![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দিনাজপুর পৌঁছুতে সকাল দশটা বাজল। বাস থেকে নেমে একটা হোটেলে ঢুকলাম। পরটা ডাল আর ডিম ভাজি দিয়ে বেশ জম্পেশ নাস্তা হল। জার্নির ক্লান্তি টা বেড়ে গেল যেন। মামাকে বললাম ঘুমিয়ে নিতে পারলে ভাল হত। সোহাগের মত ও তাই। বড় করে একটা হাই তুলে আমার কথার যৌক্তিকতার প্রমান দিল।
চল তাহলে থাকার ব্যবস্থা করি।
কাছেই একটা আবাসিক হোটেলের সাইন বোর্ড দেখলাম। মনোরম আবাসিক হোটেল। ঢুকে ম্যনেজার কে বললাম একটা ডাবল বেডের রুম চাই। খাতায় নাম এন্ট্রি করে চাবি দিলেন রুম ২০৪। দোতলায় চাপা সিঁড়ি দিয়ে উঠে হাতের ডানে চার নাম্বার রুম। ঢুকেই বাথ রুম দেখে নিলাম। বিছানার চাদর আর বালিশের কাভার বদলে দিয়ে গেল বয়। আর তর সইছিলনা। জুতো খুলেই বিছানায়।
এক ঘুমে বেলা চার। চোখ খুলে দেখি মামা খাতায় নোট লিখছে।
ঘুম শেষ।
আড়মোড়া দিয়ে বললাম কিছুটা বাকী থাকল। গোসল করে বেরিয়ে এসেছে সোহাগ।
মাথা ঘোরাটা নেই।
এইটুকু জার্নিতেই এই অবস্থা, তো দুনিয়া দাবড়াবি কি করে। খোচাঁটা মামা সোহাগকেই দিলেন। তার ভাষ্য মতে সারা দুনিয়া টা একবার হলেও দাবড়ে বেড়াতে হবে।
কেন বিশ্রাম নিয়ে নিয়ে। কেউ ত আমাকে দিব্যি দিয়ে বলেনি যে একটানা দাবড়াও আইমিন দৌড়াও।
আমিও ফ্রেশ হয়ে এসে জানতে চাইলাম প্ল্যান কি এবার।
সোহাগ বলল দুটো প্ল্যান। প্ল্যান ১ আজ মন্দিরে যাওয়া, প্ল্যান ২ আজ আর কোথাও না যাওয়া। ২য় টাই ভাল নয়কি? মামার কথা । আমি বললাম হুঁ তা ঠিক। কিন্তু কাছেপিঠে ঘোরা ফেরা করে আসতেপারি। সোহাগের মতে সন্ধ্যার নাস্তা যেহেতু বেচেঁ থাকার জন্য খেতেই হবে তাহলে তা সেরেই আসি, ঘুরেও আসি। তাই সই। রিক্সা করে এদিক সেদিক গেলাম। মামা তার সামস্যাং মোবাইলে আমার আর সোহাগের বেশ কিছু ছবি তুললেন। ব্যাক গ্রাউন্ড দিনাজপুর শহর। ঠিক হল কাল সকালে যাব মন্দিরে। যদিও আমার ইচ্ছে হচ্ছিল তখনি ছুটে যাই। কি নির্দেশনা দেয়া আছে ঐ প্রাচীন মন্দিরের গায়ে। পোড়ামাটির টেরাকোটায়।
এতদিন অবশ্য ইন্টারনেটে খুজেঁছি। মামা বলে দিয়েছিলেন কি দেখতে হবে। মন্দিরের টেরাকোটার যত ছবি পাওয়া গেল সব সেইভ করেছি। কিন্তু সমস্যা হল কোন ফলক কোন দিকে কোথায় তার অবস্থান তা বোঝার উপায় নেই। তা হোক। কিন্তু প্রতিটি টেরা কোটার ছবি দেখেছি আর মনে হচ্ছিল এটাই সেই কাঙ্খিত টেরাকোটা।
এ সময় বেশ শীত পড়ে এখানে। সন্ধ্যা নামতেই ঠান্ডা আর কুয়াশা। রেলস্টেশন টা দেখতে এসেছিলাম। ফেরার সময় ট্রেনেই ফিরব ভাবছি। সোহাগ বলল মামা খেয়ে দেয়ে একেবারেই রুমে ঢুকে পড়ি। তাই হোক। স্টেশনের পাশেই চকমকে একটা হোটলে ঢুকে পড়লাম। বেয়ারা এসে জানতে চাইল কি খাব।
মামা বলল ‘মেনু’
হড়বড় করে একগাদা মাছের নাম, মুরগী, খাসি আর গরু বলে গেল।
সোহাগ আবার মাছ পছন্দ করেনা। তাই মুরগী, ডাল আর সব্জির অর্ডার দিলাম। এই ট্যুরের সব খরচ মামার। মামা জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক। মাস ছয়েক হল জয়েন করেছে। এই ট্যুরের কারন অবশ্য গবেষণা নয়। ঘটনার শুরু আমাকে দিয়ে। তারপর মামা সেই রহস্যের সমাধানে নেমে পড়েছে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৪৬
মহাসাধক বলেছেন: কিরাম লাগসে?