নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ আমার লেখার ও সাহসের ভিত্তি। সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলাই সত্যিকারের দেশপ্রেম মনে করি। সত্যম ব্রুয়ৎ!

মনোয়ার রুবেল

ফ্রিল্যান্স লেখক ও প্রাবন্ধিক

মনোয়ার রুবেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতের বাংলা বন্দনা

১৯ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:৩২

সিরিজের আগের দিন রাতে কাপ নিয়ে দুই ক্যাপ্টেনের আনুষ্ঠানিক ফটোসেশনে মাশরাফি আসতে দশ মিনিট লেট করায় ভারতীয় কর্মকর্তারা খইয়ের মত ফুটছিল। মাশরাফির স্পর্ধা কত্তো, তাদের ধোনিকে দশ মিনিট দাড় করিয়ে রাখে। এত বড় দেশের অধিনায়ক ধোনি। তিনি দশ মিনিট দাড়িয়ে থাকলেন, ভারতীয় কর্তারা মানতেই পারছিলেন না।
মানতে পারবেনই বা কেন, জাতে আর অভিজাত্যের ব্যবধানে বিশ্ব ক্রিকেটে ভারত বাংলাদেশ ব্যবধান বিস্তর ফারাক, অন্তত বাংলাদেশের মত লো প্রোফাইল টিমের অধিনায়কের জন্য ভারতীয় অধিনায়ক দাড়িয়ে থাকবেন এটা তাদের কাছে ইজ্জতের বিষয়। তারা বাংলাদেশ কে এতদিন সাইড লাইনে দেখে অভ্যস্ত।
কিন্তু কে ভেবেছিল বাংলাদেশ তলে তলে এতটা অঢেল উন্নতি করেছে। ভারতকে ধরা থেকে সরায় নামিয়ে আনবেন। টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে ভারতীয় ক্রিকেট টিমকে আকাশ থেকে মাটিতে নামিয়ে আনল বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এখন আর চুনোপুটি দল নয়, বরং বিশ্ব ক্রিকেটের শক্তিধর দেশগুলোর মধ্যে একটি। ভারতকে তুমুল পিটিয়েই যেন ভারতের গনমাধ্যম হুশ ফেরালেন বাংলাদেশ। এমন মার না খেলে ভারতীয় গনমাধ্যম বাংলাদেশ সম্পর্কে এমন উচ্চকিত ভাল ভাল কথা লিখত কিনা কে জানে। হয়তো লিখত। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ভারত বাংলাদেশ বৈরী ক্ষোভ তৈরী হয়েছিল তার যে মধুর শোধ বাংলাদেশ তুলল, কাল রাতে ঢাকা কি তাবৎ বাংলাদেশে আনন্দের তুলিতে নিজেদের রাঙিয়েছে বাঙালিরা। ভুভুজেলা আর ড্রামের শব্দে বাঙালীরা কোয়ার্টার ফাইনাল জয়ের আনন্দ যেন এখানেই পালন করলেন। আনন্দবাজার লিখেছে, আবেগের এই ছবিকে সাদা পাতার কালো দাগে তুলে ধরা কঠিন নয়। অসম্ভব।
আনন্দবাজার আরো লিখেছে, "এশীয় ক্রিকেটে তো বটেই, গোটা ওয়ান ডে পৃথিবীতেই বাংলাদেশ এখন দুর্নিবার শক্তি। যারা ইংল্যান্ডকে হারাতে পারে। পাকিস্তানকে পারে। ভারতকেও পারে।
পারে এক অজানা আতঙ্ককে লেলিয়ে দিয়ে। "

বাংলাদেশ ভারতের মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ধরা দিয়েছিল। সেটা কেউ না হোক সেইদিন মি. শ্রীনিবাসন বুঝেছিলেন। বুঝে ভারতকে তিনি না বাচালে মেলবোর্নের মাটিতেই ভারতের বিশ্বকাপের মিশনের সমাধি ঘটত।

গতরাতে ঢাকার মিরপুরে যেন মেলবোর্নের স্মৃতি তাড়িয়ে বেড়াচ্ছিল। মেলবোর্নে লেখা এফিটাফে কাল শ্রীনিবাসনের পুনরায় কোয়ার্টার ফাইনালের অনুষ্ঠানের যে তীর্যক খেদোক্তি করেছিলেন তার কবর দেয়া হল। এমন সমুচিত জবাব শ্রীনিরা আগে পাননি। কলকাতার পত্রিকা এই সময় লিখেছে, ছোট বাঘের দৌরাত্মেই ধোনির দর্পচূর্ণ।

বাংলাদেশের জয়ে প্রতিবারের মত ফ্লুক, অঘটন এসব শব্দ আর ভারতীয় মাধ্যমগুলো এবার ব্যবহার করছেন না। সুনীল গাভাস্কার এনডিটিভিকে দেয়া স্বাক্ষাতকারে কিছুটা অবাক হয়ে বলেছে, বাংলাদেশের এ জয়ে অবাক হওয়ার কিছু নাই। হেরে মহেন্দ্র সিং ধোনি বুঝেছেন, বাংলাদেশ সত্যিই শক্তিধর! (আজকাল, কলকাতা)। এই পরাজয়ের ক্ষোভে রাতে অন্নবিসর্জন দিয়ে উপোস ঘুমিয়েছে ভারতীয় দল।

যে যতই বলুক বাংলাদেশের জয়ে অবাক হওয়ার কিছু নাই। এটাই সত্য বাংলাদেশের এতটা উত্থান তারা কেউই আশা করেনি। তারা সবাই অবাক।


মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.