নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজী সাহেব

মহসিন৭১

ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ায় বেশী দিন বেঁচে থাকার চিন্তা করা বোকামী। মৃত্যুর জন্য সবার প্রস্তত থাকা উচিত

মহসিন৭১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

টানাটানি আর কতকাল?

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:২১

জীবনটাই একটা টানাটানি। যার যত বেশি টাকা, তার তত বেশি টাকার অভাব। আমি প্রায়ই একটা কথা বলে থাকি। যার কাছে ১০ হাজার টাকা আছে, সে মনে মনে ভাবে লাখ খানেক টাকা থাকলে ভাল হতো। একটা কিছু করতাম।

যার কাছে ১ হাজার টাকা আছে সে ভাবে ১০ হাজার টাকা থাকলে একটা কিছু করতাম।

আবার যার ১০ লাখ আছে সে ভাবে ১০ কোটি থাকলে একটা বড় ব্যবসা করতাম।

যার দশ কোটি আছে সে ভাবে ১০০ কোটি থাকলে বড় কিছু করা যেত। যার ১০০ কোটি আছে সেভাবে ১ হাজার কোটি থাকলে অনেক বড় কিছু করা যেত।

তার মানে কি দাড়ালো। মানুষের চাহিদার কোনো শেষ নেই। যার যত টাকা বেশি, তার প্রয়োজন তত বেশি।

এবার আমার কথায় আসি। যখন চার হাজার টাকা বেতনে চাকুরি করতাম, তখন মনে মনে ভাবতাম হাজার দশেক টাকা বেতন পেলে আর একটু ভাল থাকা যেত।

তারপর যখন ১২ হাজার পাওয়া শুরু করলাম তখন ভাবতাম ২০ হাজার পেলে আর একটু ভাল থাকতে পারতাম। ততদিনে সংসারে একজনের জায়গায় দুজন।

এরপর যখন ২০ পাওয়ার শুরু করলাম, তখন ভাবতে লাগলাম ত্রিশ পেলে বোধ হয় ঋণ করা লাগবে না। সেই চাহিদা মিটেছে আরো কয়েক বছর আগে।

এখন চাহিদা আরো বেড়েছে। এখন ভাবি ১ লাখ টাকা বেতন পেলে বউ বাচ্চা নিয়ে একটু ভালভাবে খেয়ে পড়ে বাঁচতে পারতাম। কিন্তু আমার সে আশা কখনোই পুরণ হবে না। তার আগেই হয়তো এ ধরা ছেড়ে চলে যেতে হবে।

এবার টানাটানির কথায়।

ছোট বেলায় যখন বাবার হোটেলে খেয়ে পড়ে বড় হয়েছি, তখন একবারও ভাবিনি যে আমি চাকুরি করবো। আর চাকরি যেহেতু করবো না সেহেতু লেখাপড়াও তেমন একটা বেশি করিনি। রাতে ঘন্টা খানেক পড়লেই মনে হতো অনেক পড়া হয়েছে। সকালে স্কুল থাকলে স্কুলে। না হলে খেলতে বের হয়ে যেতাম।

বড় হলাম। কোনো মতে টেনে টুনে বিএ পাশ। তারপর বিদেশে পারি। ফিরে এলাম। বাবা মারা গেলেন। মাথায় অনেক চিন্তা ভর করলো। কর্মজীবনে পা রাখলাম।

বিদেশ আর আদম ব্যবসা করে অনেক টাকা পয়সা কামাই করলাম। বিয়ে করলাম। দুই ছেলে হলো। টানাটানি শুরু হলো। সেই ২০০০ সালের পর থেকেই আমার সংসারে টানাটানি। এই টানাটানি আর শেষ হবে না। হয়তো টানাটানির মধ্যেই কবরে চলে যাব।

এলাম সাংবাদিকতায়। আবার পড়াশুনা শুরু করলাম। বুড়াকালে প্রচুর পড়াশুনা। সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা করলাম জাতীয় বিশ্বদ্যিালয় থেকে। এখন সাংবাদিকতা করি। অনেকে অনেক কিছু করে এই পেশায় থেকে। আমার সেটা হয়ে ওঠে না। কারও কাছ থেকে কোনো সুবিধা নেয়া। বা অন্যভাবে দু’টাকা কামানো এমন অভ্যাস কোনো দিন ছিল না। আর ভবিষ্যতেও হবে বলে মনে হয় না। বেতন যা পাই, টেনেটুনে ধার দেনা করে চলে যায়। আল্লাহর কাছে অনেক শুকরিয়া তিনি আমাকে অনেক ভাল রেখেছেন। সমস্যা একটা সেটা হলো টানাটানি।

মনে একটাই শান্তনা। ধনীদের ৫০০ বছর আগে গরীবেরা জান্নাতে যাবে। আমি যেন গরীবের কাতারে থেকে মরতে পারি। এটাই বড় চাওয়া।

হাবি জাবি আর লিখতে পারবো না। অফিসে কাজের প্রচুর চাপ। তার মধ্যেই দশ মিনিট বের করে লেখাটা লিখে ফেললাম। অনেক দিন সামুতে কিছেু লেখা হয় না।

এমাসেও আমার টানাটানি। তাই টানাটানির গল্পটা লিখলাম। সবাই ভাল থাকুন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: টানাটানির শেষ নেই। সালমান এফ রহমানেরও টানাটানি!

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৪

মহসিন৭১ বলেছেন: একদম সত্য কথা, ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.