নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোমিন মেহেদী

মোমিন মেহেদী

মোমিন মেহেদী৤ রাজনীতিক-কলামিস্ট-ব্লগার ও শিল্প উদ্যোক্তা হিসেবে বাংলাদেশের তরুণ সমাজের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন ক্রমশ৤ সত্যকে সত্য আর মিথ্যেকে মিথ্যে বলার বলিষ্ঠতা আছে তার। আর একারনেই পদে পদে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে কেউ কেউ। দেশের প্রধান কবি শামসুর রাহমানের স্নেহধন্য মোমিন মেহেদী বঙ্গবন্ধু লেখক পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার আন্দোলন জোটের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন ২০০৪ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত। পাশাপাশি একটি বৃহৎ ছাত্র সংগঠনের শীর্ষস্থানিয় নেতা হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি নতুনধারা বাংলাদেশ-এনডিবি’র চেয়ারম্যান-এর দায়িত্ব পালন করার সাথেসাথে প্রচারিতব্য একটি বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেলের নির্বাহী পরিচালক হিসেবেও কাজ করছেন। তিনি দৈনিক যুগান্তর, সমাচার, খবরপত্রসহ বিভিন্ন কাগজে কাজ করে অভিজ্ঞতার ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করেছেন। ১৯৮৫ সালের ২৮ আগস্ট ময়মনসিংহে জন্মগ্রহনকারি মোমিন মেহেদীর পৈত্রিকনিবাস বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে। তার প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় ১৯৯৫ সালে দৈনিক ইত্তেফাকে। বর্তমানে তার প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা ৪৪। এরমধ্যে ডিভোর্স (২০০৫), শকুনেরা উড়ছে (২০০৬), জীবনজুড়ে যুদ্ধ (২০০৭), কাকতাড়–য়ার দেশে (২০০৭), ভুল করেছি ভালোর আশায় (২০০৯), এই চাকাটা ভালোবাসার (২০০৯), ছন্দ ছড়ায় বঙ্গবন্ধু (২০০৯), সাহসের জোস্নায় শান্তজ সুখ (২০১০), যে শহরে তুমি নেই (২০১০), আমাদের পিতা তিনি আমাদের মিতাও, দেয়ালে টাঙানো রোদ(২০১১), +ভূত –ভয়, সময়কথন, বৃত্ত ত্রিভুজ এবং ভালোবাসা, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশে নারী, কাগজের ভূত(২০১২) উলে¬খযোগ্য। তিনি ভালোবাসেন তার জীবনসাথী শান্তা ফারজানাকে আর শান্তজ গল্পকে। অনন্ত সাহসের পথে নির্ভিক পথিক মোমিন মেহেদীর মূল লক্ষ্য সাংবাদিকতা, লেখালেখি, গান, গল্প, নাটকের সাথেসাথে রাজনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে স্বাধীনতার সুখকে প্রতিষ্ঠিত করা। তিনি সাহিত্য সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম সম্মাননা (২০০১), মেহেন্দীগঞ্জ ফাউন্ডেশন স্বর্ণপদক (২০০২), অর্নিবান সম্মাননা (২০০৩), বাংলাভাষা সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র সম্মাননা পুরস্কার (২০০৪), বাঁধনহারা সম্মাননা (২০০৬), কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত সম্মাননা (২০০৭), বঙ্গবন্ধু সম্মাননা (২০০৮), চন্দ্রিমা সাহিত্য সম্মাননা (২০০৯), আনন্দ আড্ডা সাহিত্য পুরস্কার, ভারত (২০০৯), কবি গুরু সম্মাননা (২০১০), নক্ষত্র সাহিত্য পদক (২০১০) পুন্ড্রবর্ধন সম্মাননা ও কবি আলাওল সম্মাননা(২০১১), শেরে বাংলা সম্মাননা এবং বঙ্গবীর ওসমানী স্বর্ণ পুরস্কার পেয়েছেন। দেশের প্রথম সাহিত্য-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অনলাইন পত্রিকা banglareport24.com- এর প্রধান সম্পাদক মোমিন মেহেদী’র আশার আলোর বাস্তবায়ন নিয়ে আমাদের প্রত্যয়দীপ্ত পথ এগিয়ে যাবে আগামীর দিকে... নানাদিকের নানাকথা আর কাজের কথা ভেবে মহান বিজয়ের মাস ডিসেম্বর ২০১২ সালের ৩০ তারিখে মোমিন মেহেদীর নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করেছে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সাহসী জনতার রাজনৈতিক দল নতুনধারা বাংলাদেশ(এনডিবি)৤ আত্ম প্রকাশের পর এযাবৎ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা কমিটি গঠন নিয়ে ব্যাপক ব্যস্ততার পরও লিখে চলেছেন অবিরাম-করছেন নিরন্তর সংগ্রাম... আহমেদ কায়সার

মোমিন মেহেদী › বিস্তারিত পোস্টঃ

লোডশেডিং : সরকার পতনের পথ

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৪৯

মোমিন মেহেদী

আগামী মাস থেকেই লোডশেডিং বাড়বে। এই আশঙ্কাগ্রস্থ এখন পুরো বাংলাদেশ। সাহসের সাথে যখন নতুন প্রজন্ম প্রতয়ের বীজ বুনছে শাহবাগে; তখন নতুন করে হতাশার রাত নিয়ে এগিয়ে আসছে আমাদের দেশের বিদ্যুৎ বিভাগ। শুধু এখানেই শেষ নয়; কোন রকম ভর্তুকি না দিয়ে আমাদেরকে কঠিন সময়ের হাতে ছেড়ে দিয়ে বাড়িয়েছে বিদ্যুতের দামও। যখন জনগনের নূন আনতে পানতা ফুরাবার সময়; তখন সরকার দফায় দফায় বাড়িয়েছে বিদ্যুতের দাম। তার উপর আবার ‘মরার উপর খড়ার ঘা’র মত করে আসছে চরম বিদ্যুৎ সংকটের সময়। প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতি-বিরোধী দলীয় নেত্রী-৩৫০ জন এমপি-প্রায় ৫০০ আমলা-৬০ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং প্রায় ৫০ লাখ কোটিপতি এসি সিস্টেম ঘরে বসবাস করলেও আগামী মাস থেকে সারাদেশে লোডশেডিং বাড়ার যে আশঙ্কা করা হচ্ছে, তাতে সবচে’ ক্ষতিগ্রস্থ হবে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ। ধারনা করছি যে, প্রতিবছর যেমন মার্চ থেকে মে মাসে সেচের কারণে বিদ্যুৎ চাহিদা বাড়ে। বিপরীতে বাড়ে ঘাটতি বা লোডশেডিং। এবছরও সরকার নির্ধারিত চাহিদার বিপরীতে মে মাসে বিদ্যুৎ ঘাটতি বা লোডশেডিং থাকবে প্রায় এক হাজার দুশ’ মেগাওয়াট। পাশাপাশি সরকারের পোষা বিদ্যুৎ বিভাগের দূর্নীতিবাজ মন্ত্রী-এমপি-আমলা এবং কর্মকর্তা-কর্মচারিদের দেয়া দূর্ভোগতো রয়েছেই। বিদ্যুৎ বিভাগের একটি তথ্য থেকে জানা যায়, চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিল-মে মাসে সরকার বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা নির্ধারণ করেছে যথাক্রমে ছয় হাজার ৫শ’ ৮০ মেগাওয়াট, সাত হাজার ৫শ’ ২০ মেগাওয়াট এবং সাত হাজর ৬শ’ ৮০ মেগাওয়াট। সরকারের হিসাব অনুযায়ী চাহিদার বিপরীতে পর্যায়ক্রমে তিন মাসে উৎপাদন হবে ছয় হাজার ২৫০ মেগাওয়াট, ছয় হাজার ৬শ’ মেগাওয়াট, ছয় হাজার ৪শ’ ৮০ মেগাওয়াট এবং লোডশের্ডিং থাকবে পর্যাক্রমে ৩শ’ ৩০ মেগাওয়াট, ৯শ’ ২০ মেগাওয়াট এবং এক হাজার ২শ’ মেগাওয়াট। অন্যদিকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এনামুল হক সংসদে জানান, দেশে বর্তমানে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ চাহিদা প্রায় ৫ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট। প্রকৃত উৎপাদন ৫ হাজার থেকে ৫ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। চাহিদার তুলনায় বর্তমানে প্রায় ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি রয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর ২০০৯ থেকে ২০১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫০০ মিলিয়ন গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে। তথাপি, ক্রমবর্ধমান চাহিদার বিপরীতে এখনও দেশে প্রায় ৪৮০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ঘাটতি রয়েছে। এদিকে সেচ ও গ্রীষ্ম মৌসুমে অতিরিক্ত বিদ্যুতের কথা বিবেচনা করে সেচে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট বিতরণ সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এ সময় সেচে বিদ্যুৎ সুবিধা দিতে লোডম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে শহরের বিদ্যুৎ গ্রামে সরবরাহ করা হয়।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) বাড়তি বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য চলতি মাসে প্রতিদিন ৮শ’ ৩০ মিলিয়ন ঘনফুট এবং মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত প্রতিদিন এক হাজার ১শ’ ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস চেয়েছে। কিন্তু পেট্রোবাংলার পক্ষে এই পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে না বলে জানানো হয়েছে। পেট্রোবাংলা সর্বোচ্চ এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করতে পারে বলে জানিয়েছে। ফলে ঘাটতি থাকবে প্রায় ১শ’ ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।

এ বিষয়ে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুর সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন যে, পিডিবির চাহিদানুযায়ী গ্যাস সরবরাহে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করব। বর্তমানে বিদ্যুৎ খাতে প্রতিদিন ৭৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। গত বছর সার কারখানা বন্ধ করে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৯৫০ মিলিয়ন ঘনফুট করে সরবরাহ করা হয়েছিল। এ বছরও সরকার সেই পদক্ষেপ নিলে হয়তো ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট পর্যন্ত সরবরাহ বাড়ানো যাবে। এক্ষেত্রে বলা যায়, দেশে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা থাকলেও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ত্রুটি, জ্বালানি তেল ও গ্যাস সংকটের কারণে পুরোপুরি উৎপাদন করতে পারে না পিডিবি। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে গত বছর ৪ আগস্ট। এদিনর্ স্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ৬ হাজার ৩৫০ মেগাওয়াট। যদিও সেটা কয়েক ঘণ্টার জন্য। এরপর গড়ে সাড়ে চার থেকে ৫ হাজার মেগাওয়াটের মধ্যে বিদ্যুৎতের উৎপাদন সীমাবদ্ধ ছিল। সেই সীমা অতিক্রম করার পর ইচ্ছে করলেই সরকার পারে আরো অগ্রসর হতে। সে ক্ষেত্রে কিছু বিষয় বুদ্ধিমানের মত মোকাবেলা করতে হবে। আর তা হলো কয়লা পুড়িয়ে যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পক্রিয়া আগে শুরু করেছিলো; সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। বাংলাদেশ সাহসের দেশ-শক্তির দেশ; সে দেশে ব্যাতিক্রম করে ভাবনার মধ্যদিয়ে যতটা সম্ভব ভালোভাবে দেশ ও মানুষের মঙ্গলে নিয়োজিত হতে হবে। তা না হলে বাংলাদেশের মানুষ সচেতনতার যে উদাহরণ দিচ্ছে তাতে আগামীতে আওয়ামী লীগ-বিএনপি বা বঙ্গবন্ধুর মেয়ে-শহীদ জিয়ার স্ত্রী বলে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ হয়ে যাবে।

বরাবরের মত তরুণ প্রজন্ম আর আলসে হয়ে বসেনি। তারা রাজপথ দখল করে রেখেছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে। তরুণ-নতুন যেভাবে জেগেছে, সেভাবে বাংলাদেশের প্রতিটি স্তরে যদি একবার জেগে ওঠে সরকারের বিরুদ্ধে; তাহলে কপালে শুধু দূর্ভোগ-ই নয়; মহা দূর্ভোগ নেমে আসবে। কথাগুলো একারনে বললাম যে, জনগনকে এখনো খেলার পুতুল ভাবছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা। তাঁর এই ভাবনা থেকে সরে আসাটা এখন খুবই প্রয়োজন। প্রয়োজন নতুন প্রজন্মের এই দেশে সবচেয়ে আগে বিদ্যুৎ-গ্যাসসহ সকল প্রয়েজনীয় দ্রব্যমূল্যের স্থায়িত্ব তৈরির মধ্য দিয়ে জনগনকে স্থির করা। তা না হলে সেই দৌড় সালাউদ্দীনের দৌড় দিতে হতে পারে স্বয়ং সরকার প্রধানেরও। কেননা, ইতিহাস বলে, রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই; কিছু নেই জনগনের বাইরেও কোন নতুন সম্ভাবনার রাস্তা। যেই রাস্তা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারে রাজনৈতিক মানুষেরা। অতএব, বাংলাদেশকে বাঁচাতে, নিজেরা বাঁচতে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উত্তরণ ঘটাতে হবে; বন্ধ করতে হবে লোডশেডিং; কমাতে হবে বিদ্যুতের দাম…

মোমিন মেহেদী : কলামিস্ট ও আহবায়ক, নতুনধারা বাংলাদেশ(এনডিবি)লোডশেডিং : মনে করিয়ে দেয় দৌড় সালাউদ্দীনের কথা



তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ২২, ২০১৩ বিষয়ব্রেকিং সংবাদ মন্তব্য করুন এই সংবাদটি ১৫ বার পঠিত



SAM_4884kমোমিন মেহেদীঃ আগামী মাস থেকেই লোডশেডিং বাড়বে। এই আশঙ্কাগ্রস্থ এখন পুরো বাংলাদেশ। সাহসের সাথে যখন নতুন প্রজন্ম প্রতয়ের বীজ বুনছে শাহবাগে; তখন নতুন করে হতাশার রাত নিয়ে এগিয়ে আসছে আমাদের দেশের বিদ্যুৎ বিভাগ। শুধু এখানেই শেষ নয়; কোন রকম ভর্তুকি না দিয়ে আমাদেরকে কঠিন সময়ের হাতে ছেড়ে দিয়ে বাড়িয়েছে বিদ্যুতের দামও। যখন জনগনের নূন আনতে পানতা ফুরাবার সময়; তখন সরকার দফায় দফায় বাড়িয়েছে বিদ্যুতের দাম। তার উপর আবার ‘মরার উপর খড়ার ঘা’র মত করে আসছে চরম বিদ্যুৎ সংকটের সময়। প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতি-বিরোধী দলীয় নেত্রী-৩৫০ জন এমপি-প্রায় ৫০০ আমলা-৬০ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং প্রায় ৫০ লাখ কোটিপতি এসি সিস্টেম ঘরে বসবাস করলেও আগামী মাস থেকে সারাদেশে লোডশেডিং বাড়ার যে আশঙ্কা করা হচ্ছে, তাতে সবচে’ ক্ষতিগ্রস্থ হবে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ। ধারনা করছি যে, প্রতিবছর যেমন মার্চ থেকে মে মাসে সেচের কারণে বিদ্যুৎ চাহিদা বাড়ে। বিপরীতে বাড়ে ঘাটতি বা লোডশেডিং। এবছরও সরকার নির্ধারিত চাহিদার বিপরীতে মে মাসে বিদ্যুৎ ঘাটতি বা লোডশেডিং থাকবে প্রায় এক হাজার দুশ’ মেগাওয়াট। পাশাপাশি সরকারের পোষা বিদ্যুৎ বিভাগের দূর্নীতিবাজ মন্ত্রী-এমপি-আমলা এবং কর্মকর্তা-কর্মচারিদের দেয়া দূর্ভোগতো রয়েছেই। বিদ্যুৎ বিভাগের একটি তথ্য থেকে জানা যায়, চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিল-মে মাসে সরকার বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা নির্ধারণ করেছে যথাক্রমে ছয় হাজার ৫শ’ ৮০ মেগাওয়াট, সাত হাজার ৫শ’ ২০ মেগাওয়াট এবং সাত হাজর ৬শ’ ৮০ মেগাওয়াট। সরকারের হিসাব অনুযায়ী চাহিদার বিপরীতে পর্যায়ক্রমে তিন মাসে উৎপাদন হবে ছয় হাজার ২৫০ মেগাওয়াট, ছয় হাজার ৬শ’ মেগাওয়াট, ছয় হাজার ৪শ’ ৮০ মেগাওয়াট এবং লোডশের্ডিং থাকবে পর্যাক্রমে ৩শ’ ৩০ মেগাওয়াট, ৯শ’ ২০ মেগাওয়াট এবং এক হাজার ২শ’ মেগাওয়াট। অন্যদিকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এনামুল হক সংসদে জানান, দেশে বর্তমানে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ চাহিদা প্রায় ৫ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট। প্রকৃত উৎপাদন ৫ হাজার থেকে ৫ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। চাহিদার তুলনায় বর্তমানে প্রায় ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি রয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর ২০০৯ থেকে ২০১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫০০ মিলিয়ন গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে। তথাপি, ক্রমবর্ধমান চাহিদার বিপরীতে এখনও দেশে প্রায় ৪৮০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ঘাটতি রয়েছে। এদিকে সেচ ও গ্রীষ্ম মৌসুমে অতিরিক্ত বিদ্যুতের কথা বিবেচনা করে সেচে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট বিতরণ সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এ সময় সেচে বিদ্যুৎ সুবিধা দিতে লোডম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে শহরের বিদ্যুৎ গ্রামে সরবরাহ করা হয়।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) বাড়তি বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য চলতি মাসে প্রতিদিন ৮শ’ ৩০ মিলিয়ন ঘনফুট এবং মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত প্রতিদিন এক হাজার ১শ’ ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস চেয়েছে। কিন্তু পেট্রোবাংলার পক্ষে এই পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে না বলে জানানো হয়েছে। পেট্রোবাংলা সর্বোচ্চ এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করতে পারে বলে জানিয়েছে। ফলে ঘাটতি থাকবে প্রায় ১শ’ ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।

এ বিষয়ে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুর সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন যে, পিডিবির চাহিদানুযায়ী গ্যাস সরবরাহে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করব। বর্তমানে বিদ্যুৎ খাতে প্রতিদিন ৭৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। গত বছর সার কারখানা বন্ধ করে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৯৫০ মিলিয়ন ঘনফুট করে সরবরাহ করা হয়েছিল। এ বছরও সরকার সেই পদক্ষেপ নিলে হয়তো ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট পর্যন্ত সরবরাহ বাড়ানো যাবে। এক্ষেত্রে বলা যায়, দেশে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা থাকলেও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ত্রুটি, জ্বালানি তেল ও গ্যাস সংকটের কারণে পুরোপুরি উৎপাদন করতে পারে না পিডিবি। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে গত বছর ৪ আগস্ট। এদিনর্ স্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ৬ হাজার ৩৫০ মেগাওয়াট। যদিও সেটা কয়েক ঘণ্টার জন্য। এরপর গড়ে সাড়ে চার থেকে ৫ হাজার মেগাওয়াটের মধ্যে বিদ্যুৎতের উৎপাদন সীমাবদ্ধ ছিল। সেই সীমা অতিক্রম করার পর ইচ্ছে করলেই সরকার পারে আরো অগ্রসর হতে। সে ক্ষেত্রে কিছু বিষয় বুদ্ধিমানের মত মোকাবেলা করতে হবে। আর তা হলো কয়লা পুড়িয়ে যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পক্রিয়া আগে শুরু করেছিলো; সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। বাংলাদেশ সাহসের দেশ-শক্তির দেশ; সে দেশে ব্যাতিক্রম করে ভাবনার মধ্যদিয়ে যতটা সম্ভব ভালোভাবে দেশ ও মানুষের মঙ্গলে নিয়োজিত হতে হবে। তা না হলে বাংলাদেশের মানুষ সচেতনতার যে উদাহরণ দিচ্ছে তাতে আগামীতে আওয়ামী লীগ-বিএনপি বা বঙ্গবন্ধুর মেয়ে-শহীদ জিয়ার স্ত্রী বলে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ হয়ে যাবে।

বরাবরের মত তরুণ প্রজন্ম আর আলসে হয়ে বসেনি। তারা রাজপথ দখল করে রেখেছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে। তরুণ-নতুন যেভাবে জেগেছে, সেভাবে বাংলাদেশের প্রতিটি স্তরে যদি একবার জেগে ওঠে সরকারের বিরুদ্ধে; তাহলে কপালে শুধু দূর্ভোগ-ই নয়; মহা দূর্ভোগ নেমে আসবে। কথাগুলো একারনে বললাম যে, জনগনকে এখনো খেলার পুতুল ভাবছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা। তাঁর এই ভাবনা থেকে সরে আসাটা এখন খুবই প্রয়োজন। প্রয়োজন নতুন প্রজন্মের এই দেশে সবচেয়ে আগে বিদ্যুৎ-গ্যাসসহ সকল প্রয়েজনীয় দ্রব্যমূল্যের স্থায়িত্ব তৈরির মধ্য দিয়ে জনগনকে স্থির করা। তা না হলে সেই দৌড় সালাউদ্দীনের দৌড় দিতে হতে পারে স্বয়ং সরকার প্রধানেরও। কেননা, ইতিহাস বলে, রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই; কিছু নেই জনগনের বাইরেও কোন নতুন সম্ভাবনার রাস্তা। যেই রাস্তা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারে রাজনৈতিক মানুষেরা। অতএব, বাংলাদেশকে বাঁচাতে, নিজেরা বাঁচতে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উত্তরণ ঘটাতে হবে; বন্ধ করতে হবে লোডশেডিং; কমাতে হবে বিদ্যুতের দাম…

মোমিন মেহেদী : কলামিস্ট ও আহবায়ক, নতুনধারা বাংলাদেশ(এনডিবি)লোডশেডিং : মনে করিয়ে দেয় দৌড় সালাউদ্দীনের কথা



তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ২২, ২০১৩ বিষয়ব্রেকিং সংবাদ মন্তব্য করুন এই সংবাদটি ১৫ বার পঠিত



SAM_4884kমোমিন মেহেদীঃ আগামী মাস থেকেই লোডশেডিং বাড়বে। এই আশঙ্কাগ্রস্থ এখন পুরো বাংলাদেশ। সাহসের সাথে যখন নতুন প্রজন্ম প্রতয়ের বীজ বুনছে শাহবাগে; তখন নতুন করে হতাশার রাত নিয়ে এগিয়ে আসছে আমাদের দেশের বিদ্যুৎ বিভাগ। শুধু এখানেই শেষ নয়; কোন রকম ভর্তুকি না দিয়ে আমাদেরকে কঠিন সময়ের হাতে ছেড়ে দিয়ে বাড়িয়েছে বিদ্যুতের দামও। যখন জনগনের নূন আনতে পানতা ফুরাবার সময়; তখন সরকার দফায় দফায় বাড়িয়েছে বিদ্যুতের দাম। তার উপর আবার ‘মরার উপর খড়ার ঘা’র মত করে আসছে চরম বিদ্যুৎ সংকটের সময়। প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতি-বিরোধী দলীয় নেত্রী-৩৫০ জন এমপি-প্রায় ৫০০ আমলা-৬০ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং প্রায় ৫০ লাখ কোটিপতি এসি সিস্টেম ঘরে বসবাস করলেও আগামী মাস থেকে সারাদেশে লোডশেডিং বাড়ার যে আশঙ্কা করা হচ্ছে, তাতে সবচে’ ক্ষতিগ্রস্থ হবে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ। ধারনা করছি যে, প্রতিবছর যেমন মার্চ থেকে মে মাসে সেচের কারণে বিদ্যুৎ চাহিদা বাড়ে। বিপরীতে বাড়ে ঘাটতি বা লোডশেডিং। এবছরও সরকার নির্ধারিত চাহিদার বিপরীতে মে মাসে বিদ্যুৎ ঘাটতি বা লোডশেডিং থাকবে প্রায় এক হাজার দুশ’ মেগাওয়াট। পাশাপাশি সরকারের পোষা বিদ্যুৎ বিভাগের দূর্নীতিবাজ মন্ত্রী-এমপি-আমলা এবং কর্মকর্তা-কর্মচারিদের দেয়া দূর্ভোগতো রয়েছেই। বিদ্যুৎ বিভাগের একটি তথ্য থেকে জানা যায়, চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিল-মে মাসে সরকার বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা নির্ধারণ করেছে যথাক্রমে ছয় হাজার ৫শ’ ৮০ মেগাওয়াট, সাত হাজার ৫শ’ ২০ মেগাওয়াট এবং সাত হাজর ৬শ’ ৮০ মেগাওয়াট। সরকারের হিসাব অনুযায়ী চাহিদার বিপরীতে পর্যায়ক্রমে তিন মাসে উৎপাদন হবে ছয় হাজার ২৫০ মেগাওয়াট, ছয় হাজার ৬শ’ মেগাওয়াট, ছয় হাজার ৪শ’ ৮০ মেগাওয়াট এবং লোডশের্ডিং থাকবে পর্যাক্রমে ৩শ’ ৩০ মেগাওয়াট, ৯শ’ ২০ মেগাওয়াট এবং এক হাজার ২শ’ মেগাওয়াট। অন্যদিকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এনামুল হক সংসদে জানান, দেশে বর্তমানে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ চাহিদা প্রায় ৫ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট। প্রকৃত উৎপাদন ৫ হাজার থেকে ৫ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। চাহিদার তুলনায় বর্তমানে প্রায় ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি রয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর ২০০৯ থেকে ২০১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫০০ মিলিয়ন গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে। তথাপি, ক্রমবর্ধমান চাহিদার বিপরীতে এখনও দেশে প্রায় ৪৮০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ঘাটতি রয়েছে। এদিকে সেচ ও গ্রীষ্ম মৌসুমে অতিরিক্ত বিদ্যুতের কথা বিবেচনা করে সেচে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট বিতরণ সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এ সময় সেচে বিদ্যুৎ সুবিধা দিতে লোডম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে শহরের বিদ্যুৎ গ্রামে সরবরাহ করা হয়।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) বাড়তি বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য চলতি মাসে প্রতিদিন ৮শ’ ৩০ মিলিয়ন ঘনফুট এবং মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত প্রতিদিন এক হাজার ১শ’ ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস চেয়েছে। কিন্তু পেট্রোবাংলার পক্ষে এই পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে না বলে জানানো হয়েছে। পেট্রোবাংলা সর্বোচ্চ এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করতে পারে বলে জানিয়েছে। ফলে ঘাটতি থাকবে প্রায় ১শ’ ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।

এ বিষয়ে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুর সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন যে, পিডিবির চাহিদানুযায়ী গ্যাস সরবরাহে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করব। বর্তমানে বিদ্যুৎ খাতে প্রতিদিন ৭৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। গত বছর সার কারখানা বন্ধ করে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৯৫০ মিলিয়ন ঘনফুট করে সরবরাহ করা হয়েছিল। এ বছরও সরকার সেই পদক্ষেপ নিলে হয়তো ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট পর্যন্ত সরবরাহ বাড়ানো যাবে। এক্ষেত্রে বলা যায়, দেশে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা থাকলেও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ত্রুটি, জ্বালানি তেল ও গ্যাস সংকটের কারণে পুরোপুরি উৎপাদন করতে পারে না পিডিবি। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে গত বছর ৪ আগস্ট। এদিনর্ স্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ৬ হাজার ৩৫০ মেগাওয়াট। যদিও সেটা কয়েক ঘণ্টার জন্য। এরপর গড়ে সাড়ে চার থেকে ৫ হাজার মেগাওয়াটের মধ্যে বিদ্যুৎতের উৎপাদন সীমাবদ্ধ ছিল। সেই সীমা অতিক্রম করার পর ইচ্ছে করলেই সরকার পারে আরো অগ্রসর হতে। সে ক্ষেত্রে কিছু বিষয় বুদ্ধিমানের মত মোকাবেলা করতে হবে। আর তা হলো কয়লা পুড়িয়ে যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পক্রিয়া আগে শুরু করেছিলো; সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। বাংলাদেশ সাহসের দেশ-শক্তির দেশ; সে দেশে ব্যাতিক্রম করে ভাবনার মধ্যদিয়ে যতটা সম্ভব ভালোভাবে দেশ ও মানুষের মঙ্গলে নিয়োজিত হতে হবে। তা না হলে বাংলাদেশের মানুষ সচেতনতার যে উদাহরণ দিচ্ছে তাতে আগামীতে আওয়ামী লীগ-বিএনপি বা বঙ্গবন্ধুর মেয়ে-শহীদ জিয়ার স্ত্রী বলে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ হয়ে যাবে।

বরাবরের মত তরুণ প্রজন্ম আর আলসে হয়ে বসেনি। তারা রাজপথ দখল করে রেখেছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে। তরুণ-নতুন যেভাবে জেগেছে, সেভাবে বাংলাদেশের প্রতিটি স্তরে যদি একবার জেগে ওঠে সরকারের বিরুদ্ধে; তাহলে কপালে শুধু দূর্ভোগ-ই নয়; মহা দূর্ভোগ নেমে আসবে। কথাগুলো একারনে বললাম যে, জনগনকে এখনো খেলার পুতুল ভাবছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা। তাঁর এই ভাবনা থেকে সরে আসাটা এখন খুবই প্রয়োজন। প্রয়োজন নতুন প্রজন্মের এই দেশে সবচেয়ে আগে বিদ্যুৎ-গ্যাসসহ সকল প্রয়েজনীয় দ্রব্যমূল্যের স্থায়িত্ব তৈরির মধ্য দিয়ে জনগনকে স্থির করা। তা না হলে সেই দৌড় সালাউদ্দীনের দৌড় দিতে হতে পারে স্বয়ং সরকার প্রধানেরও। কেননা, ইতিহাস বলে, রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই; কিছু নেই জনগনের বাইরেও কোন নতুন সম্ভাবনার রাস্তা। যেই রাস্তা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারে রাজনৈতিক মানুষেরা। অতএব, বাংলাদেশকে বাঁচাতে, নিজেরা বাঁচতে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উত্তরণ ঘটাতে হবে; বন্ধ করতে হবে লোডশেডিং; কমাতে হবে বিদ্যুতের দাম…

মোমিন মেহেদী : কলামিস্ট ও আহবায়ক, নতুনধারা বাংলাদেশ(এনডিবি)লোডশেডিং : মনে করিয়ে দেয় দৌড় সালাউদ্দীনের কথা



তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ২২, ২০১৩ বিষয়ব্রেকিং সংবাদ মন্তব্য করুন এই সংবাদটি ১৫ বার পঠিত



SAM_4884kমোমিন মেহেদীঃ আগামী মাস থেকেই লোডশেডিং বাড়বে। এই আশঙ্কাগ্রস্থ এখন পুরো বাংলাদেশ। সাহসের সাথে যখন নতুন প্রজন্ম প্রতয়ের বীজ বুনছে শাহবাগে; তখন নতুন করে হতাশার রাত নিয়ে এগিয়ে আসছে আমাদের দেশের বিদ্যুৎ বিভাগ। শুধু এখানেই শেষ নয়; কোন রকম ভর্তুকি না দিয়ে আমাদেরকে কঠিন সময়ের হাতে ছেড়ে দিয়ে বাড়িয়েছে বিদ্যুতের দামও। যখন জনগনের নূন আনতে পানতা ফুরাবার সময়; তখন সরকার দফায় দফায় বাড়িয়েছে বিদ্যুতের দাম। তার উপর আবার ‘মরার উপর খড়ার ঘা’র মত করে আসছে চরম বিদ্যুৎ সংকটের সময়। প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতি-বিরোধী দলীয় নেত্রী-৩৫০ জন এমপি-প্রায় ৫০০ আমলা-৬০ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং প্রায় ৫০ লাখ কোটিপতি এসি সিস্টেম ঘরে বসবাস করলেও আগামী মাস থেকে সারাদেশে লোডশেডিং বাড়ার যে আশঙ্কা করা হচ্ছে, তাতে সবচে’ ক্ষতিগ্রস্থ হবে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ। ধারনা করছি যে, প্রতিবছর যেমন মার্চ থেকে মে মাসে সেচের কারণে বিদ্যুৎ চাহিদা বাড়ে। বিপরীতে বাড়ে ঘাটতি বা লোডশেডিং। এবছরও সরকার নির্ধারিত চাহিদার বিপরীতে মে মাসে বিদ্যুৎ ঘাটতি বা লোডশেডিং থাকবে প্রায় এক হাজার দুশ’ মেগাওয়াট। পাশাপাশি সরকারের পোষা বিদ্যুৎ বিভাগের দূর্নীতিবাজ মন্ত্রী-এমপি-আমলা এবং কর্মকর্তা-কর্মচারিদের দেয়া দূর্ভোগতো রয়েছেই। বিদ্যুৎ বিভাগের একটি তথ্য থেকে জানা যায়, চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিল-মে মাসে সরকার বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা নির্ধারণ করেছে যথাক্রমে ছয় হাজার ৫শ’ ৮০ মেগাওয়াট, সাত হাজার ৫শ’ ২০ মেগাওয়াট এবং সাত হাজর ৬শ’ ৮০ মেগাওয়াট। সরকারের হিসাব অনুযায়ী চাহিদার বিপরীতে পর্যায়ক্রমে তিন মাসে উৎপাদন হবে ছয় হাজার ২৫০ মেগাওয়াট, ছয় হাজার ৬শ’ মেগাওয়াট, ছয় হাজার ৪শ’ ৮০ মেগাওয়াট এবং লোডশের্ডিং থাকবে পর্যাক্রমে ৩শ’ ৩০ মেগাওয়াট, ৯শ’ ২০ মেগাওয়াট এবং এক হাজার ২শ’ মেগাওয়াট। অন্যদিকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এনামুল হক সংসদে জানান, দেশে বর্তমানে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ চাহিদা প্রায় ৫ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট। প্রকৃত উৎপাদন ৫ হাজার থেকে ৫ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। চাহিদার তুলনায় বর্তমানে প্রায় ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি রয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর ২০০৯ থেকে ২০১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫০০ মিলিয়ন গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে। তথাপি, ক্রমবর্ধমান চাহিদার বিপরীতে এখনও দেশে প্রায় ৪৮০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ঘাটতি রয়েছে। এদিকে সেচ ও গ্রীষ্ম মৌসুমে অতিরিক্ত বিদ্যুতের কথা বিবেচনা করে সেচে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট বিতরণ সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এ সময় সেচে বিদ্যুৎ সুবিধা দিতে লোডম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে শহরের বিদ্যুৎ গ্রামে সরবরাহ করা হয়।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) বাড়তি বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য চলতি মাসে প্রতিদিন ৮শ’ ৩০ মিলিয়ন ঘনফুট এবং মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত প্রতিদিন এক হাজার ১শ’ ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস চেয়েছে। কিন্তু পেট্রোবাংলার পক্ষে এই পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে না বলে জানানো হয়েছে। পেট্রোবাংলা সর্বোচ্চ এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করতে পারে বলে জানিয়েছে। ফলে ঘাটতি থাকবে প্রায় ১শ’ ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।

এ বিষয়ে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুর সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন যে, পিডিবির চাহিদানুযায়ী গ্যাস সরবরাহে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করব। বর্তমানে বিদ্যুৎ খাতে প্রতিদিন ৭৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। গত বছর সার কারখানা বন্ধ করে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৯৫০ মিলিয়ন ঘনফুট করে সরবরাহ করা হয়েছিল। এ বছরও সরকার সেই পদক্ষেপ নিলে হয়তো ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট পর্যন্ত সরবরাহ বাড়ানো যাবে। এক্ষেত্রে বলা যায়, দেশে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা থাকলেও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ত্রুটি, জ্বালানি তেল ও গ্যাস সংকটের কারণে পুরোপুরি উৎপাদন করতে পারে না পিডিবি। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে গত বছর ৪ আগস্ট। এদিনর্ স্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ৬ হাজার ৩৫০ মেগাওয়াট। যদিও সেটা কয়েক ঘণ্টার জন্য। এরপর গড়ে সাড়ে চার থেকে ৫ হাজার মেগাওয়াটের মধ্যে বিদ্যুৎতের উৎপাদন সীমাবদ্ধ ছিল। সেই সীমা অতিক্রম করার পর ইচ্ছে করলেই সরকার পারে আরো অগ্রসর হতে। সে ক্ষেত্রে কিছু বিষয় বুদ্ধিমানের মত মোকাবেলা করতে হবে। আর তা হলো কয়লা পুড়িয়ে যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পক্রিয়া আগে শুরু করেছিলো; সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। বাংলাদেশ সাহসের দেশ-শক্তির দেশ; সে দেশে ব্যাতিক্রম করে ভাবনার মধ্যদিয়ে যতটা সম্ভব ভালোভাবে দেশ ও মানুষের মঙ্গলে নিয়োজিত হতে হবে। তা না হলে বাংলাদেশের মানুষ সচেতনতার যে উদাহরণ দিচ্ছে তাতে আগামীতে আওয়ামী লীগ-বিএনপি বা বঙ্গবন্ধুর মেয়ে-শহীদ জিয়ার স্ত্রী বলে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ হয়ে যাবে।

বরাবরের মত তরুণ প্রজন্ম আর আলসে হয়ে বসেনি। তারা রাজপথ দখল করে রেখেছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে। তরুণ-নতুন যেভাবে জেগেছে, সেভাবে বাংলাদেশের প্রতিটি স্তরে যদি একবার জেগে ওঠে সরকারের বিরুদ্ধে; তাহলে কপালে শুধু দূর্ভোগ-ই নয়; মহা দূর্ভোগ নেমে আসবে। কথাগুলো একারনে বললাম যে, জনগনকে এখনো খেলার পুতুল ভাবছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা। তাঁর এই ভাবনা থেকে সরে আসাটা এখন খুবই প্রয়োজন। প্রয়োজন নতুন প্রজন্মের এই দেশে সবচেয়ে আগে বিদ্যুৎ-গ্যাসসহ সকল প্রয়েজনীয় দ্রব্যমূল্যের স্থায়িত্ব তৈরির মধ্য দিয়ে জনগনকে স্থির করা। তা না হলে সেই দৌড় সালাউদ্দীনের দৌড় দিতে হতে পারে স্বয়ং সরকার প্রধানেরও। কেননা, ইতিহাস বলে, রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই; কিছু নেই জনগনের বাইরেও কোন নতুন সম্ভাবনার রাস্তা। যেই রাস্তা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারে রাজনৈতিক মানুষেরা। অতএব, বাংলাদেশকে বাঁচাতে, নিজেরা বাঁচতে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উত্তরণ ঘটাতে হবে; বন্ধ করতে হবে লোডশেডিং; কমাতে হবে বিদ্যুতের দাম…

মোমিন মেহেদী : কলামিস্ট ও আহবায়ক, নতুনধারা বাংলাদেশ(এনডিবি)লোডশেডিং : মনে করিয়ে দেয় দৌড় সালাউদ্দীনের কথা



তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ২২, ২০১৩ বিষয়ব্রেকিং সংবাদ মন্তব্য করুন এই সংবাদটি ১৫ বার পঠিত



SAM_4884kমোমিন মেহেদীঃ আগামী মাস থেকেই লোডশেডিং বাড়বে। এই আশঙ্কাগ্রস্থ এখন পুরো বাংলাদেশ। সাহসের সাথে যখন নতুন প্রজন্ম প্রতয়ের বীজ বুনছে শাহবাগে; তখন নতুন করে হতাশার রাত নিয়ে এগিয়ে আসছে আমাদের দেশের বিদ্যুৎ বিভাগ। শুধু এখানেই শেষ নয়; কোন রকম ভর্তুকি না দিয়ে আমাদেরকে কঠিন সময়ের হাতে ছেড়ে দিয়ে বাড়িয়েছে বিদ্যুতের দামও। যখন জনগনের নূন আনতে পানতা ফুরাবার সময়; তখন সরকার দফায় দফায় বাড়িয়েছে বিদ্যুতের দাম। তার উপর আবার ‘মরার উপর খড়ার ঘা’র মত করে আসছে চরম বিদ্যুৎ সংকটের সময়। প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতি-বিরোধী দলীয় নেত্রী-৩৫০ জন এমপি-প্রায় ৫০০ আমলা-৬০ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং প্রায় ৫০ লাখ কোটিপতি এসি সিস্টেম ঘরে বসবাস করলেও আগামী মাস থেকে সারাদেশে লোডশেডিং বাড়ার যে আশঙ্কা করা হচ্ছে, তাতে সবচে’ ক্ষতিগ্রস্থ হবে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ। ধারনা করছি যে, প্রতিবছর যেমন মার্চ থেকে মে মাসে সেচের কারণে বিদ্যুৎ চাহিদা বাড়ে। বিপরীতে বাড়ে ঘাটতি বা লোডশেডিং। এবছরও সরকার নির্ধারিত চাহিদার বিপরীতে মে মাসে বিদ্যুৎ ঘাটতি বা লোডশেডিং থাকবে প্রায় এক হাজার দুশ’ মেগাওয়াট। পাশাপাশি সরকারের পোষা বিদ্যুৎ বিভাগের দূর্নীতিবাজ মন্ত্রী-এমপি-আমলা এবং কর্মকর্তা-কর্মচারিদের দেয়া দূর্ভোগতো রয়েছেই। বিদ্যুৎ বিভাগের একটি তথ্য থেকে জানা যায়, চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিল-মে মাসে সরকার বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা নির্ধারণ করেছে যথাক্রমে ছয় হাজার ৫শ’ ৮০ মেগাওয়াট, সাত হাজার ৫শ’ ২০ মেগাওয়াট এবং সাত হাজর ৬শ’ ৮০ মেগাওয়াট। সরকারের হিসাব অনুযায়ী চাহিদার বিপরীতে পর্যায়ক্রমে তিন মাসে উৎপাদন হবে ছয় হাজার ২৫০ মেগাওয়াট, ছয় হাজার ৬শ’ মেগাওয়াট, ছয় হাজার ৪শ’ ৮০ মেগাওয়াট এবং লোডশের্ডিং থাকবে পর্যাক্রমে ৩শ’ ৩০ মেগাওয়াট, ৯শ’ ২০ মেগাওয়াট এবং এক হাজার ২শ’ মেগাওয়াট। অন্যদিকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এনামুল হক সংসদে জানান, দেশে বর্তমানে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ চাহিদা প্রায় ৫ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট। প্রকৃত উৎপাদন ৫ হাজার থেকে ৫ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। চাহিদার তুলনায় বর্তমানে প্রায় ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি রয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর ২০০৯ থেকে ২০১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫০০ মিলিয়ন গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে। তথাপি, ক্রমবর্ধমান চাহিদার বিপরীতে এখনও দেশে প্রায় ৪৮০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ঘাটতি রয়েছে। এদিকে সেচ ও গ্রীষ্ম মৌসুমে অতিরিক্ত বিদ্যুতের কথা বিবেচনা করে সেচে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট বিতরণ সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এ সময় সেচে বিদ্যুৎ সুবিধা দিতে লোডম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে শহরের বিদ্যুৎ গ্রামে সরবরাহ করা হয়।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) বাড়তি বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য চলতি মাসে প্রতিদিন ৮শ’ ৩০ মিলিয়ন ঘনফুট এবং মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত প্রতিদিন এক হাজার ১শ’ ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস চেয়েছে। কিন্তু পেট্রোবাংলার পক্ষে এই পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে না বলে জানানো হয়েছে। পেট্রোবাংলা সর্বোচ্চ এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করতে পারে বলে জানিয়েছে। ফলে ঘাটতি থাকবে প্রায় ১শ’ ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।

এ বিষয়ে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুর সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন যে, পিডিবির চাহিদানুযায়ী গ্যাস সরবরাহে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করব। বর্তমানে বিদ্যুৎ খাতে প্রতিদিন ৭৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। গত বছর সার কারখানা বন্ধ করে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৯৫০ মিলিয়ন ঘনফুট করে সরবরাহ করা হয়েছিল। এ বছরও সরকার সেই পদক্ষেপ নিলে হয়তো ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট পর্যন্ত সরবরাহ বাড়ানো যাবে। এক্ষেত্রে বলা যায়, দেশে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা থাকলেও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ত্রুটি, জ্বালানি তেল ও গ্যাস সংকটের কারণে পুরোপুরি উৎপাদন করতে পারে না পিডিবি। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে গত বছর ৪ আগস্ট। এদিনর্ স্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ৬ হাজার ৩৫০ মেগাওয়াট। যদিও সেটা কয়েক ঘণ্টার জন্য। এরপর গড়ে সাড়ে চার থেকে ৫ হাজার মেগাওয়াটের মধ্যে বিদ্যুৎতের উৎপাদন সীমাবদ্ধ ছিল। সেই সীমা অতিক্রম করার পর ইচ্ছে করলেই সরকার পারে আরো অগ্রসর হতে। সে ক্ষেত্রে কিছু বিষয় বুদ্ধিমানের মত মোকাবেলা করতে হবে। আর তা হলো কয়লা পুড়িয়ে যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পক্রিয়া আগে শুরু করেছিলো; সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। বাংলাদেশ সাহসের দেশ-শক্তির দেশ; সে দেশে ব্যাতিক্রম করে ভাবনার মধ্যদিয়ে যতটা সম্ভব ভালোভাবে দেশ ও মানুষের মঙ্গলে নিয়োজিত হতে হবে। তা না হলে বাংলাদেশের মানুষ সচেতনতার যে উদাহরণ দিচ্ছে তাতে আগামীতে আওয়ামী লীগ-বিএনপি বা বঙ্গবন্ধুর মেয়ে-শহীদ জিয়ার স্ত্রী বলে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ হয়ে যাবে।

বরাবরের মত তরুণ প্রজন্ম আর আলসে হয়ে বসেনি। তারা রাজপথ দখল করে রেখেছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে। তরুণ-নতুন যেভাবে জেগেছে, সেভাবে বাংলাদেশের প্রতিটি স্তরে যদি একবার জেগে ওঠে সরকারের বিরুদ্ধে; তাহলে কপালে শুধু দূর্ভোগ-ই নয়; মহা দূর্ভোগ নেমে আসবে। কথাগুলো একারনে বললাম যে, জনগনকে এখনো খেলার পুতুল ভাবছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা। তাঁর এই ভাবনা থেকে সরে আসাটা এখন খুবই প্রয়োজন। প্রয়োজন নতুন প্রজন্মের এই দেশে সবচেয়ে আগে বিদ্যুৎ-গ্যাসসহ সকল প্রয়েজনীয় দ্রব্যমূল্যের স্থায়িত্ব তৈরির মধ্য দিয়ে জনগনকে স্থির করা। তা না হলে সেই দৌড় সালাউদ্দীনের দৌড় দিতে হতে পারে স্বয়ং সরকার প্রধানেরও। কেননা, ইতিহাস বলে, রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই; কিছু নেই জনগনের বাইরেও কোন নতুন সম্ভাবনার রাস্তা। যেই রাস্তা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারে রাজনৈতিক মানুষেরা। অতএব, বাংলাদেশকে বাঁচাতে, নিজেরা বাঁচতে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উত্তরণ ঘটাতে হবে; বন্ধ করতে হবে লোডশেডিং; কমাতে হবে বিদ্যুতের দাম…

মোমিন মেহেদী : কলামিস্ট ও আহবায়ক, নতুনধারা বাংলাদেশ(এনডিবি)লোডশেডিং : মনে করিয়ে দেয় দৌড় সালাউদ্দীনের কথা



তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ২২, ২০১৩ বিষয়ব্রেকিং সংবাদ মন্তব্য করুন এই সংবাদটি ১৫ বার পঠিত



SAM_4884kমোমিন মেহেদীঃ আগামী মাস থেকেই লোডশেডিং বাড়বে। এই আশঙ্কাগ্রস্থ এখন পুরো বাংলাদেশ। সাহসের সাথে যখন নতুন প্রজন্ম প্রতয়ের বীজ বুনছে শাহবাগে; তখন নতুন করে হতাশার রাত নিয়ে এগিয়ে আসছে আমাদের দেশের বিদ্যুৎ বিভাগ। শুধু এখানেই শেষ নয়; কোন রকম ভর্তুকি না দিয়ে আমাদেরকে কঠিন সময়ের হাতে ছেড়ে দিয়ে বাড়িয়েছে বিদ্যুতের দামও। যখন জনগনের নূন আনতে পানতা ফুরাবার সময়; তখন সরকার দফায় দফায় বাড়িয়েছে বিদ্যুতের দাম। তার উপর আবার ‘মরার উপর খড়ার ঘা’র মত করে আসছে চরম বিদ্যুৎ সংকটের সময়। প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতি-বিরোধী দলীয় নেত্রী-৩৫০ জন এমপি-প্রায় ৫০০ আমলা-৬০ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং প্রায় ৫০ লাখ কোটিপতি এসি সিস্টেম ঘরে বসবাস করলেও আগামী মাস থেকে সারাদেশে লোডশেডিং বাড়ার যে আশঙ্কা করা হচ্ছে, তাতে সবচে’ ক্ষতিগ্রস্থ হবে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ। ধারনা করছি যে, প্রতিবছর যেমন মার্চ থেকে মে মাসে সেচের কারণে বিদ্যুৎ চাহিদা বাড়ে। বিপরীতে বাড়ে ঘাটতি বা লোডশেডিং। এবছরও সরকার নির্ধারিত চাহিদার বিপরীতে মে মাসে বিদ্যুৎ ঘাটতি বা লোডশেডিং থাকবে প্রায় এক হাজার দুশ’ মেগাওয়াট। পাশাপাশি সরকারের পোষা বিদ্যুৎ বিভাগের দূর্নীতিবাজ মন্ত্রী-এমপি-আমলা এবং কর্মকর্তা-কর্মচারিদের দেয়া দূর্ভোগতো রয়েছেই। বিদ্যুৎ বিভাগের একটি তথ্য থেকে জানা যায়, চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিল-মে মাসে সরকার বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা নির্ধারণ করেছে যথাক্রমে ছয় হাজার ৫শ’ ৮০ মেগাওয়াট, সাত হাজার ৫শ’ ২০ মেগাওয়াট এবং সাত হাজর ৬শ’ ৮০ মেগাওয়াট। সরকারের হিসাব অনুযায়ী চাহিদার বিপরীতে পর্যায়ক্রমে তিন মাসে উৎপাদন হবে ছয় হাজার ২৫০ মেগাওয়াট, ছয় হাজার ৬শ’ মেগাওয়াট, ছয় হাজার ৪শ’ ৮০ মেগাওয়াট এবং লোডশের্ডিং থাকবে পর্যাক্রমে ৩শ’ ৩০ মেগাওয়াট, ৯শ’ ২০ মেগাওয়াট এবং এক হাজার ২শ’ মেগাওয়াট। অন্যদিকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এনামুল হক সংসদে জানান, দেশে বর্তমানে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ চাহিদা প্রায় ৫ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট। প্রকৃত উৎপাদন ৫ হাজার থেকে ৫ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। চাহিদার তুলনায় বর্তমানে প্রায় ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি রয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর ২০০৯ থেকে ২০১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫০০ মিলিয়ন গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে। তথাপি, ক্রমবর্ধমান চাহিদার বিপরীতে এখনও দেশে প্রায় ৪৮০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ঘাটতি রয়েছে। এদিকে সেচ ও গ্রীষ্ম মৌসুমে অতিরিক্ত বিদ্যুতের কথা বিবেচনা করে সেচে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট বিতরণ সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এ সময় সেচে বিদ্যুৎ সুবিধা দিতে লোডম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে শহরের বিদ্যুৎ গ্রামে সরবরাহ করা হয়।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) বাড়তি বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য চলতি মাসে প্রতিদিন ৮শ’ ৩০ মিলিয়ন ঘনফুট এবং মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত প্রতিদিন এক হাজার ১শ’ ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস চেয়েছে। কিন্তু পেট্রোবাংলার পক্ষে এই পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে না বলে জানানো হয়েছে। পেট্রোবাংলা সর্বোচ্চ এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করতে পারে বলে জানিয়েছে। ফলে ঘাটতি থাকবে প্রায় ১শ’ ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।

এ বিষয়ে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুর সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন যে, পিডিবির চাহিদানুযায়ী গ্যাস সরবরাহে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করব। বর্তমানে বিদ্যুৎ খাতে প্রতিদিন ৭৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। গত বছর সার কারখানা বন্ধ করে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৯৫০ মিলিয়ন ঘনফুট করে সরবরাহ করা হয়েছিল। এ বছরও সরকার সেই পদক্ষেপ নিলে হয়তো ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট পর্যন্ত সরবরাহ বাড়ানো যাবে। এক্ষেত্রে বলা যায়, দেশে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা থাকলেও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ত্রুটি, জ্বালানি তেল ও গ্যাস সংকটের কারণে পুরোপুরি উৎপাদন করতে পারে না পিডিবি। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে গত বছর ৪ আগস্ট। এদিনর্ স্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ৬ হাজার ৩৫০ মেগাওয়াট। যদিও সেটা কয়েক ঘণ্টার জন্য। এরপর গড়ে সাড়ে চার থেকে ৫ হাজার মেগাওয়াটের মধ্যে বিদ্যুৎতের উৎপাদন সীমাবদ্ধ ছিল। সেই সীমা অতিক্রম করার পর ইচ্ছে করলেই সরকার পারে আরো অগ্রসর হতে। সে ক্ষেত্রে কিছু বিষয় বুদ্ধিমানের মত মোকাবেলা করতে হবে। আর তা হলো কয়লা পুড়িয়ে যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পক্রিয়া আগে শুরু করেছিলো; সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। বাংলাদেশ সাহসের দেশ-শক্তির দেশ; সে দেশে ব্যাতিক্রম করে ভাবনার মধ্যদিয়ে যতটা সম্ভব ভালোভাবে দেশ ও মানুষের মঙ্গলে নিয়োজিত হতে হবে। তা না হলে বাংলাদেশের মানুষ সচেতনতার যে উদাহরণ দিচ্ছে তাতে আগামীতে আওয়ামী লীগ-বিএনপি বা বঙ্গবন্ধুর মেয়ে-শহীদ জিয়ার স্ত্রী বলে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ হয়ে যাবে।

বরাবরের মত তরুণ প্রজন্ম আর আলসে হয়ে বসেনি। তারা রাজপথ দখল করে রেখেছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে। তরুণ-নতুন যেভাবে জেগেছে, সেভাবে বাংলাদেশের প্রতিটি স্তরে যদি একবার জেগে ওঠে সরকারের বিরুদ্ধে; তাহলে কপালে শুধু দূর্ভোগ-ই নয়; মহা দূর্ভোগ নেমে আসবে। কথাগুলো একারনে বললাম যে, জনগনকে এখনো খেলার পুতুল ভাবছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা। তাঁর এই ভাবনা থেকে সরে আসাটা এখন খুবই প্রয়োজন। প্রয়োজন নতুন প্রজন্মের এই দেশে সবচেয়ে আগে বিদ্যুৎ-গ্যাসসহ সকল প্রয়েজনীয় দ্রব্যমূল্যের স্থায়িত্ব তৈরির মধ্য দিয়ে জনগনকে স্থির করা। তা না হলে সেই দৌড় সালাউদ্দীনের দৌড় দিতে হতে পারে স্বয়ং সরকার প্রধানেরও। কেননা, ইতিহাস বলে, রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই; কিছু নেই জনগনের বাইরেও কোন নতুন সম্ভাবনার রাস্তা। যেই রাস্তা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারে রাজনৈতিক মানুষেরা। অতএব, বাংলাদেশকে বাঁচাতে, নিজেরা বাঁচতে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উত্তরণ ঘটাতে হবে; বন্ধ করতে হবে লোডশেডিং; কমাতে হবে বিদ্যুতের দাম…

মোমিন মেহেদী : কলামিস্ট ও আহবায়ক, নতুনধারা বাংলাদেশ(এনডিবি)লোডশেডিং : মনে করিয়ে দেয় দৌড় সালাউদ্দীনের কথা



তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ২২, ২০১৩ বিষয়ব্রেকিং সংবাদ মন্তব্য করুন এই সংবাদটি ১৫ বার পঠিত



SAM_4884kমোমিন মেহেদীঃ আগামী মাস থেকেই লোডশেডিং বাড়বে। এই আশঙ্কাগ্রস্থ এখন পুরো বাংলাদেশ। সাহসের সাথে যখন নতুন প্রজন্ম প্রতয়ের বীজ বুনছে শাহবাগে; তখন নতুন করে হতাশার রাত নিয়ে এগিয়ে আসছে আমাদের দেশের বিদ্যুৎ বিভাগ। শুধু এখানেই শেষ নয়; কোন রকম ভর্তুকি না দিয়ে আমাদেরকে কঠিন সময়ের হাতে ছেড়ে দিয়ে বাড়িয়েছে বিদ্যুতের দামও। যখন জনগনের নূন আনতে পানতা ফুরাবার সময়; তখন সরকার দফায় দফায় বাড়িয়েছে বিদ্যুতের দাম। তার উপর আবার ‘মরার উপর খড়ার ঘা’র মত করে আসছে চরম বিদ্যুৎ সংকটের সময়। প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতি-বিরোধী দলীয় নেত্রী-৩৫০ জন এমপি-প্রায় ৫০০ আমলা-৬০ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং প্রায় ৫০ লাখ কোটিপতি এসি সিস্টেম ঘরে বসবাস করলেও আগামী মাস থেকে সারাদেশে লোডশেডিং বাড়ার যে আশঙ্কা করা হচ্ছে, তাতে সবচে’ ক্ষতিগ্রস্থ হবে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ। ধারনা করছি যে, প্রতিবছর যেমন মার্চ থেকে মে মাসে সেচের কারণে বিদ্যুৎ চাহিদা বাড়ে। বিপরীতে বাড়ে ঘাটতি বা লোডশেডিং। এবছরও সরকার নির্ধারিত চাহিদার বিপরীতে মে মাসে বিদ্যুৎ ঘাটতি বা লোডশেডিং থাকবে প্রায় এক হাজার দুশ’ মেগাওয়াট। পাশাপাশি সরকারের পোষা বিদ্যুৎ বিভাগের দূর্নীতিবাজ মন্ত্রী-এমপি-আমলা এবং কর্মকর্তা-কর্মচারিদের দেয়া দূর্ভোগতো রয়েছেই। বিদ্যুৎ বিভাগের একটি তথ্য থেকে জানা যায়, চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিল-মে মাসে সরকার বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা নির্ধারণ করেছে যথাক্রমে ছয় হাজার ৫শ’ ৮০ মেগাওয়াট, সাত হাজার ৫শ’ ২০ মেগাওয়াট এবং সাত হাজর ৬শ’ ৮০ মেগাওয়াট। সরকারের হিসাব অনুযায়ী চাহিদার বিপরীতে পর্যায়ক্রমে তিন মাসে উৎপাদন হবে ছয় হাজার ২৫০ মেগাওয়াট, ছয় হাজার ৬শ’ মেগাওয়াট, ছয় হাজার ৪শ’ ৮০ মেগাওয়াট এবং লোডশের্ডিং থাকবে পর্যাক্রমে ৩শ’ ৩০ মেগাওয়াট, ৯শ’ ২০ মেগাওয়াট এবং এক হাজার ২শ’ মেগাওয়াট। অন্যদিকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এনামুল হক সংসদে জানান, দেশে বর্তমানে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ চাহিদা প্রায় ৫ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট। প্রকৃত উৎপাদন ৫ হাজার থেকে ৫ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। চাহিদার তুলনায় বর্তমানে প্রায় ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি রয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর ২০০৯ থেকে ২০১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫০০ মিলিয়ন গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে। তথাপি, ক্রমবর্ধমান চাহিদার বিপরীতে এখনও দেশে প্রায় ৪৮০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ঘাটতি রয়েছে। এদিকে সেচ ও গ্রীষ্ম মৌসুমে অতিরিক্ত বিদ্যুতের কথা বিবেচনা করে সেচে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট বিতরণ সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এ সময় সেচে বিদ্যুৎ সুবিধা দিতে লোডম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে শহরের বিদ্যুৎ গ্রামে সরবরাহ করা হয়।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) বাড়তি বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য চলতি মাসে প্রতিদিন ৮শ’ ৩০ মিলিয়ন ঘনফুট এবং মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত প্রতিদিন এক হাজার ১শ’ ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস চেয়েছে। কিন্তু পেট্রোবাংলার পক্ষে এই পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে না বলে জানানো হয়েছে। পেট্রোবাংলা সর্বোচ্চ এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করতে পারে বলে জানিয়েছে। ফলে ঘাটতি থাকবে প্রায় ১শ’ ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।

এ বিষয়ে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুর সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন যে, পিডিবির চাহিদানুযায়ী গ্যাস সরবরাহে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করব। বর্তমানে বিদ্যুৎ খাতে প্রতিদিন ৭৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। গত বছর সার কারখানা বন্ধ করে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৯৫০ মিলিয়ন ঘনফুট করে সরবরাহ করা হয়েছিল। এ বছরও সরকার সেই পদক্ষেপ নিলে হয়তো ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট পর্যন্ত সরবরাহ বাড়ানো যাবে। এক্ষেত্রে বলা যায়, দেশে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা থাকলেও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ত্রুটি, জ্বালানি তেল ও গ্যাস সংকটের কারণে পুরোপুরি উৎপাদন করতে পারে না পিডিবি। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে গত বছর ৪ আগস্ট। এদিনর্ স্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ৬ হাজার ৩৫০ মেগাওয়াট। যদিও সেটা কয়েক ঘণ্টার জন্য। এরপর গড়ে সাড়ে চার থেকে ৫ হাজার মেগাওয়াটের মধ্যে বিদ্যুৎতের উৎপাদন সীমাবদ্ধ ছিল। সেই সীমা অতিক্রম করার পর ইচ্ছে করলেই সরকার পারে আরো অগ্রসর হতে। সে ক্ষেত্রে কিছু বিষয় বুদ্ধিমানের মত মোকাবেলা করতে হবে। আর তা হলো কয়লা পুড়িয়ে যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পক্রিয়া আগে শুরু করেছিলো; সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। বাংলাদেশ সাহসের দেশ-শক্তির দেশ; সে দেশে ব্যাতিক্রম করে ভাবনার মধ্যদিয়ে যতটা সম্ভব ভালোভাবে দেশ ও মানুষের মঙ্গলে নিয়োজিত হতে হবে। তা না হলে বাংলাদেশের মানুষ সচেতনতার যে উদাহরণ দিচ্ছে তাতে আগামীতে আওয়ামী লীগ-বিএনপি বা বঙ্গবন্ধুর মেয়ে-শহীদ জিয়ার স্ত্রী বলে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ হয়ে যাবে।

বরাবরের মত তরুণ প্রজন্ম আর আলসে হয়ে বসেনি। তারা রাজপথ দখল করে রেখেছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে। তরুণ-নতুন যেভাবে জেগেছে, সেভাবে বাংলাদেশের প্রতিটি স্তরে যদি একবার জেগে ওঠে সরকারের বিরুদ্ধে; তাহলে কপালে শুধু দূর্ভোগ-ই নয়; মহা দূর্ভোগ নেমে আসবে। কথাগুলো একারনে বললাম যে, জনগনকে এখনো খেলার পুতুল ভাবছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা। তাঁর এই ভাবনা থেকে সরে আসাটা এখন খুবই প্রয়োজন। প্রয়োজন নতুন প্রজন্মের এই দেশে সবচেয়ে আগে বিদ্যুৎ-গ্যাসসহ সকল প্রয়েজনীয় দ্রব্যমূল্যের স্থায়িত্ব তৈরির মধ্য দিয়ে জনগনকে স্থির করা। তা না হলে সেই দৌড় সালাউদ্দীনের দৌড় দিতে হতে পারে স্বয়ং সরকার প্রধানেরও। কেননা, ইতিহাস বলে, রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই; কিছু নেই জনগনের বাইরেও কোন নতুন সম্ভাবনার রাস্তা। যেই রাস্তা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারে রাজনৈতিক মানুষেরা। অতএব, বাংলাদেশকে বাঁচাতে, নিজেরা বাঁচতে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উত্তরণ ঘটাতে হবে; বন্ধ করতে হবে লোডশেডিং; কমাতে হবে বিদ্যুতের দাম…

মোমিন মেহেদী : কলামিস্ট ও আহবায়ক, নতুনধারা বাংলাদেশ(এনডিবি)লোডশেডিং : মনে করিয়ে দেয় দৌড় সালাউদ্দীনের কথা



তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ২২, ২০১৩ বিষয়ব্রেকিং সংবাদ মন্তব্য করুন এই সংবাদটি ১৫ বার পঠিত



SAM_4884kমোমিন মেহেদীঃ আগামী মাস থেকেই লোডশেডিং বাড়বে। এই আশঙ্কাগ্রস্থ এখন পুরো বাংলাদেশ। সাহসের সাথে যখন নতুন প্রজন্ম প্রতয়ের বীজ বুনছে শাহবাগে; তখন নতুন করে হতাশার রাত নিয়ে এগিয়ে আসছে আমাদের দেশের বিদ্যুৎ বিভাগ। শুধু এখানেই শেষ নয়; কোন রকম ভর্তুকি না দিয়ে আমাদেরকে কঠিন সময়ের হাতে ছেড়ে দিয়ে বাড়িয়েছে বিদ্যুতের দামও। যখন জনগনের নূন আনতে পানতা ফুরাবার সময়; তখন সরকার দফায় দফায় বাড়িয়েছে বিদ্যুতের দাম। তার উপর আবার ‘মরার উপর খড়ার ঘা’র মত করে আসছে চরম বিদ্যুৎ সংকটের সময়। প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতি-বিরোধী দলীয় নেত্রী-৩৫০ জন এমপি-প্রায় ৫০০ আমলা-৬০ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং প্রায় ৫০ লাখ কোটিপতি এসি সিস্টেম ঘরে বসবাস করলেও আগামী মাস থেকে সারাদেশে লোডশেডিং বাড়ার যে আশঙ্কা করা হচ্ছে, তাতে সবচে’ ক্ষতিগ্রস্থ হবে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ। ধারনা করছি যে, প্রতিবছর যেমন মার্চ থেকে মে মাসে সেচের কারণে বিদ্যুৎ চাহিদা বাড়ে। বিপরীতে বাড়ে ঘাটতি বা লোডশেডিং। এবছরও সরকার নির্ধারিত চাহিদার বিপরীতে মে মাসে বিদ্যুৎ ঘাটতি বা লোডশেডিং থাকবে প্রায় এক হাজার দুশ’ মেগাওয়াট। পাশাপাশি সরকারের পোষা বিদ্যুৎ বিভাগের দূর্নীতিবাজ মন্ত্রী-এমপি-আমলা এবং কর্মকর্তা-কর্মচারিদের দেয়া দূর্ভোগতো রয়েছেই। বিদ্যুৎ বিভাগের একটি তথ্য থেকে জানা যায়, চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিল-মে মাসে সরকার বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা নির্ধারণ করেছে যথাক্রমে ছয় হাজার ৫শ’ ৮০ মেগাওয়াট, সাত হাজার ৫শ’ ২০ মেগাওয়াট এবং সাত হাজর ৬শ’ ৮০ মেগাওয়াট। সরকারের হিসাব অনুযায়ী চাহিদার বিপরীতে পর্যায়ক্রমে তিন মাসে উৎপাদন হবে ছয় হাজার ২৫০ মেগাওয়াট, ছয় হাজার ৬শ’ মেগাওয়াট, ছয় হাজার ৪শ’ ৮০ মেগাওয়াট এবং লোডশের্ডিং থাকবে পর্যাক্রমে ৩শ’ ৩০ মেগাওয়াট, ৯শ’ ২০ মেগাওয়াট এবং এক হাজার ২শ’ মেগাওয়াট। অন্যদিকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এনামুল হক সংসদে জানান, দেশে বর্তমানে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ চাহিদা প্রায় ৫ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট। প্রকৃত উৎপাদন ৫ হাজার থেকে ৫ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। চাহিদার তুলনায় বর্তমানে প্রায় ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি রয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর ২০০৯ থেকে ২০১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫০০ মিলিয়ন গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে। তথাপি, ক্রমবর্ধমান চাহিদার বিপরীতে এখনও দেশে প্রায় ৪৮০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ঘাটতি রয়েছে। এদিকে সেচ ও গ্রীষ্ম মৌসুমে অতিরিক্ত বিদ্যুতের কথা বিবেচনা করে সেচে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট বিতরণ সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এ সময় সেচে বিদ্যুৎ সুবিধা দিতে লোডম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে শহরের বিদ্যুৎ গ্রামে সরবরাহ করা হয়।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) বাড়তি বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য চলতি মাসে প্রতিদিন ৮শ’ ৩০ মিলিয়ন ঘনফুট এবং মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত প্রতিদিন এক হাজার ১শ’ ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস চেয়েছে। কিন্তু পেট্রোবাংলার পক্ষে এই পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে না বলে জানানো হয়েছে। পেট্রোবাংলা সর্বোচ্চ এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করতে পারে বলে জানিয়েছে। ফলে ঘাটতি থাকবে প্রায় ১শ’ ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।

এ বিষয়ে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুর সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন যে, পিডিবির চাহিদানুযায়ী গ্যাস সরবরাহে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করব। বর্তমানে বিদ্যুৎ খাতে প্রতিদিন ৭৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। গত বছর সার কারখানা বন্ধ করে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৯৫০ মিলিয়ন ঘনফুট করে সরবরাহ করা হয়েছিল। এ বছরও সরকার সেই পদক্ষেপ নিলে হয়তো ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট পর্যন্ত সরবরাহ বাড়ানো যাবে। এক্ষেত্রে বলা যায়, দেশে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা থাকলেও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ত্রুটি, জ্বালানি তেল ও গ্যাস সংকটের কারণে পুরোপুরি উৎপাদন করতে পারে না পিডিবি। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে গত বছর ৪ আগস্ট। এদিনর্ স্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ৬ হাজার ৩৫০ মেগাওয়াট। যদিও সেটা কয়েক ঘণ্টার জন্য। এরপর গড়ে সাড়ে চার থেকে ৫ হাজার মেগাওয়াটের মধ্যে বিদ্যুৎতের উৎপাদন সীমাবদ্ধ ছিল। সেই সীমা অতিক্রম করার পর ইচ্ছে করলেই সরকার পারে আরো অগ্রসর হতে। সে ক্ষেত্রে কিছু বিষয় বুদ্ধিমানের মত মোকাবেলা করতে হবে। আর তা হলো কয়লা পুড়িয়ে যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পক্রিয়া আগে শুরু করেছিলো; সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। বাংলাদেশ সাহসের দেশ-শক্তির দেশ; সে দেশে ব্যাতিক্রম করে ভাবনার মধ্যদিয়ে যতটা সম্ভব ভালোভাবে দেশ ও মানুষের মঙ্গলে নিয়োজিত হতে হবে। তা না হলে বাংলাদেশের মানুষ সচেতনতার যে উদাহরণ দিচ্ছে তাতে আগামীতে আওয়ামী লীগ-বিএনপি বা বঙ্গবন্ধুর মেয়ে-শহীদ জিয়ার স্ত্রী বলে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ হয়ে যাবে।

বরাবরের মত তরুণ প্রজন্ম আর আলসে হয়ে বসেনি। তারা রাজপথ দখল করে রেখেছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে। তরুণ-নতুন যেভাবে জেগেছে, সেভাবে বাংলাদেশের প্রতিটি স্তরে যদি একবার জেগে ওঠে সরকারের বিরুদ্ধে; তাহলে কপালে শুধু দূর্ভোগ-ই নয়; মহা দূর্ভোগ নেমে আসবে। কথাগুলো একারনে বললাম যে, জনগনকে এখনো খেলার পুতুল ভাবছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা। তাঁর এই ভাবনা থেকে সরে আসাটা এখন খুবই প্রয়োজন। প্রয়োজন নতুন প্রজন্মের এই দেশে সবচেয়ে আগে বিদ্যুৎ-গ্যাসসহ সকল প্রয়েজনীয় দ্রব্যমূল্যের স্থায়িত্ব তৈরির মধ্য দিয়ে জনগনকে স্থির করা। তা না হলে সেই দৌড় সালাউদ্দীনের দৌড় দিতে হতে পারে স্বয়ং সরকার প্রধানেরও। কেননা, ইতিহাস বলে, রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই; কিছু নেই জনগনের বাইরেও কোন নতুন সম্ভাবনার রাস্তা। যেই রাস্তা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারে রাজনৈতিক মানুষেরা। অতএব, বাংলাদেশকে বাঁচাতে, নিজেরা বাঁচতে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উত্তরণ ঘটাতে হবে; বন্ধ করতে হবে লোডশেডিং; কমাতে হবে বিদ্যুতের দাম…

মোমিন মেহেদী : কলামিস্ট ও আহবায়ক, নতুনধারা বাংলাদেশ(এনডিবি)লোডশেডিং : মনে করিয়ে দেয় দৌড় সালাউদ্দীনের কথা



তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ২২, ২০১৩ বিষয়ব্রেকিং সংবাদ মন্তব্য করুন এই সংবাদটি ১৫ বার পঠিত



SAM_4884kমোমিন মেহেদীঃ আগামী মাস থেকেই লোডশেডিং বাড়বে। এই আশঙ্কাগ্রস্থ এখন পুরো বাংলাদেশ। সাহসের সাথে যখন নতুন প্রজন্ম প্রতয়ের বীজ বুনছে শাহবাগে; তখন নতুন করে হতাশার রাত নিয়ে এগিয়ে আসছে আমাদের দেশের বিদ্যুৎ বিভাগ। শুধু এখানেই শেষ নয়; কোন রকম ভর্তুকি না দিয়ে আমাদেরকে কঠিন সময়ের হাতে ছেড়ে দিয়ে বাড়িয়েছে বিদ্যুতের দামও। যখন জনগনের নূন আনতে পানতা ফুরাবার সময়; তখন সরকার দফায় দফায় বাড়িয়েছে বিদ্যুতের দাম। তার উপর আবার ‘মরার উপর খড়ার ঘা’র মত করে আসছে চরম বিদ্যুৎ সংকটের সময়। প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতি-বিরোধী দলীয় নেত্রী-৩৫০ জন এমপি-প্রায় ৫০০ আমলা-৬০ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং প্রায় ৫০ লাখ কোটিপতি এসি সিস্টেম ঘরে বসবাস করলেও আগামী মাস থেকে সারাদেশে লোডশেডিং বাড়ার যে আশঙ্কা করা হচ্ছে, তাতে সবচে’ ক্ষতিগ্রস্থ হবে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ। ধারনা করছি যে, প্রতিবছর যেমন মার্চ থেকে মে মাসে সেচের কারণে বিদ্যুৎ চাহিদা বাড়ে। বিপরীতে বাড়ে ঘাটতি বা লোডশেডিং। এবছরও সরকার নির্ধারিত চাহিদার বিপরীতে মে মাসে বিদ্যুৎ ঘাটতি বা লোডশেডিং থাকবে প্রায় এক হাজার দুশ’ মেগাওয়াট। পাশাপাশি সরকারের পোষা বিদ্যুৎ বিভাগের দূর্নীতিবাজ মন্ত্রী-এমপি-আমলা এবং কর্মকর্তা-কর্মচারিদের দেয়া দূর্ভোগতো রয়েছেই। বিদ্যুৎ বিভাগের একটি তথ্য থেকে জানা যায়, চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিল-মে মাসে সরকার বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা নির্ধারণ করেছে যথাক্রমে ছয় হাজার ৫শ’ ৮০ মেগাওয়াট, সাত হাজার ৫শ’ ২০ মেগাওয়াট এবং সাত হাজর ৬শ’ ৮০ মেগাওয়াট। সরকারের হিসাব অনুযায়ী চাহিদার বিপরীতে পর্যায়ক্রমে তিন মাসে উৎপাদন হবে ছয় হাজার ২৫০ মেগাওয়াট, ছয় হাজার ৬শ’ মেগাওয়াট, ছয় হাজার ৪শ’ ৮০ মেগাওয়াট এবং লোডশের্ডিং থাকবে পর্যাক্রমে ৩শ’ ৩০ মেগাওয়াট, ৯শ’ ২০ মেগাওয়াট এবং এক হাজার ২শ’ মেগাওয়াট। অন্যদিকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এনামুল হক সংসদে জানান, দেশে বর্তমানে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ চাহিদা প্রায় ৫ হাজার ৭০০ মেগাওয়াট। প্রকৃত উৎপাদন ৫ হাজার থেকে ৫ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। চাহিদার তুলনায় বর্তমানে প্রায় ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি রয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর ২০০৯ থেকে ২০১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫০০ মিলিয়ন গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে। তথাপি, ক্রমবর্ধমান চাহিদার বিপরীতে এখনও দেশে প্রায় ৪৮০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ঘাটতি রয়েছে। এদিকে সেচ ও গ্রীষ্ম মৌসুমে অতিরিক্ত বিদ্যুতের কথা বিবেচনা করে সেচে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট বিতরণ সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এ সময় সেচে বিদ্যুৎ সুবিধা দিতে লোডম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে শহরের বিদ্যুৎ গ্রামে সরবরাহ করা হয়।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) বাড়তি বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য চলতি মাসে প্রতিদিন ৮শ’ ৩০ মিলিয়ন ঘনফুট এবং মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত প্রতিদিন এক হাজার ১শ’ ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস চেয়েছে। কিন্তু পেট্রোবাংলার পক্ষে এই পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে না বলে জানানো হয়েছে। পেট্রোবাংলা সর্বোচ্চ এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করতে পারে বলে জানিয়েছে। ফলে ঘাটতি থাকবে প্রায় ১শ’ ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।

এ বিষয়ে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুর সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন যে, পিডিবির চাহিদানুযায়ী গ্যাস সরবরাহে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করব। বর্তমানে বিদ্যুৎ খাতে প্রতিদিন ৭৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। গত বছর সার কারখানা বন্ধ করে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৯৫০ মিলিয়ন ঘনফুট করে সরবরাহ করা হয়েছিল। এ বছরও সরকার সেই পদক্ষেপ নিলে হয়তো ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট পর্যন্ত সরবরাহ বাড়ানো যাবে। এক্ষেত্রে বলা যায়, দেশে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা থাকলেও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ত্রুটি, জ্বালানি তেল ও গ্যাস সংকটের কারণে পুরোপুরি উৎপাদন করতে পারে না পিডিবি। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে গত বছর ৪ আগস্ট। এদিনর্ স্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ৬ হাজার ৩৫০ মেগাওয়াট। যদিও সেটা কয়েক ঘণ্টার জন্য। এরপর গড়ে সাড়ে চার থেকে ৫ হাজার মেগাওয়াটের মধ্যে বিদ্যুৎতের উৎপাদন সীমাবদ্ধ ছিল। সেই সীমা অতিক্রম করার পর ইচ্ছে করলেই সরকার পারে আরো অগ্রসর হতে। সে ক্ষেত্রে কিছু বিষয় বুদ্ধিমানের মত মোকাবেলা করতে হবে। আর তা হলো কয়লা পুড়িয়ে যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পক্রিয়া আগে শুরু করেছিলো; সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। বাংলাদেশ সাহসের দেশ-শক্তির দেশ; সে দেশে ব্যাতিক্রম করে ভাবনার মধ্যদিয়ে যতটা সম্ভব ভালোভাবে দেশ ও মানুষের মঙ্গলে নিয়োজিত হতে হবে। তা না হলে বাংলাদেশের মানুষ সচেতনতার যে উদাহরণ দিচ্ছে তাতে আগামীতে আওয়ামী লীগ-বিএনপি বা বঙ্গবন্ধুর মেয়ে-শহীদ জিয়ার স্ত্রী বলে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ হয়ে যাবে।

বরাবরের মত তরুণ প্রজন্ম আর আলসে হয়ে বসেনি। তারা রাজপথ দখল করে রেখেছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে। তরুণ-নতুন যেভাবে জেগেছে, সেভাবে বাংলাদেশের প্রতিটি স্তরে যদি একবার জেগে ওঠে সরকারের বিরুদ্ধে; তাহলে কপালে শুধু দূর্ভোগ-ই নয়; মহা দূর্ভোগ নেমে আসবে। কথাগুলো একারনে বললাম যে, জনগনকে এখনো খেলার পুতুল ভাবছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা। তাঁর এই ভাবনা থেকে সরে আসাটা এখন খুবই প্রয়োজন। প্রয়োজন নতুন প্রজন্মের এই দেশে সবচেয়ে আগে বিদ্যুৎ-গ্যাসসহ সকল প্রয়েজনীয় দ্রব্যমূল্যের স্থায়িত্ব তৈরির মধ্য দিয়ে জনগনকে স্থির করা। তা না হলে সেই দৌড় সালাউদ্দীনের দৌড় দিতে হতে পারে স্বয়ং সরকার প্রধানেরও। কেননা, ইতিহাস বলে, রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই; কিছু নেই জনগনের বাইরেও কোন নতুন সম্ভাবনার রাস্তা। যেই রাস্তা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারে রাজনৈতিক মানুষেরা। অতএব, বাংলাদেশকে বাঁচাতে, নিজেরা বাঁচতে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উত্তরণ ঘটাতে হবে; বন্ধ করতে হবে লোডশেডিং; কমাতে হবে বিদ্যুতের দাম…

মোমিন মেহেদী : কলামিস্ট ও আহবায়ক, নতুনধারা বাংলাদেশ(এনডিবি)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.