![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাত্র ৮৫ জন ধনকুবেরাই সারা বিশ্বের অর্ধেক ধন-সম্পদের মালিক। সুইজারল্যান্ডের ড্যাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সভায় আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা অক্সফাম প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণায় এই তথ্য বেরিয়ে আসে।
২১ শে জানুয়ারী সন্ধায়, অধ্যাপক ক্লাউস সোয়াব, প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী চেয়ারম্যান, বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ৪৪ তম বার্ষিক সভা উদ্ভোধন করেছেন। ২২ থেকে ২৫ সে জানুয়ারী অব্দী এই বিশ্ব ফোরামে বিশ্ব নেতাদের উপস্থিতি এই বিশ্বকে আলোকিত করবে, চমত্কৃত করবে, কিন্তু আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা অক্সফাম এর রিপোর্ট টি হয়ত বিশ্ব নেতাদের নজরেও পড়বে না।
"কিন্তু ভেবেদেখুন এই ৮৫ জনের ক্ষুদ্রতম জনগোষ্ঠী, যারা সবাই মাত্র একটি ডবলডেকার বাসের যাত্রী হতে পারতেন তারাই পৃথিবীর অর্ধেক ধন-সম্পদের মালিক, কি অবাক পৃথিবী" বললেন অক্সফাম এর এক্সিকুটিভ ডিরেক্টর উইনি ব্যান্যিমা।
এই ৮৫ জনের হাতেই রয়েছে ১১০ ট্রিলিয়ান ডলারের ধন-সম্পদ অথবা পৃথিবীর দরিদ্রতম ৩.৫ বিলিয়ন মানুষের মোট আয়ের ৬৫ গুন বেশি ধন-সম্পদ রয়েছে এই ৮৫ জনের হাতে।
অক্সফাম এর গবেষণায় আরো প্রকাশ পায় যে এই অর্থনৈতিক বৈসম্মতা কোনো কাকতালীয় ঘটনা নয়, এটি একটি পরিকল্পিত অর্থনৈতিক "ক্ষমতা দখল" ব্যবস্থা যেটি নিয়ম তান্ত্রিক ভাবে রাজনৈতিক প্রক্রিয়াতেই বিগত ৩ দশকে সম্ভব হয়েছে, অর্থাৎ রাজনৈতিক ক্ষমতাসীন বেক্তিরাই তাদের নিজেদের স্বার্থে এই ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠিকে অতি কৌশলে লালন করেছে।
উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলির অর্থনৈতিক আয়ের বৈসম্মতা সম্পর্কে অক্সফাম এর গবেষণায় প্রতীয়মান হয় যে গত ৩ দশকে শুধুমাত্র উন্নত দেশগুলিতে যে পরিমান মাথাপ্রতি অর্থনৈতিক আয় বৃদ্ধি পেয়েছে সে পরিমানে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে বৃদ্ধি পায়নি ।
অক্সফাম রিপোর্টের উপসংহারে বলাহয়েছে যে, বর্তমান প্রবণতা অব্যাহত থাকলে, অর্থনৈতিক অসমতা আরো বেশি বাড়বে ও ভারসাম্য হারিয়ে ফেলবে আরো বেশি, অর্থাৎ গরিব জনগোষ্ঠী আরো গরিব হবেন আর বিত্তবানেরা আরো বেশি বিত্তশীল হবেন।
এই অশুভ সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্যে ড্যাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামেকে উদ্দেশ্য করে উন্নয়ন সংস্থা অক্সফাম পরামর্শ দেন যে, সর্বাধিক বিশ্বব্যাপী ঝুঁকি হিসেবে আয়ের বৈষম্যতা চিহ্নিত করে নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে। আজকের বাংলা
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:২৫
মোনাজ হক বলেছেন: পাঠক ১৯৭১: আমার মন্তব্য হলো যে, অক্সফাম প্রতিবেদন মূলত সারা বিশ্ব জুড়ে ক্রমবর্ধমান আয় বৈষম্যতা নিয়ে গবেসনা করেছে, এই গবেষনার ফলাফল থেকে বাংলাদেশের মত একটি উন্নতিশীল দেশের উচিত হবে সমস্থ উন্নতিকামী দেশগুলোর সাথে হাত মিলিয়ে তাদের নিজস্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিকে নজর দেওয়া এবং নিজস্ব বেতন কাঠামো নির্ধারণ করা, তা না হলে আমাদের গার্মেন্ট শ্রমিকদেরকে দিনে ১ ডলারের বেশি পারিশ্রমিক দিতেও উন্নত বিশ্ব কার্পন্য করবে। আর এই আয়-বৈষম্যতার জন্যে আমরা নিজেরাও অনেকাংশে দায়ী। একটি উদাহরণ দিয়ে শেষ করছি: যে গার্মেন্ট শ্রমিক ১ ডলারে একটি জ্যাকেট সেলাই করে সেটি পশ্চিমা বিশ্বে ১০০ ডলারে বিক্রি হয়, এতে শুধুমাত্র পশ্চিমা বিশ্বের ব্যবসায়ীরাই লাভবান হচ্ছে না বরং সেই সব দেশের সরকার ও কমপক্ষে ২০ ডলার ভ্যাট শুল্ক আদায় করছে। অর্থাত এখানে আমরা কি দেখতে পাচ্ছি? যে দেশে জ্যাকেটটি তৈরী হচ্ছে সেই দেশের শ্রমিক+মালিক+সরকার সবাই মিলে যে আয় করছে পশ্চিমা বিশ্বের সরকারী ভ্যাট শুল্কই তার চেয়ে বেশি, ব্যবসায়ী দের লাভের কথা তো বাদই দিলাম।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:১৮
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: আপনার কোন ভাবনা তো যোগ করেননি?
আপনি কি ভাবছেন এ ব্যাপারে?
বাংলাদেশের সম্পদ দখলের ব্যাপারে আপনার কোন ধারণা?