![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সমকালঃঃ "কলা-কচু খাইয়া আর কয়দিন বাঁচমু। এর চাইতে পানি খাইয়া মইর্যা গেলেই ভালো অইতো।" চারদিনেও খাবার না পেয়ে আক্ষেপ করে বললেন বরগুনা সদর উপজেলার গোড়া পদ্মা গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান (৩০)। তার পরিবারের ৫ জন চার দিনেও শুকনো খাবার পায়নি। সিদ্দিক জানান, "প্যাটের ক্ষুধায় ঝড়ে ভাইশা পড়া কাঁচা ক্যালা সিদব্দ কইর্যা খাইছি। হ্যারপরও খাবার না পাইয়া ক্যালা গাছের থোর (শাস) খাইছি।"মালেক মুসুল্ক্নী (৩২) জানান, তার পরিবারের ৮ সদস্য বুনো কচু সিদব্দ করে খেয়ে বেঁচে আছে। আবদুল হকের বাড়ি গেলে তার স্ট্পী রুনু বেগম (২৮) ঝোঁপের আড়াল থেকে চিৎকার দিয়ে বলেন, "এক টুকরা কাপড় দিলে সামনে আইসা কতা (কথা) কইতে পারতাম।" তার পরিবারের ৬ সদস্যের কারো পরনে কাপড় নেই। একই গ্রামের দয়াল চন্দ্র মাতুব্বর (৫০) জানান, "আর কয়দিন খোলা আকাশের নিচে থাকমু।" গোড়া পদ্মা গ্রামে কারো বাড়ি নেই। তাই তাদের আশ্রয় নেওয়ার মতো জায়গা নেই। হাবিবুর রহমান তার দু’মেয়ে ফাহিমা ও ফারজানার কবর ধরে কাঁদছেন। সেখানে একত্রে ৯ জনকে দাফন করা হয়েছে। ফাতিমার (৫৫) আহাজারি থামানোর মতো কারো সাধ্য নেই। তার বুক চাপড়ানো কাল্পম্নায় আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। মফেজ আকনের (৫২) আকুতি, "আগে খাওন দেন, হ্যার পরে কতা কন।" তার পরিবারের ৯ সদস্য ৪ দিন ধরে না খেয়ে মরার মতো বেঁচে আছে। আবদুর রহমান (৪৮) জানান, "কলাগাছ তো শ্যাষ (শেষ) হইয়া গেলো, এরপর কি খাইয়া বাঁচমু।"
যোগাযোগ বিচ্ছিল্পম্ন এলাকা হওয়ায় সেখানে ত্রাণকর্মীদের কেউ যেতে পারছে না। তাই কেউ তাদের নিদারুণ কষদ্ব উপলব্ধি করতে পারছে না। তবে নলটোনার সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মাল্পম্নান বলেন, গাছ কেটে রাস্তা পরিস্কার করে দেওয়া হয়েছে। মানুষ বাঁচানোর ইচ্ছা থাকলে যে কেউ এখন সেখানে যেতে পারবে।
২| ২১ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:২৪
অপূর্ব বলেছেন: মানুষ না খেয়ে মারা যাচ্ছে এই জন্য দায়ী বর্তমান সরকার। কারন তাদের প্রভুসুলভ কথা বার্তায় সবাই বিরক্ত তাই ইচ্ছে থাকলে অসহায় মানুষের পাশে কোন সাধারন মানুষ আসতেছে না।
৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:২৮
বকলম বলেছেন: আমরা শুধু হা হুতাশ কইরাই শেষ...
৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:৩০
জয়িতা বলেছেন: শুধুই দীর্ঘশ্বাস !
৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:৩৬
অন্যরকম বলেছেন: অপূর্ব@
তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দরকার উদ্যোম! সরকার কি করবে? সরকার কি আপনাকে মানা করছে ওদের পাশে না দাঁড়ানোর জন্য?
৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৪:০৫
দ্বিধা বলেছেন: আমরা কয়েক বন্ধু মিলে বরগুনা যাচ্ছি ২২ তারিখ । কিছু খাবার আর কাপড় নিয়ে যাচ্ছি । সঙ্গে একজন ডাক্তার যাচ্ছে । দেখে এসে অবস্থা সম্পর্কে জানাবো ।
৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৪:১০
মদন বলেছেন: আল্লাহ আপনাদের সহায় হোন @ দ্বিধা
৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৪:১৬
এখনও গল্প লিখি বলেছেন: @দ্বিধা
আমার বাড়ি ওখানে। আমিও যাচ্ছি
৯| ২১ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৪:১৭
এখনও গল্প লিখি বলেছেন: @দ্বিধা
আমার বাড়ি ওখানে। আমিও যাচ্ছি
১০| ২১ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৪:৩০
দ্বিধা বলেছেন: আমরা একটু গ্রামের দিকে যাবার চেষ্টা করবো নৌকা নিয়ে ।
১১| ২১ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৪:৪২
দ্বিধা বলেছেন: আপনাকে ফোন দিবো ।@এখনও গল্প লিখি
১২| ২১ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:২২
অলস বলেছেন: আল্লাহ্
১৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৫:২৩
রাশেদ বলেছেন: হু!
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে নভেম্বর, ২০০৭ বিকাল ৩:২৪
অন্যরকম বলেছেন: আমরা ফ্রেন্ডরা মিলে এটা ছোট্ট টিম পাঠানোর চেষ্টা চালাচ্ছি। পটুয়াখালি যাবে তারা। ইতোমধ্যে কিছু জামা কাপড় জোগার করেছি! আরও কাজ হচ্ছে। সব ঠিক ঠাক থাকলে আগামি সপ্তাহের মাঝামাঝি রওনা দেয়া সম্ভব। সবাই দোয়া করবেন!