নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দেখবি সাপের খেলা

মহুয়ামঞ্জুরী

যদি ভালোবাসি ভালোবেসে চাই সবটুকু চাই অল্পে আমার বিশ্বাস নাই।

মহুয়ামঞ্জুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

লক্ষ্মীর পাঁচালি - 2

১২ ই মার্চ, ২০০৬ রাত ৮:৩৪

অতঃপর লক্ষ্মী অলক্ষ্মী হইলো



যেখান থেকে শুরম্ন সেখানেই শেষ। উৎপত্তি কিংবা বিনাশ, জন্ম এবং মৃতু্য সেখানেই এসে থামে, যেখান থেকে সে চলতে শেখে। লক্ষ্মীও ফিরলো বাড়ি।

সেই পুরোনো বাড়ি, মাধবিলতার ঝাড়, কদম গাছটা নু্যয়ে আছে মফস্বলী পুকুরের সবুজ জলে, এই সবুজ শ্যাওলার নয়, চারপাশে ঝুঁকে থাকা গাছের, নারকোল, শুপুরি, কৃষ্ণচূড়া।

বাবার মুখ ভার, মা চোখে অাঁচল চেপে কান্না সামলাচ্ছেন। ইচ্ছে হলো বাবার বুকের ভেতর চলে যায়, ছোট্টবেলার সেই লক্ষ্মীময়ী হয়ে, হলো না, যা হারায় তা হারায়, যা যায় তা চলে যায়।





লক্ষ্মী হাঁটে শব্দহীন, লক্ষ্মী খায়-দায় শব্দহীন, লক্ষ্মী ভাবে শব্দহীন

সত্দব্ধতার মূর্তি হয়ে লক্ষ্মী ভাবে, যেনো গত জনমের কথা, যে জনমে ও ছিল বিশাখা, তথাগতকে ভালোবেসে সে শ্রেষ্ঠীপুত্রকেও অগ্রাহ্য করেছিল, অথচ তথাগত গত হলো, ওর হলো না, পদ্মগন্ধা শরীরে গোখরো চুম্বণ দিলো ভালোবাসার, মানুষ ছুঁয়েও দেখলো না।



ঋতু বদলায়, দূরের পথ দিয়ে আসে যায়। কোনও কালে লক্ষ্মী চারসের দুধ খেতো রোজ, কোনও কালে লক্ষ্মীর পায়ের মল ঝুমঝুম ঝুমঝুম, যেনো বা হরিণি, অথচ আজ

আপনা মাঁসে হরিণা বৈরী; আহা রাধার কি হইলো অনত্দরে ব্যাথা, কদম ভেসে যায় জলে, মাছে ঠুকরে খায় তার গন্ধমাদপ রোঁয়া, বাঁধানো ঘাটে বসে লক্ষ্মী মাছের সঙ্গে কথা বলে, যেনো বা এই জলে ডুবে আছে সেই মাছ, সে তো আসলে মাছ নয়, ডাইনীর শাপে সে হয়ে আছে মাছ, রাজকন্যা ছুঁলেই আবার হবে রাজকুমার, লক্ষ্মী ডাকে, কানে কানে মাছেদের বলে, ভালোবাসি, ভালোবেসেছি, ভালোবাসা কি ভোলা যায়, লক্ষ্মী কি পারে ঝাঁপি থেকে ঢেলে দিতে দীনতা?



পুকুরের জলে গোটা একটা আকাশ, আর তার পরনে সবুজপাড় শাড়ি, ঝুঁকে পড়া গাছের ছায়া - কাহিনী এক লক্ষ্মী-রাজকন্যার,

হাঁটু জলে নাইমা কইন্যা হাঁটু মাঞ্জন করে. . . . . . ওকি হো হো হো হো

মাঞ্জা জলে নাইমা কইন্যা মাঞ্জা মাঞ্জন করে. . . . . ওকি হো হো হো হো

কুঁচ জলে নাইমা কইন্যা কুঁচ মাঞ্জন করে . . . . . .. ওকি হো হো হো হো

সিঁথি জলে নাইমা কইন্যা কেশ মাঞ্জন করে . . . .. . ওকি হো হো হো হো



তারপর জলের রঙ লাল হয়, পৃথিবী জানে, সেই সন্ধ্যায় লক্ষ্মীর ভাসান হলো; কিন্তু জলে যে সিঁদুর মেশে না, ভেসে থাকে জলের ওপর, আর ভেসে থাকা সিঁদুর খেয়ে আশেপাশে ভেসে থাকে কিছু মরা মাছ. . . (ক্রমশঃ)

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মার্চ, ২০০৬ সকাল ৮:০৩

অতিথি বলেছেন: ওহ ভগবান, লক্ষীর ভাসানে দেখি কেউ এলেন না?

২| ১৩ ই মার্চ, ২০০৬ সকাল ৯:০৩

উৎস বলেছেন: একদম কেউ আসেনি তা নয়। আপনি আপনার "সর্বমোট হিট" কত হচ্ছে খেয়াল রাখুন। লোকে আসছে তবে মন্তব্য করছে না। কিছু স্প্যামার ব্লগারের জন্য ভালো ব্লগ গুলো দ্্রুত পরের পাতায় চলে যাচ্ছে এটাও একটা কারণ।

৩| ১৩ ই মার্চ, ২০০৬ সকাল ৯:০৩

অতিথি বলেছেন: ধন্যবাদ উৎস, এটা আমি জানতাম না যে, ওখান থেকেও বোঝা যায় কেউ পড়েছে। তবে হঁ্যা মন্তব্যে কি আসে আয়, আবার আসে যায়ও, নবীন লেখকদের যে সমস্যা। বুঝতে চেষ্টা করুন, এখানে অনেকেই আছেন প্রতিষ্ঠিত তারা কিছু বললে খুব ভালো লাগবে।

৪| ১৩ ই মার্চ, ২০০৬ সকাল ৯:০৩

উৎস বলেছেন: সে ক্ষেত্রে ওনাদের জন্য অপেক্ষা করুন। একটা কৌশল করতে পারেন, যদি আপনার জানা থাকে ওঁরা কখন আসেন (নিদেনপক্ষে টাইম জোন) তখন কৌশলে নিজেই এখানে একটা মন্তব্য করে বসুন, কারো না কারো চোখে পড়ে যাবে।

৫| ১৩ ই মার্চ, ২০০৬ সকাল ১০:০৩

অতিথি বলেছেন: মহুয়া, লক্ষির গতি এখানে এসে একটু শ্লথ হয়ে গেল মনে হয় । যদিও এটা সত্যি যে লেখনিতে পরিপক্কতার ছোঁয়া পেয়েছি, কিন্তু তবু যেন আর একটু বেশি আগানো যেত । যেত না ?
পারিপার্শিক বর্ননা ভাল লেগেছে । শেষের প্যারাটা একটু ধোঁয়াটে ধোঁয়াটে মানে হয়েছে ।

৬| ১৩ ই মার্চ, ২০০৬ রাত ৯:০৩

অতিথি বলেছেন: মহুয়া আত্মহত্যাগাথা না কি প্রজাপতির শুয়াপোকায় রূপান্তর??

৭| ১৩ ই মার্চ, ২০০৬ রাত ৯:০৩

অতিথি বলেছেন: তীর্থক, লক্ষীর পাঁচালি শেষ হয়নি তো, সবে তো ভাসান হলো, তারপর সে যাবে স্বর্গে, আবার ফিরে আসবে মর্তে, অপেক্ষা করুন না দয়া করে।
জীবনটাই তো ধোঁয়াটে, আর নারী-জীবন? সে তো ঘুটঘুট্টি অন্ধকার। সিডনী-ঢাকা ঘুরে বেড়ানোর মতো সৌভাগ্য ক'জন নারীর হয় বলুন?
অপেক্ষা করুন লক্ষীর পাঁচালির তৃতীয় পর্বের জন্য। ধন্যবাদ পড়ছেন বলে।

৮| ১৩ ই মার্চ, ২০০৬ রাত ৯:০৩

হিমু বলেছেন: পড়লাম। মন্তব্য করছি না মঞ্জুরী ... সমস্তটা পড়ে নিই। চালিয়ে যান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.