নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মহানাম

মহানাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই লোটপাটেের কি অবসান হবে না ; ইসলাম কি আসলেই লুটপাটের ধর্ম ?

০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:৫৮

সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি দখল

প্রকাশ : ০৯ আগস্ট, ২০১৫
বাংলার মুসলিম, বাংলার হিন্দু, বাংলার খ্রিস্টান, বাংলার বৌদ্ধ- আমরা সবাই বাঙালি এটা ছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম চেতনা। আমরা কি সেই চেতনা থেকে দূরে সরে যাচ্ছি? এ ভূখণ্ডে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের হাজার বছরের ঐতিহ্য লজ্জায় মুখ লুকাচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ে। কিছু দুর্বৃত্ত শ্রেণীর লোক বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের, বিশেষত যে দল যখন ক্ষমতায় থাকে তখন সেই দলের নেতা-কর্মী, সমর্থক সেজে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর বিভিন্নমুখী অত্যাচার-নির্যাতন চালানোসহ সম্পত্তি দখলের অন্যায় তৎপরতায় মেতে ওঠে। বর্তমানেও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জমি, বাসস্থান, মন্দির দখলের দুর্বৃত্তপনা চালিয়ে যাচ্ছে এ ধরনের দুর্বৃত্ত শ্রেণীর লোকেরা। এসব অত্যাচারের অভিযোগই উত্থাপন করেছেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। তিনি এক সাংবাদিক সম্মেলনে সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জমি ও সম্পদ দখলের সঙ্গে জড়িত মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তুলে ধরেছেন। বর্তমান সরকারের একজন মন্ত্রী, সংসদের হুইপ এবং একজন এমপির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্টভাবে উত্থাপিত এই অভিযোগের উদ্ধৃতি দিয়ে একজন সাবেক মন্ত্রী এসব ঘটনার প্রতিকারের দাবি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। বলেছেন, সংখ্যালঘুদের দায়দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীকেই নিতে হবে। আমরা তার বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করি। সঙ্গে সঙ্গে এ কথাও বলতে চাই- এ দায়িত্ব যেমন প্রধানমন্ত্রীর, তেমনি এদেশের মানুষেরও।
কতিপয় দুর্বৃত্ত মানসিকতার মানুষ ক্ষমতা, প্রশাসন এসবের দোহাই দিয়ে, এসবকে ব্যবহার করে সংখ্যালঘু মানুষের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন, সম্পত্তি দখলের ঘটনা ঘটিয়ে যাবে আর দেশের বাদবাকি মানুষ নীরবে তা মেনে নেবে- এজন্য দেশ স্বাধীন হয়নি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাও নয় এটি। এই দোহাই সংস্কৃতি মানুষের শুভবোধ, শুভবুদ্ধিকে তিলে তিলে হত্যা করছে বলেই সমাজে দৌরাত্ম্য বাড়ছে দুর্বৃত্তদের। তাদের নির্মূলের দায়িত্ব এককভাবে কারও কাঁধে চাপিয়ে দিলে চলবে না, দায়িত্ব নিতে হবে সবাইকেই। কারণ অভিজ্ঞতার আলোকে আমরা দেখেছি দুর্বৃত্তরা সংঘবদ্ধ, আর সাধারণ নিরীহ মানুষ বিচ্ছিন্ন। তাই সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্তদের প্রতিরোধ করতে হলে নিরীহ নির্যাতিতদের সংঘবদ্ধ হতে হবে। দাঁড়াতে হবে সংঘবদ্ধ সামাজিক দুর্ভেদ্য প্রাচীর রূপে। আমরা আশা করি, এ কর্তব্য কেউ এড়িয়ে যাবেন না। বাংলাদেশে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব মানুষের শান্তি ও স্বস্তিতে বসবাসের পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।
- See more at: Click This Link

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:৩৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট, নির্মম বাস্তবতাও বটে । সত্যি বলতে কী, সংখ্যাগুরুরা সবসময়ই সংখ্যালঘুদের গ্রাস করতে চায় । ভারত, বাংলাদেশ কিংবা মায়ানমারের কথাই বলুন । ধর্ম উছিলা মাত্র! সন্ত্রাসের কোনো ধর্ম নেই ।

২| ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:০৮

মহানাম বলেছেন: ভারতে সংখ্যালঘুরা সংখ্যাগুরুর চেয়েও বহুল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে। সেখানে তারা সরকার ও প্রশাসনকে হুমকি দিয়ে তাদের স্বার্থ হাসিল করে। তারা যে দাপটের সাথে ভারতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, তা বাংলাদেশের সংখ্যাগুরুরাও কল্পনা করতে পারবে না। যদি কোনদিন কোন সৌভাগ্যের উদয়ে এদেশের সংখ্যালঘুগুলো ভেড়ার আচরণ কাটিয়ে সিংহের মতো গর্জন তুলতে পারে, তাহলেই সুদিনের সূর্যের উদয় হবে, নাহলে সে আশা দুরাশাই থেকে যাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.