নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অথৈ স্বপ্নপাপ

কবিতা ছাড়া অন্য কোনো পাপ পুষি না পরাণে

মমিন মানব

কবিতা ছাড়া আমার কোনো পাপ নাই

মমিন মানব › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৯৭১

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫

১৯৭১ এ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের কথা সবারই জানা। কিন্তু সবার জানা এক নয়। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ যেমন জামাত কথিত ভারত কিংবা হিন্দুদের স্বরযন্ত্র ছিলো না, তেমনি এটা শুধু আওয়ামীলীগারদেরও ছিলো না। এটা ছিলো জনযুদ্ধ। ছাত্র-শিক্ষক-শ্রমিক-কৃষক-মাঝি-জেলে নারী-পুরুষ সবাই এই জনযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন দেশকে পাকিস্থানি দুঃশাষণ থেকে মুক্তি করার জন্যে। আবার এই যুদ্ধ শুধু বাঙালিরও ছিলো না; গারো, হাজং, মারমা সহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠিও এই জনযুদ্ধে বীরের মতোন লড়াই করেছেন পাক-হানাদারদের বিরুদ্ধে।



ধর্মকে পুঁজি করে পাকিস্থানের জন্ম। উপমহাদেশের প্রধান দুই দল ছিলো কংগ্রেস ও মুসলিমলীগ। মুলতঃ কংগ্রেস থেকে কিছু সুবিধাবাদি নেতা যারা সেখানে নিজেদের ক্ষমতা বা পদ নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলো না, তারা তাদের ক্ষমতা ও পদের লোভে মুসলিমলীগ গঠন করে। কিন্তু কংগ্রেসেও যে মুসলমানরা ছিলো না, তা নয়। সেখানেও মুসলমানরা বড় বড় পদে ছিলো। এবং বৃটিশের প্ররোচনায় দ্বিজাতীতত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিস্থান রাষ্ট্রের জন্ম হলো। একটা কথা বলে রাখা দরকার, কংগ্রেস ও মুসলিমলীগের অনেক নেতাই বৃটিশ সরকারের দালালী করে তাদের ফায়দা লুটতো। এবং ১৯৪৫ এর রূপরেখায় পাকিস্থান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে সেখানে পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগালো হলো। যেখানে বাংলার বুকে হিন্দু-মুসলমানের রক্ত ও পাঞ্জাবের বুকে শিখ-মুসলমানের রক্ত দিয়ে হিন্দুদের কে সংখ্যা লঘু হিসেবে তৈরি করা হলো এবং পাকিস্থান রাষ্ট্রের অভ্যুদয় হলো।



পাকিস্থান রাষ্ট্র ছিলো এই উপমহাদেশের একটি ক্ষত, যেটা পাকিস্থান রাষ্ট্রের পাক্ষে আন্দোলনকারি বাঙালিরা অচিরেই বুঝতে পারলেন। হাজার হাজার মাইল দূরের এবং সম্পূর্ণ ভিন্ন ধারার সাংস্কৃতিক-সামাজিক-ঐতিহ্যগত বৈশিষ্ট্য নিয়ে পূর্ব পাকিস্থান ও পশ্চিম পাকিস্থান মিলে একটি রাষ্ট্রের জন্ম হলো। বাংলার মানুষ তাদের তাদের ভূখণ্ডের নাম পূর্ব বাংলা হিসেবে চিহ্নিত করতো। শুধু রাষ্ট্রিভাবে পূর্ব পাকিস্থান নাম দেয়া হয়। পশ্চিম পাকিস্থানিদের বিষম্যমূলক আচরণে বাংলার মানুষ অতিষ্ঠ হতে থাকে। ১৯৪৮সালেই পশ্চিম পকিস্থানের ভাষা উর্দুকে পূর্ব পাকিস্থানের বাঙালিদের উপর চাপিয়ে দেয়ার পরিকল্পনার প্রতি বাঙালিরা ফুসলে উঠতে থাকে। ১৯৫২ সালে সেই চাপা দেয়া আগুন পুড়ে ছাড়খাড় করে পাকিস্থান রাষ্ট্রের অখণ্ডতার ভবিষ্যত। একে একে বাংলার মানুষ পশ্চিম পাকিস্থানিদের সামাজিক-রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক বৈষম্যের প্রতি প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠে।

এক সময় পূর্ব পাকিস্থান তথা বাংলাদেশের স্বাধীনতার (তখন শুধু স্বাধিকার আন্দোলনের মাধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলো) সূচনা হয়। ১৯৬৯ এর গণ অভ্যুত্থান বাঙালিদের সাহসকে আরও শত গুণ বাড়িয়ে দেয়। এবং ১৯৭০ এর নির্বাচনে যুক্তফ্রটের বিপুল ভোটে জয় লাভ পাকিস্থানি শাষক ও এদের দোসররা মেনে নেয়নি। বাঙালিরাও মেনে নেয়নি পশ্চিম পাকিস্থানের চাপিয়ে দেয়া সিদ্ধান্ত। তাইতো ১৯৭১ এর ৭ মার্চে যুক্তফ্রন্টের প্রধান দল আওয়ামীলীগের প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান দলের পক্ষ থেকে স্বাধীনতার ডাক দেয়ার সিদ্ধান্ত না-থাকলেও জনগণের চাপে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। ২৫ মার্চ রাতে পাক-হানাদার বাহিনী নির্বিচারে বাঙালিদের হত্যা করলে শুরু হয়ে যায় প্রতিরোধ যুদ্ধ, যা জনযুদ্ধ হিসেবে রূপ নেয়। বাঙলি জাতিয়তাবাদ, ধর্ম নিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্রের

(অসমাপ্ত)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.