নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তালেবে ইলম, ইসলামের দাঈ!

আবু আনাছ

আমি বেশী কিছু জানি না, তবে যা জানি তা তোমাকে জানাবোই।

আবু আনাছ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শবে মেরাজ রাতে নবী ﷺ এর কি সাতাশ বছর সময় লেগেছিল (?)

০১ লা মে, ২০১৬ দুপুর ১:০৯



মে’রাজ সম্পর্কে এক বক্তাকে বলতে শুনেছি যে, তাতে নাকি নবী ﷺ এর ২৭ বছর সময় ব্যায় হয়েছিল। বক্তা আরও বললেন যে, নবী ﷺ এর ৯০ বৎসর হায়াত হতে ২৭ বৎসর কেটে নেওয়া হয়েছে মে’রাজের কারনে, এ কথাগুলো কতটুকু সত্য?


উত্তরঃ
সাবধান! এটি কোন হাদীস নয়!
আমাদের দেশের বিদ’আতী ও দ্বীন এর ব্যাপারে গাফেল কিছু নামধারি কান্ডজ্ঞানহীন মাওলানারাই উপরোক্ত ওয়াজ করে থাকেন। তাদের অনেকে এই কথাগুলো বলেন চটকদার করে। যেমন তাদের ভাষায়ঃ
-ইন্তেকালের সময় নবী ﷺ এর কাছে জিব্রাঈল (আঃ) ও মালাকুল মাওত (আঃ) হাজির হলে রাসুল ﷺ মালাকুল মাওতকে জিজ্ঞাসা করলেন,
-আপনি এত তাড়াতাড়ি এলেন কেন? আল্লাহ তো আমাকে নববই (৯০) বৎসর হায়াত দিয়েছিলেন। তখন জিব্রাঈল (আঃ) বললেন,
-আপনার জীবনের সাতাশ (২৭) বছর তো শবে মেরাজের রাতেই অতিবাহিত হয়ে গেছে!

তাহ্বকীকঃ
বস্ততঃ উপরোক্ত বর্ণনার কোনো ভিত্তি কোরআন হাদীসে পাওয়া যায় না। মেরাজের সহীহ ও নির্ভরযোগ্য রেওয়ায়েতগুলোর কোথাও বলা হয়নি যে, মেরাজে নবী ﷺ এর কত সময় অতিবাহিত হয়েছিল। কুরআন মজীদ এবং সহীহ ও নির্ভরযোগ্য হাদীসে বলা হয়েছে যে, এই ঘটনাটি একটি রাতে সংঘটিত হয়েছিল। তাতে পুরো রাত লেগেছিল নাকি রাতের কিছু অংশ, না চোখের পলকেই ঘটে গিয়েছিল তা সহীহ হাদীসে নেই। হাদীসে এই কথাটিও নেই যে, আল্লাহ তা’আলা তখন সময় ও সৃষ্টিজগতকে স্থির রেখেছিলেন কি না।

অতএব মিরাজের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ এবং তার রহস্য ও তাৎপর্য আলোচনার সময় এই সব অমূলক কথাবার্তার আশ্রয় নেওয়া খুবই নিন্দনীয় ও সর্বোতভাবে পরিত্যাজ্য। কোনো দায়িত্বশীল ও আমানতদার ব্যক্তি এ ধরনের কথা বলতে পারেন না। আল্লাহ তা’আলার পরিষ্কার আদেশ-
وَلَا تَقْفُ مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ ۚ إِنَّ السَّمْعَ وَالْبَصَرَ وَالْفُؤَادَ كُلُّ أُولَٰئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْئُولًا
-যেই বিষয়ে তোমার জ্ঞান নেই, সেই বিষয়ে অনুমান দ্বারা পরিচালিত হয়ো না। নিশ্চিতভাবেই চোখ, কান ও দিল সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে৷ [সুরা বানি ইসরাইল ৩৬]

এরপরও শুধু অনুমান ও ধারণার উপর ভিত্তি করে এমন সব কথা বলা বড়ই অন্যায়। উপরন্ত যদি তা হয় আল্লাহ ও রাসূলের সাথে সম্পর্কিত তখন তো এর ভয়াবহতা বলার অপেক্ষা রাখে না। কেননা রাসুল ﷺ এর নামে মিথ্যারোপ জাহান্নামে যাওয়ার উসিলা, যেমন-
عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ لاَ تَكْذِبُوا عَلَىَّ فَإِنَّ الْكَذِبَ عَلَىَّ يُولِجُ النَّارَ
-আলী ؓ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল ﷺ বলেছেনঃ তোমারা আমার প্রতি মিথ্যারোপ করো না, কেননা আমার প্রতি মিথ্যারোপ জাহান্নামে প্রবেশ করাবে। [বোখারী হা/১০৬;মুসলীম হা/১; সুনান ইবনু মাজাহ হা/৩১; তিরমিযী হা/২৬৬০; আহমাদ হা/৫৮৫, ৬৩০, ১০০৩, ১০৭৮, ১২৯৪]

আসুন আমরা আল্লাহ তা’আলা ও তাঁর রাসুল ﷺ এর নামে মিথ্যা বলা থেকি বিরত থাকি।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মে, ২০১৬ দুপুর ২:১৩

আহলান বলেছেন: আপনার কাছে কি কোন প্রমান আছে যে মেরাজে আসলে কত বছর লেগেছিলো?

০১ লা মে, ২০১৬ দুপুর ২:৫৮

আবু আনাছ বলেছেন: পোষ্টেই তার উত্তর আছে।
আবার পড়ুন.।

২| ০১ লা মে, ২০১৬ দুপুর ২:৩৮

মহা সমন্বয় বলেছেন: সবই তো জাল আর মুখারী হাদিস। আমার কথা হল তারা এসব আজগুবি কই থেকে পায়?? গত শুক্রবারেও তো অনেক বড় বুজুর্গ ঈমাম সাহেব মেরাজের কথা বর্ণণা করলেন? মেরাজের সময় ২৭ বছর (দুনিয়ার সময় এক মহুর্ত মানে এক সেকেন্ডের ১০ ভাগের এক ভাগ।) নবীর প্রকৃত বয়স ৯০ বছর, ৫০ ওয়াক্ত নামাজ কমাইতে কমাইতে ৫ ওয়াক্ত আনা। পূর্বের নবিদের সাথে দেখা করা বেহেশত দোযখ দেখা, এক ব্যাক্তি মেরাজের কথা অস্বীকার করার কারণে নাকি সে নদিতে ডুব দিছে আর মেয়ে হয়ে রাজপুত্রের সাথে ২৭ বছর ঘর সংসার করছে ২৭ বছর পর আবার সেই আগের অবস্থা ফিরে আসছে..... ইত্যাদি... ইত্যাদি... ইত্যাদি.... এসব নানা আজগুবি বিষয় পরিপূর্ণ বয়ান। X((
এসব আজগুবি বিষয় ছাড়া কোন ধর্মীয় বয়ান সম্ভব? ;) আজগুবি বিষয় ছাড়া একটা ধর্মীয় বয়ান দেখাতে পারবেন??
আপনার কি ধরাণা উক্ত ঈমাম সাহেব আপনার চেয়ে ইসলাম কম বুঝে? নাকি আপনি উক্ত ঈমাম সাহেবের চাইতে বেশি বুঝেন?
আপনার কাছে কি সহিহ হাদিস নিয়ে ওহী নাজিল হয়? আপনার বুক সেলফে কি উক্ত ঈমাম সাহেবের চেয়ে বেশী ইসলামি বই আছে? আপনি কি উক্ত ঈমাম সাহেবের চাইতে বেশী ইসলাম নিয়ে চিন্তা ফিকির করেন? আপনি কি মাদানী বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে ইসলামের উপর পিএইচডি করেছেন?
যদি এসবের কিছুই যদি না করে থাকেন তাহলে কেন শুধু শুধু ঈমাম/ মওলানাদের দোষ দিচ্ছেন?
-----------------------------------------------------------------------------------------
প্রকৃত সত্য হচ্ছে- ঈমাম/মাওলানা বা হুজুরদের কোনই দোষ নেই। এরা খুবই শ্বান্ত,ভদ্র, নম্র এবং নিরীহ টাইপের হয়।
(কিছু ভিন্ন আছে বটে। )
দোষ হচ্ছে পুরো সিস্টেমটার যা মানুষকে আজগুবি শিক্ষা দেয় সত্যের আলো থেকে দূরে রাখে। যার নেই কোন সত্যতা নেই কোন বাস্তবতা। পুরো সিস্টেমটা আবেগ আর বিশ্বাসের উপর দাড়িয়েছে জ্ঞান যেখান থেকে শত সহস্র মাইল দূরে অবস্থান করে। :)

০১ লা মে, ২০১৬ দুপুর ২:৫৯

আবু আনাছ বলেছেন: জি ঐ সকল ইমাম সাহেব থেকে আমার সেলফে বই বেশী।
অনেক বেশী... তো ?
বই বেশী থাকা কি ইলম পরিমাপের বিষয়?
সুতরাং বুঝতেই পারছেন.....
আস সালামু আলাইকুম!

৩| ০১ লা মে, ২০১৬ বিকাল ৩:২০

মহা সমন্বয় বলেছেন: আপনার সেলফে হয়ত বই বেশি। কিন্তু আমি ইসলামী বইয়ের কথা বলেছি।
নানা আজগুবিতে পূর্ণ যে সকল বই তাহাকে বলে ধর্মীয় বই। যা মানুষকে আজগুবি শিক্ষা দেয় আর জ্ঞান থেকে দূরে রাখে।
তাই আমি হুজুরদের দোষ দেই না তারা যা শিক্ষা গ্রহণ করে তাই তো বলবে নাকি?
আজগুবি বই থেকে যারা গিয়ান অর্জন করে প্রকৃত পক্ষে দোষ তাদের নয় দোষ হচ্ছে উক্ত আজগুবি পুস্তকের আর যারা তা রচনা করে তাদের।

আপনার উপরও শ্বান্তি বর্ষিত হউক। :)

৪| ০১ লা মে, ২০১৬ রাত ৯:৫২

আহলান বলেছেন: ঘরের একটা শিকল কত সময় ধরে নড়তে পারে, ওজুর পানি কত সময় ধরে প্রবাহিত হতে পারে আর মেরাজের রাতে যা যায় ঘটেছিলো তা কত সময় লাগতে পারে বলে আপনার ধারনা! সমন্বয় করতে পারবেন কাজ গুলো? এক রাতে (বর্তমান সময় হিসাব ধরে) বা এক রাতের কিছু সময়ে মেরাজে ঘটা ঘটনা গুলো কি ঘটা সম্ভব!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.