![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
’আলু বেচ ছোলা বেচ বেচ বাকরখানি
বেচ না বেচ না বন্ধু তোমার চোখের মনি’
ছিঃ তুইও! তুইও নামলি এই বেচাবেচিতে?
আমার দিকে কটমট করে তাকিয়ে থাকা আমার প্রথম কবিতার বইয়ের মলাটের আমারই ছবি; ঘৃণায় অপমানে ভ্রু কুঁচকাতে থাকে।
অনেকের গল্প শুনেছিলাম চারুকলায় ভর্তি হয়ে পেটের জ্বালায় শেষমেষ সাইনবোর্ড ব্যানারের দোকান দিয়ে বসে। অথবা ছড়া লিখতে লিখতে এক সময় পুলিশের ডায়েরি কিংবা দলিল লেখার কাজ শুরু করে। কিন্তু আমার জ্বালা তো তেমন প্রকট ছিলো না। এতো নির্লজ্জও তো আমি ছিলাম না। মাথাটা বেচতে বেচতে ভাবি ঠিক জায়গায় ওটা বেচা হলো কী না! তারপর মগজের প্রতিটি কোষ জপমালা নিয়ে করতে থাকে মনিবের দালালি। কোম্পানির বিলবোর্ডগুলোকে মনে হতে থাকে পিকাসোর আঁকা গুয়ের্নিকা। আমার চোখ এখোন চোখের দাম হাঁকে; হাত বুঝে নেয় হাতের দাম, মগজ খুঁজে ফিরে মগজের মোক্ষম বাজার দর। পা দু’টো বাজারের দিকে এগুতে থাকে। রক্তের ভিতর পয়সার উত্তেজনা ছাড়া কোনো হৃদপিণ্ড নেই। পে-স্লিপ ছাড়া কোনো চিঠি এখোন আর ভালো লাগে না। আমি জানি আমার মাথা পঁচে গেছে, আমার চোখ পঁচে গেছে, আমার হাত পা মুখ যৌনাঙ্গ সবই পঁচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে বাতাসে বাতাসে। তবু নেশাতুরের মতোন আমি দাম হাঁকি আমার সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গের। আর প্রতিদিন হাটবারের ক্লান্তি নিয়ে আমি ঘুমাতে যাই আমার অভিশপ্ত বিছানায়। তখোন উই পোকার মতোন কুটকুট শব্দ কাটে একটা কন্ঠ। এক সময় যাকে আমি প্রতুল মুখোপাধ্যায় বলে জানতাম।
©somewhere in net ltd.