নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোমিনা লায়লা

নিজেকে জানার বাসনা নিয়ে আমার পথচলা

মোমিনা লায়লা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাবা, তোমার জন্য

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৯

যেদিন তুমি চলে গেলে বাবা চিরদিনের জন্য না ফেরার দেশে, সেদিনটি আমার জন্মদিন ছিল....মনে হচ্ছিল পুরো পৃথিবীটাই অন্ধকারচ্ছন্ন হয়ে গেছে,বেশিদিন বোধ হয় আর বাঁচবোনা এভাবে। কিন্তু দিন মাস বছর গড়িয়ে আজ আট বছর চলে গেল তুমিহীন পৃথিবীতে তোমাকে ছাড়া বাবা....বেঁচে আছি।

পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত কোথাও না কোথাও, কারো না কারো আপনজন চিরজনমের জন্য চলে যাচ্ছে মায়ার বাঁধন ছিঁড়ে এতে পৃথিবীর রীতিতে কোন হেরফের নেই। জীবন তার আপন গতিতে চলছে একদিকে মৃত্যুর নিস্তব্ধতা অপরদিকে প্রাণের স্পন্দন....এই দু’য়ের সহাবস্থান নিয়ে।

আমার বাবাময় জগৎটা তখন বাবাবিহীন ভাবে শূণ্যতায় ভরে গিয়েছে। এ’কথা তখন কাউকে বুঝতে দেইনি,কারণ এ’জগতের চাহিদা প্রাণবন্ত হাসিখুশি মানুষের।এখানে মানানসই ভাবে চলার জন্য মুখে হাসি ঝুলিয়ে রাখতে হয়। তাই-ই করি আমি প্রতিনিয়ত, ভেতরের রক্তক্ষরণের গলাজ্বালা করা নোনা স্বাদটুকু ভেতরেই রেখে দেই, চোখ ভিজে এলেও জল গড়িয়ে পড়তে দেইনা, চোখেই শুকিয়ে যেতে দেই। পৃথিবীর জন্য মুখে তখন ঝুলন্ত হাসি। সত্যিই বাবা, চোখের জল ঢেকে রেখে হাসাটা বেশ কষ্টের,কঠিনও।

বাবা, তুমি চলে যাবার পর এমন একটা দিনও যায়নি তোমাকে মনে করিনি। তুমি ছিলে আমার একান্ত কাছের এক বন্ধু....যাকে ভাল-মন্দ, ঠিক-বেঠিক, পাওয়া-না পাওয়া সব কথাই বলতে পারতাম, বয়সের ব্যবধান এখানে বাধা হয়নি কখনও। শ্রদ্ধাবোধ মেশানো এমন এক বন্ধুত্ব ছিল এটি,যাতে আমি অভ্যস্থ ছিলাম।

আজ ঠিকানা না রেখে তুমিতো চলে গেছো,কিন্তু তোমাতে অভ্যস্থ তোমার এই সন্তানের স্বপ্নগুলো, পৃথিবীর বিরুদ্ধে তার নানা অভিযোগগুলো শেয়ার করার কেউতো নেই....কত কতবার মনে হয়েছে এই বুঝি তুমি ডাকলে বাবা,কখনও ভুলে মাথা ঘুরিয়ে দেখেছিও পেছনে ভুলটা ভেঙে সম্বিত ফিরে পেতে সময় লেগেছে অনেক।

তোমার কি মনে আছে বাবা,আমাদের বাসার গোল ডাইনিং টেবিলটাতে পাশাপাশি যে দু’টো চেয়ারে বসে আমরা গল্প করতাম,কতদিন গেছে....জীবন, ধর্ম, দর্শন নিয়ে তর্কের ঝড় তুলেছি তোমার সাথে। তুমি যখন কিছু বোঝাতে চাইতে আমাকে, দর্শনশাস্ত্রে পড়েছিলে বলে এর প্রভাব তোমার প্রায় কথাতেই থাকতো। যা বোঝাতে চাইতে,তা কখনও বুঝতাম আবার কখনও বুঝতামনা, কোন নিয়মনীতি শেখাতে গেলে ‘কেন মানবো’-বলে যে তর্ক করতাম, তুমি ধৈর্য্য দিয়ে তা বোঝাতে,অনেক সময় না বুঝেও হয়তো মাথা নেড়ে বুঝতে চেয়েছি। আর আজ ঐ সব কথা অনেকই মনে পড়ে,আজ আরো স্পষ্ট করে বুঝি। তোমাকে বলতে চাই, এখন তোমার কথাগুলো যত ভালভাবে বুঝে হৃদয়ঙ্গম করতে পারছি,তখন তা পারতাম না। এটাই বোধহয় সময়ের খেলা....সময় গেলে যা বোঝা যায়, সময় থাকতে তা বোঝা যায়না।

বাবা, আজ আমি অনেক বদলে গেছি, অনেক ভীতু হয়ে গেছি। আমার মাথার উপর তোমার নির্ভরশীলতার যে বিরাট ছাতা ছিল, স্নেহের অফুরন্ত যে ঝর্ণাধারা ছিল....তা আজ না থাকাতে একাকীত্বে ডুবে থাকি। কোলাহলের মাঝে, জনারণ্যের মাঝে থেকেও একাকীত্ব পেয়ে বসে আমাকে প্রায়ই। আমার ব্যাপারে তুমি একটু যেন বেশি সংবেদনশীল ছিলে,বড় সন্তান বলে তোমার একটু যেন বেশি দুর্বলতা ছিলকে আমার প্রতি....আমার অক্ষমতাগুলোকে তুমি ঢেকে রাখতে চাইতে, আমার অপরাগতা গুলো উৎসাহ দিয়ে কাটিয়ে দিতে চাইতে। আমি যা ছিলামনা,প্রেরণা দিয়ে আমাকে তাই হতে বলতে, আমার মাঝে অনেক সম্ভাবনা দেখতে তুমি। বয়স বাড়ার সাথে সাথে বুঝতে পেরেছি, তোমার এই উৎসাহ, এই প্রেরণা তোমার অশেষ পিতৃস্নেহ ছাড়া আর কিছু নয়। যেকোন আনন্দঘন মুহূর্তে বুকে চেপে ধরে আদর করতে, মাথায় হাত রেখে স্নেহঝরা আশীর্বাদ করতে। বিয়ের পর যখন আসতাম বাসায় বেড়াতে,তখন তোমার দু'চোখে যে খুশির ঝিলিক দেখেছি তা’আজো বুকে বিঁধে আছে। বাসার গেটের সামনে এসে দাঁড়ালেই আমার প্রিয় বাবা প্রবীণ শরীরটা নিয়ে প্রায় দৌড়ে চলে আসতে গেটের কাছে। নিজের হাতে গেট খুলে দিয়ে, মাথাটা বুকে চেপে ধরে আদর করতে, প্রায়ই তুমি বলতে-“এসেছিস মা?” দু’দিন আগেও হয়তো বাসায় দেখা করে গেছি তোমার সাথে, তাও বলতে “এতদিন পরে এলি মা!” তোমার এই ‘মা’ ডাকের ভিতর যে কী ছিল বাবা....কেমন করে ভুলি,নাকি ভোলা যায় কখনও। এত স্নেহ, এত ভালবাসা, এত সম্মান তুমি যে দিয়েছিলে আমায়,যা রাখার যোগ্যতা আমার ছিলনা বাবা। আজ আমি কেমন করে ভুলে যাই সেই দিনগুলি, বাস্তবে দাঁড়িয়েও তো ভোলা যায়না,তাইতো চোখের জলে বুক ভাসাই বাবা তোমার জন্য, শুধু তোমার জন্য ।

আমার বিয়ের পর তুমি খুবই চিন্তা করতে আমাকে নিয়ে কেমন আছি,ভাল আছি কিনা....এসব নিয়ে। তোমার মোমের মত নরম মেয়েটি যার একটু প্রশংসা করলেই চোখ ভিজে যেত,সে কেমন আছে নতুন পরিবেশে, হয়তো কখনও তোমাকে ফোন করলাম,কথা বলতে বলতে শ্বাসটুকু ফোনের মাউথপিসের উপর পড়ে ঐ প্রান্ত থেকে শ্বাসের আওয়াজ শুনে বাবা তুমি অস্থির হয়ে জিজ্ঞেস করতে-“কি হয়েছে মা? মন ভালতো?” উত্তরে যখন বলতাম-“কিছু হয়নি বাবা,ভাল আছি”। তখনও তুমি বলে চলতে-“তাহলে জোরে নিঃশ্বাস নিচ্ছিস কেন? মনে হল দীর্ঘশ্বাস ছাড়ছিস!”

তুমি কেন এমন করতে বলতো বাবা? তুমি বুঝতে পারতেনা যে এমন করে আরতো কেউ তোমার মেয়েকে কেয়ার করবেনা,এত ভালবাসবেনা। এটাতো স্বাভাবিকও না বাবা.... এ’গুলোতো আমাকে অতিরিক্ত সংবেদনশীল করে দিয়েছে,যেকোন ছোট আঘাতও তাই বুকে বেশি বাজে,ভুলতে দেয়না।

তবে এ’কথা মানতেই হবে বাবা,একটা কিছু ট্যালিপ্যাথি যোগ ছিল তোমার আমার সাথে। কারন যেদিন হয়তো আমার সত্যিই খুব মন খারাপ হয়েছে,সেদিন অবাক করে দিয়ে তুমি ফোন করতে আমাকে। বলতে-“তোর কোন কারনে কি মন খারাপ? আমার বারবার মনে হচ্ছে,তাই তোকে ফোন করলাম।” আমি তোমাকেতো কিছুই বলিনি, তুমি কিভাবে তাহলে বুঝে নিতে আমার না বলা কথাগুলো, বাবা।

তুমি এমনই একজন হৃদয়বান মানুষ ছিলে,অন্যের সমস্যাগুলো নিজের উপর নিয়ে সমাধান করতে চাইতে।আমাদের পরিবারের ছোট ছোট দৈনন্দিন সমস্যা গুলো, হাসি কান্না গুলো নিজে একাই সমাধান করতে চাইতে। পাড়া প্রতিবেশীদের বিপদেও দৌড়ে যেতে, অনেক সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনেক কাজ করতে দেখেছি তোমাকে। নিজের হাত খালি করে অন্যকে কর্জ দিতে দেখেছি, অনেক বড় অপরাধ করা আত্মীয় স্বজনকে ক্ষমা করে দিতে দেখেছি,গরীব মানুষের প্রতি সহানুভূতি দিয়ে কথা বলতে দেখেছি....ফেরিওয়ালা, ফলবিক্রেতা, মাছ বিক্রেতারা ঘরে এলে তাদের জন্য চা-নাস্তা দিতে দেখেছি নিজের হাতে তোমাকে। হয়তো কলা কেনার প্রয়োজন নেই,তবুও ঐ বৃদ্ধ কলা বিক্রেতাকে সাহায্যের জন্য তার কলা কিনে নিয়ে আবার তাকেও ঐ কলা থেকে খেতে দিতে তোমাকে দেখেছি। আরো কত ঘটনা আছে সবতো লিখে শেষ করা যাবেনা।

ওহ্ বাবা, আমার বাবা, তুমি এমনই ছিলে!

সবাই বলতো ,আমি নাকি অনেকটাই তোমার মত দেখতে হয়েছি,তোমার ছোটবেলার স্কুলের বন্ধু সুজিত আঙ্কেল কোলকাতা থেকে যখন ঢাকায় এলেন বেড়াতে,তার সাথে সেটাই ছিল আমার প্রথম দেখা। তিনি বারবার আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বলতেন-“একদম আফতাবের মত হয়েছে মেয়েটির চোখ,শুধু চোখ না,চোখের চাহুনীটাও একদম আফতাবের মতো।” শুনে কী যে ভাল লেগেছিল বাবা সেদিন। কিন্তু আফসোসও ছিল তোমার মত সাহসী, বন্ধুবৎসল, অন্যের জন্য নিজের জীবনের ঝুকি নেয়া, তোমার মত এমন হৃদয়বান মানুষ আমি হতে পারিনি; শুধু হয়তো দর্শন শাস্ত্র পড়া বিমান বাহিনীর অফিসারের দার্শনিক মনের দেখানো পথে হাটার চেষ্টা করতে পেরেছি মাত্র।

তুমি আদর্শ শিখাতে, আশা জাগাতে, স্বপ্ন দেখাতে, পথ দেখাতে।কিন্তু পৃথিবীর চলার পথটাতো এত সুগম নয়। এ’পথটা এলোমেলো, উঁচু নিচু বন্ধুর। তোমার দেয়া আদর্শ নিয়ে এখানে চলতে গেলে বিবেকের কাছে পরিস্কার থাকি,কিন্তু হোঁচট খেতে হয় প্রচুর। এই বৈষয়িক পৃথিবীর গতির সাথে কখনই ছুটতে পারিনি....ছোট ছোট লোভ-লালসা, ছোট ছোট চাওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা করার যে গতি দরকার এই পৃথিবীতে,তা আয়ত্ব করতে পারিনি। স্বভাবতঃই ছুটন্ত পৃথিবীর গতিময় কক্ষপথ থেকে ছিটকে পড়তে হয়েছে আমাকে। দুঃখ নেই কারণ এ’গতির কোন গন্তব্য নেই,কিন্তু আমারতো আছে আমার নিজেকে জানতে চাওয়ার তৃষ্ণা, বিশ্বমাঝে সীমা আর অসীমের বন্ধনের যে খেলা,তা খুঁজতে যাওয়ার আকুলতা।এইতৃষ্ণা, এই আকুলতা আমার অর্ন্তদৃষ্টি প্রসারিত করেছে তোমার মত। পৃথিবীর ঐ বৈষয়িকতা আমাকে টানেনা....নিজের মধ্যে নিজেকেই খুঁজে ফিরি। এখন পর্যন্ত না পেলেও আমার এই পথ চলাতেই আনন্দ। বাবা, তোমার সাথে আরো কত কথা ছিল বলার,সব কথা গুলো এক সাথে মনে পড়ে জট পাকিয়ে যায়,গলার ভিতর দলা পাকানো কষ্ট গুলো বলার মুখ চেপে ধরে বারবার।

মনে পড়ে বাবা,তোমার জীবনের শেষ সময়গুলো সি.এম.এইচে কাটাতে হয়েছে তোমাকে। এ'যেন আরেক জগৎ। ক্যান্সারের সাথে বাস করা যে কী দূর্বিসহ,তা যে এ’পথ মাড়ায়নি, সে জানবেনা কোনদিন....আমি শুধু চোখে দেখেছি তোমার কষ্টগুলো, তোমাকে দেখলে আমার ঢোক গিলতে কষ্ট হত, মনে হত গলায় কাঁটা বিঁধে আছে.... কিছু করার ছিলনা আমার। শেষ জীবনে যে ক’টা দিন তোমার সান্নিধ্য পেয়েছি, বড় অসহায় লেগেছে নিজেকে। তোমার বিছানার পাশে বসে শুধু হাত ধরে বসে থাকতাম। তুমি বলতে-“ছেড়ে যদি যেতেই হবে, তা হলে পৃথিবীতে এত মায়া কেন,” এর উত্তরে কিছু বলার ছিলনা আমার, কোন ব্যাখ্যা ছিলনা। তুমি যখন কথা আর বলতে পারতেনা, ইশারায় অনেক কথা বলতে আমাকে অথবা সামান্য অস্ফুট উচ্চারনে, বুঝে নিতাম,যা বলতে চেয়েছো। আজো চেষ্টা করে যাচ্ছি সাধ্যমত তা পালন করতে। পারছি কিনা জানিনা।চলে যাওয়ার এই নিষ্ঠুর নিয়মের কাছে আমরা যে কত অসহায়, নিরুপায় তা অনুধাবন করতে পেরেছি ঐ দিনগুলোতে। মাঝে মাঝে অসহায় অভিমানে মনে হয়েছে,আসলেই কি আমরা অন্যপ্রাণীদের মত....শিশু থেকে বৃদ্ধ হয়ে তারপর ক্রমপর্যায়ে রোগ-শোক, বার্ধক্য তাকে আচ্ছন্ন করে; তারপর সমস্ত শরীর ক্ষয়ে-ক্ষয়ে যায়। তার কিছুই করার থাকে না আত্মসমর্পন করা ছাড়া। তখন বুক ভরা কষ্ট, ক্ষয়ে যাওয়া শরীরের যন্ত্রনা, ক্যানুলা, স্যালাইন, ইনহেলার, রেডিয়েশন থেরাপি, ব্লাড স্যাম্পল কালেকশন, অক্সিজেন মাস্ক....এ’সব-ই তখন নিত্যসঙ্গী আর অপেক্ষা করা কখন শেষ ডাকটা আসবে। এ’এক ভয়ানক পরিস্থিতি,যা ভাষা দিয়ে প্রকাশের অযোগ্য।

এই রঙ্গমঞ্চের সবচেয়ে দুঃখজনক ট্রাজেডি হল....ক্যান্সারের হাতে জিম্মি সেই অসহায় মানুষটির কিছুদিন আগেওতো একটা প্রেমময় হৃদয় ছিল,যা তাকে অন্য প্রাণী থেকে আলাদা করেছে....যে হৃদয় প্রজাপতির পাখা দেখে, পাখির ডানা মেলে শূন্যে ভেসে যাওয়া দেখে, রাতে জোনাকীর আলোজ্বলা দেখে, জোৎস্নাস্নাত রাতের মোহনীয়তা দেখে মুগ্ধ হতো। সে কেমন করে অন্য প্রাণীর মত ক্ষয়ে ক্ষয়ে যায়, এক সময় নিঃসার হয়ে মাটিতে মিশে যায়,কোন চিহ্নই আর থাকেনা। তা’হলে ঐ হৃদয়টা কোথায় গেল বাবা, সেটাতো ধরা ছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেল, আমি তাই তাকে খুঁজে ফিরছি।



আরো আরো অনেক কথাইতো বলার ছিল বাবা....এ'তো ফুরাবার নয়। আজ শুধু এটুকুই বলবো-“তোমাকে আমি অনেক ভালবেসেছি....এ’কথাটা কখনও তোমাকে বলা হয়নি, বাবা।” কোন ঠিকানা দিয়ে যাওনি বাবা তুমি, কোন্ ঠিকানায় লিখবো তোমাকে....তাই আকাশের ঠিকানায় চিঠিটা পাঠিয়ে দিলাম, তুমি পড়ে নিও বাবা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.