![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাস শেষ হওয়ার পরো টিঊশনের টাকা দিচ্ছিলনা। এই টাকার উপর ভরসা করে লম্বা বাজেট তৈরি। বন্ধুরা বলে ছাত্রকে জোরে ট্রান্সলেশন করাতে "আজ মাসের এত তারিখ। বাবা বেতন পেয়েছেন,.........।" অথবা কঠিন শাস্তি দিবি।কোনটাই করতে পারেনা ইমন।
হলে থাকলেও খরচের টাকা টা অন্যকে জ্ঞান দিয়েই আসে। অবশ্য নিজের জ্ঞান আহরনের ইচ্ছা সুজোগ দুটোই কমে আসতে থাকে। আর ছাত্র গুলো এমন বদ, পরীক্ষা খারাপ করলেই গৃহশিক্ষকের দোষ। তাই টিউশন গুলো চার মাসের বেশী স্থায়িত্ব পায়না। কিন্তু তাই বলে শ্রমের মজুরি ঠিক সময়ে দেবেনা কেন? প্রথম প্রথম নাস্তা আসতো বেশ মজার মজার। একদিন ভদ্রতা করে বলেছিল শুধু চা হলেই চলবে। ব্যস তারপর থেকে সেটাও অনিয়মিত। এতদিন সন্ধ্যার নাস্তাটা সেক্ষানেই সেরে নেয়া যাচ্ছিল।
শিক্ষকের মর্যাদা কি পৃথিবী থেকে উঠেই গেল? সেই কবিতা টা ওই যে গুরুর পা ধোয়ানোর, সে খানাও মনে হয় বই থেকে উঠে গেছে। এই সব অভিভাবকের জন্যই জাতির আজ এই দূর্দশা। অথচ মিরু ইংলিশ মিডিয়াম পড়ায়, চাকুরীর সমান ইনকাম। ফুটানি ও দেখাতে পারে। অর কাছেই কিছু টাকা ধার করার চিন্তা মাথায় আসে।
আজ টাকা না দিলে বাস ভাড়াটাও থাকবেনা। অবশ্য মিরুর বাসা ও পথেই। ফেরার সময় একট ব্যবস্থা হবে। আজ টাকাটা চাইতেই হবে। সংকোচ করার দরকার নাই।
ভাবতে ভাবতেই দরজার কাছে পৌঁছে যায় ইমন।
একি! দরজায় তালা।
মোবাইলে কল দিতেই "আমাদের এক আত্মীয়ের বিয়েতে বাড়ি চলে আসতে হল। কয়েকটা দিন দেরী হবে। একদিন আসার দরকার নেই। ফিরলেই আপনাকে জানাবো ।"
সে ফিরে আসার কথা ইমন কে আর কেউ বলেনি।
যুগ এখন ফার্মের চিকেনের। যতই আমরা দেশী মুরগীর শুকনো হাড়ের কথা ভেবে জিভে পানি আনি, আফসোস করি, আজ তারা কোথায় গেল কোথায় গেল বলে বিলাপ করি। ঘরে মেহমান এলে খরচের অথা ভেবে এদেরকেই ঝোলায় ভরে ঘরে ফিরি।বেতের বাড়ি খুন্তির বাড়ি খেয়ে বেড়ে ঊঠার দিন শেষ। আবদারের প্রতিদান পিঠে নিয়ে খুঁটি ধরে অশ্রুহীন তারস্বরে নিস্ফল চিৎকারের সময় গেছে। চাহিবা মাত্র এখন সব পাওয়া যাবে।থ্যাঙ্কস পপস থ্যাঙ্কস মম বলে কাঁধে ব্যাগ হাতে গ্রুপ ডিস্কাশনে চলে যাবে। কার মেমরি কত বেশি তাই নিয়ে বুক ফুলে ঊঠবে, মগজের মেমরি যাই থাক। হাতে চুড়ি কানে্র লতিতে দুল, কানের ফুটোতে ব্লু টুথ, পকেটে ট্যব।
তবু গ্রামের বিধ্বস্ত পরিবার থেকে ছেঁড়া ব্যগ হাতে শহরে আসা সেই সব আগন্তুক যাদের ভাল শার্টটিতেও সুক্ষ রিপুর কাজ্, তারা হলের পানি ডাল খেয়ে, টিউশন করে দিন চালায়, সেই মানুষগুলো একদিন শীর্ষে জায়গা করে নেয় এই আশ্বাস বুকের ভেতর জাগিয়ে রেখে ইমনের দিন এগিয়ে চলে।
২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১৪
মহাসাধক বলেছেন: তা ঠিক
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৬
আমিনুর রহমান বলেছেন:
শহর আর গ্রামের কথা কেনো আসলো ! আসা উচিত ছিলো মধ্যবিত্তদের কথা। এই ঢাকা শহরেই আমার জন্ম আর বেড়ে উঠা। এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার পর থেকেই টিউশনি করে নিজের খরচ চালিয়েছি। গ্রামের অনেক ছেলেও ঢাকায় এসে বাপের টাকায় ফুটানি করে বেড়েচ্ছে। আসলে এই পুরো ব্যাপারটাই পরিবারে শিক্ষার উপর নির্ভর করে। অনেক টাকাওয়ালার ছেলে মেয়েরাও এই শহরে একটা লিমিটের মধ্যে থেকেই বড় হচ্ছে।