নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

[email protected]

সেলিম জাহাঙ্গীর

সেলিম জাহাঙ্গীর যে দ্যাশে নাই জীন মরণরে আমার মন ছুটেছে সেই দ্যাশে গুরু লওনা আমায় তোমার সে দ্যাশে

সেলিম জাহাঙ্গীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোরআন আশার পর আগের সকল ঐশি কিতাব কি বাতিল?

২৫ শে মে, ২০১১ রাত ১:৫৮

কোরআন আশার পর আগের সকল ঐশি কিতাব নাকি বাতিল হয়েছে। কিন্তু এই সব আয়াত পড়লেকি তায় মনে হয়?



সূরা মায়েদা ৫:৪৬



وَقَفَّيْنَا عَلَى آثَارِهِم بِعَيسَى ابْنِ مَرْيَمَ مُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ مِنَ التَّوْرَاةِ وَآتَيْنَاهُ الإِنجِيلَ فِيهِ هُدًى وَنُورٌ وَمُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ مِنَ التَّوْرَاةِ وَهُدًى وَمَوْعِظَةً لِّلْمُتَّقِينَ

অর্থঃ আমি তাদের পেছনে মরিয়ম তনয় ঈসাকে প্রেরণ করেছি। তিনি পূর্ববর্তী গ্রন্থ তওরাতের সত্যায়নকারী ছিলেন। আমি তাঁকে ইঞ্জিল প্রদান করেছি। এতে হেদায়াত ও আলো রয়েছে। এটি পূর্ববতী গ্রন্থ তওরাতের সত্যায়ন করে পথ প্রদর্শন করে এবং এটি খোদাভীরুদের জন্যে হেদায়েত উপদেশ বানী।



সূরা মায়েদা ৫:৪৭

وَلْيَحْكُمْ أَهْلُ الإِنجِيلِ بِمَا أَنزَلَ اللّهُ فِيهِ وَمَن لَّمْ يَحْكُم بِمَا أَنزَلَ اللّهُ فَأُوْلَـئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ অর্থঃ ইঞ্জিলের অধিকারীদের উচিত, আল্লাহ তাতে যা অবতীর্ণ করেছেন। তদানুযায়ী ফয়সালা করা। যারা আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না, তারাই পাপাচারী।



ইঞ্জিলের অধিকারীদের এখনো ইঞ্জিল অনুযায়ী ফায়নালা করার কথা মাবুদ বলছেন। এটা অতিত না বর্তমান?



সূরা মায়েদা ৫:৬৮



قُلْ يَا أَهْلَ الْكِتَابِ لَسْتُمْ عَلَى شَيْءٍ حَتَّىَ تُقِيمُواْ التَّوْرَاةَ وَالإِنجِيلَ وَمَا أُنزِلَ إِلَيْكُم مِّن رَّبِّكُمْ وَلَيَزِيدَنَّ كَثِيرًا مِّنْهُم مَّا أُنزِلَ إِلَيْكَ مِن رَّبِّكَ طُغْيَانًا وَكُفْرًا فَلاَ تَأْسَ عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ

অর্থঃ বলে দিন, হে কিতাবগণ, তওরাত, ইঞ্জিল ও যাহা তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে তাহা প্রতিষ্ঠা না করা পর্যন্ত তোমাদের কোন ভিত্তি নাই-----



উপরের উল্লেখিত আয়াত মতে আমরাকি মুমিন হতে পারি নাই?



মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মে, ২০১১ রাত ২:০৯

ইলুমিনেটি বলেছেন: আয়াতের আগে পরে কি বলা হয়েছে জানা প্রয়োজন।

২| ২৫ শে মে, ২০১১ রাত ২:৩৪

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: একটু সিয়ার করুন

৩| ২৬ শে মে, ২০১১ রাত ৯:২২

রাশেদ মামুন বলেছেন: ভাই লেখক কাহিনি হচছে আগের কিতাব গুলো ওরজিনাল নাই। আর ডাইরেকট meaning না বুঝে একটু তরজমা করার চেশটা করেন। আললাহ আপনাকে বুঝার খোমতা দিছে।

০৫ ই জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৬

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: আগের কিতাব এর প্রতি ঈমান আনলে তা ওরিজিনাল নাই বললে ঈমান থাকলো?

৪| ২৭ শে মে, ২০১১ রাত ৩:০৯

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: কোরআন আশার পর আগের সকল ঐশি কিতাব কি বাতিল?

=> আমরা মুসলিমরা সেই বিষয়গুলো বিশ্বাস করি যেগুলো কোরআনের সাথে মিলে যায়। যেগুলো কোরআন সত্যায়ন করে। তবে এটা সেই ইঞ্জিল না যেটা ঈসা আঃ এর উপর নাজিল হইছিল। এটাতে আল্লাহর বাণী থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে তবে সম্পূর্ণটা আল্লাহর বাণী নয়।

------------------------------------------------------------------------

ইঞ্জিলের অধিকারীদের এখনো ইঞ্জিল অনুযায়ী ফায়নালা করার কথা মাবুদ বলছেন। এটা অতিত না বর্তমান?

=> আপনি আমাকে বলেন এখনকার ইঞ্জিল কি সেই ইঞ্জিল যেটা ঈসা আঃ এর উপর অবর্তীর্ণ হয়েছিল। সেই ইঞ্জিল এই ইঞ্জিল না।

কোরআন বলে

সূরা আল ইমরান-৭৮> আর তাদের মধ্যে (ইহুদী ও খ্রিষ্টান) একদল রয়েছে, যারা বিকৃত উচচারণে মুখ বাঁকিয়ে কিতাব পাঠ করে, যাতে তোমরা মনে কর যে, তার কিতাব থেকেই পাঠ করছে। অথচ তারা যা আবৃত্তি করছে তা আদৌ কিতাব নয়। এবং তারা বলে যে, এসব কথা আল্লাহর তরফ থেকে আগত। অথচ এসব আল্লাহর তরফ থেকে প্রেরিত নয়। তারা বলে যে, এটি আল্লাহর কথা অথচ এসব আল্লাহর কথা নয়। আর তারা জেনে শুনে আল্লাহরই প্রতি মিথ্যারোপ করে।

=> এখন আল্লাহ আদেশ দিছেন ইঞ্জিল অনুযায়ী বিচার করতে কিন্তু তারা তো এটাকে এডিট করছে এবং এটা কি সেই ইঞ্জিল আছে যেটা আল্লাহ নাজিল করেছিলেন। তারা নতুন কিছু ঢুকাইছে এবং কিছু বাদ দিছে। এজন্যই আল্লাহ বলছেন তাদের উচিত ইঞ্জিল দিয়ে বিচার করা। কিন্তু সেটা তো তাদের পক্ষে অসম্ভব। কারণ বর্তমান ইঞ্জিলে আছে অশ্লীল কথা, অযৌক্তিক কথা, মিথ্যা কথা, অবৈজ্ঞানিক কথা, অসংখ্য কন্ট্রাডিকশন সহ ইত্যাদি কথা যেটা আল্লাহ বাণী হতেই পারে না। কারণ আল্লাহ মিথ্যা বলেন না।

আশা করি উত্তর পাইছেন।
=========================================


যখন পূর্ববর্তী কিতাবগুলো সম্পর্কে আল্লাহই বলছেন এগুলো পরিবর্তন করা হইছে সেহেতু ইহুদী ও খ্রিষ্টানদের যেটা করা উচিত, সেটা হলো কোরআন অনুসরণ।

সূরা নিসা-৪:১৩৬> হে ঈমানদারগণ, আল্লাহর উপর পরিপূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন কর এবং বিশ্বাস স্থাপন কর তাঁর রসূল (মোহাম্মদ সাঃ) ও তাঁর কিতাবের (কোরআন) উপর, যা তিনি নাযিল করেছেন স্বীয় রসূলের উপর এবং সে সমস্ত কিতাবের উপর, যেগুলো নাযিল করা হয়েছিল ইতিপূর্বে। যে আল্লাহর উপর, তাঁর ফেরেশতাদের উপর, তাঁর কিতাব সমূহের উপর এবং রসূলগণের উপর ও কিয়ামতদিনের উপর বিশ্বাস করবে না, সে পথভ্রষ্ট হয়ে বহু দূরে গিয়ে পড়বে।

=> এই আয়াতে বলা হইছে অতিতের গ্রন্থগুলোর উপর বিশ্বাস আনতে। কিন্তু বলা হয় নাই অনুসরণ করতে। নবী মোহাম্মদ সাঃ এর প্রতি বিশ্বাস আনতে প্লাস অনুসরণ করতে বলা হইছে। এবং শুধু ঈসা আঃ এর উপর বিশ্বাস স্থাপন করবে কিন্তু মহানবী সাঃ ও কোরআনের উপর বিশ্বাস স্থাপন করবে না সে পথভ্রষ্ট হয়ে বহু দূরে গিয়ে পড়বে।
-------------------------------------------------------------------------

ইহুদী ও খ্রিষ্টানদের প্রতি তাওরাত ও ইঞ্জিল নাজিল করা হইছে। কিন্তু



-------------------------------------------------------------------------

সূরা আল ইমরান-১১৯> (হে মুমিনগণ) দেখ! তোমরাই তাদের (ইহুদী খ্রিষ্টানদের) ভালবাস, কিন্তূ তারা তোমাদের প্রতি মোটেও সদভাব পোষণ করে না। আর তোমরা সমস্ত কিতাবেই বিশ্বাস কর। অথচ তারা যখন তোমাদের সাথে এসে মিশে, বলে, আমরা ঈমান এনেছি। পক্ষান্তরে তারা যখন পৃথক হয়ে যায়, তখন তোমাদের উপর রোষবশত: আঙ্গুল কামড়াতে থাকে। বলুন, তোমরা আক্রোশে মরতে থাক। আর আল্লাহ্ মনের কথা ভালই জানেন।

-------------------------------------------------------------------------

ইহুদী ও খ্রিষ্টানরা যে তাওরাত ও ইঞ্জিল ইডিটিং করতো তার আরেক টা দলিলঃ-

সূরা বাকারা-৭৯> অতএব তাদের (ইহুদী ও খ্রিষ্টানদের) জন্যে আফসোস! যারা নিজ হাতে গ্রন্থ লেখে এবং বলে, এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ-যাতে এর বিনিময়ে সামান্য অর্থ গ্রহণ করতে পারে। অতএব তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের হাতের লেখার জন্য এবং তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের উপার্জনের জন্যে।

=> এ আয়াতে আল্লাহ স্বাক্ষ্য দিচ্ছেন ইহুদী ও খ্রিষ্টানরা তাওরাত ও ইঞ্জিল থাকার পরও নিজ হাতে গ্রন্থ লেখে আল্লাহর নাম বলে চালিয়ে দেয়। বস্তুত আল্লাহ যেই ইঞ্জিল এর কথা বলছেন সেটা সেই ইঞ্জিল যেটা ঈসা আঃ এর উপর নাজিল হয়েছিল। কিন্তু সেটা এখন আর সেই ইঞ্জিল নাই। আমাদের মুসলিমদের মতে বর্তমান ইঞ্জিল আল্লাহর বাণী নয়। তবে এতে আল্লাহর বাণী আংশিক থাকতে পারে। পুরো টা নয়। কারণ এতে আছে অশ্লীল কথা, অযৌক্তিক কথা, মিথ্যা কথা, অবৈজ্ঞানিক কথা, অসংখ্য কন্ট্রাডিকশন সহ ইত্যাদি কথা যেটা আল্লাহ বাণী হতেই পারে না। কারণ আল্লাহ মিথ্যা বলেন না।

------------------------------------------------------------------------


সূরা নিসা-৪৪> তুমি কি ওদের দেখনি, যারা কিতাবের কিছু অংশ প্রাপ্ত হয়েছে, (অথচ) তারা পথভ্রষ্টতা খরিদ করে এবং কামনা করে, যাতে তোমরাও আল্লাহর পথ থেকে বিভ্রান্ত হয়ে যাও।

------------------------------------------------------------------------

আপনি যেই আয়াতটা দিলেন সেটা সম্পুর্ন দেন নাই। আয়াতটা সম্পূর্ণ দিলাম।

সূরা মায়িদাহ-৫:৬৮> বলে দিন: হে আহলে কিতাবগণ, তোমরা কোন পথেই নও, যে পর্যন্ত না তোমরা তওরাত, ইঞ্জীল এবং যে গ্রন্থ তোমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে তাও পুরোপুরি পালন না কর। আপনার পালনকর্তার কাছ থেকে আপনার প্রতি যা অবর্তীণ হয়েছে, তার কারণে তাদের (ইহুদী ও খ্রিষ্টান) অনেকের অবাধ্যতা ও কুফর বৃদ্ধি পাবে। অতএব, এ কাফের স¤প্রদায়ের জন্যে দু:খ করবেন না।

=> এ আয়াতে যারা নাজিল কৃত লাস্ট টেস্টামেন্ট কোরআন না মানবে তাদের কাফের বলে আখ্যায়িত করা হইছে।

-------------------------------------------------------------------------

সর্বশেষ যেই আয়াতটি দিব সেটা হলোঃ-

সূরা আল ইমরাম-১০০> হে ঈমানদারগণ! তোমরা যদি আহলে কিতাবদের (ইহুদী ও খ্রিষ্টানদের) কোন ফেরকার কথা মান, তাহলে ঈমান আনার পর তারা তোমাদিগকে কাফেরে পরিণত করে দেবে।

অতএব আমাদের সেটাই মানতে হবে যেটা সর্বশেষ ও চূড়ান্ত নবী মোহাম্মদ সাঃ এর উপর নাজিল হইছে এবং যেই গ্রন্থ অন্য সকল গ্রন্থের মূল সারাংশ ধারণ করে যেটা নাজিল হইছে সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী রূপে জ্ঞানী সম্প্রদায়ের জন্য।

এখন আপনাকে আমি একটা প্রশ্ন করি। ধরুন আপনার সামনে দুটো গ্লাস আছে। দুটি গ্লাস আছে। এখন দুটির মধ্যে একটিতে যদি ময়লা পড়ে না বিষ ঢেলে দেওয়া হয় তাহলে আপনি কোন পানির গ্লাসটা নিবেন। আমরা মুসলিমরা বিশুদ্ধটাই নিব।

ঠিক তেমনি ভাবে যখন অনেকগুলো ধর্মীয় গ্রন্থ সামনে রাখা হয় তখন আমরা সেটাই গ্রহন করবো যেটা সবচেয়ে বিজ্ঞানসম্মত, সবচেয়ে পিউর, যেটাতে কোন ভূল বা কন্ট্রাডিকশন নেই এবং যেটা সত্যের পথনির্দেশ করে।

আপনি কি আমার সাথে একমত?

৫| ২৭ শে মে, ২০১১ দুপুর ২:৫৫

রাশেদ মামুন বলেছেন: ভাই Abdullah Many thanks for your explaination..

৬| ২৯ শে মে, ২০১১ রাত ৯:৩৩

দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: প্লাস।

৭| ০৬ ই জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৯

বলবোনা বলেছেন: Abdullah vi Plus +++++++

লেখক কিছু বলবেন কি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.