নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফ্রিল্যান্স লেখক ও প্রাবন্ধিক
জিরো ডিগ্রী দেখলাম।
এটা ঠিক রিভিউ না। আমি পলিটিকাল কলাম লিখি। সিনেমা দেখি মাসে দু একটা। রিভিঊ লেখার আমার কাজ না। তবু কিছু একটা লিখলাম। জিরো ডিগ্রীর পরিচালক: অনিমেষ আইচ। এর আগে অনিমেষ আইচ জয়াকে নিয়ে কিছু চমতকার কাজ করেছিল। বিশেষ করে " তারপরও আঙুরলতা নন্দকে ভালবাসে" যারা দেখেছেন তারা জানেন অনিমেষ কি মানের নির্মাতা।
জিরো ডিগ্রীর প্রধান চরিত্র : মাহফুজ আহমেদ, জয়া আহসান, রুহি।
ছবির ধরন: নহে আর্ট ফিল্ম, নহে হার্ড ফিল্ম।
মাহফুজ ও রুহির চমতকার সংসার। একমুহূর্ত একজন আরেকজনকে ছাড়া থাকতে পারেনা টাইপ প্রেম। আট বছর বয়সী তাদের একটি ছেলে আছে। আনন্দ আর খুনসুটিতেই তাদের দিন কাটে। অফিসের কাজে বিদেশ যেতে হয় রুহিকে। যাবার সময় মাহফুজ কে পা ছুয়ে সালাম করে, বাচ্চাকে আদর করে, কান্না কাটি করে। তার ছেলেকে বলে, বাবা যা বলে মন দিয়ে শুনবা। সে সময়ও কেউ ঘুনাক্ষরে জানতে পারে না এই মেয়ে স্বামী সন্তানের সাথে প্রতারনা করছে। না তার স্বামী মাহফুজ আহমেদ। না দর্শক। সে তার নতুন প্রেমিকের চলে যাচ্ছে। '
শকড হয় মাহফুজ। রাগে ক্ষোভে একাকীত্বে অসহায় হয়ে পড়ে মাহফুজ । সপ্তাহ ঘুরতেই মাহফুজের একমাত্র ছেলে বাবাই রোড এক্সিডেন্ট করে মারা যায়।। মাহফুজ মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে।
মেন্টাল হাসপাতাল থেকে ফিরে মাহফুজ মেতে উঠে প্রতিশোধের নেশায়। রুহির প্রতারনায় পুরো সিনেমা হল যেন ঘৃনা ছড়িয়ে পড়ে।
একই সাথে চলতে থাকে আরেকটি গল্প। জয়া আহসান আছে সে গল্পে। সে তার প্রেমিক কতৃক প্রতারিত। প্রতারনার গল্প আপনারা হলেই দেখবেন। এই গল্পটা কিছুটা গতানুগতিক। প্রেমিক কতৃক প্রেমিকা বিক্রি। অতপর ধর্ষন। জয়া আহসানও প্রতারনার শোধ নিতে মরিয়া। এতটুকুতেই ছবির বিরতি।
সিনেমার প্রথম অর্ধেক পুরোপুরি গল্প নির্ভর। প্রতারনার গল্প। শেষার্ধে শোধ, ক্রোধ, আর একশান যাই বলেন সব আছে। জেমস এর প্রেম ও ঘৃনা শিরোনামে " ভালোটাই দেখেছ দেখনি ঘৃনার পাহাড়" গানের কথা দিয়েই শুরু হয় প্রতিশোধ পর্ব। মাহফুজ আহমেদের অনবদ্য ডায়ালগ ছিল- "সে আমার পুরা জীবন নষ্ট করেছে। ঐ কুত্তার বাচ্চাকে ( তার স্ত্রী রুহি) দেশে এনে টুকরা টুকরা করব। "
দর্শকরা যেন চাচ্ছিল এমন একটা গালি। দর্শক উচ্ছাসে ফেটে পড়ে।
অন্যদিকে জয়ার গল্প। জয়া কর্মজীবী মহিলা হোস্টেলে থাকে। তার প্রতারক প্রেমিক কবিকে খুজে বেড়ায়। হোস্টেলের রুমমেট এক ছোট বোনের সাথে প্রেমের ফাদ পেতেছে তার প্রাক্তন প্রেমিক ওয়াহেদ। জয়া তাকে অনুসরন করে। ওয়াহেদ তার নতুন প্রেমিকা কে নিয়ে নষ্ট পাড়ায় যায়। জয়া তাকে অনুসরন করেন।
সে কি মেয়েটিকে বাচাতে পারে? ওয়াহেদেরই বা কী হয়? মাহফুজের স্ত্রী একসময় ফিরে আসে। তাকে কি মাহফুজ টুকরা টুকরা করে? জয়া আর মাহফুজের সম্পর্ক কী?
সিনেমার প্রচারের স্বার্থে এতটুকু রহস্য গোপন রাখা নৈতিক দায়িত্ব। সেটা সিনেমা হলেই দেখুন।
অনিমেষ আইচের অনবদ্য গল্প, গল্প বলার ঢং, নির্মান শৈলী জিরো ডিগ্রীকে অনন্য অবস্থানে নিয়ে গেছে। প্রেম ও ঘৃনায় এতটা ক্ষোভ কোন বাংলা পরিচালক আগে ক্যামেরায় আনতে পারেনি। যতক্ষণ সিনেমা হলে থাকবেন মাহফুজ আহমেদের স্ত্রীর প্রতারনার শোধ নেয়ার জন্য আপনার ভেতরও ক্রোধ কাজ করবে। পরিচালক ঘৃনা ছড়িয়ে দিতে পেরেছেন। ক্যামেরার কাজও ভালো ছিল। গল্পে অসাড়তা ছিল না। মাহফুজের একক গল্প দিয়েই সিনেমা হত, পাশাপাশি জয়ার গল্প সিনেমায় ভারসাম্য এনেছে। জেমসের গানের কথা আগেই বলেছি। হাবিব আর ন্যান্সির গান ভালো হয়েছে যথেষ্ট। গতানুগতিক সিনেমার মত নাচ গান ছিল না। কিন্তু বিনোদন ছিল। ক্লাইমেক্স ছিল। গল্প ছিল। রক্ত ছিল। এই ছবির গল্পই এটাকে উতরে দিবে। যারা এর আগে পিপড়াবিদ্যা বা দেশা দেখে হতাশ হয়েছেন তাদের বলছি এটা দেখে হতাশ হতে হবেনা। পরিচালক ঠকান নি দর্শকদের। ফারুকীদের মত প্রতারনা অনিমেষ করেন নি।
যারা প্রথম অর্ধেক দেখতে ক্লান্ত (ক্লান্ত হবেন না আশা করি, তবুও বললাম) তারা শেষার্ধে মজা পাবেন।
হুমায়ুন আহমেদ লিও টলস্টয়ের ওয়ার এন্ড পিস ১৫০ পাতা পড়ার পর মজা পেতে শুরু করেছিলেন। বারুদের গন্ধ নাকে পেতে শুরু করেছিলেন। জিরো ডিগ্রির মজা পেতে আপনাকে ততক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে না।
হলে গিয়ে দেখুন। পয়সা উসুল হয়ে যাবে বস!!!
০৭.০২.১৫
২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৩১
ভূতের কেচ্ছা বলেছেন: Old wine in a new bottle.
৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:১২
নতুন বলেছেন: আপনা লেখা পড়ে দেখতে ইচ্ছা করছে.... দেখবো..
৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:১৩
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: শুভেচ্ছা
৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:১৬
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ছবিটির সাথে কমার্শিয়ালি কি আপনি কোনভাবে জড়িত??
না মানে আপনার রিভিউ পড়ে মনে হল।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪০
মনোয়ার রুবেল বলেছেন: না ভাই আমি জড়িত না।
অন্য প্ল্যাটফর্মের জন্য রিভিউ লিখব ভেবে লেখাটা। কিছু অংশ লিখে ব্লগে দিলাম। তবে গল্পের সবটা বলে দেওয়াটা আমার কাছে উচিত মনে হয় নি। তাই বললাম না। একটা সিনেমা বানাতে কোটি টাকার উপরে খরচ হয়। আমরা যাচ্ছে তাই রিভিউ লিখে সিনেমার কোটি টাকার বিনিয়োগ নষ্ট করতে পারি না। উচিত নয়। এই নৈতিকতা বোধ টুকু মেনে চলি ব্রাদার।
৬| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:২৬
মঞ্জু রানী সরকার বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে ম,নে হলো দেখবো ছবিটা
৭| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৭
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
চমৎকার রিভিউ।++++
রিভিউ পড়ে ছবিটা দেখার লোভ হচ্ছে।
৮| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:২২
নিজাম১৪৩ বলেছেন: রিভিউটা ভাল লাগলো, চমৎকার উপস্থাপন। দেখার চেষ্টা করবো ।
৯| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৩
জানা বলেছেন:
মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: ছবিটির সাথে কমার্শিয়ালি কি আপনি কোনভাবে জড়িত??
না মানে আপনার রিভিউ পড়ে মনে হল।
আমিও বিনয়ের সাথে সেকথাটি জানতে চাইছি। পাশাপাশি আমাদের এই প্ল্যাটফর্মের কিছু নিয়মনীতি রয়েছে যা যেকোন কমার্শিয়াল কার্যক্রম প্রকাশে সাথে জড়িত। আশা করি আপনার সাড়া পাবো।
রিভিউটি পড়তে আমারও ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪১
মনোয়ার রুবেল বলেছেন: না ভাই আমি জড়িত না।
অন্য প্ল্যাটফর্মের জন্য রিভিউ লিখব ভেবে লেখাটা। কিছু অংশ লিখে ব্লগে দিলাম। তবে গল্পের সবটা বলে দেওয়াটা আমার কাছে উচিত মনে হয় নি। তাই বললাম না। একটা সিনেমা বানাতে কোটি টাকার উপরে খরচ হয়। আমরা যাচ্ছে তাই রিভিউ লিখে সিনেমার কোটি টাকার বিনিয়োগ নষ্ট করতে পারি না। উচিত নয়। এই নৈতিকতা বোধ টুকু মেনে চলি ব্রাদার।
১০| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো রিভিউ। সিনেমা হলে যেতেই হচ্ছে!
১১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:০১
সুমন কর বলেছেন: দেখার ইচ্ছা অাছে। রিভিউ ভাল লেগেছে।
১২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:০৩
শাহরীয়ার সুজন বলেছেন: বাংলা সিনেমা এখধ আর দেখতে ইচ্ছে করেনা। আপনার রিভিউ পড়ে সিনেমাট দেখার আগ্রহবোধ করছি।
১৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪১
লেখাজোকা শামীম বলেছেন: সিনেমাটি দেখব। কারণ অনিমেষ আইচকে জানি। সে ভালো গল্পকার। একটা সিনেমা দর্শকপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য গল্পের যে শক্তি থাকতে হয়, সেটা অনিমেষ আইচ দিতে পারবে বলে বিশ্বাস করি।
একজন চলচ্চিত্র পরিচালককে অবশ্যই ভালো গল্পকার হতে হয়। শেষ পর্যন্ত দর্শক গল্পটাই দেখে।
১৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫৯
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: দেখব।
১৫| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:১২
রাফা বলেছেন: কাহিনি শক্তিশালী হোলে আমার মনে হয় ছবিও ভালো হয়।অনিমেষ আইচ ভালো ডিরেক্টর।কবে দেখবো জানিনা তবে দেখতে চাই রিভিউ পড়ে।
১৬| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:২৩
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: আপনার রিভিউ পড়ে মুভিটি সম্পর্কে পজিটিভ আগ্রহ জন্ম নিল। হলে গিয়ে মুভিটি দেখার কোন সুযোগ আমার আপাতত নেই। তাই ইউ টিউবে মুভিটি আসলে দেখার ইচ্ছা রইল।
উপরে মৃদুল ভাই আর জানা আপার কমেন্ট দেখে পোস্টটা আর এক বার পড়লাম। আমার কাছে অন্তত বিজ্ঞাপনমূলক কিছু মনে হয় নি। পজিটিভ রিভিউ এর মাধ্যমে বাংলা চলচিত্রের উন্নতির চেষ্টা করা আমার কাছে ভালো লেগেছে। চলচিত্রটির সাথে আপনি জড়িত থাকলেও কোন সমস্যা দেখছি না। বই প্রকাশ নিয়ে ব্লগারদের বইয়ের প্রমোট করা গেলে, চলচিত্র নিয়ে কেন নয়?
১৭| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৫৭
সোহানী বলেছেন: অনিমেষ দা'র যেকোন কিছুই ভালো লাগে... হোক নাটক বা ছবি। ভিন্ন মাত্রা থাকেই। তবে ছবিতে বাচ্চাটির মৃত্যুকে কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। দর্শককে আরো উত্তেজিত করতে এটি ইনক্লুড করা হয়েছে তা একটু বাড়াবাড়ি মনে হয়েছে....... রিভিউ ভালো লেগেছে...+++++++
১৮| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:২২
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: ভাল রিভিউ। দেখার ইচ্ছা আছে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:২৮
সাইলেন্স বলেছেন: চেষ্টা করবো দেখতে।