![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শব্দে আমার আশ্রয়, লেখায় আমার মুক্তি। এখানে আমি লিখি, ভেবে দেখি, আর খুঁজি মানুষের মনের গল্প।
বর্তমান সময়ের মানুষ সৃষ্টির সেরা কিনা তা নিয়ে বেশ সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। কোনো ধর্ম বা তত্ত্বের মানুষকে এই সংশয়ের বাইরে রাখা যাচ্ছে না। অবশ্য যারা এখনও বিবেকবান ও সত্যনিষ্ঠ তাদের কথা আলাদা। তবে তাদের সংখ্যা এতটাই কম যে, ওদের ব্যতিক্রম হিসেবেই বিবেচনা করতে হয়। গুটি কয় এমন সফেদ মানুষ তথাকথিত মানুষের ভীড়ে একেবারেই অপাংক্তেয়। কিন্তু মানব জাতির এমন অবনতি কেন হলো? অবনতির জন্য কি ধর্ম, তত্ত্ব দায়ী; না কি যারা এসবের প্রতিনিধিত্ব করেন তারা দায়ী? ধর্ম বা তত্ত্বতো পথের দিশা দেয়। এখন পথ চলতে গিয়ে কেউ যদি প্রবৃত্তির তাড়নায় দিশা হারায় কিংবা পথভ্রষ্ট হয়, তাহলে সেই জন্য তো ধর্ম বা তত্ত্বকে দায়ী করা যায় না। দোষটা আসলে প্রবৃত্তিতাড়িত মানুষেরই। মানব জাতির ট্র্যাজেডি হলো, দিশারীর আসনে উপবিষ্ট ক্ষমতাবান মানুষরাই এখন দিশাহারা এবং বেশি ভ্রষ্ট! এর প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে সমাজ ও রাষ্ট্রের নানা স্তরে এবং জীবনযাপনের নানা অনুষঙ্গে।
০৫ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:২৪
মহিউদ্দিন হায়দার বলেছেন: আসলে সিষ্টেমের পরিবর্তন করতে হবে, এবং সেটা এখন থেকেই যে যার অবস্থান থেকেই। ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যের জন্য ।
২| ০৪ ঠা মে, ২০১৭ বিকাল ৫:০৩
কানিজ রিনা বলেছেন: সত্য কথা গুল তুলে ধরেছেন। প্রতিটা ধর্মেই
সুচ্ছৃঙ্খল জীবনের দিকনির্দেশনা আছে।
কিন্তু ভ্রষ্ঠার হাতে যখন জপের মালা আর
তজবী থাকে। চিনতে কি পারে কেউ আসল
আর নকল। বেশ্যা করে তপশ্যা, যদিও
বেশ্যার কোনও জেন্ডার নাই।
এরকম আরও লেখুন শুভ কামনা।
০৫ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:২৮
মহিউদ্দিন হায়দার বলেছেন: আমি আপনার সাথে একমত। তবে আমাদের শান্তিতে বসবাস করার জন্য মানুষ হিসেবে আরো অনেক বেশী সচেতনতার পরিচয় দিতে হবে। ধন্যবাদ অসাধারণ প্রেরণাময় মন্তব্যের জন্য।
৩| ০৪ ঠা মে, ২০১৭ রাত ৯:২৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: মহিউদ্দিন হায়দার ,
ধর্ম বা তত্ত্ব পথের দিশা দেয়, মানুষকে পরিশুদ্ধ করে তোলে। যারা এসবের তথাকথিত প্রতিনিধিত্ব করেন তারাই একমাত্র দায়ী ।
মানুষ সৃষ্টির শুরু থেকেই ক্ষমতার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত । ধর্ম বা তত্ত্বকে বর্ম হিসেবে সামনে রেখে প্রবৃত্তিতাড়িত এই মানুষেরাই এই ক্ষমতার দৌঁড়ে যতো অনাচারের জন্ম দেয় । সে অনাচারের হুলুস্থুলু থেকে নিজের ফয়দা লুটে নেয়াই তাদের মোক্ষ ।
০৫ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৩২
মহিউদ্দিন হায়দার বলেছেন: ধর্মে বিশ্বাসী প্রতিটা মানুষ সংশ্লিষ্ট ধর্মের একজন দায়ী । সেখানে প্রত্যেকের অধিকার আছে প্রতিনিধিত্ব করার। আমরা আমাদের দায়ীত্ব পালন করিনা বলে ভ্রষ্টা মানুষেরা সি সুযোগ নিয়ে ফেলে। অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৫২
মানবী বলেছেন: "দিশারীর আসনে উপবিষ্ট ক্ষমতাবান মানুষরাই এখন দিশাহারা এবং বেশি ভ্রষ্ট! এর প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে সমাজ ও রাষ্ট্রের নানা স্তরে এবং জীবনযাপনের নানা অনুষঙ্গে।"
-নষ্ট সময়ের, বিশেষ করে আমাদের দেশের ভীষণভাবে থমকে যাওয়া পঁচে যাওয়া সময়টার জন্য ৯৯% এরাই দায়ী। এরা বাস করে বিভ্রমের মাঝে আর শুধু বুঝে নিজেকে। দেশের মঙ্গল হয় এমন কিছু, জনগণের জন্য কল্যাণকর কিছুর অস্তিত্ব সইতে পারেনা। প্রচার মাধ্যমেও শুধু তারাই থাকবে তাই শাসিয়ে রাখে গণমাধ্যম গুলোকে! যেখানে ঠাঁই নিয়ে সুন্দরের, ঠাই নেই কোন সত্যিকারের অর্জনের, উঃসাহিত করা হয়না প্রকৃত গুনীজনদের - কলের গানের মতো শুধু চলবে নষ্টদের বন্দনা সঙ্গীত, সেখানে সময়টা তো নষ্ট হবেই!
সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ মহিউদ্দিন হায়দার।