নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পাহাড়ের প্রতিধ্বনী

মমতাজ-কলি

ভাল করে বাঁচতে চাই

মমতাজ-কলি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বান্দরবানে সাংবাদিকের এমপি প্রার্থী হওয়ার ঘোষণায় তোলপাড়!

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৮

*“বান্দরবান সংসদীয় আসন থেকে একজন সাংবাদিকের এমপি প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেওয়াটায় যেন কতিপয় সংবাদকর্মীর কাছে ‘মহাঅপরাধ’ হয়ে গেছে। গত ক’দিন ধরে স্যোসাল মিডিয়া বিশেষ করে ফেসবুকে তাকে নিয়ে সতীর্থ সংবাদিকরাই নানাভাবে হেয়প্রতিপন্ন করে তাচ্ছিল্য-উপহাস-পরিহাস শুরু করেছেন। সাংবাদিক কামরুল মাইটিভির বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি এবং আলীকদম প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি”।*



আমরা যদি গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থাকে বিশ্বাস এবং অন্তরে লালন করি তবে সাংবাদিক কামরুলের প্রার্থী হওয়া মোটেই বিচিত্র নয়। সংবাদকর্মীদের দলীয় সমর্থন কিংবা দলীয় পদ-পদবীর আলাদা পরিচিতি থাকতে পারে। কিন্তু কারো মাঝে ‘দলীয় দাস’ মনোবৃত্তি থাকা শুভনীয় নয়। সাংবাদিক কামরুল ভাইকে হেয়-অপদস্ত-ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করার মানসিকতা করার অর্থ দলীয় দাস মনোবৃত্তির পরিচয় নয় কি?



চ্যানেল২৪ এর বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি ফরিদুল আলম সুমন ভাই তাঁর ফেসবুক স্টাটাসে যথার্থই বলেছেন :: “কামরুজ্জামান (Mahammad Kamruzaman) এর সংসদ সদস্য হবার মত জনপ্রিয়তা, সংসদ সদস্য হিসেবে যথাযথ ভূমিকা রাখার যোগ্যতা, জনকল্যাণে উল্লেখযোগ্য কোনো ভূমিকা তাঁর আছে কী না- এসব নিয়ে প্রশ্ন তোলা যেতে পারে। কিন্তু আমি মনে করি, দেশের প্রতিটি নাগরিকের যে কোনো নির্বাচনে প্রার্থী হবার অধিকার আছে। তাঁকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করা যাবে কী না সেটা জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।

* কেউ প্রার্থী হবার সাথে সাথে তাঁকে নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করা মোটেও সভ্য আচরণ নয়।*

বহু দলের, বহু মতের, বহু বর্ণের প্রার্থী থাকলেই জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থী বেছে নেবার সুযোগ পাবে।

নির্ধারিত দু’টি, তিনটি অথবা চারটি দলের বাইরে আমরা যে অন্য কোনো প্রার্থীকে প্রতিযোগিতা করারও সুযোগ দিতে নারাজ- এটাই আমাদের প্রথাগত ’ক্রীতদাস’ মানসিকতার পরিচায়ক।

এই ’ক্রীতদাস’ মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারা পর্যন্ত আমরা সুশাসন পাবার যোগ্য হয়ে উঠবোনা।”



** ব্যক্তি কামরুলের সাথে আমার দীর্ঘ ১৫ বৎসরের অধিককাল সহকর্মি হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত থাকার সুযোগ হয়েছে। তাঁকে আমার বান্দরবান জেলার অনেক সাংবাদিকের চেয়ে কাছ থেকে দেখার ও জানা-শুনার সুযোগ হয়েছে। আলীকদম প্রেসক্লাবে ২০০০-২০১১ সাল পর্যন্ত তিনি সভাপতি ও আমি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। একজন সহকর্মী হিসেবে তাঁর মধ্যে নেতৃত্বসূলভ আচরণ ও গুণাবলী রয়েছে বলে অন্তত আমি নিশ্চিত করতে পারি। **



তাই সকল সতীর্থ সাংবাদিক ভাইদের প্রতি চ্যানেল২৪ প্রতিনিধি সাংবাদিক ফরিদ ভাইয়ের কথায় মিল রেখে বলবো “ কেউ প্রার্থী হবার সাথে সাথে তাঁকে নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করা মোটেও সভ্য আচরণ নয়”।



সাংবাদিকদের আমরা জাতির বিবেক হিসেবে জানি। সুতরাং জাতির বিবেকের কাছ থেকে এমন স্বজাতি-বিদ্বেষী আচরণ সুখকর ও কাম্য হতে পারে না। বান্দরবান জেলায় একজন সংবাদকর্মী এমপি হওয়ার মতো শক্তি-সাহস সঞ্চয় করেছে। এতে একজন সামান্য সংবাদকর্মী হিসেবে আমি গর্ববোধ করতেই পারি। যদিও আমার ভোটটি কোথায় প্রয়োগ করবো সে অধিকার একান্তই আমার। আমরা সংবাদকর্মী হয়ে কেনো অপর সংবাদকর্মীকে হেয়জ্ঞান করবো। কেনো নিজেকে আষ্টেপিষ্টে বন্ধি করে দলীয় কৃতদাসের মতো আচরণ করবো?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.