নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বোকার ডায়েরি

মহাসাধক

মহাসাধক

জানিনা

মহাসাধক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুঠোয় যখন দুরালাপনী

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৪

ল্যন্ড ফোনের একটি সুবিধা হচ্ছে যিনি ফোন ধরেছেন তার অবস্থান মোটামুটি ধারণা করা যায়। সেই ফোনে ঢাকার বাসিন্দা ফোন ধরে কোন দিন এই মিথ্যে বলতে পারবেননা যে আমি বান্দরবান। আভিজাত্যের চরম প্রতীক রুপে যখন টিএন্ডটির ফোন দিন পার করছে তখন এর ছবি শুধু বিটিভিতেই দেখতাম। খুব কায়দা করে নাম্বার ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ফোন করা হচ্ছে। ক্রিন ক্রিং করে কোথাও বাজছে। কারো বাসায় ফোন আছে জানলে একটু সমীহ করতাম। কারণ অনেক টাকা ফি দিয়ে তবেই এই দুর্লভ বস্তু ধরা দিত। ছোট একখানা তালা দিয়ে একখানা বাক্সে আ্টকে রাখতে হত। অনেক অতিথি আবার দেখলেই আবদার করতেন একখানা ফোন করতে পারি। উত্তর আসত হয়ত পারেন অথবা চাবিটা যে তার বাবার কাছে কিংবা ফোন ডেড গত দুদিন ধরে। আমার এক খালুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে একখানা আনা হয়েছিল খুব আগ্রহ নিয়ে কাছ থেকে মাখন রঙের সেই বস্তু দেখে এসেছিলাম।

দোতলার বাড়ির মালিকের ফোনে কল করে, চার তলার ভাড়াটিয়ার ছেলেকে চাইতে হত। তিনি ডাকতে পাঠাতেন, ডাক পেয়ে ছেলে আসতেন বন্ধুর ফোন রিসিভ করতে।

কদিন পর একটু উন্নতি হল। এবার নাম্বার টিপে টিপে ডায়াল করতে হয়। ফোন ফ্যক্সের দোকানে দোকানে এদের অবস্থান হল। তখন আমার কাছে অচেনা বস্তুই ছিল। খুব কি এক দরকারে দোকানে ফোন করতে গিয়েছিলাম। বুক যেভাবে ধুক পুক করছিল মনে হচ্ছিল অজ্ঞান হয়ে যাব। একখানা ফোন থাকলে বাসায় ক্রিং ক্রিং করে বাজত, পাড়ায় একখানা কদর থাকত, দু চারজন আবদার নিয়ে আসত। সে ইচ্ছে আর পূরন হয়নি।
তার আগেই মোবাইলের যুগ চলে এল। এল বলেই যে আমার হাতে উঠে এল তা নয়। লক্ষ্য টাকা দিয়ে কেনা হ্যন্ড সেট হাতে বড় লোকেরা রাস্তায় নামলেন । আমরা তখন চেয়ে দেখতাম। মনে মনে বলতাম ফুটানি দেখ। পকেটে রাখা যায়গা হয় না, হাতে নিয়ে ভাব নিতে হয়।

সাত টাকা মিনিট নিয়ে গ্রামীন ফোন এস গেল। ১০ -১২ হাজার টাকায় সীম, কাতার থেকে আসা নোকিয়া সেট (আমাদের পণ্য সামগ্রি প্রথম চালান মধ্য প্রাচ্য থেকেই আসে মনে হয়।) যোগাযোগের যেন হিড়িক পড়ে গেল। সবাই সবার খোজঁ নিচ্ছে।
সীমের দাম অর্ধেকে নামলে পর একখানা ২য় হাতের মোবাইল ফোন পেলাম। সীম আর সেট যেন কদিন পর শীত কালের চাইনিজ সবজি হয়ে গেল। হাতে হাতে কানে কানে। এক সময় মোবাইলে কেউ কেন কল দেয়না তাই নিয়ে আফসোস করতাম। এখন বাজলেই ভয় লাগে।

চাইনিজ দের কল্যানে টর্চ, রেডিও, ক্যামেরা, ইন্টারনেট সব সহ অল্পতেই সেট পাওয়া যাচ্ছে। দু দিন পর অবশ্য রিং বাজে ত কথা শুনিনা, কথা শুনিত চার্জ থাকেনা।
আরেক দলের আপেল না হলে চলছেনা

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:১৫

এহসান সাবির বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০১

মহাসাধক বলেছেন: thanks

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.