![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটা সময় ছিল কালো বাক্স সমেত ক্যমেরা যার ছিল তার দাম ছিল তোলা তোলা। ক্যামেরা মালিকের অগ্রিম শিডিউল নিয়ে রাখতে হত। ফিল্মের রোল খানা কিনে দিতে হত। সাকূল্যে ৩৬ খানা।
বহু কায়দা কানুন করে ফুল ধরে, গাছ ধরে, মাছ ধরে একখানা ছবি তোলা হত। হাত কাপিল তো ছবি গেল। সেই ছবি আবার সাথে সাথে হাতে পাব সে আশায় গুড়ে বালি। ৩৬ পর্ব শেষ হলে যেত স্টুডিওতে। সেখান থেকে নেগেটিভ বের করে রায় দেয়া হত কোন কোন ছবি জলেছে আর কোনটা জলেনি। যেটা জলেছে তা বাতিলের খাতায়। তার পর ভাল টি ধোলাই করতে দিয়ে দিন দুএক বাদে সে মহার্ঘ্য ছবি পাওয়া যেত। সেখানে হয়ত আমার কপালের উর্ধাংশ উধাও। তার ঠাঁই হত এ্যালবামের ভেতর। কখনো কখনো আবার পুরো রিলটাই জলে যেত। আর মন আধাঁরে ডুবে যেত।
এখন
সেই দিন আর নাই নাতি
মুঠো মুঠো চিনি খাতি
খাবি টন টন।
ডিজিটাল ক্যামেরা এসে সেই ক্যামেরার দিন গেল। এখন যত খুশি ছবি তোল কোন চিন্তা নেই। রিল ভরার ঝামেলা নেই। খচাং খচাং ছবি ঊঠছে। দু দিন বাদে সে ক্যামেরা ঢুকে গেল মোবাইলে। এইবার আর ধোলাইএর কাজ নাই তোল ছবি দাও আপলোড। আগে মোবাইলে সে ক্যমেরা ছিল পেছন দিকে। একজন বাকিদের ছবি তুলত। এই ঝামেলাও গেছে এখন ছবি তোলা যায় চারপাশ থেকে মানে দু দিক থেকেই। নিজেই নিজের ছবি তুলতে পারি।
কচ কচ করে নিজের দিকে তাক করে সবাইরে নিয়ে যে ছবি তোলা হয় তার নাম সেলফি।
সেলফি যে তোলে সে সহ বাকীদের কিছুটা উদ্ভুত দেখায়। কাহারো নাক বড় দেখায়, কাহারো কপাল। তাতে কি দেখ আমার সেলফি, সেলফিশ কোথাকার।
(এককালে বাংলায় কাক আর কবির সংখ্যা সমান ছিল, সে জায়গা এখন দখলে নিয়েছে ফটোগ্রাফার)
২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৬
মামুন রশিদ বলেছেন: ফটোগ্রাফির নস্টালজিয়া ভালো লাগলো ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩১
তাশমিন নূর বলেছেন: হাহাহা। অতীত দিনের স্মৃতি মনে পড়ে গেল।