নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মইনুল হাসান। প্রিয় শখ মূদ্রা সংগ্রহ, ভ্রমন, এবং ফটোগ্রাফি।

মোঃ মইনুল হাসান

আমি মইনুল হাসান। প্রিয় শখ মূদ্রা সংগ্রহ, ভ্রমন, এবং ফটোগ্রাফি।

মোঃ মইনুল হাসান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র "কিস্তিমাত" দেখার অভিজ্ঞতা

১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৩৭

আজ সপরিবারে Blockbuster Cinemas এ দেখে এলাম 'কিস্তিমাত'। ভাঁড়ামো এবং over-acting এ ভরপুর একটা সিনেমা। নতুন বোতলে পুরাতন মদ আর কতকাল গেলাবেন আমাদের চলচ্চিত্রকারেরা? আমরা হলে অর্থ ও সময় ব্যয় করে মুভি দেখতে যাই একটু বিনোদন পাবার আশায়। সেখানে বিনোদন দূরে থাকুক, বিরক্ত করা কি এক ধরনের প্রতারণা নয়? আজ হলের বেশিরভাগ দর্শক মুভি শেষ হবার ২০ মিনিট আগেই হল ছেড়ে চলে যায়।



এবার আসি মুভির কাহিনীতে। দু-একটি ত্রুটি থাকলেও সেটা মেনে নেয়া যেত। কিন্তু যে মুভিতে পুরো কাহিনী টাই নড়বড়ে সেখানে সব ত্রুটির ব্যাখ্যা করাও কঠিন। আমি কয়েকটি উল্লেখযোগ্য অংশ আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।

# ছবির শুরুতেই দেখানো হয় নায়ক একটি মেয়েকে বাঁচায়। মেয়েটি তাকে ভাই বলে সম্বোধন করে। পরবর্তীতে দেখা যাই সেই মেয়েটিই নায়কের হারিয়ে যাওয়া বোন। বাবা ছিলেন সৎ পুলিশ অফিসার, যার খুনের বদলা নেয় ছেলে।
এটি সেই কাহিনী যা দিয়ে পূর্বে চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছে অসংখ্যবার।

# সবাই জানতো নায়কের মা-বোন এক্সিডেন্টে মারা যায়। কিন্তু পরে দেখানো হয় তারা জীবিত। কিভাবে গাড়িতে ফিস্ফোরন হয়ে খাদে পড়ে যাবার পরে তারা বেঁচে গেল সেটা দেখানো হয় নি।

# তুমুল গোলাগুলি চলছে নায়ক-নায়িকা বনাম ভিলেনের দলের। এর মাঝে কথা নেই বার্তা নেই, শুরু হল গান। পুরো হলের দর্শক ঐ মুহূর্তে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে।

# মুভির শেষ অংশে ফাইনাল মারামারি। বাংলা মুভির সিলেবাস অনুসরন করে মারামারি শেষ হবার ঠিক পরেই পুলিশের আগমন।

এরকম আরো অসংখ্য উদাহরণ আমি দিতে পারব। সংলাপ আর অভিনয় ছিল প্রচন্ড মাত্রায় যাচ্ছেতাই। শুভর সংলাপে 'হিরক রাজার দেশে' ছবির মত ছন্দ মিলিয়ে বলার চেষ্টা লক্ষ্য করা যায় কিন্তু তা উপভোগ্য ছিল না।

এতকিছুর মাঝে মুভিটির যে দিকগুলো ভালো লেগেছে তা বলি। ক্যামেরার কাজ ও ফিল্মের কালার কম্বিনেশন ভালো ছিল। দুটি গান ভালো লেগেছে।

সবশেষে, ছবিটির পেছনে যারা কাজ করেছেন তাদের উদ্দেশ্যে একটা কথা বলি। মৌলিক গল্পে ছবি নির্মাণ করুন, দর্শকদের নতুন কিছু দিতে চেষ্টা করুন। এধরনের মুভি করে হয়তো মুনাফা ঠিকই পাবেন, কিন্তু এই ধরনের চলচ্চিত্রের গল্প ভবিষ্যতে কেউ স্মরণ করবে কিনা সন্দেহ। এভাবে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাষ্ট্রির উন্নতি সম্ভব নয়। অন্য দেশগুলোকে দেখে শিখুন। ধন্যবাদ।।

(এটি সম্পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত মতামত। অনুগ্রহ করে কেউ আক্রমনাত্নক কমেন্ট করবেন না।)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:২৪

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: আমরা বিনোদন পাওয়ার জন্য দেখি প্রধানমন্ত্রী আর তার মন্ত্রীসভার সদস্যদেরকে। আর আপনে বিনোদন পাওয়ার জন্য দেখতে গেছেন কিস্তিমাত! আপনে ভাই নিজেই তো একখান বিনোদন!

২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:০০

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: রিভিউ ভালো হয়েছে ভ্রাতা ।

ভালো গল্প , ভালো পরিচালক আর ভালো অভিনেতা না হলে কোন রেড ক্যামেরা , সেভেন ডি না কি যেন সাউন্ড , লোকেশন , থ্রি কে ফোর কে রেজুলেশনে কাজ হবে না ।

ভালো থাকবেন :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.