নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোনাজ হক

মোনাজ হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঐতিহাসিক তথ্য বিকৃতি নাকি মানসিক বিকৃতি?

২৯ শে মার্চ, ২০১৪ ভোর ৫:৪৫

হিপথেটিক্যালি বলাযায়, জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের প্রথম প্রেসিডেন্ট ছিলেন ১৯৪৭ সনে, কারণ সেই সময় পাকিস্থানে আক্ষরিক অর্থে কোনো প্রেসিডেন্ট ছিল না গভর্নর জেনারেল আর প্রধান নন্ত্রী ছিল মাত্র, জিয়াউর রহমানের মত যেকেউ একজন এসে রেডিও ঘোষণা দিতেই পারত "আজথেকে আমি পাকিস্থানের প্রেসিডেন্ট" কারণ একজনকে তো প্রেসিডেন্ট বানাতেই হবে তাইনা? কাজেই ঐখানে জিয়াউর রহমান এর সাথে মিলবে ভালো কেউ প্রশ্ন ও করবে না সেই সময় তার বয়স কত ছিল আর কি কাজ করত বা কি তার যোগ্যতা ছিল। হয়ত সেটাই বোঝাতে চেয়েছে খালেদা জিয়া এন্ড কো:। (ছবি বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান)



আর একাত্তর সনে একজন আর্মির মেজর ৪০০ টাকা বেতনের পাকিস্থান সরকারের চাকরি করে, ২৭ সে মার্চ থেকে ১৭ এপ্রিল আবার ‘পাকিস্থানের প্রেসিডেন্ট’ ছিল বল্লেও কেউ আপত্তি করবে না কারণ আমরা'তো জানি বাংলাদেশর প্রথম সরকার গঠন হয় একাত্তরে ১৭ এপ্রিল জনগনের নির্বাচিত প্রতিনিধি দ্বারা, হঠাৎ করে একজন আর্মি মেজরের স্বইচ্ছায় নয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস বাঙালিরা জানে, এই ইতহাস আমাদের প্রানের ইতিহাস এখানে গোঁজামিলের কোনো সুযোগ নেই।



এই সব গন্ড মুর্খ অশিক্ষিত বিএনপি নামক এনজিও সংগঠনটির চক্রান্তকারী ইতিহাসচোররা যদি জানত যে: হিটলারও পারেনি ইতিহাস কে বিকৃত করে মিথ্যার ফানুসে গড়ে পৃথিবীর ইতিহাস বদলাতে আর প্রাচীন যুগে সক্রেটিসকে, গালিলিওকে যারা হত্যা করে ইতিহাস বিশ্রুত করতে চেয়েছিল তারা কি তা পেরেছিল। তারা নিজেরাই ইতিহাসের অতলে তলিয়ে গেছে সেই কবে, অথচ সভ্যতার ইতিহাসে কি দীপ্তিমান হয়ে তারা জ্বল জ্বল করছে তাদের নাম। বাংলাদেশের ইতিহাসেও ঠিক তেমতি জ্বল জ্বল করছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম।> Click This Link



মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:০৫

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: বাংলাদেশ হলো শেখ মুজিবের পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হবার স্বপ্নভঙ্গের ফসল । ইয়াহিয়া খান পশুর বদলে একটু মানুষ হলেই শেখ মুজিব পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলেই পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পদ অলংকৃত করতো। ইয়াহিয়া খানের গদিতে বসতো শেখ মুজিব । শেখ মুজিবের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি বলেই তো যুদ্ধ। এই তো বাস্তব ইতিহাস । মাওলানা ভাসানীর স্বাধীন বাংলা আর দেখা লাগতোনা ।

২৯ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:০৭

মোনাজ হক বলেছেন: @সাঈফ শেরিফ, ইতিহাস কে এখনো বিকৃত করার চেষ্টা চলছে, কিন্তু সেটা সম্ভব নয়, ১৯৬৬ সনের ৬ দফার কথা ভুলে গেলেন এত সহজেই? সেখানে স্বায়ত্ত শাসনের রুপরখা কি সেটা জেনে নিন, কোথায় ছিল জিয়া তখন? যে লোকটা করাচী তে স্কুল ও কলেজে লেখাপড়া করে পাকিস্তান আর্মি তে যোগ দেয় আর যে কিনা বাংলা ভাষা লিখতে পারে না পড়তে পারেনা, বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা ইংরেজিতে অনুবাদ করে রেডিও তে পড়ে সে কি করে পাকিস্তানি শাসকের দ্বারা বাঙালিদের ২৩ বছরের বৈসম্মতা বুঝবে? ইতিহাস শিখে এসে এই আলোচনায় অংশ নিন। আওয়ামীলীগের বিরোধিতা করতে গিয়ে দেশ বিরোধিতা করবেন না। যুক্তি দিয়ে আর মাথা দিয়ে আলোচনা করুন, তাতে নিজেও আলোকিত হবেন। গালাগালি দিয়ে ইতিহাস বিকৃত করবেন না, হিটলার ও পারেনি।

২৯ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:২৫

মোনাজ হক বলেছেন: @সাঈফ শেরিফ, আর একটা কথা জেনে রাখুন, ডিসেম্বর ১৯৭০ এর নির্বাচনের কথা শুনেছেন কখনো? নিশ্চই শেখ মুজিব এর সংখ্যাগরিষ্ঠতার কথাও শুনেছেন, প্রেসিডেন্ট নয় প্রধান মন্ত্রী হবার কথা মুজিবের,সেটাই গণতন্ত্র আমাদেরকে শেখায়। আপনার পাকিস্তানি দোসর দেরকে জিজ্ঞাসা করুন, “শেখ মুজিবের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি বলেই তো যুদ্ধ” সেটা যেমন সত্য তেমনি ২৩ বছরর বৈসম্মতা বাঙালিদেরকে তিলে তিলে পাকিস্তানিদের উপর ঘৃনা ও ক্রোধ শিখিয়েছে সেটাই হলো যুদ্ধের মুল কারণ,ইতিহাস শিখুন তার পর আলোচনায় আসুন।

২| ৩০ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৩:৪৩

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: আমি মোটেও কোথাও গালাগাল করিনি যেমনটা আপনি বুঝাতে চাইছেন, বরং আপনিই আপনার লেখায় অশিক্ষিত, মুর্খ বিভিন্ন শব্দ ব্যবহার করে ব্যক্তি বিশেষকে হেয় করেছেন । কথাগুলো ভদ্র ভাষায় বলি শুনেন

আপনাদের উগ্র জাতীয়তাবাদের মন্ত্র যা বলে তাতে, জামাত০বিএনপির কেউ বাংলাদেশে থাকার অধিকার রাখেনা। আমি বলি দেশটা কি তাহলে আওয়ামীলীগ স্বাধীন করেছে তাদের জন্যই----যারা আদর্শিকভাবে আওয়ামীলীগের চেতনা, ৪ দফা সংবিধানের মূলমন্ত্রের বশংবদ হয়ে থাকবে? বাংলাদেশটা তাহলে আপনার ভাষ্যমতে শুধু আওয়ামীলীগের, এখানে জামাত নিষিদ্ধ, বি এন পি নিষিদ্ধ, ধর্ম ভিত্তিক সব কিছু নিষিদ্ধ, কারণ আওয়ামীলীগের দলীয় সংবিধান ও আদর্শকে দেশের সকল মানুষের সংবিধান বলে চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে, যখন আওয়ামীলীগের নিজেরই সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই।

মুক্তিযুদ্ধের সুযোগে আওয়ামীলীগ সমাজতন্ত্র আর ধর্ম নিরপেক্ষকতার ট্যাবলেট খাইয়ে দিতে পেরেছিল জনগণকে । কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পরে দেশের জনগণ ঐসব আওয়ামী মার্কা সমাজতন্ত্র আর ধর্ম নিরপেক্ষকতাকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে, বর্তমান সরকার সেটা জানে বলেই জিয়ার পরিবর্তিত সংবিধান বদলাতে পারেনা, উল্টো মদীনা সনদ দিয়ে দেশ চালানোর কথা বলে। আওয়ামীলীগের ক্ষমতার লোভ আর ভন্ডামি এই সব চেতনাকে দেশ প্রেমের একমাত্র ধর্মাচার হিসেবে চাপানো হচ্ছে।


এই চাপিয়ে দেয়ার কাজটা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের দোহাই দিয়ে, আমরা দেশ স্বাধীন করেছি, কাজেই দেশটা শুধু আমাদের প্রণীত মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারীদের জন্যই, বাকিরা পাকিস্তানে যাবে না হলে ফাসির মঞ্চে ঝুলবে।

আপনাদের এই জনকন্ঠ মার্কা কথাবার্তা দেশের ৩০ ভাগ লোক খাবে কিনা আমি সন্দেহ । জরিপ করতে দিন, একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে দিন, ৪৪ বছরের সেকেল দলীয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এদেশের মানুষ খায়না।

এসব চেতনার ডাল খেলে বঙ্গবন্ধুকে মরতে হতোনা, জিয়া আর এরশাদের পরে আবার জিয়ার দলকেই দেশের মানুষ নির্বাচিত করতোনা। ধর্মান্ধদের মত চেতনার প্রলাপ বাদ দিয়ে জনগণের মন বুঝুন, জাতীয় ঐক্যের ব্যাপারে জোর দিন, দেশকে বাচান ।

৩০ শে মার্চ, ২০১৪ ভোর ৫:৩৯

মোনাজ হক বলেছেন: @সাঈফ শেরিফ, আপনাকে গালি দিতে যাব কোন দুক্ষে? আমার মূল লেখায় বিএনপি নামক একটি এনজিও কে মুর্খ বলেছি,তার কারণ বাংলাদেশের ইতিহাস জানে না তারা, আপনি নিজে গায়ে মেখে নিলে আমার করার কিছু নেই। আপনার লেখায় অনেক তথ্য আছে যেগুলো নিয়ে আলোচনা করা যায়। আর হাঁ বিএনপি আমার কাছে এখন আর কোনো রাজনৈতিক দল নয় এটাকে এনজিও বললেই মানাবে ভালো, নেতারা ধানমন্ডি, গুলশান অভিজাত এলাকায় এবং লন্ডনে বসবাস করে বাংলাদেশের রাজনীতিতে মতামত দেয়। দেশের গণমানুষের সাথে কোনো সম্পৃক্ততা নেই, এটা কোনো রাজনৈতিক নেতাদের আচরণ হতে পার না অর্রেস্ট হওয়ার ভয়ে পালয়ে বেড়ানো, বঙ্গবন্ধু তার ৫৫ বছর জীবনে ১৯ বছর জেলে কাটিয়েছে, এমনকি ২৫ ডিসেম্বর ১৯৭১ সেই কালো রাতেও পাকিস্তানিদের ভয়ে পলিয়ে যায়নি, একেই বলে নেতা ।
এবার আসি আপনার আলোচিত অন্যান্য প্রসঙ্গে: আপনি লিখেছেন "আপনাদের উগ্র জাতীয়তাবাদের মন্ত্র যা বলে তাতে, জামাত বিএনপির কেউ বাংলাদেশে থাকার অধিকার রাখেনা" কথাটা ঠিক বলেছেন কারণ, যারা বাংলাদেশকেই শিকার করে না তাদের বাংলাদেশে থাকার কোনো সাংবিধানিক অধিকার নেই।
আপনার দ্বিতীয় মন্তব্য "এই চাপিয়ে দেয়ার কাজটা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের দোহাই দিয়ে, আমরা দেশ স্বাধীন করেছি, কাজেই দেশটা শুধু আমাদের প্রণীত মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারীদের জন্যই, বাকিরা পাকিস্তানে যাবে না হলে ফাসির মঞ্চে ঝুলবে" কথাটা যথার্থই ১০০% বলেছেন, কিছুটা আলোকিত হয়েছেন তাহলে।
এই দেশে রাজাকার দের স্থান নেই। আপনার তৃতীয় মন্তব্য "এসব চেতনার ডাল খেলে বঙ্গবন্ধুকে মরতে হতোনা" বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্রে জিয়াউর রহমান সরাসরি যুক্ত ছিল, এবং স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে আবার বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনেছে। বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়ার সম্পৃক্ততা সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর সিএইএ এর রিপোর্ট গুলো উইকিলিক্স থকে জেনেছেন নিশ্চই। আওয়ামিলীগের মুখপাত্র আমি নই, ভুল করে ভুল দরজায় ঠোকা দিলেন। আবার বলি, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন সৈনিক হিসেবে আমি কখনই মৌলবাদী জামাতি আর তার দোসর বিএনপি দেরকে আমার প্রিয় জন্মভূমির রাজনৈতিক দায়দায়িত্ব ছেড়ে দিতে চাই না। সেই অবস্থান থেকে দেখলে আওয়ামিলীগ অথবা যেকোনো সমাজতান্ত্রিক দলই বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনাবোধ কে ধরে রেখেই বাঙালিদেরকে সঠিক পথে নিয়ে যেতে পারে, "জিয়াউর রহমান নাকি বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিল " কৈ এটা নিয়ে তো আলোচনায় আসলেন না ! নাকি ধর্মান্ধতা ইতিহাস বিকৃতিকেও সমর্থন করে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.