নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফ্রিল্যান্স লেখক ও প্রাবন্ধিক
বড়ভাই সকালে ফোন দিল। - মতিঝিলের রাস্তায় শুধু জুতা আর জুতা। মানুষ নাই।
আমি হেসে বললাম- কয়েক জোড়া কুড়িয়ে রাখো। পরে কাজে লাগবে।
ভাই হেসে বলল- এগুলা তুই পায়ে দিবি না। হতদরিদ্র মানুষের জুতা তোর পায়ে মানাবে না। জুতাপাটি গুলো খুবই দরিদ্র।
আমিও দরিদ্র মানুষ। আমার ভাইয়ের ধারনা- আমার তুলনায় মাদ্রাসার ছাত্রগুলো অধিকতর দরিদ্র। তাদের জুতাগুলোও। সকালে রাস্তায় পড়েছিল হাজার হাজার জুতো। রাতে পালিয়ে যাওয়া জামায়াত-হেফাজত কর্মীদের। গ্রাম থেকে ভুল বুঝিয়ে প্যাচহীন সরল মানুষগুলোকে শহরে এনে জামায়াত শিবির আর হেফাজত তাদের ভিতরের পশুত্বকে জাগিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে চেয়েছিল। এদের অনেকে এর আগে শহর দেখেনি। ত্রিশ তলা বাংলাদেশ ব্যাংক দেখেনি। এতো বড় শাপলা দেখেনি। শহরে এসেছে অনেকে জীবনে প্রথম। এসেছে ইসলাম বাচাতে। শহরের বড় বড় দালান গুলোর দিকে তাকায়। মুগ্ধ নয়নে দেখে। মানুষের সৃষ্টি দেখে তারা বলে- সুবহানাল্লাহ।
অনেকে বড় শখ করে শহরে এসেছে। ইসলাম বাচানো শহর দেখা দুটোই হবে।আসে- তার সবচেয়ে ভালো জুতো জোড়া নিয়ে। বড় বড় হুজুররা আসবেন। তাদের কথা শুনবেন। ইসলামের কথা । দিল শান্ত হবে। নামে অবরোধ হলেও উতসব উতসব ভাব। সর্বোত্তম জুতো জোড়া নিয়ে অনেকে রওনা হয়েছিল শহরে। শফি হুজুরের পা ছুয়ে সালাম করবেন। যদি সুযোগ হয়। হুজুরের জুতো জোড়াও দেখা হবে। হুজুরের চকচকে কালো চামড়ার জুতো জোড়া নিশ্চয়ই সুন্দর হবে। পা ছুয়ে আসসালামোআলাইকুম বলবেন। পারলে কোলাকুলিও করা হবে। কিছু না হলেও চিন্তা নাই। হুজুর পুন্যবান বদন দেখা হলেই চলবে।
হুজুর আসেনি। হুজুরের পা ছোয়া হয় নি, কোলাকুলি হয় নি। অনেকে কিছু না পেয়ে বাড়ী ফেরা হলা। জুতো ছাড়াই অনেকে বাড়ী ফিরে গেল। বড় শখের জুতো জোড়া। নিশ্চয়ই আরো অনেকদিন জুতো কেনা হবে না। নিশ্চয়ই অনেকদিন ৩০ টাকা দামের প্লাষ্টিকের স্যান্ডেল পরে চলতে হবে। হারানো জুতো জোড়ার জন্য দু:খ থাকবে বেশ কিছু দিন। টিভিতে ঢাকার রাস্তায় চোখ খুজে বেড়াবে জুতো জোড়া। সে জানবে না- তার জুতো দু পাটি কোথায় পড়ে আছে। সে জানবে না, কেউ অনাদরে সস্তা পাটি দুটি ছুয়েও দেখেনি। সেগুলো হয়তো ড্রেনে পড়ে আছে। তবু তার জন্য বড় দামী সে দু পাটি জুতো। তবু দু পাটি জুতোর জন্য তার অনেকদিন হাহাকার থাকবে।
[email protected]
০৬/০৫/২০১৩
২| ০৭ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:৪৮
মাইন রানা বলেছেন: একটা গল্পঃ
একজন লোকের একটা কুকুর ছিল তাঁর বিশেষত্ব ছিল সে পানির উপরে হাটতে পাড়ত। একদিন সে তাঁর কুকুরের বিশেষত্ব দেখানোর জন্য তাঁর এক বিরাট নামকরা জ্ঞানী, লেখক ও সাংবাদিক বন্ধুকে কে নিয়ে আসল। লোকটির উদ্দেশ্য ছিল এতে তাঁর কুকুরের কথা সংবাদপত্রে আসলে বেশী মানুষ জানতে পারবে। দুই জন নদীর ধারে আসল এবং লোকটি কুকুরের খেলনা বলটি জোড়ে পানির উপড় ছুড়ে মারল। কুকুরটি সাথে সাথে পানির উপর দিয়ে দৌড়ে গিয়ে বলটি নিয়ে আসল।
লোকটি অত্যান্ত উত্তেজিত অবস্থায় তাঁর বিরাট নামকরা জ্ঞানী, লেখক ও সাংবাদিক বন্ধুর অনুভুতি জানতে চাইল। বিরাট নামকরা জ্ঞানী, লেখক ও সাংবাদিক বন্ধুটি কিছুক্ষণ চুপ থেকে গভীর চিন্তা করে বলল। " তোমার কুকুরটি সাতার জানেনা "।
তাই কেউ লাশের বদলে জুতা দেখে!!!!
বিঃদ্রঃ এটি একটি গল্প এই গল্পের চরিত্র কারো সাথে মিলে গেলে কাকতালীয়
৩| ০৭ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:০০
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: কেউ লাশের বদলে জুতা দেখে!!!!
৪| ০৭ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৩৯
প্রযুক্তি বলেছেন: SAMNE THAKLE APNER GALE 2 TA JUTAR BARI DITAM. KANO DITAM ETA APNER CHOTO BHAI K JIGGESH KOREN.
৫| ০৭ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৫০
ইশাতের দুনিয়া বলেছেন: " তোমার কুকুরটি সাতার জানেনা "।
৬| ০৮ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:৩২
কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: অসাধারন লিখা।
+++++++++
আমার ধারনা , অনেকেই আপনার লেখার থিম টা ধরতে পারেনি।
৭| ০৮ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:১৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।
৮| ১৮ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:১৪
জ্যোস্নার ফুল বলেছেন: আপনি যা লিখেন তাই ভালো লাগে।
তবে লেখার সঙ্গে সম্পুর্ন আসহমত।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:৩৩
গরম কফি বলেছেন: তবু দু পাটি জুতোর জন্য তার অনেকদিন হাহাকার থাকবে