![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কলাপাড়ায় এবার রাখাইন সম্প্রদায়ের শ্মশান দখল
প্রতিনিধি, পটুয়াখালী
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় রাখাইন সম্প্রদায়ের শ্মশান দখল করে নিয়েছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। গত ৩ দিন ধরে পৌরশহরের নাচনাপাড়া চৌরাস্তা সংলগ্ন এলাকায় শশ্মানের জমি দখলের কার্যক্রম চালালেও প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। ইতোমধ্যে শ্মশানের মাটি কেটে পিলার বসানোর কাজও সম্পন্ন করেছে ভূমি দস্যুরা। এ ঘটনায় রাখাইন সম্প্রদায় শ্মাশান কমিটি রোববার পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
সরেজমিন ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পৌরশহরের নাচনাপাড়া এলাকায় আদিবাসী রাখাইন সম্প্রদায় কয়েক শত বছর ধরে বসবাস করে আসছে। তাদের সম্প্রদায়ের সদস্যদের মৃত্যুর পর ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি সম্পন্ন করে শেষকৃত্যানুষ্ঠনের জন্য ১৯৬৫ সালে পটুয়াখালী-কলাপাড়া মহাসড়ক সংলগ্ন নাচনাপাড়া দোন নদীর পাড়ে শ্মশান নির্মাণ করে। শ্মশানটি খেপুপাড়া মৌজার ৩২০ নং দাগের ২২.৩২ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত।
কিন্তু গত শনিবার সকালে টিয়াখালী ইউনিয়নের রজপাড়া গ্রামের মো. জালাল মিয়া ২০-২৫ জন সন্ত্রাসীদের নিয়ে শ্মশানের মাঝখান দিয়ে সীমানা পিলার দিয়ে মাটি কাটা শুরু করে। এ সময় রাখাইন সম্প্রদায়ের লোকজন বাধা দিলে তারা মাটি কাটা বন্ধ করে চলে যায়।
রাখাইনরা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে দখলদাররা ক্ষিপ্ত হয়ে রোববার রাতে ৪-৫টি মোটরসাইকেলযোগে শ্মশানের সাইনবোর্ড ভাঙতে যায়। জোঁয়ারের পানিতে সাইনবোর্ডটি তলিয়ে থাকায় তারা ভাঙতে পারেনি। এ সময় তারা শ্মশান গুড়িয়ে দেয়াসহ রাখাইনদের এলাকা ছাড়ার হুমকি দিয়েছেন বলে স্থানীয়রা এ প্রতিনিধির কাছে অভিযোগ করেছেন।
অভিযুক্ত মো. জালাল মিয়া বলেন, 'শ্মশানের মধ্যে ১নং খাস খতিয়ানের ১২ শতাংশ জমি ভূমি অফিস থেকে মো. জালাল ও তার স্ত্রী মোসা. রিনা বেগম বন্দোবস্ত নিয়েছেন। সেই জমিতে মাটি কাটতে গেলে উল্টো রাখাইনরা তাদের বাধা দেয়।'
শ্মশান কমিটির সদস্য মোমোথে রাখাইন অভিযোগ করে বলেন, 'আমাদের বাবা-দাদারা নিজেদের রেকর্ডিয় জমিতে শ্মশান নির্মাণ করেছেন। হঠাৎ করে ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার আকবর, জালালকে শ্মশানের মধ্যে ১২ শতাংশ জমি মেপে দিয়ে যায়। সেখানে বহু মানুষের সমাধী রয়েছে। বর্তমানে জালাল না আসলেও একটি সন্ত্রাসী বাহিনী শ্মশানটি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সহাকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মাহবুবুর রহমান তদন্ত করতে আসলে তার সামনেই সন্ত্রাসীরা আমাদের শ্মশান দখলসহ আমাদের এলাকা ছাড়া হুমকি দিয়ে গেছে'।
এ ব্যাপারে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা প্রাশাসক (রাজস্ব) মো. শাহআলম সরদার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'রাখাইরদের অভিযোগের ভিত্তিতে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্র্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, 'ভূমি অফিসের নথিপত্র পর্যালোচন করে শ্মশানের জমি বন্দোবস্ত দেয়ার কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। এরপরও সহাকারী কমিশনার (ভূমি) মো, মাহবুবুর রহমানকে সরেজমিন তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
©somewhere in net ltd.