| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |

আল্লাহর কাছে শুকরিয়া যে মুটামুটি অল্পের মধ্যে দিয়ে গেলো দেশের ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি। বাংলাদেশের এই বারের ভূমিকম্পেও আরো ক্ষতি হতেই পারতো। রিখটার স্কেলে সাত বা সাড়ে সাত মাত্রার ভূমিকম্প আমেরিকাতে বা ল্যাটিন আমেরিকাতে খুব বিরল নয় । গত এক দশকেই মনে হয় কয়েকবারই এ ধরণের ভূমিকম্প এখানে হয়েছে । ২০১৫ সালে নেপালের কাঠমুন্ডুর কাছেই যার রুটস ছিল, যা গোর্খা ভূমিকম্প হিসেবেই বেশি পরিচিত', ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি ছিল ভয়াবহ। প্রায় নয় হাজার মানুষ মারা যায় আর প্রায় ২২ হাজার মানুষ আহত হয় ওই ভূমিকম্পে ।আশ্চর্যজনক ব্যাপারটা ছিল কাঠকাঠমন্ডুর কাছেই ভূমিকম্পের উৎস হলেও তাতে তুলনায় কাঠমুন্ডুতে ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের সংখ্যাছিলো তুলনামূলক ভাবে অনেক কম যা বিশেষজ্ঞদের বিস্মিত করেছিল ।কাঠমুন্ডুতে ওটা যে আরো ভয়াবহ হয় নি তার কারণ ছিল কাঠমুন্ডুর টপোগ্রাফিক ফিচার। কাঠমুন্ডুর চারদিকের পাহাড়ই এই ভূমিকম্পের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধের একটা চীনের প্রাচীর গড়ে তুলেছিল । নীল আর্মস্ট্রং সাহেব ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে সে আশংকা মাথায় নিয়েও বলছি এই যে পাহাড়ের কারণে ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ কম হতে পারে এ'কথাটা কুরআনের সূরা আম্বিয়ার ৩১নং আয়াতে খুবই চমৎকার ভাবে বলা আছে ।কাঠমুন্ডুর মতো টপোগ্রাফিক এডভ্যান্টেজ ঢাকার নেই। নেপালের ভূমিকম্প হয়েছিল ইন্ডিয়ান আর ইউরেশিয়ান টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষের কারণে ।একই টেকটনিক প্লেটের আওতায় অবস্থিত না হলেও বাংলাদেশের অবস্থান ইন্ডিয়ান,ইউরেশিয়ান আর বার্মিজ প্লেটের সংযোগস্থলে। ওরকম বড় ভূমিকম্পের আশংকা তাই আছেই।দেশে ভবিষ্যতে এর চেয়ে বেশি মাত্রার মানে রিখটার স্কেলে সাত বা সাড়ে সাত মাত্রার কিছু হলে ঢাকার অবস্থা কেমন হবে সেটা ভাবতে ইচ্ছে করছে না।ঘিঞ্জি গলির এই শহরেই আমার বড় হওয়া । এই শহরেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে মিশে আছে আমার স্কুল কলেজ আর ইউনিভার্সিটির স্বাপ্নিক দিনগুলোর স্মৃতি। কত প্রিয় স্মৃতির আধার আমার এই শহর। ধূপে ধুলোয় ডাস্ট পার্টিকেলেও এই শহর টিকে থাকুক হাজার বছর। কোনো টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষে ধ্বংস্থুপের পাহাড় যেন না জড় হয় এই স্মতিময় শহরের বুক জুড়ে, সেই কামনা সব সময়ই। যাহোক। ব্লগে সবাই ভালো আছেন জেনে ভালো লাগলো । সবাই ভালো থাকুন। আল্লাহ সবাইকে নিরাপদে রাখুন সেটাই কামনা।
দুটো পাদটীকা: ১. প্রিয় ব্লগার করুনাধারা, ভূমিকম্প বা এর প্রিপারেশন নিয়ে আপনার লেখাটা চমৎকার। আপনার গুণী লেখাগুলো ব্লগের গুনগত মানকে একটা স্টেপ হলেও উপরে নিয়ে যায় সব সময়ই। ২.জুন, আপনি কি ভেবে লিখেছেন জানি না, কিন্তু আপনার শেষ লেখাটা শেখ হাসিনার জুলাই বিপ্লবের নৃশংসতার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় প্রতিবাদী লেখা হিসেবে আমি পড়েছি । এই লেখাটা আপনি তার বিচারের আগে লিখলে আমি নিশ্চিত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা এই লেখাটা কোট করতো তাদের রায়ে। জুলাই আন্দোলনের প্রায় শুরুর দিকেই সোনার ছাত্রলীগের ছেলেরা ঢাকা ইউনিভার্সিটির ছাত্রীদের ওপর রড লাঠি নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে তাদের রক্তাক্ত করে ছিল। যেই ফটোগুলো দেশি বিদেশী প্রিন্টিং বা অনলাইন নিউজ আউটলেটগুলোতে তখন প্রকাশিতও হয়েছিল । বাসার জানালায় উড়ে আসা পাখির জন্য ঘোড়া ছুটিয়ে, তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে কোন একদিকে চলে যাবার নিজের 'কিছুই ভাল্লাগে না' ভাবনাটা বাদ দিয়ে পাখির মায়ায় আপনার খাবার দেবার ঘটনা পড়ে মনে হলো বহু খেতাবসহ 'মাদার অফ ডেমোক্রেসি' খেতাবপ্রাপ্ত আমাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রী যদি তখনি সেই সব ফটো দেখে ক্ষমতার লোভটা সামলে দেশের ছেলে মেয়েগুলোর জন্য আপনার মতো মায়া দেখিয়ে পদত্যাগ করতেন ! এমন কি ছোট হেলিকপ্টার কেন বিমানের একটা ড্রিমলাইনে করেও হিরা জহরত নিয়ে 'য পলায়তি স জীবতি' আপ্ত বাক্যটা স্বরণ করে পাশের দেশে হিজরত করতেন তাহলেও দেশের এই রক্ত বন্যাটা দেখতে হতো না ! আহা আমাদের দেশের মানুষের কি আর আপনার পাখির কপালের মতো সুখভাগ্য আছে !
ফটো : আমাদের এখানে স্নো ফল শুরু হয়েছে। অল্প হলেও কয়েকবারই স্নো ফল হলো। গত সপ্তাহের স্নো ফলে গাছের চূড়ায় স্নো ।ভুমিম্পের ঝাপাঝাপি না হলেও মাইনাস তাপমাত্রার প্রচন্ড স্নো ফলের কাপাকাপি নিয়ে আরেকটা উইন্টার শুরু হবার আশংকা নিয়েই দিন কাটাচ্ছি ।
©somewhere in net ltd.