![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একসময় নগর জীবনে বাসায় টেলিফোন থাকা সামাজিক মর্যাদার কারন হিসেবে বিবেচিত হলেও কালের বিবর্তনে তা প্রয়োজন রূপেই বিবেচিত হচ্ছে। আর মোবাইল ফোনের সহজলভ্যতার কারনে এখন ভিক্ষুকের হাতেও মোবাইল দেখা যায়।
একটি মোবাইল ফোনে যে কত ধরনের ব্যবহারিক সুবিধা দেয়া হয়েছে তা দেখলে অবাক হতে হয়। কথা বলার পাশাপাশি কথা রেকর্ড করা, ক্যামেরা, ইন্টারনেট, জিপিএস, টিভি, ভিডিও দেখা, গান শোনা সহ আরো কত কি? টেলিফোন এখন আমাদের যোগাযোগের জন্য অপরিহার্য্য মাধ্যম হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে। কিন্তু এই টেলিফোন ব্যবহারেরও যে কিছু নিয়মকানুন রয়েছে তা আমরা অনেকেই জানিনা। আর জানিনা বলেই অনেককেই দেখা যায় বাসের মধ্যে উচ্চস্বরে গান বাজাতে। বিনা অনুমতিতে যার তার ভিডিও করতে।
নীচে টেলিফোন ব্যবহারের কিছু সাধারন নিয়মসমুহ দেয়া হলো যা মেনে চলা আমাদের সকলের কর্তব্য।
১. টেলিফোনের পাশে দরকারী কাগজ এবং কলম রাখুন যেন প্রয়োজনের মুহুর্তে কোন মেসেজ বা নম্বর লিখতে কাগজ কলম হাতের কাছেই পান।
২. টেলিফোনটি এমন জায়গায় রাখুন যেন সহজেই রিসিভ করা যায়।
৩. সর্বোচ্চ তিন রিং এর মধ্যেই টেলিফোন রিসিভ করুন।
৪. টেলিফোন রিসিভ করে সালাম দিন এবং আপনার পরিচয় দিন। অফিসের ক্ষেত্রে অফিসের নাম, আপনার নাম এবং আপনার পদ মর্যাদা জানান।
৫. টেলিফোন হোল্ড করিয়ে রাখতে হলে কলকারীকে জানিয়ে হোল্ড করুন এবং সম্ভাব্য সময় জানিয়ে রাখুন।
৬. অতি উচ্চস্বরে বা অতি নিম্ন স্বরে কথা বলবেন না।
৭. কলকারীর কথা শুনতে না পেলে বিনীতভাবে আরেকটু জোরে বলতে অনুরোধ করুন এবং কথা বুঝতে না পারলে কথাটি আরেকবার বলতে অনুরোধ করুন।
৮. কথা চলা অবস্থায় লাইন কেটে গেলে যে টেলিফোন করেছে তার দায়ীত্ব পুনরায় কল করা।
৯. অনেক টেইলফোনেই স্পীকার রয়েছে এবং হ্যান্ডস ফ্রী অপশন রয়েছে। টেলিফোনে স্পীকার দিয়ে শুনতে চাইলে অবশ্যই অপর পক্ষের অনুমতি নিয়ে তবেই স্পীকার ব্যবহার করুন।
১০. ধর্মীয় স্থান, পাবলিক প্লেস, মিটিং, শিক্ষালয়ে ফোন বন্ধ রাখুন। নিদেন পক্ষে সাইলেন্ট রাখুন। ফোন ধরা থেকে বিরত থাকুন।
১১. কোন মিটিং বা পার্টিতে কল আসলে সেক্ষেত্রে কলকারীকে আপনার অবস্থান জানান এবং কখন আপনি কল ব্যাক করতে পারবেন সেটিও জানান। জরুরী হলে আপনি অন্য সবাইকে “সরি” জানিয়ে পার্টি থেকে আলাদা হয়ে কথা বলুন।
১২. কোথাও ফোন করে যদি সেখানে ভয়েস মেসেজ রাখতে হয় সেক্ষেত্রে আপনার নাম এবং ফোন নম্বরটি স্পষ্টভাবে দুবার বলুন।
১৩. পাবলিক প্লেসে মোবাইলে গান বাজানো থেকে বিরত থাকুন। গান শুনতে চাইলে হেডফোন ব্যবহার করুন।
১৪. পাবলিক প্লেসে ফোনে উচ্চস্বরে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। প্রয়োজনে অপরপ্রান্তকে জানান আপনি বাসে/ট্রেনে থাকায় শুনতে সমস্যা হচ্ছে। সুবিধাজনক সময়ে আপনি ফোন করবেন।
১৫. বিনা অনুমতিতে মোবাইল দিয়ে কারো ছবি তোলা, ভিডিও করা এবং কন্ঠ রেকর্ড করা থেকে বিরত থাকুন।
১৬. কথা শেষ হলে কলকারী কলটি কেটে দিবেন।
০২ রা জুন, ২০০৮ দুপুর ২:৫৫
মদন বলেছেন: সেট টি দামী মডেল হলে মডেল নম্বর বলুন। এরপর বলুন কবে কখন কোথায় কোন জানালা দিয়ে ছুড়বেন
২| ০২ রা জুন, ২০০৮ দুপুর ২:৫৯
বকলম বলেছেন: মদুরে, বাংগালি শুনব উপদেশ... তাইলেই হইছে!
০২ রা জুন, ২০০৮ বিকাল ৪:০৯
মদন বলেছেন: উপদেশ না রে...
এইগুলান জানা দরকার। কিছু লোক যখন বাসের মধ্যে মোবাইলে চেচাইতে থাকে অথবা ফুল ভলিউমে গান শুনতে থাকে তখন বড়ই বিরক্ত লাগে।
৩| ০২ রা জুন, ২০০৮ রাত ৯:২১
মামু বলেছেন: সারা রাইত পুনে কতা কইত কইতে ইদানিং কানে কম শুনতাচি...
কি করুম?
১২ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৩৫
মদন বলেছেন: আরেকটা ফোন কিনেন
৪| ০২ রা জুন, ২০০৮ রাত ৯:৪০
একজন ব্লগার বলেছেন: ফোনে কথা বলতে বলতে ঘুমিয়ে পড়ার থেকে বাচতে হলে কি করতে হবে সেটা বলেন ভাই। বড়ই যন্ত্রনার ভিতর আছি।
মামুর কেসও অনেকটা আমার মত।
১৩ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:১৯
মদন বলেছেন: ফোনের সাথে এলার্ম রাখেন ১ মিনিট পর পর বাজবে
৫| ১২ ই আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৫
পাকাচুল বলেছেন: কমনসেন্সের ব্যাপার, অনেকেই মানতে চায় না।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জুন, ২০০৮ দুপুর ২:৫২
ত্রিভুজ বলেছেন: হুমমম.....
আমার কাছে ফোন নামক যন্ত্রটা দিন দিন ভয়ংকর বিরক্তিকর হয়ে ওঠছে.... মাঝে মাঝে জানালা দিয়ে ছুড়ে ফেলে দিতে ইচ্ছে করে... এই বিষয়ক কিছু টিপস দিন। : )