![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সম্প্রতি বাংলাদেশের "সর্বোচ্চ আদালতের একটি রায়ের ফলে নদী ও জলাধার দখল, ভূমি দখল এবং বন্যাপ্রবাহ অঞ্চল দখল করে অবৈধ হাউজিং ব্যবসা বন্ধের পথ প্রশস্ত হয়েছে৷ এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ভূমি এবং পরিবেশ ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আসতে পারে"। এভাবেই বাংলাদেশের বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশন হয়, আজ এটা নিয়ে ব্লগ চিন্তা হিসেবে বিস্তারিত আলোচনায় আসতে চাই,
রায়টি ২০১৩ সনের জুলাই মাসের কিন্তু এখনো তার কোনো সুরাহা হয়নি। রায়ে মধুমতি মডেল টাউনের৬ মাসের মধ্যে আগের অবস্থায় জলাভূমিতে ফিরিয়ে নিতে বলা হয়েছে৷ ব্যর্থ হলে এ কাজ করবে রাজউক, খরচ দেবে মধুমতি মডেল টাউনের মূল প্রতিষ্ঠান মেট্রো মেকার্স অ্যান্ড ডেভেলপারস৷ যাঁরা এই প্রকল্পে প্লট কিনেছেন, তাঁদের নিবন্ধনের টাকাসহ দ্বিগুণ অর্থ ফেরত দিতে বলা হয়েছে৷ সে সঙ্গে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ১০০ বিঘার বেশি জমি রাখতে পারবেনা৷
সরকারী আমলা-মন্ত্রীরা রাজনৈতিক দুর্নীতর “ইমুনিটি” লাভ করেছে বহুবছর আগেই জনগনের দাবিতে তারা আর "রিয়াক্ট"করে না , অর্থাত গণতন্ত্রের প্রথন শর্ত "জনগনের গণতান্ত্রিক অধিকার" এখন শুধুমাত্র ক্ষমতাসীন দের অধিকারে পরিনত হয়েছে, তাই জনগনকে নতুন ধারায় প্রতিবাদী হতে হবে। দুর্নীতি শুধু অর্থনৈতিক ভাবে নয় এটা আমাদের পুরো জাতি গোষ্ঠির মানবিক অবক্ষয়ে পরিনত হয়েছে।
জেনে অবাক হবেন যে, ১৬০০ সনে ঢাকা নগরীর জন্মের পর থেকে বিগত প্রায় ৪০০ বছরে নগর উন্নয়ন পরিকল্পনায় ৪২ টি চ্যানেল (খাল) খনন করে ঢাকা নগরীকে "দক্ষিন এশিয়ার ভেনিস" নামে খ্যাত অন্যতম পরিবেশ বান্ধব নগরী হিসেবে গড়ে তুললেও এখন চলছে ক্ষমতাসীন দের দখল উত্সব। ১৬ টি খাল সম্পূর্ণরূপে দখল হয়ে গেছে বিগত ৪০ বছরে, বাঁকি ২৬ টি ও দখলের পাঁয়তারা চলছে,দুর্নীতি এই মাত্রায় চললে হয়ত আগামী ৪০ বছরে ঢাকা 'দক্ষিন এশিয়ার শুষ্ক নগরীতে' পরিনত হবে। দেশটা কি রাজনীতিবিদের নাকি জনগনের?
রাজউকের অনুমোদন ছাড়া মেট্রো মেকার্স অ্যান্ড ডেভেলপারস ঢাকা আরিচা মহাসড়কের পাশে বিলামালিয়া এবং বলিয়ারপুর মৌজায় বন্যা প্রবাহ অঞ্চল ভরাট করে সাড়ে ৫০০ একর বা দেড় হাজার বিঘা জমিতে এই হাউজিং প্রকল্প গড়ে তুলেছে৷ বিক্রি করেছে সাড়ে ৫ হাজারের বেশি প্লট৷
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, অনিয়ন্ত্রিত আবাসন শিল্পকে নিয়ন্ত্রণে আনতে আদালতের এই রায় মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। আবাসনের নামে ভূমিদস্যুতা রোধে এবং অনিয়ন্ত্রিত আবাসন শিল্পকে নিয়ন্ত্রণে আনতে এই রায় জলাশয় ভরাটকারীর বিরুদ্ধে প্রথম শাস্তি। তিনি আশা করেন, এই রায়কে ভিত্তি করে সরকার এ ধরনের অন্যান্য আবাসন প্রকল্পের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৫৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: পোষ্টটা কি আরো খানিকটা বিস্তারিত লেখা যায়?