নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবীর মাটি থেকে যতদূর চেতনার বিস্তার

মহাজাগতিক

বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশুনা, মতবিনিময়, আলোচনা শুনতে, করতে, পড়তে ভালোলাগে। নতুন নতুন ভাবনার সাথে পরিচিতি হতে পছন্দ। পছন্দ বন্ধুত্ব।

মহাজাগতিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষের জন্য চরম নসিহত: তেঁতুল মেতুল নয় কিন্তু!!

১৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২৩

হযরত ইমাম গাজ্জালী (রহ:) এর নিকট তাঁর এক ভক্ত এসে বললেন, “হুজুর আজ এক আশ্চর্য ঘটনা দেখে আসলাম।” হুজুর বললেন কী ঘটনা?” শিষ্য বললেন, “আমার পরিচিত এক যুবক রাতে সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় বিছানায় ঘুমাতে গিয়েছিল কিন্তু সকালে তাকে তার বিছানায় মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। অথচ তার কোনো রোগ ছিল না। কেউ তাকে হত্যাও করেনি। সে ছিল সম্পূর্ণ সুস্থ টগবগে এক যুবক। তার এরকম মৃত্যুর ঘটনায় আমি আশ্চর্য হয়ে গেছি।” বুযুর্গ বললেন, “চিন্তা করে দেখো, মৃত্যুটা কোনো আশ্চর্যের বিষয় নয়। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে আমাদের এই বেঁচে থাকাটা।” এই যে জীবন না চাইতে পেয়েছি এটাই হচ্ছে সত্যিকারের আশ্চর্যের বিষয়। তোমার যখন জন্ম হয়েছে তখন তুমি জান যে, তোমাকে মৃত্যু বরণ করতেই হবে। তুমি তোমার পরিচিত জনদেরকে মরতে দেখেছে। তোমার আপনজনও অনেককে মুত্যুবরণ করতে দেখেছো। অর্থা তুমি তোমার নিজের মৃত্যুর আগেই জানতে পারছো যে, মৃত্যু নামক একটি বিষয় আছে। কিন্তু ভেবে দেখোতো তোমার জন্মের আগে কি তুমি জানতে যে, জীবন নামক একটি বিষয় আছে? তোমার জন্মের আগে কী তোমার কোনো ধারণা ছিল যে, তোমাকে এরকম একটা সুন্দর জীবন গ্রহণ করতে হবে? তোমার জন্মের আগে কি তুমি জানতে যে, সুখ-দুঃখ আর হাসিকান্না ভরা একটা পৃথিবী তোমার জন্য অপেক্ষা করে আছে? তাহলে কোনটা বেশী আশ্চর্যের বিষয়- জীবনটা না মৃত্যুটা? শিষ্য বললেন, “আমি বুঝতে পেরেছি।”

তাই প্রিয় ভাইয়েরা আমার! একবার ভাবুন, এই যে আমরা বেঁচে আছি- এ এক আশ্চর্য ব্যাপার। কিভাবে সম্ভব হলো এই জীবন? আমি কি মহান স্রষ্টাতে বিশ্বাস না করে পারি? স্রষ্টাতে যার বিশ্বাস নাই এই জীবনে বেঁচে থাকাতে তার কোনো আশ্চর্যবোধ নাই। বিস্ময়বোধ নাই। যার বিস্ময়বোধ নাই তার কোনো আনন্দ নাই। কারণ বিস্ময়বোধই হচ্ছে সকল সৃষ্টিশীলতা আর সৌন্দর্যবোধের উৰস। যে ব্যক্তি এই আদিম বিস্ময়বোধকে নিজের মধ্যে চিরজাগরুক রাখতে পারে সে-ই জগতকে সুন্দরের চোখে দেখতে পারে, সুন্দর জীবন উপভোগ করতে পারে। নিজের আত্মাকে উপলব্ধি করতে পারে। তাই পৃথিবীর মহান সব শিল্পী, কবি-সাহিত্যিক এবং বিশ্বব্যাপী সকল মননশীল মানুষকে এই আদিম বিস্ময় সব সময় তাড়িত করেছে। রবীন্দ্রনাথ তার "প্রশ্ন" কবিতায় সরাসরি তুলে ধরেছেন এই আদিম বিস্ময়ের কথা। কিন্তু যখনই এই চিরবিস্ময়কর প্রশ্নটি আমাদের মন থেকে হারিয়ে যায়, আড়াল হয়ে যায়। আমাদের নিত্য-নৈমিত্তিক জীবনের হাঙ্গামার মাঝে আমরা এই আদিম বিস্ময়বোধটি হারিয়ে ফেলি। তখনই আমারা হয়ে উঠি ক্ষুদ্র, সংকীর্ণ, হিংসুক, স্বার্থপর এবং অন্ধ। আর যে ব্যক্তি এই সুন্দর জীবন দানের জন্য প্রতিদিনই স্রষ্টাকে ধন্যবাদ জানায়, শুকরিয়া আদায় করে তার মধ্যে আনন্দের ঝর্ণা বয়ে যায়। জান্নাতের শান্তি- তার জন্য কায়েম হয়ে যায়। আর মহান স্রষ্টা আল্লাহ তায়ালা বারবারই বান্দার মনে এই আদিম বিস্ময়বোধকে উসকে দেয়ার মাধ্যমে বান্দার মনের শান্তিকে আরও দৃঢ়বদ্ধ করে দেন।



"আর তোমাদের সৃষ্টিতে এবং চারদিকে ছড়িয়ে রাখা জীবজন্তুর সৃজনের মধ্যেও নিদর্শনাবলী রয়েছে মুমিনদের জন্য।"- সুরা আল জাসিয়া। আয়াত: ০৪

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৩৪

শেরশাহ০০৭ বলেছেন: ভাল পোষট

১৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৪২

মহাজাগতিক বলেছেন: পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ। জাজকাল্লাহু খাইরান।

২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর পোস্ট ভাল লাগলো ।

৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:০৭

খেয়া ঘাট বলেছেন: আর তোমাদের সৃষ্টিতে এবং চারদিকে ছড়িয়ে রাখা জীবজন্তুর সৃজনের মধ্যেও নিদর্শনাবলী রয়েছে মুমিনদের জন্য।"- সুরা আল জাসিয়া। আয়াত: ০৪

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.