের ভিতরে শারীরিক ভাবে নিপীড়নের ক্ষেত্রে পোশাক কোন ভাবেই দায়ী হতে পারে না ।
এই সব নিপীড়ন কারীরা পোশাক দেখে না শধু মাত্র সুযোগ খুঁজে , পোশাক বা বয়স এদের কাছে ব্যাপার না । তবে ইভটিজং (বাজে মন্তব্য) এর ক্ষেত্রে
পোশাকের কিছুটা ভূমিকা আছে ।এছাড়া দেশের বর্তমান আইন- শৃংখলার অবনতি ,রাজনৈতিক অবস্থা ও দায়ী ।
তবে সবচেয়ে বেশি দায়ী হচ্ছে আমাদের মানসিকতা । আমাদের ভিতরে এইটা বদ্ধমূল যে নারী হচ্ছে পণ্য বা বস্তু ।
তাই রাস্তায় ছিনতাই হয় ! যে যার মত ,সুযোগ মত লুটে নিচ্ছে । যখন বিজ্ঞাপনে পণ্য হিসাবে উপস্থাপন করা হয় ,
সিনেমায় শরীর হিসাবে, অফিসে শোপিজ হিসাবে উপস্থাপন করা হয় তখন আমরা প্রতিবাদ করি নাই । অথচ তখনই
সবচেয়ে বেশি প্রতিবাদ করা দরকার ছিল যে নারী পণ্য বা বস্তু না । এমনকি নারীরাও প্রতিবাদ করে নাই ।
বরং তাদের অবস্থা এমন যে পণ্য হিসাবে উপস্থাপিত হওয়া আর এই সস্তা জনপ্রিয়তা তারা হাত ছাড়া করতে রাজি নয় ।
তাই আজকে পাবলিক তাদের বেশি খায় বলে ( পত্রিকা বা মিডিয়ার পলিসি) যখন কোন পাবলিক পরীক্ষার রেজাল্ট বের হয় সবগুলি জাতীয় দৈনিকে তাঁদেরই ছবি ছাপা হয় । এইটা আনন্দিত না লজ্জিত হওয়ার ব্যাপার ।
এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের ভিতরটা আগে ঠিক করতে হবে । তা না হলে সেই ভীরের মধ্যে আমার হাতটা ও থাকতে পারে ।
যে ব্যবস্থা নারীকে পণ্য করেছে সেই ব্যবস্থার এতটুক পরিবর্তন দরকার যা নারীকে মানুষ হিসাবে উপস্থাপন করে ।
হউক তা খুব ধীরে ।
কারন আইন , আর প্রতিবাদ করে আপনি কয়জনকে আটকাতে পারবেন !!! এই সব সুযোগ সন্ধানীরা অধিকাংশ সময় ভীরের সুবিধা নিয়ে থাকে । অনেক সময় নির্যাতিতা ও অপরাধীকে সনাক্ত করতে পারে না । এছাড়া এই সব অপরাধী সাধারণত নিজেদের অনুকূল পরিবেশে এই ধরনের অপরাধ করে থাকে ।
তাই কিছু সময় প্রতিবাদের চেয়ে প্রতিকার বেশি কার্যকর । এখন যেইটা করা যেতে পারে যতটা সম্ভব ভীরের স্থান এড়িয়ে চলতে হবে ।যথেষ্ট বন্ধু-বান্ধব বা পারিবারিক নিরাপত্তা নাই এই রকম স্থানে না যাওয়া । পারিপার্শ্বিক অবস্থার প্রতি সতর্ক থাকা ।
২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:১৭
মুরাদুল মোস্তফা বলেছেন: মন্তব্য না করলে যে, কি বলতে চেয়েছেন এইটা বুঝার মত মাথা আমার নেই :O:O
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৬:৫৮
ধূসর সপ্ন বলেছেন: ভীড়ের মাঝে আর মন্তব্য করতে ইচ্চে করছে না ।