নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বুকের ভেতর মন পাখিটা কেমন আছে কমু না, এটাই এখন আমার কাছে ভালবাসার নমুনা।

মানুষের রক্তকে কালি ও মানুষকে কলম করে কবিতা লিখতে চাই। পতন চাই এই অশ্লীল সভ্যতার। ।

শাহজাহান মুনির

জীবনের নিশ্চিত পতন জেনেও আগুনে হাত দিয়েছি,দেখি আর কত পুড়াতে পারে প্রিয় আগুন আমার।

শাহজাহান মুনির › বিস্তারিত পোস্টঃ

এ কালের রাজনীতিবীদ ও রাজনীতির বিরুদ্ধে চরমপত্র , "আপনারা কেউ রাজনীতিবীদ হতে পারেননি"।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১৭

সম্মানিত

রাজনীতিবীদ, জাতির মাথা,

এবং একালের জাতির পথ প্রদর্শক!!

আপনারা কি সকলে ভাল আছেন?

আপনাদের জন্য একটি দুঃসংবাদ রয়েছে।

দেশের তাবৎ সংবিধান বুকে নিয়ে,

আমার বিশ্বাসের সাথে

অর্ণবকে যোগ রেখে

আমি ঝটিকার মত ঘোষণা করছি-

আপনারা কেউ রাজনীতিবীদ হতে পারেননি।



কত আহলাদ এবং সারা জাতির রায়ে

দীর্ঘ সময়ের পর যদিও

আপনারা রাজনীতিবীদ বলে দাবি করেন,

তবু জাগনিয়া সত্য কথা শুনুন-

আপনারা কেউ রাজনীতিবীদ হতে পারেননি।

কেউ রাজনীতিবীদ হতে পারেননি।



দীর্ঘকাল ধরে আপনাদের রাজনীতি দেখেছি

কোন অবধি মিলেনি আমার,

আপনাদের রাজনীতির আকাশে দেখিনি

কোন শোভমান প্রভাকর রশ্মি,

নিরবে কান পেতে আমি সত্যের ও সাম্যের

গান শুনতে চেয়েছি,

কিন্তু তাতে চৈতন্যহীন দীর্ঘশ্বাস

আমাকে হতাশ করেছে,

এবং প্রতি রাজনীতিবীদদের মাঝে

অযথা তাবাস করেছি-

দেশে শান্তি ও সাম্যের সূর্যকে

ছিনিয়ে আনার সংগ্রামে যাওয়ার জন্যে

এক অনল প্রসবা রাজনীতিবীদ,

অথচ সূর্য বিহীন তামস আকাশের মত

এমন রাজনীতিবীদদের সকরুণ না পাওয়া

আমাকে তাড়সাক্ত করেছে,

অতএব লজ্জাহীন কাকের মত কা-কা করে

আমি কখনো বলতে পারি না

আপনারা রাজনীতি করেন,

কিংবা রাজনীতিবীদ হতে পেরেছেন।



যেদিন আপনাদের রাজনীতির পরশে

দীপ্তিময় সবিতার দীপ্তি এসে

আলোকিত করবে দেশ, থাকবে না কোন

ক্রোধ, দ্বেষ, তিমির আর অপযশ

প্রতিষ্ঠিত হবে সাম্য,

সেদিন সাম্য এবং বিপ্লবের জন্য উৎসর্গ করব

সযত্নে মোর এ ক্লিষ্ট দেহ বা প্রাণ।

যেদিন আপনাদের রাজনীতির বিষক্রিয়ায়

কেটে যাবে তামস, কবরস্ত হবে সব-

অন্যায়, ক্রোধ, দ্বেষ সব কিছু,

যেদিন আপনাদের রাজনীতি

এদেশের হারিয়ে যাওয়া তিতুমীর, ক্ষধিরাম,

সাত বীরশ্রেষ্ঠদের পুজ্ঞিভূত মেঘের মত

একত্রিত করতে পারবে,

সে দিন অনন্ত যৌবনা নদীর পরশ নিয়ে

আমি সগৌরবে বলে বেড়াব-

আমার দেশ

বিপ্লবী রাজনীতিবীদদের দেশ

অনল প্রসবা রাজনীতির দেশ।



রক্তগংগা, বা হাতের ব্যাপার, অপযশ, দ্বেষ

বিবাদ, রোষ, বিগ্রহে ভরে গেছে দেশ আজ,

দুঃসময়ের কাল অন্ধকার সমস্ত দেশটাকে

সূর্যভূক মেঘের মত ঘ্রাস করে ফেলেছে,

রাজনীতি যেন আজ বিপর্যস্ত নগরী।

যেদিন আপনাদের বক্তিতার ভয়াল উচ্চারণে

সবকিছু দাউ দাউ করে জ্বলে পুড়ে ছারকার হয়ে

বইবে শান্তির বাতাস

সেদিন বলব-

আপনারা রাজনীতি করেন

আপনারা রাজনীতিবীদ হতে পেরেছেন।



দুঃখী মানুষের ভীড়ে

যারা দুঃখের ভাগ নিতে জানেন না,

তারা কেউ রাজনীতিবীদ হতে পারেন না।

বজ্রের ন্যায় শৈলীর মত

যারা সত্য বলতে পারেন না,

তারা কেউ রাজনীতিবীদ হতে পারেন না।

দেশের সব অপকর্ম

যারা দূর করতে পারেন না

তারা কেউ রাজনীতিবীদ হতে পারেন না।

পথহারা মানুষের মাঝে

আপনাদের রাজনীতি যদি ত্রাস সৃষ্টি করতে না পারে,

আপনাদের রাজনীতির বিশুদ্ধ বাণী

অজস্র বিপ্লবের সঞ্চয় দেখে

যদি সারা পৃথিবী অবাক চোখে

থাকিয়ে না রয়

তবে আমি কিছুতেই বলতে রাজি নই-

আপনারা রাজনীতি করেন,

কিংবা রাজনীতিবীদ হতে পেরেছেন।



আমার কথায় সুখের পরশ

কেউ পাবেন না জানি,

কিন্তু আমি যা বলছি

তা অর্ণব প্রতিম বিশ্বাস এবং

হৃদয়ের দৃঢ়তা নিয়ে বলছি।

আমার ভেতরে এখন যে হা-হা-কার বয়ে চলেছে

শিরায় শিরায় যে রক্ত আগুন বইছে

হৃদয়ে যে আর্তনাদ লুকানো,

তার পানে থাকিয়ে দেখুন-

আমার উপর আপনাদের দৃষ্টিতে

অজস্র ঘৃনা ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না।



যুগ শ্রেষ্ঠ রাজনীতিবীদরা সুন্দরতম দেশের খুজে

কেউ যায়নি দূরপানে

দূরে কোন নির্বাসনে।

তারা আছে আমাদের অস্তিত্বে, হাওয়ার ভিতরে।

অথচ তবু আমরা ভুগছি

ভাল কোন রাজনীতিবীদ হীনা, তবু মেন নিচ্ছি

পঁচা রাজনীতিবীদ ও রাজনীতি।



হ্যা জাতির মাথা, হ্যা রাজনীতিবীদ

আপনাদের এমন শিথিল রাজনীতি দেখে

আমার ভীষণ কষ্ট হয়,

ভীষণ কষ্ট হয় আমার।



অস্বীকার কেউ করতে পারবেন না

আপনারা এখনও মুখোশ পরেই আছেন,

হ-য-ব-র-লেই আছেন,

বলতে গেলে আপনারা দু'মুখো সাপ, বই আর কিছু নন,

তবু আপনারা রাজনীতিবীদ।

আজ নাসরন্দ্রের অন্ধকার পথ বেয়ে চলে

দীর্ঘশ্বাসের তপ্ত ফাল্গুধারা।

আর কেউ বা বের হয়ে

শত আশ্বাসে ভরে দেন সবার মন।



আমার সব কথা যদি মিথ্যা হয়ে থাকে

তবে বন্ধুগণ! বুকে হাত ও মাথায় হাত ঠেকিয়ে বলুন!

আপনারা কে কে রাজনীতিবীদ হতে পেরেছেন?

কে কে রাজনীতি করেছেন?

আর যদি আপনারা সত্যি সত্যি রাজনীতিবীদ হোন

তবে উত্তর দিন! অন্যায়,

অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের কারণে

বালক ক্ষুধিরামের মত

আপনাদের ফাঁসি হয় না কেন?

এদেশের উর্বরা মৃত্তিকা এবং নিঃস্ব মানুষের দোহাই

বিদ্রোহী বাণী ও অনল প্রসবা রাজনীতির দোহাই

দয়া করে আপনারা

আমাকে ভুল বুঝার চেষ্টা করবেন না।

আমি এক উদভ্রান্ত যুবক

আপামর জনতার পক্ষ হয়ে

সপেছি এই বুক, এই দুটি হাত,

প্রয়োজনে প্রাণও সপিব।

তাই আপনাদের রাজনীতি ন্যায়ের সাথে

আমার যণ্রনাকাতর হৃদয়ের যোগ রেখে

আমি বজ্র নিনাদে ঘোষণা করছি

অন্যায়, অত্যাচার, অপকর্ম সবকিছুর

প্রতিবাদ করতে করতে এক সময়

তরুণ বালক ক্ষুধিরামের মত

আমি আপনাদের ফাঁসি দেখতে চাই।

আপনাদের ফাঁসি দেখতে চাই।





শাহ্‌জাহান মুনির

(আপামর জনতার পক্ষে)

৩১।০১।২০১৩



বিঃদ্রঃ জনতার রায়ে আপনাদের আপাতত; রাজনীতিবীদ বলে স্বীকৃতি দেয়া গেল না বলে আমি দুঃখীত। তবে উপরের বিধৃত অভিযোগমালার শর্তপূরণ সাপেক্ষে এ উক্তির দাবী শিথিল হতে পারে। আমার এ অবাঞ্চিত স্পর্ধার জন্যে আপনারা আমাকে ক্ষমা করতে পারেন কিংবা নাও পারেন এতে আমার কিছু যায় আসে না।





(বিঃদ্রঃ সূত্রঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত ব্যারিষ্টার মিজান সাঈদের "কেউ কবি হতে পারেননি" চরমপত্র অবলম্বনে লিখিত)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০৪

খুব সাধারন একজন বলেছেন: ---ডিভাইড এন্ড রুল---

আমরা সত্যর পক্ষে আবেগের আন্দোলন করি অরা দেয় দাবা-পাশা খেলার গুটির চাল। আমরা বিচার চাই আর অরা নানা দিকে দৃষ্টি ঘোরায়- গাঁজা, গান বাজনা, নাস্তিকতা, সাগর রুনী, ছাত্রলীগ, ধর্মীয় অবমাননা, বিশ্বজিৎ, চাউলের দাম, সীমান্ত, 'আর সব'যুদ্ধাপরাধী... এখনো আজো একাত্তুরেও।

রাজীব থাবা বাবা হওয়ায় মারা গেলে অনেক আগে যেত। সে মারা গেছে শাহবাগে যাওয়ায়। সে মারা গেছে বাংলাদেশে একাত্তর সালে যারা ৩০ লাখ খুন, ৪ লাখ নারীকে ধর্ষণ, এখনো মুক্তিযুদ্ধাদের প্রকাশ্যে লাথি দেয়, গৃহযুদ্ধের ঘোষণা দেয় আর একাত্তরের খুনীদের রক্ষা করতে প্রতিদিন আটশো কোটি টাকা গচ্চা দেয় হরতাল দিয়ে সেই জামাতির বিচার চাইতে গিয়ে।

রাজীবের জানাযার কথা ভোলেন। মূল প্রসঙ্গে আসো বাংলাদেশের মানুষ। রাজীব নাস্তিক এইজন্য খুন হয় নাই। রাজীব শাহবাগে যায় তাই খুন হয়েছে।

প্রিয় নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, একজন মুসলমানের পাঁচটি কর্তব্য। তার মধ্যে এক কর্তব্য হল, যখন কোন লাশ যায়, তার যা বিশ্বাসই হোক না কেন, সম্মান দেখিয়ে উঠে দাঁড়াবে।

বাংলার মানুষ, আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে। দশটা কথার জবাবে একটা কথা হলেও বল। বাংলাদেশ সবার দেশ। হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান-নাস্তিক-বাংগালী-চাকমা-মারমা সবাই একাত্তুরে খুন হয়েছে পাকিস্তানিদের হাতে। মনে রেখ, তোমার শত্রু তোমাকে চেনে বাংগালী বাংলাদেশী হিসাবে, কিন্তু মুখে বলে, নাস্তিক-আওয়ামী-শাহবাগী

কয়দিন পরে বলবে, খুন হইসে ভাল হইসে, ঠিকই তো করসে, ওই পোলা সিগারেট খায় জিন্সের পেন্ট পড়ে।
এক পলকে একাত্তর---এভাবে দেখাও---এবং এভাবে---পাকিস্তানে উল্লাস---চাই সতর্কতা,---ইনডাইরেক্টলি,---ভিন্নখাত

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৭

শাহজাহান মুনির বলেছেন: সকল খুনের বিচার চাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.