নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ আমার লেখার ও সাহসের ভিত্তি। সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলাই সত্যিকারের দেশপ্রেম মনে করি। সত্যম ব্রুয়ৎ!

মনোয়ার রুবেল

ফ্রিল্যান্স লেখক ও প্রাবন্ধিক

মনোয়ার রুবেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

লাইভ ফ্রম আদালত: গনতন্ত্রের ফাসি হতে যাচ্ছে

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:০৯


আদালত : আপনি গনতন্ত্রের ফাসি কেন চাইছেন?

মো: সাধারন মিয়া: হুজুর, সারাদেশে এই যে হানাহানি, মারামরি, হত্যা, বোমা হামলা হচ্ছে আপনি নিশ্চয়ই অবগত স্যার। বোমা হামলায় মারা গেছে ২৬ জন। গাড়ী ভাংচুর হয়েছে প্রায় ৪৫০। এগুলো কে করছে? এগুলো করছে “গনতন্ত্র”র লোকেরা। গনতন্ত্রের হাজার হাজার বাহিনী আছে। তারা সেগুলো দিয়ে সাধারন মানুষের উপর আক্রমন করে। গনতন্ত্রের লোকরা খুবই সন্ত্রাস প্রবন। তাই বলছি এসব নৈরাজ্যের জন্য গনতন্ত্রই দায়ী। গনতন্ত্রকে ফাসি দেওয়া হোক।গনতন্ত্রের শাস্তি চাই।

আদালত: কিন্তু গনতন্ত্রকে আদালতে হাজির করতে হবে তো।

মো: সাধারন মিয়া: হুজুর। গনতন্ত্রের একটি বড় কৌশল সে পালিয়ে থাকে। আওয়ামলীগ এবং বিএনপি বহুবার চেষ্টা করেছে তাদের দলে গনতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে। আসেনি। গনতন্ত্র আসেনা হুজুর। সে লুকোচুরি করে।
আদালত: আওয়ামীলীগ বিএনপি কে?

সাধারন মিয়া: গনতন্ত্রের এজেন্ট। গনতন্ত্রের বহু এজেন্ট আছে। এরাই গনতন্ত্রের পক্ষে সন্ত্রাস চালায়।
আদালত: এখন কে সন্ত্রাস চালাচ্ছে?

সাধারন মিয়া: বিএনপি।

আদালত: বিএনপিকে ডাকা হোক।

সাধারন মিয়া: হুজুর বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে ধরে আনা হইছে। তাকে জিজ্ঞেস করুন। গনতন্ত্র কোথায়।
আদালতে হাজির করা হলো খালেদাকে । গনতন্ত্রের নেত্রীকে।
আদালত: বেগম খালেদা আপনি বলুন গনতন্ত্র কোথায়?
খালেদা জিয়া: গনতন্ত্র নাই।অ্যাই সরকার জালেম। জালেম সরকারের পতন ঘটিয়ে গনতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে।গনতন্ত্র এই দেশ থেকে চলে গ্যাছে। তাকে ফিরিয়ে আনতে হবে।
আদালত: গনতন্ত্র কোথায় গেছে?
খালেদা জিয়া: এই সরকারের আমলে গনতন্ত্রকে গুম করা হয়েছে। দেশের কোথাও গনতন্ত্র নেই। গনতন্ত্রকে খুন করা হয়েছে। এই সরকার খুনী। এ্যাই সরকার জালেম।
আদালত: আপনি এই বলছেন গনতন্ত্র অন্যদেশে চলে গেছে। আবার বলছেন গনতন্ত্রকে খুন করা হয়েছে। আপনি ঠিক কোনটা বলতে চাচ্ছেন?
খালেদা: এই সরকার খুনী। এই খুনী সরকার মতিঝিলে লক্ষ লক্ষ অ্যালেম খুন করেছে। তাদের জন্য দেশে আজ গনতন্ত্র নেই। আমরা যে কোন মূল্যে গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনব। গনতন্ত্রের জন্য আমরা জান দিতেও প্রস্তত। বিএনপির কর্মীরা গনতন্ত্রর জান বুকের রক্ত ঢেলে দেবে।
আদালত: ডেন্জেরাস!! এইটা তো দেখি আত্মঘাতী!!!

সাধারন মিয়া: না হুজুর গনতন্ত্রের এজেন্টরা এই ভাবে কথা বলে। আরেক এজেন্ট আওয়ামীলীগের শেখ হাসিনাকে ডেকে আনা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞেস করে দেখুন। তিনি গনতন্ত্রকে দেখেছেন। এরা একজন গনতন্ত্র কে দেখে আরেক জন দেখে না। আমার ধারনা গনতন্ত্র লুকোচুরি খেলে। গনতন্ত্র তার এজেন্টদের নিয়ে ইদুর বিড়াল খেলে। হুজুর, গনতন্ত্র ইজ মোস্ট ডেঞ্জেরাশ ক্রিমিনেল।

আদালত: ওকে, ডাকুন শেখ হাসিনাকে।
শেখ হাসিনা হাজির। তাকে আদালতে তোলা হল।

আদালত: আপনিই বলুন গনতন্ত্র কোথায়?

শেখ হাসিনা: গনতন্ত্র দেশেই আছে। আমরাই গনতন্ত্রের রক্ষাকারী। আমি সারজীবন গনতন্ত্রর জন্য আন্দোলন করেছি। আমি গনতন্ত্রকে ফিরিয়ে এনেছি।

আদালত: খালেদা জিয়া বলেছেন গনতন্ত্র নেই। আপনি বলছেন আছে।

শেখ হাসিনা: উনি মিথ্যাবাদী। উনার আমলেই গনতন্ত্র দেশ থেকে চলে গিয়েছিল। আমরাই গনতন্ত্রকে ফিরিয়ে এনেছি। বাংলার আকাশে বাতাসে আজ শুধু গনতন্ত্র। উনার চোখের সমস্যা হয়েছে। উনি গনতন্ত্র পাবেন কই। গনতন্ত্রকে উনি লাগেজে ভরে সৌদি পাঠিয়ে দিয়েছেন। লাগেজে। লাগেজে করে উনি ডলার পাচার করেছেন। উনি চোর। উনার ছেলে চোর।



সাধারন মিয়া: হুজুর আমি আগেই বলেছি- গনতন্ত্র তার এজেন্টদের নিয়ে ইদুর বিড়াল খেলে। হুজুর, গনতন্ত্র ইজ মোস্ট ডেঞ্জেরাশ ক্রিমিনেল। গনতন্ত্র মাঝে মাঝে হাসিনার কাছে ধরা দেয়। তখন খালেদার কাছে ধরা দেয় না। গনতন্ত্রই সব সমস্যার মূল।

আদালত: তাইতো দেখছি। কিন্তু গনতন্ত্রকে ফাসিতে ঝোলাবো কিভাবে? তাকে পাবো কই?

সাধারন মিয়া: হুজুর সেটা একটা বড় সমস্যা। গনতন্ত্রকে ধরা যায় না। গনতন্ত্র বেশীর ভাগ সময়ই আমেরিকা বা ভারতে থাকে? আমি পত্রিকায় দেখেছি, আমেরিকা এবং ভারতে গনতন্ত্র আছে। কিন্তু তাকে ধরে আনা মুশকিল। পুলিশ বা ইন্টারপোল কাজ করবে না।

আদালত: কেন করবে না? আমি পুলিশকে এখুনি নির্দেশ দিচ্ছি।

সাধারন মিয়া: হুজুর লাভ নেই। এরা গনতন্ত্রর রক্ষকারী। এরা গনতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হলে তাকে ধরে নিয়ে যায়।

আদালত: গনতন্ত্র কি কারো মত প্রকাশে বিশ্বাস করে না?

সাধারন মিয়া: করে হুজুর। তবে গনতন্ত্রের বিরুদ্ধে কারো মত প্রকাশ জনাব গনতন্ত্র সাহেব পছন্দ করে না। গনতন্ত্রের এজেন্টরা তাদের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেয়। বোমাবাজি করে।

আদালত: গনতন্ত্রের জন্য এতো লোক মারা যাচ্ছে। দেশের সুশীল সমাজ কি বলে।

সাধারন মিয়া: তারা সবাই গনতন্ত্রের পূজা করে। তারা গনতন্ত্র গনতন্ত্র করে গলা ফাটায়। হুজুর সত্য বলতে কী গনতন্ত্রকে তারা খোদা মানে। গনতন্ত্রের অসংখ্য পূজারী আছে। তারা প্রায় সবাই পূজারি । এটা এখন সার্বজনীন ধর্ম। তবে হুজুর গনতন্ত্র 'ঈশ্বর' 'ভগবানে'র মতো দয়ালু নয়। গনতন্ত্র একটা সন্ত্রাসী ঈশ্বর। সে তার লোকদের মাঝে মারামারি লাগিয়ে রাখে।
আদালত: সুশিলরাও কী গনতন্ত্রের এজেন্ট?

সাধারন মিয়া: না হুজুর এরা এজেন্ট না। আবার এজেন্টও । সুশীল খালেদা হাসিনার মতো পেইড এজেন্ট। তবে এর মূল সমস্যা। এরা মতামত বেচে খায়। এরা কখনো হাসিনা কখনো খালেদা। এরা গনতন্ত্রর এজেন্টদের এজেন্ট হিসেবে কাজ করে।

আদালত: ডেঞ্জরাস!
সাধারন মিয়া: জ্বি হুজুর । গনতন্ত্রই সব সমস্যার মূল। ওই বেটাই সব ঝগড়া ফ্যাসাদ লাগিয়ে রেখেছে। তাকে ধরে ফাসি দেন হুজুর।

বিচারক নীরব। কী করা যায় আসলে? গনতন্ত্রকে কী ফাসি দেওয়া উচিত? নাকি তার এজেন্টদের? কাকে? গনতন্ত্রকে হাজির করতে হবে। কিন্তু এটাইতো বড় সমস্যা। গনতন্ত্র ধরা দেয় না। ওহ ধরা দিলেই সব সমস্যার সমাধান। ওকে ফিরিয়ে আনতে এলার্ট জারী করলে কেমন হয়। সেটাও সমস্যা। গনতন্ত্রকেই ফিরিয়ে আনতেইই খালেদা হাসিনার ঝগড়া। এলার্ট জারী করলে ঝামেলা হবে।

গনতন্ত্র কী একটা ধর্ম হয়ে গেল? গনতন্ত্র পূজা নিষিদ্ধ করলে কেমন হয়? ভালো হবে কি? পূজারীরা খুব হিংস্র হয়।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৮:৪৫

টকদঐ পার্ট ২ বলেছেন: যা বলেছেন ভাউ, দারুণ হয়েছে। B:-/

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.