![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেলিম জাহাঙ্গীর যে দ্যাশে নাই জীন মরণরে আমার মন ছুটেছে সেই দ্যাশে গুরু লওনা আমায় তোমার সে দ্যাশে
ছোট্ট একটি প্রশ্ন করি। এক আল্লাহ্, এক রাসুল, এক কিবলা, এক ধর্ম; তবে হাদীস প্রনেতা পৃথিবীতে এত কেন? আসলেকি আল্লাহ এই সকল মানুষগুলিকে হাদীস সংগ্রহের দায়ীত্ব দিয়েছিলেন? হাদীস সংগ্রহের দায়ীত্ব যদি আল্লাহ্ কাউকে দিতেন তাহলে একজন কে দিতে পাতেন; তাহলে পৃথিবীতে এত মাযহাব হত না। এত ফিরকাহ বা মাযহাবের জন্য কি হাদীস প্রনেতারা দায়ী, নাকি আমরা কিংবা আল্লাহ্ , কোনটা কে আপনি দায়ী মনে করেন? আমরা যে সব হাদীস গুলি পড়ি এই কথা গুলি কমবেশী প্রায় সব গুলো কোরআনে আছে। আবার দেখুন অনেক কিছু হাদীসে আছে যা কোরআনে নাই, সেই কারনে কোরআন কে কি আপনি অপূর্ণাঙ্গ কিতাব বলবেন? আল্লাহ্ বলছে কোরআনে সব আছে, যদি কোরআনে সব থেকে থাকে তবে হাদীস থেকে আমার কি নেয়ার আছে? হাদীস ছাড়া কোরআন কি পূর্ণাঙ্গ কিতাব। যদি হাদীস নিতে'ই হয় তাহলে কোরআন এর পূর্ণাঙ্গতা কতটা যৌতিক?
১২ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৩:২৩
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: খুব সুন্দর বলেছেন। মহান পংকজ, আসলে প্রকৃত সত্য কোরআনের বানী আজ নিভৃতে কেদে ফিরে ফতোয়া,কেয়াস, এজমা,ফেকাহ্ ও হাদীসের দাপটে। সুন্দর সত্য প্রানউজ্জল এই বানী যতই সত্য হোক কিংবা হাদীসের সাথে সাংঘর্ষিক হোক তাদে আলেম ওলামাদের যেন কিছু এসে যায়না। এমনো হাদীস আছে যা সম্পূর্ণ কোরআনের সাথে সাংঘর্ষিক তারপরেও তারা সেই দূর্বল হাদীস টিকে খাড়া করতে খোড়া যুক্তি দিয়ে কোরআনের বানীকে নয় বরং মহান রাব্বুল আলামিন মাবুদকে খাটো করছে।
২| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৩:৩৯
শিক কাবাব বলেছেন: এখানে টয়োটা কোম্পানী আছে। প্রথম হচ্ছে কোম্পানীর মালিক (বা মালিকগন)। তারপর আছে ম্যানেজার। এই শালার ম্যানেজারে বেতন খায় ৭০ হাজার রিয়াল। বাংলাদেশের ১৪ লক্ষ টাকা। বেটার কোনো কাজ নাই। এয়ার কন্ডিশন রুমে বসে কলমের খোচা দেয় শুধু। এর কাজ শুধু দু'একটা সিগনেচার দেয়া। বেতন খায় ১৪ লক্ষ টাকা। আর আমরা কাজ করতে করতে পায়ের ঘাম মাথায় উঠে। আমাদের বেতন মাত্র ১ হাজার রিয়াল। আমরা করি প্রোডাকশন, আমরা সব কিছুর পাহারা দেই, সব কিছু আমাদের হাতে। কিন্তু ঐ ম্যানেজার বেটায় কিছুই করে না।
এর উত্তর কি? ম্যানেজারের কাজ কি তা জানতে হলে আমাকে ম্যানেজার হতে হবে বা ম্যানেজার পর্যায়ের জ্ঞান অর্জন করতে হবে। তাই না?
তেমনি হাদিস কোরআন সম্বন্ধে তারাই জানে যারা হাদিস কোরআন শিখেছে যারা হাদিস কোরআনে লেখা পড়া করেছে।
অষ্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট টিম, কি বালের টিম? ইন্ডিয়ানরা বল থ্রো করে, আর অষ্ট্রেলিয়ানরা ব্যাট দিয়ে বল পিটায়। এটা কোনো ব্যাপার হল? আমি খেললে আমিও জোরে জোরে পিটাতে পারতাম। প্রতি বলে ছক্কা মারতে পারতাম। এই অষ্ট্রেলিয়া ক্রিকেট টিম সম্বন্ধে আমি যা বললাম তা আপনার হাদিস কোরআন সম্বন্ধে যা বলেছেন তার সাথে মিলে যায়।
শেষ কথা : যদিও আপনাকে হাদিস কোরআন শিখিয়ে পথে আনা যাবে না। তবুও বলছি এজন্য যে একজন মুসলিম হিসাবে আমার কর্তব্য যে বেলাইনিদের লাইনে আনার চেষ্টা করে যাওয়া।
খুব ছোট্ট করে একটু বুঝাই। কোরআন হচ্ছে আল্লাহর অর্ডার / হুকুম যা অবশ্যই পালন করতে হবে। হাদিস হচ্ছে রাসুল যা করেছেন / বলেছেন তা। কারআনে বলেছে নামাজ পড়। কিভাবে পড়বেন? রাসুল শিখিয়েছেন কিভাবে নামাজ পড়তে হবে। রাসুলকে ফলো করে রাসুলের মত কাজ করাকে বলে সুন্নত। মাযহাব কি? রাসুল নামাজের সময় পেটে হাত বেধেছেন, কখনো বুকে। এটা হচ্ছে ২ মাযহাব। আমরা পেটে হাত বাধি, সৌদীরা ভিন্ন মাযহাবের বলে তারা বুকে হাত বাধে। এরকম অসংখ্য।
১২ ই আগস্ট, ২০১১ ভোর ৪:২১
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: তেমনি হাদিস কোরআন সম্বন্ধে তারাই জানে যারা হাদিস কোরআন শিখেছে যারা হাদিস কোরআনে লেখা পড়া করেছে।
আপনার কথা অনুযায়ী বোঝা যাচ্ছে কোরআন ও হাদীস আমি জানিনা। আমি কিন্তু আমার লিখায় প্রতিটা প্রশ্ন করেছি। তার উত্তর না দিয়ে কেমন যেন পাস কাটিয়ে যাচ্ছেন। আমি হাদীস কোরআন নিয়ে যা জানতে চেয়েছি সেই উত্তর টা আপনার দেওয়া উচিত ছিলো।
নামাজ কিভাবে পড়বেন
হাদীস না মানলে আপনি নামাজ পড়বেন কেমন করে এটা শুনুন। আপনাকে একটি প্রশ্ন করি। রাসুলে মৃত্যুর তিন থেকে সাড়ে তিন শত বছর পরে শুরু হয়েছে হাদীস সংগ্রহের কাজ। তাহলে হাদীস লিখার পূর্বে এই সব মানুষ গুলি কি পড়তো, নামায আদায় করতো? আসলে তারা নামাজ আদায় করতো বংশপরম্পরায় অনুসরন করে। আপনিও অনুরসন করে নামাজ আদায় করা শিখেছেন। হয়তো বাবার কাছে নয়তো মসদিজের ঈমামের পিছনে দাড়ীয়ে অনুকরন করে।
পৃথিবীতে এত নবী রাসুল আসলো কেবল মুহাম্মাদের উম্মতদের হাদীস দরকার হলো?
১। ঈশা (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
২।ইব্রাহীম (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
৩। ইসমাইল (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
৪। ঈশাহাক (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
৫। ইদ্রীশ (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
৬। ইয়াকুব (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
৭। ইউসুফ (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
বললে অনেক বলা হবে, তবে এই রকম অনেক নবী রাসুল পৃথিবী থেকে বিদায় নিলো তাদের উম্মত গুলি কিসের ভিত্তিতে ইবাদত করলো বা চললো। তোর মায়ের কসম সত্য বলবি।
৩| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ ভোর ৫:২৯
অপেক্ষমান বলেছেন: আমি জানিনা আপনি বংশ পরম্পরায় মুসলিম রীতির নামধারী মুসলমান, নাকি অন্যধর্মাল্ব্ীর মানুষ?
যাইহোক, ইসলাম আপনাকে কখনই জোর করেনি মেনে চলার জন্য, এটা সম্পুর্ন আপনার ব্যাপার। তবে অনুরোধ রইল এসব প্রশ্ন করার আগে ইসলামের ইতিহাস নিয়ে একটু পড়েন, আল-কোরান এবং হাদিস পড়েন।
যে কেউ চাইলেই এরকম বেধড়ক কথা বার্তা বলে ফোকাস পেতে পারে। কিন্তু জানার সত্যিকারের ইচ্ছাওয়ালা কমই আছে। আপনি এরকম ভাববেন না যে এরকম কিছু কথা বললে নিজেকে একটু গরম আলোচনার বস্তু হিসেবে প্রমান করতে পারবেন। আপনার থেকে অনেক গড়ম আইটেম ইসলাম নিয়ে স্টাডি করে হার মেনেছে এবং নিজের আনুগত্য মহান আল্লাহর নিকট স্বীকার করেছে।
যতই গরম আইটেম হোক না কেন মাইনকা চিপায় পড়লে মনের অজান্তে আল্লাহ বাচাও বলে চিৎকার শুরু করে।
আমার কথায় মেজাজ গরম হতে পারে, তাই বলছি উত্তেজিত না হয়ে একটু স্টাডি করে দেখুন নাইলে এই বিষয় নিয়ে আজাইরা প্যাচাল পাইরা টাইম নষ্ট না কইরা অন্যকাজে ব্যয় করেন।
১২ ই আগস্ট, ২০১১ দুপুর ২:২৪
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: আমি কোরআন মানি, তার মানে আল্লাহকে মানি। আমি যদি কোরআন মানি তাহলে এমনিতেয় রাসুলকে মানাহয়ে যায়। কেন? এই কোরআনের বানী পৃথিবীতে রাসুলের মাধ্যমে সাহাবাদের দ্বারা বিভিন্ন গাছের বাকলে, চামড়ায়,পাতায় ও হাড় লিপিবদ্ধ হয়েছে। আমার ধারনা আপনি আমার লিখাটা পড়েননী । আমি কোরআন ও হাদীস নিয়ে কিছু প্রশ্ন করেছি তার জবাব আপনার জানা থাকলে দেওয়া উচিত আর জানলে আপনার কমেন্ট করা উচিত নয়। আর হাদীস কোরআনের কথা বলছেন তা পড়েছি বইকি এগুলির নাড়ি নক্ষত্র জানি বলে এই বিষয়টি জানতে চেয়েছি। হাদীস না মানলে ধর্ম যাবে এমন কথা কেন আসবে। প্লিজ দয়া করে হাদীস সংগ্রহের ইতিহাস পড়েন, আরবের ইতিহাস পড়েন। দেখুন কিভাবে হাদীসের উতপত্তি হয়েছে। পৃথিবীতে সকল নবী রাসুল ইবাদত করেছে এবং তার সাহাবা ও উম্মত রেখে গেছে তারাও আল্লাহকে ডাকতো ইবাদত করতো; কিন্তু কিসের ভিত্তিতে করতো? তাদেরতো হাদীস গ্রন্থ নাই। তাহলেকি তারা আমাদের চেয়ে বেশী বুদ্ধিমান ছিলো। আমরা শ্রেষ্ঠ উম্মত হিসাবে কেনই কোরআন ব্যাতিরেখে হাদীস ছাড়া চলতে পারলাম না। যে হাদীস গুলি বেশীর ভাগই গল্প, জাল সেই জাল হাদীস নিয়ে চলতে হবে কোরআন বাদ দিয়ে? ধর্মে নানান ফেকাহ্ এসেছে এই হাদীস থেকে।
১। ঈশা (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
২।ইব্রাহীম (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
৩। ইসমাইল (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
৪। ঈশাহাক (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
৫। ইদ্রীশ (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
৬। ইয়াকুব (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
৭। ইউসুফ (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
এই নবীগুলির উম্মতদের হাদীসের নাম বলুন। তারা হাদীস ছাড়া চলতে পারলে আপনি আমি মুল গ্রন্থ নিয়ে কেন চলতে পারবো না।
তবে কি উম্মত হিসাবে আমরা খুব দূর্বল? প্লিজ উত্তর দিবেন। নাপারলে বলবেন জানা নাই।
৪| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ ভোর ৫:৩৬
মেঘলা মানুষ বলেছেন: হাদিস গ্রহণ করার ব্যপারে সাবধানতার দরকার।
আমরা সবাই ধর্মের মূলনীতি জানি, সেটা কোরান থেকেই। এখন আপনি অনেক হাদিস শুনলে বুঝতে পারবেন সেটা ভিত্তি কতটা শক্ত।
"স্বামীর পায়ের নিচে স্ত্রীর বেহেস্ত"- এরকম একটা কথা শুনে আমার আপনার নানী-দাদী বড় হয়েছেন, সংসার করেছেন। তাঁরা এই কথাটাকে হাদিস বলে মনে করতেন। পরে আমি শুনেছি এটা কোন হাদিসই না! এই বাক্যটা কিন্তু কুরআনের অনেক মূলতত্ত্বের সাথে সাংঘর্ষিক। একজন মাতাল, দুশ্চরিত্র স্বামীর পায়ের নিচে কেন তার পূণ্যবান স্ত্রী থাকবে? (কুরআনে কিন্তু আছে: তাকওয়া যার বেশি সেই অধিক সম্মানিত)
মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্ত- এটা গ্রহণযোগ্য অবশ্যই। এখানে জন্মদাত্রীকে সম্মান দেয়া হয়েছে।
হাদিসের শ্রেণীবিভাগও আছে (জাল, দুর্বল)। সেই অনুযায়ী আমাদের বুঝে চলতে হবে।
১২ ই আগস্ট, ২০১১ দুপুর ২:৫৫
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: আপনি খুব সুন্দর বলেছেন যাকে বলে লাইনের কথা। আমারও একই কথা যে, এখনও হাদীস গ্রন্থে অনেক হাদীস সোভা পাচ্ছে কিন্তু হাদীস গুলি পড়লেই বোঝা যায় যে হাদীস গুলি ঠিক নয়। জাল হাদীস এখনো বহাল তবিয়তে চলছে চলবে এটা হতে পারে না। আলেম ওলামাদের উচিত এগুলি খন্ড করা। কিন্তু খন্ডন করাতো দূরের কথা বরং সেই জাল হাদীসকে সহীহ্ বানাতে কিছু খোড়া যুক্তি দিয়ে এখনো বয়ান দিচ্ছে, ওয়াজ নশীয়ত করছে। যেমন দুএকটি হাদীস বলি কোরআন বিরুদ্ধঃ
হাদীস
১। নামাজরত কোনো পুরুষের সামনে থেকে যদি কোনো গাধা, কালো কুকুর অথবা কোনো নারী অতিক্রম করে তবে তার নামাজ বরবাদ হবে।
হাদীস সূত্রঃ (বোখারী (আরবি)- ৪/১০২; হাম্বাল (আরবি)- ৪/৮৬; ৩/৬১)
কোরাআন
অতঃপর প্রতিপালক তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে বলেন, ‘ নারী হোক কি পুরুষই হোক! আমি কারো কর্মফল বিনষ্ট করি না। তোমরা একে অন্যের সমান । [ইমরান- ৩:১৯৫ আয়াত]
২। আবু হোরায়রা থেকে বর্ণিত: রাছুল বলেছেন, স্বামী যদি স্বীয় স্ত্রীকে
বিছানায় ডাকে এবং স্ত্রী যদি তাতে অসম্মতি প্রকাশ করে, যদ্দরুন
স্বামী অসন্তুষ্টির সঙ্গে রাত্রি যাপন করে, তবে সেই স্ত্রীর রাত্রি এমন
অবস্থায় অতিবাহিত হয় যে, ফেরেস্তাগণ ভোর পর্যন্ত সারারাত তার
প্রতি লা’নত ও অভিশাপ বর্ষণ করেন। [দ্র: বোখারী, ৩য় খ. ৮ম
সংস্করণ, আ. হক; পৃ: ২৮৪; হামিদিয়া লাইব্রেরী]
স্ত্রী স্বামীর ডাকে সাড়া না দিলে ফেরেস্তারা রাত থেকে ভোর পর্যন্ত সেই স্ত্রীকে অভিশাপ দেয় এই হাদীসে বলছে। যদি তায় হয় যে ফেরেস্তারা স্ত্রীকে অভিশাপ দেয় তাহলেতো সকাল হতে হতেই সেই স্ত্রী ফেরেস্তাদের অবিশাপে ভষ্ম হয়ে যাওয়ার কথা।
৩। আমর ইবনে মাইমুন (রাঃ) বলেন, নবুয়াতের পূর্বে একটা বানর
ব্যাভিচার করায় অনেক বানর সেখানে সমবেত হয়ে তাকে রজম
(ব্যাভিচারীকে পাথর মারা) করলো। আমিও তাদের সঙ্গে যোগ
দিয়ে রজম করলাম। [দ্র: বোখারী, মোস্তফা চরিত, আকরাম খাঁ,
মৌজু হাদিছ অধ্যায়]
ইবনে মাইমুন (রাঃ) বানরের ব্যাভিচার করায় বানের পাথর মারার কথা বললেন। এটা একটা হাস্যকর কথা। বানরের আবার অবৈধ মেলামেলা বলে কিছু আছে? তিনিও বলে সেখানে অংশ গ্রহণ করে পাথর মারলেন। কেমন বেকুব সব হাদীস রাইটাররা।
এমন বললে অনেক বলা যাবে।
ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
৫| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ ভোর ৬:৪১
মেলবোর্ন বলেছেন: Mahmood bin Rabe’ narrates, “I still remember when I was five years old, the Prophet (S) rinsed his mouth and then poured the water into mine.” [Vol 1 Kitabul ‘Ilm pg 130, Hadith #77] Could the exalted Prophet hold any human being at that level of contempt?
The sun rises between the two antlers of Satan. [Beginning of Creation 2:235 #504] Does this need a comment?
মহিলা/নারী/ স্ত্রী সম্পকে:
The Messenger (S) used to visit all nine of his wives every night. [Bukhari, Vol 3 pg 52 Book of Nikah, #34] On the other hand, Bukhari repeatedly narrates that the Prophet used to stand at prayers all night, so much so that his feet used to swell.
The Messenger (S) used to have intercourse with all of his wives in one hour of the day and night (without taking a bath) and these (wives) were eleven. The narrator tries to preempt an objection by stating that he had the (sexual) power of 30 men. [Bukhari, Vol 1 pg 189, Book of Bath #266]
The exalted Prophet was a perfect guide to humanity.
He was not a man of unbridled desire. The women who lived in his household were primarily there for shelter. Only a contemptuous mind can perceive the Mothers of Believers as objects of pleasure for the Prophet. Bukhari highlights the above Hadith by putting a special
heading: “To have sex with many women with only one bath.” That stifles any apologetic defenses of this Hadith by Mullahs.
The Prophet said that the best man amongst his followers is the one who has the greatest number of wives. [Bukhari, Vol 3:52 Book of Nikah #62] The Quran (49:13) tells us that the best person is the one who is best in conduct.
The Prophet said, “Bad luck and misfortune can exist in a wife, a home and a horse.” [Bukhari, Book of Nikah 3:60 #85]
“After my time, the greatest tribulation for men will be women.” (Bukhari, Book of Nikah 3:61 #89).
The Prophet said to a man, "I make you the owner of this woman because you can recite some Surahs of the Quran." [Bukhari, Book of Nikah 3:69 #109]
“A woman presented herself to the Prophet. He intently gazed at her from head to toe and then lowered his head.” - (He was not interested in her.) [Bukhari, Book of Nikah 3:71 #113]
Have you noticed the degradation of women in the above five Ahadith? Could these be the words and deeds of the noble Prophet? The Quran testifies that the exalted Prophet had sublime morals and that he was a role model for all mankind. (68:4, 33:21). মাথা খারাপ থাকলেই এইসব বিশ্বাস করবেন আর এ গুলার জণ্যই মহামানব হজরত মুহাম্মদ (সঃ) সম্পকে আবিশ্বাসিরা খারাপ মন্তব্য করতে সুযোগ পায় এই সব মুল্লাদের হাদিসের কল্যানে।
১২ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:০৫
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: আপনি হাদীস গুলি ভালোই দিয়েছেন তবে যদি এই হাদীস গুলি দয়া করে বাংলা করে দেন তাহলে ব্লগের অনেক পাঠক বুজতে পারতো। প্লিজ পারলে বাংলা করে দিয়েন।
৬| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ ভোর ৬:৪৯
মেলবোর্ন বলেছেন: মেঘলা মানুষ বলেছেন: হাদিস গ্রহণ করার ব্যপারে সাবধানতার দরকার।আমরা সবাই ধর্মের মূলনীতি জানি, সেটা কোরান থেকেই। এখন আপনি অনেক হাদিস শুনলে বুঝতে পারবেন সেটা ভিত্তি কতটা শক্ত। সহমত
১৩ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:৫৮
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: সুন্দর কথা।
৭| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ৮:৫৩
নির্ণয় বলেছেন: ছোট্ট একটি প্রশ্ন করি। এক আল্লাহ্, এক রাসুল, এক কিবলা, এক ধর্ম; তবে হাদীস প্রনেতা পৃথিবীতে এত কেন?
হা হা হা ... আগে বলেন এত ধর্ম কেন? এত ধর্মগ্রন্থই বা কেন?
হাদীস সংগ্রহের দায়ীত্ব যদি আল্লাহ্ কাউকে দিতেন তাহলে একজন কে দিতে পাতেন; তাহলে পৃথিবীতে এত মাযহাব হত না।
মরণ! আল্লাহ কীভাবে কী করবে তা কী আপনার বুদ্ধিতে করবে! আল্লাহ দফায় দফায় রাসুল পাঠিয়েছেন, এখন তিনি যদি দফায় দফায় ফাদিস কালেক্ট করারা তৌফিক একাধিক জনকে দেন তাহলে তাতে বিষ্ময়ের কী আছে!
এত ফিরকাহ বা মাযহাবের জন্য কি হাদীস প্রনেতারা দায়ী, নাকি আমরা কিংবা আল্লাহ্ , কোনটা কে আপনি দায়ী মনে করেন?
আপনারে দায়ী মনে করি!! রাগ হয়েননা। কথাটা হল - আপনি হাদিস বাদে কোরান চর্চার ইচ্ছা পোষণ করেন। এটাই যদি কয়েকশ বছর আগে হতো তাহলে "কুরান অনলি" নামের একটা মাযহাব তোরী হত। আপনি বলতে পারেন আপনি "কুরান অনলি" নন বরং "কুরান অনলি + পছন্দসই হাদিস"। সেক্ষেত্রে সেটাই একটা মাযহাবের রূপ ধারণ করতো।
ধরেন দুনিয়ার সবাই আপনার লাইনে চলে আসলো। তখন পছন্দসই হাদিস বাছাইয়ে ভাগাভাগি হয়ে মানুষ এটলিস্ট দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে যাবে - মাযহাব টাইপের ব্যাপার।
আল্লাহ্ বলছে কোরআনে সব আছে, যদি কোরআনে সব থেকে থাকে তবে হাদীস থেকে আমার কি নেয়ার আছে?
মজাটা দেখেন, জাকির নায়েকের কথা হল "কুরান science না, বরং বুক অফ signs". Signs চিপে science বের করতে হলে তো বাইরের বই লাগবেই। খালি খালি science কোথা থেকে পাবেন!
আসল কথাঃ আয়েশার বয়সের ব্যাপারে একটা পোস্ট নিয়ে "লজ্জ্বা পাওয়া মানুষদের" চেষ্টার উপর একটা ছোট লেখা - ...ফলাফল হলো ইসলামকে তাদের নর্ম মতন কাস্টমাইজ করে নেয়া।
কাস্টমাইজেশনের এই প্রবণতার সমর্থন দেখা যাচ্ছে মেলবোর্নের মন্তব্যে - হাদিস নিজের নর্মের সাথে মিলছেনা তো বাতিল করাই ভাল!
১৩ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১১:৫৪
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: প্রশ্নঃ হা হা হা ... আগে বলেন এত ধর্ম কেন? এত ধর্মগ্রন্থই বা কেন?
উত্তরঃ এতধর্ম বিভিন্ন (কওম) সপ্রদায়ের উপর ছিলো, এক একটি এক এক রকম। তবে হাদীস কেবল ইসলাম ধর্মের মানুষের জন্য ভিন্নতর।
প্রশ্নঃ আপনারে দায়ী মনে করি!! রাগ হয়েননা। কথাটা হল - আপনি হাদিস বাদে কোরান চর্চার ইচ্ছা পোষণ করেন। এটাই যদি কয়েকশ বছর আগে হতো তাহলে "কুরান অনলি" নামের একটা মাযহাব তোরী হত। আপনি বলতে পারেন আপনি "কুরান অনলি" নন বরং "কুরান অনলি + পছন্দসই হাদিস"। সেক্ষেত্রে সেটাই একটা মাযহাবের রূপ ধারণ করতো।
ধরেন দুনিয়ার সবাই আপনার লাইনে চলে আসলো। তখন পছন্দসই হাদিস বাছাইয়ে ভাগাভাগি হয়ে মানুষ এটলিস্ট দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে যাবে - মাযহাব টাইপের ব্যাপার।
উত্তরঃ আপনার কথাটা কুব যুক্তিযুক্ত। তবে হাদীস এর সংখ্যা অনেক কম হতে এখন হাদীসের পাশে কোরআন যতটা কম।
প্রশ্নঃ মজাটা দেখেন, জাকির নায়েকের কথা হল "কুরান science না, বরং বুক অফ signs". Signs চিপে science বের করতে হলে তো বাইরের বই লাগবেই। খালি খালি science কোথা থেকে পাবেন!
উত্তরঃ এর পূর্বেও অনেক আসমানী কিতাব ছিলো এবং আছে কিন্তু তাদের জন্য কোন হাদীস গ্রন্থের প্রয়োজন নাই কেন? তাদের উম্মতরা কিশের ভিত্তিত্বে চলছে বা চলেছে?
আপনার লিংকটা পড়বো। ভালো থাকবেন। ধনবাদ
৮| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:০৪
মেলবোর্ন বলেছেন: @নির্ণয় :মেলবোর্নের মন্তব্যে - হাদিস নিজের নর্মের সাথে মিলছেনা তো বাতিল করাই ভাল! ভালই বলছেন আমি যতগুলো হাদিস দিসি তাকি আপনার নর্মের সাথে মিলে ?তাইলে তো নো কমেন্ট। চোখ বন্ধ কইরা যে যা বলে তাই যদি হাদিস বলে বিশ্বাস করেন তবে রাসুল কেই অপমান করছেন আমার দেয়া হাদিস গুলো আবার দেখেন আর এটাও পরে নিন:
The exalted Prophet was a perfect guide to humanity. He was not a man of unbridled desire. The women who lived in his household were primarily there for shelter. Only a contemptuous mind can perceive the Mothers of Believers as objects of pleasure for the Prophet.
৯| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১২
নির্ণয় বলেছেন:
@ মেলবোর্ন
এত এত বাছাইয়ের পর যে হাদিস কালেকশন হয়েছে তা থেকেও যদি ছাটতে থাকেন তাহলে একদিন সত্যি আসবে যেদিন লোম বাছতে কম্বল উজাড় হয়ে যাবে। হাদিস শেষে একদিন কোরানের উপর হাত পড়বে।
আচ্ছা ধরেন যে আপনি যেগুলো উল্লেখ করেছেন সেগুলো আসলেই ভুয়া। এখন দেখুন হাদিসে নবীর স্ত্রীর (উম্মুল মুমিনিন) মারফতে অনেক যৌনতা সংক্রান্ত অনেক হাদিস আছে। এমন লেখাও ব্লগে পড়েছি যে ছিঃ, উম্মুল মুমিনিনদের সাথে এইসব ব্যাপারে কী কেউ কথা বলতে পারে! নাউজুবিল্লাহ! হতেই পারেনা। সুতরাং হাদিস বাতিল!!!
এরকম কতজন কত কত হাদিস বাতিল করে দিতে পারে আজকের নর্মের সাথে তখনকার হাদিস না মিললে! সুতরাং যা শুরু হয়েছে তাতে একদিন ইসলামিস্টদের হাতেই ইসলাম বনসাই হয়ে যাবে।
১৪ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১২:১৩
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: ভাইজান ধরে নিলাম আপনার কথা ঠিক। তবে নিম্ন বর্ণিত এই হাদীস গুলিকে বৈধতা দিতে হবে? হাদীস গুলি মন দিয়ে পড়ে উত্তর দিবেন।
আবু আইউব আনছারী (রাঃ) বর্ণনা করেছেন: রাসুলুল্লাহ (সাঃ)
বলেছেন, মল-মুত্র ত্যাগের সময় কেউ কেবলামুখী বসবে না।
কেবলার দিকে পিঠও দিবে না, পূর্ব বা পশ্চিম মুখী বসবে না।
[দ্রঃ বোখারী, ১ম খ. ১২ সংস্করণ, আ. হক; হাদিছ নং-১১৪, পৃ: ১২৫;
হামিদিয়া লাইব্রেরী]
আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, লোকেরা
বলে, যখন তুমি পেশাব-পায়খানায় বসবে, তখন তুমি কিবলার
দিকে কিংবা বায়তুল মোকাদ্দাসের দিকে মুখ করবে না। আমি
একদিন আমাদের ঘরের ছাদে উঠে দেখলাম রাসুলুল্লাহ (সাঃ) দু’টি
ইটের ওপর বসে বায়তুল মোকাদ্দাসের দিকে মুখ করে পায়খানা-
পেশাবের জন্য বসে আছেন।
[ দ্রঃ বোখারী, ১ম খ. ১২ সংস্করণ, আ. হক; হাদিছ নং-১১৫, পৃ: ১২৫; হামিদিয়া লাইব্রেরী।]
এইসব নির্লজ্জ কথা গুলি মানতে হবে???
১০| ১৫ ই আগস্ট, ২০১১ ভোর ৬:৫৫
নির্ণয় বলেছেন:
এতধর্ম বিভিন্ন (কওম) সপ্রদায়ের উপর ছিলো, এক একটি এক এক রকম। তবে হাদীস কেবল ইসলাম ধর্মের মানুষের জন্য ভিন্নতর।
স্রষ্টার অস্তিত্বকে স্বীকার করে নিয়ে “কী কেন কীভাবে” এর উত্তর দিতে গিয়ে যেমন ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম তৈরী হয়েছে ঠিক তেমনভাবেই মূল ধর্মের সাথে যুক্ত থেকে কী কেন কীভাবে এর উত্তর দিতে গিয়ে তৈরী হয়েছে মাযহাব। দুটোর মূল কারণ একই। এক আল্লাহকে স্বীকার করলেও যেমন ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম হয়েছে, ঠিক তেমন এক আল্লাহর এক ইসলামকে স্বীকার করলেও তার ভেতর হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন মাযহাব।
আপনার কথাটা কুব যুক্তিযুক্ত। তবে হাদীস এর সংখ্যা অনেক কম হতে এখন হাদীসের পাশে কোরআন যতটা কম।
বাছাই করলে সংখ্যা কমে যাওয়ারই কথা। বুখারি ৩০০০০০ হাদিসের ভেতর থেকে বাছাই করার কারণে শেষে টিকেছে ২৬০২ টা। এখন আপনি বাছাই করতে গেলে থাকবে হয়তো ৬০২টা! কমবে। ৩০০০০০ হাদিসের পাশে ২৬০২ টা কম। তাতেও তো হচ্ছে না! কত কমালে ঠিক হবে? কোরানের সমান না তার চেয়েও কম! হাদিস কি করে কোরানের সমান সাইজের বা ছোট হবে! কোরানের সুরার শানে নজুল তো বটেই সাথে ইসলামে পালনীয় সুন্নত ও লিপিবদ্ধ হাদিসে। কত কমাতে চান ভাই!!!
কিন্তু কমানোর ইচ্ছার কারণাটা কী? কারণ এখনকার নর্মের সাথে অনেক হাদিস মেলে না, শিক্ষিত মধ্যবিত্ত মুসলমানদের চলতি নর্মের সাথে যায়না। এইধরণের প্রবণতার ফল সাধারণত দুটো - ধর্মের বর্তমান অসহায়ত্বকে এটলিস্ট নিজের কাছে স্বীকার করে নেয়া অথবা অগ্রহণযোগ্য টেক্সটগুলোর অপসারণ-যুগোপযোগী ব্যাখ্যা প্রদাণ।
এর পূর্বেও অনেক আসমানী কিতাব ছিলো এবং আছে কিন্তু তাদের জন্য কোন হাদীস গ্রন্থের প্রয়োজন নাই কেন? তাদের উম্মতরা কিশের ভিত্তিত্বে চলছে বা চলেছে?
জানাব, আছে। ইহুদিদের হাদিসতুল্য গ্রন্থ আছে। নাম তাহার “ওরাল তোরাহ”। http://en.wikipedia.org/wiki/Oral_Torah
আবু আইউব আনছারী (রাঃ) বর্ণনা করেছেন: রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, মল-মুত্র ত্যাগের সময় কেউ কেবলামুখী বসবে না। কেবলার দিকে পিঠও দিবে না, পূর্ব বা পশ্চিম মুখী বসবে না। [দ্রঃ বোখারী, ১ম খ. ১২ সংস্করণ, আ. হক; হাদিছ নং-১১৪, পৃ: ১২৫; হামিদিয়া লাইব্রেরী]
আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, লোকেরা বলে, যখন তুমি পেশাব-পায়খানায় বসবে, তখন তুমি কিবলার দিকে কিংবা বায়তুল মোকাদ্দাসের দিকে মুখ করবে না। আমি একদিন আমাদের ঘরের ছাদে উঠে দেখলাম রাসুলুল্লাহ (সাঃ) দু’টি ইটের ওপর বসে বায়তুল মোকাদ্দাসের দিকে মুখ করে পায়খানা- পেশাবের জন্য বসে আছেন। [ দ্রঃ বোখারী, ১ম খ. ১২ সংস্করণ, আ. হক; হাদিছ নং-১১৫, পৃ: ১২৫; হামিদিয়া লাইব্রেরী।]
বায়তুল মোকাদ্দেস তো মসজিদুল আকসা, তাইনা (ভুল হলে ঠিক করে দিন)? ঘটনাটা পূর্ব-পশ্চিম এর বিবেচনায় পূর্বের হাদিসটার সাথে কনফ্লিক্টিং না। কারণ যখন দ্বিতীয় ঘটনাটা ঘটেছে ততদিনে হয়তো কিবলা মসজিদুল আকসা থেকে সরিয়ে কাবার দিকে নির্ধারণ করা হয়েছে - বায়তুল মোকাদ্দেস আর কিবলা নেই তখন। ফলে সাবেক কিবালার দিকে মুখ করে বাথরুম নবী করতেই পারেন। তখন টার্গেট নতুন কিবলাকে সম্মান দেয়া।
এইসব নির্লজ্জ কথা গুলি মানতে হবে???
হা হা হা!!! বন্ধুবর এইতো আসল কথা - লজ্জ্বা পাওয়া। এই সেই লজ্জ্বা যা নিবারণের জন্য হাদিস বাতিলের এত চেষ্টা, কোরানের আধুনিক অনুবাদের এত চেষ্টা!!! আমার উক্ত ব্যাখ্যা (বা অন্যকারোর অন্যকোন ব্যাখ্যা) যদি আপনার কাছে গ্রহণযোগ্য হয় তখন আর আপনি হাদিসগুলোকে বাতিল করতে চাইবেননা। তখন আর সেগুলো নির্লজ্জ্ব থাকবেনা।
আপনার যদি খারাপ লেগে থাকে এ কারণে যে নবী কিবলার দিকে মুখ করে বাথরুম করছেন, তাহলে আপনার টার্গেট হবে দ্বিতীয় হাদিসটাকে জয়িফ হিসেবে ঘোষণা দেয়া। কিন্তু কথা হলো নবী এমন অনেক কাজই করেছেন যা তিনি নিজে উম্মতের জন্য নিষিদ্ধ করেছেন বা আজকের সমাজের আপনার কাছে অপছন্দনীয় কাজ। সুতরাং উম্মতের জন্য নিষিদ্ধ বা আপনার কাছে অপছন্দনীয় বলেই আপনি অস্বীকার করতে পারেননা যে কাজগুলো তিনি করেননি।
১৫ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৫:৪০
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: বাছাই করলে সংখ্যা কমে যাওয়ারই কথা। বুখারি ৩০০০০০ হাদিসের ভেতর থেকে বাছাই করার কারণে শেষে টিকেছে ২৬০২ টা। এখন আপনি বাছাই করতে গেলে থাকবে হয়তো ৬০২টা! কমবে। ৩০০০০০ হাদিসের পাশে ২৬০২ টা কম। তাতেও তো হচ্ছে না! কত কমালে ঠিক হবে?
আপনার তথ্য ভুল। বোখারী সাহেব ৬ লক্ষ হাদীস সংগ্রহ করে ছিলো এবং তা থেকে তিনি নিজেই যাচায় বাছাই করে সাত হাজার তিন শত সাতানব্বই টি হাদীস নিয়ে রাসুলের রওজা মোবারকের সামনে বসে প্রথমে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করলেন এবং আল্লাহর দরবারে দুহাত তুলে দোয়া করলেন এই বলেঃ হে আল্লাহ এই হাদীস গুলি সত্য না মিথ্যা তা আমি জানিনা ভুল তুমি ক্ষমা কর। এই বলে
সাত হাজার তিন শত সাতানব্বই বার নফল নামাজ পড়েছেন দীর্ঘ নয় বছরে এবং তার হাদীস লিখার কাজ একাই সম্পাদন করেছেন। এখন অবশ্য একটি বই সম্পাদন করলে অনেক জনকে প্রয়োজন হয় তার পরেও ভুল থাকে। যাক সে কথা, তিনি হাদীসের কাজ শেষ করে শেষে বলেছেন ৬ লক্ষ হাদীসের মধ্যে তিনি যেগুলি ফেলে দিলেন সেগুলি ঠিক নাই; আর যে গুলি রাখলেন সেগুলিকে ধরে নেয়া যেতে পারে। দূর্বল কথা যেমন ধরুন আবহাওয়া সংবাদের বলে রাজশাহী,রংপুর ঢাকা ও নারায়নগঞ্জের উপর দিয়ে বিকাল ৪টার সময় ৪০ থেকে ৮০ মাইল স্পীডে দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়া তার সাথে বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। নাও পারে, কারন এটা কেবল অনুমান। অনুমান বড় গুনাহ্।
অনুমান গুনাহ্ র কাজ এই অনুমান সম্বন্ধে সূরা ইউনুস ১০:৩৬ আয়াতে আল্লাহ্ বলে
وَمَا يَتَّبِعُ أَكْثَرُهُمْ إِلاَّ ظَنًّا إَنَّ الظَّنَّ لاَ يُغْنِي مِنَ الْحَقِّ شَيْئًا إِنَّ اللّهَ عَلَيمٌ بِمَا يَفْعَلُونَ
অর্থঃ বস্তুতঃ তাদের অধিকাংশই শুধু আন্দাজ-অনুমানের উপর চলে, অথচ আন্দাজ-অনুমান সত্যের বেলায় কোন কাজেই আসে না। আল্লাহ ভাল করেই জানেন, তারা যা কিছু করে।
আল-হাদীস আর জাল হাদীস কোনটায় কোনআন সমর্থন করে না। আল্লাহ্ কেবলী তার কিতাবের কথা বলে এবং এও বলে যে এই কোরআনের সংরক্ষ সে নিজেই। আর হাদীস (মুখে মুখে চার শত বছর ধরে ছিলো) মানুষের লিখা এর সংরক্ষ সয়ং মানুষ নিজেই।
১। আল্লাহ্ কোরআনের সূরা কাহফ ১৮:২৭ আয়াতে বলেনঃ
وَاتْلُ مَا أُوحِيَ إِلَيْكَ مِن كِتَابِ رَبِّكَ لَا مُبَدِّلَ لِكَلِمَاتِهِ وَلَن تَجِدَ مِن دُونِهِ مُلْتَحَدًا
অর্থঃ আপনার প্রতি আপনার পালনকর্তার যে, কিতাব প্রত্যাদিষ্ট করা হয়েছে, তা পাঠ করুন। তাঁর বাক্য পরিবর্তন করার কেউ নাই। তাঁকে ব্যতীত আপনি কখনই কোন আশ্রয় স্থল পাবেন না।
২। সূরা ইয়াসিন ৩৬:৬৯ আয়াতঃ
وَمَا عَلَّمْنَاهُ الشِّعْرَ وَمَا يَنبَغِي لَهُ إِنْ هُوَ إِلَّا ذِكْرٌ وَقُرْآنٌ مُّبِينٌ
অর্থঃ আমি রসূলকে (নিজস্ব কথা) কবিতা শিক্ষা দেইনি এবং তা তার জন্যে শোভনীয়ও নয়। এটা তো এক উপদেশ ও প্রকাশ্য কোরআন।
৩। সূরা আনকাবুত ২৯:৪৮ আয়াতঃ
وَمَا كُنتَ تَتْلُو مِن قَبْلِهِ مِن كِتَابٍ وَلَا تَخُطُّهُ بِيَمِينِكَ إِذًا لَّارْتَابَ الْمُبْطِلُونَ
অর্থঃ আপনি তো এর পূর্বে কোন কিতাব পাঠ করেননি এবং স্বীয় দক্ষিণ হস্ত দ্বারা কোন কিতাব লিখেননি। এরূপ হলে মিথ্যাবাদীরা অবশ্যই সন্দেহ পোষণ করত।
লিখার ৩ নং সূরায় আল্লাহ বলছে রাসুল তার নিজ হাতে কিছু লিখেনী। এইরকম কিছু লিখলে মুশরেক, মিথ্যাবাদীরা সন্দেহ পোষন করতো, বা বিতন্ডা করতো। কেন একজন সফল সয়ং সম্পূর্ণ রাসুল তার উম্মতদের জন্য হাদীস লিখলেন না তা ভাবতে হবে। কেনই বা তার চার জন খলিফা এই গুরু দায়ীত্ব পালন করলেন না। তবে কি তারা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে! নাকি হাদীস লিখা তাদের জন্য নিষেধ ছিলো? যারা নিজ হাতে কিতাব লিখে এবং তার বিনিময়ে কিছু অর্থ উপার্জন করে তাদের সম্পর্কেও কোরআন এর
৪। সূরা বাবারা ২:৭৯ আয়াতে বলেছেঃ
فَوَيْلٌ لِّلَّذِينَ يَكْتُبُونَ الْكِتَابَ بِأَيْدِيهِمْ ثُمَّ يَقُولُونَ هَـذَا مِنْ عِندِ اللّهِ لِيَشْتَرُواْ بِهِ ثَمَناً قَلِيلاً فَوَيْلٌ لَّهُم مِّمَّا كَتَبَتْ أَيْدِيهِمْ وَوَيْلٌ لَّهُمْ مِّمَّا يَكْسِبُونَ
অর্থঃ অতএব তাদের জন্যে আফসোস! যারা নিজ হাতে গ্রন্থ লেখে এবং বলে, এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ-যাতে এর বিনিময়ে সামান্য অর্থ গ্রহণ করতে পারে। অতএব তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের হাতের লেখার জন্য এবং তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের উপার্জনের জন্যে।
আবার যে হাদীস নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি সেই হাদীস গুলি আজ আমাদের ধর্মে নানা দল ও উপদলে বিভক্ত করেছে। এক এক হাদীস প্রনেতা এক এক মতবাদ সৃষ্টি করেছে। কেউ বলঝে রাসুল এভাবে নামাজ পড়তো, কেউ বলছে না এভাবে নয় ওভাবে পড়তো। এই সব নানান ফেকাহহ্ সৃষ্টি করেছে হাদীস। এই সম্পর্কে কোরআনের
৫। সূরা আন-আম ৬:১৫৯ আয়াতে বলছেঃ
إِنَّ الَّذِينَ فَرَّقُواْ دِينَهُمْ وَكَانُواْ شِيَعًا لَّسْتَ مِنْهُمْ فِي شَيْءٍ إِنَّمَا أَمْرُهُمْ إِلَى اللّهِ ثُمَّ يُنَبِّئُهُم بِمَا كَانُواْ يَفْعَلُونَ
অর্থঃ নিশ্চয় যারা স্বীয় ধর্মকে খন্ড-বিখন্ড করেছে এবং অনেক দল হয়ে গেছে, তাদের সাথে আপনার কোন সম্পর্ক নেই। তাদের ব্যাপার আল্লাহ তা'আয়ালার নিকট সমর্পিত। অতঃপর তিনি বলে দেবেন যা কিছু তারা করে থাকে।
আমাদের কে বুঝতে হবে কোরআন আর হাদীস কখনো এক হতে পারে না। অনেকেই বলবে কোরআন আর হাদীস তো এক নয় আপনি বলছেন কেন। আমি অনেককে বলতে শুনেছি যে কোরআনে অনেক কিছু নাই তায় হাদীস দেখতে হয়! তার মানে আল্লাহ্ কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া হলো যে, তার কোরআনে যা নাই হাদীসে তা আছে। কোরআন পড়লেই বোঝা যায় আল্লাহ্ কোরআনের বিধান দিয়ে ফায়সালা করতে বলছে কখনো বলেনী হাদীস দিয়ে ফায়সালা কর।
৫। সূরা মায়েদাহ ৫:৪৭ আয়াতঃ
وَلْيَحْكُمْ أَهْلُ الإِنجِيلِ بِمَا أَنزَلَ اللّهُ فِيهِ وَمَن لَّمْ يَحْكُم بِمَا أَنزَلَ اللّهُ فَأُوْلَـئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ অর্থঃ যারা আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না, তারাই পাপাচারী।
৬। সূরা কাহফ ১৮:৫৪ আয়াতঃ
وَلَقَدْ صَرَّفْنَا فِي هَذَا الْقُرْآنِ لِلنَّاسِ مِن كُلِّ مَثَلٍ وَكَانَ الْإِنسَانُ أَكْثَرَ شَيْءٍ جَدَلًا
অর্থঃনিশ্চয় আমি এ কোরআনে মানুষকে নানাভাবে বিভিন্ন উপমার দ্বারা আমার বাণী বুঝিয়েছি। মানুষ সব বস্তু থেকে অধিক তর্কপ্রিয়।
(ক) কোরআন বাদে আমিকি হাদীস দিয়ে ফায়সালা করবো?
(খ) কোরআন বাদে আমরা কি হাদীস দিয়ে ফায়সালা করছি না?
(গ) আমরা কি তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের নামে বেশীর ভাগ'ই
হাদীসের বয়ান করছি না?
কোরআনের পাশে হাদীসকে জুড়তে গিয়ে আলেমরা অনেক মতবাদ সৃষ্টি করেছে, তর্ক সৃষ্টি করেছে। সাড়ে তিন থেকে চার শত বছর মানুষের মুখে মুখে ধরে রাখা কথা যে রুপ কথার গল্প হতে পারে যা কেবলী আন্দাজ আর অনুমানের ভিত্তি ছাড়া বিশ্বাসের কোন পথ নাই। এই সম্পর্কেও কোরআনে আল্লাহ্
৭। সূরা ইউনুস ১০:৩৬ আয়াতে বলেছেনঃ
وَمَا يَتَّبِعُ أَكْثَرُهُمْ إِلاَّ ظَنًّا إَنَّ الظَّنَّ لاَ يُغْنِي مِنَ الْحَقِّ شَيْئًا إِنَّ اللّهَ عَلَيمٌ بِمَا يَفْعَلُونَ
অর্থঃ বস্তুতঃ তাদের অধিকাংশই শুধু আন্দাজ-অনুমানের উপর চলে, অথচ আন্দাজ-অনুমান সত্যের বেলায় কোন কাজেই আসে না। আল্লাহ ভাল করেই জানেন, তারা যা কিছু করে।
(ঘ) আমরা আজ যে হাদীস পড়ছি তা কি আন্দাজের উপর নয়?
(ঙ) হাদীস কি কখনো পৃথিবীতে লিখিত আকারে ছিলো, যে ভাবে
কোরআন ছিলো?
আল্লাহ্ বলছেন মুহম্মাদ যদি আমার নামে নিজে কিছু রচনা করতো তবে অবশ্যই তার ডান হাত পাকড়াও করে তার জীবন ধমনী কেটে ফেলতাম। তবে মুহাম্মাদ (সাঃ) কোরআনে কিছু লিখেনী। কিন্তু হাদীসের লিখা গুলিকি ধর্মে নতুন ভাবে প্রবেশ করেনি? হাদীসের লিখা ধর্মে কোরআনের আয়াতের পাশে প্রবেশ করেছে। এর পরেও মতবাদ করি পাক কালামের সাথে। আমরা কোরআন বাদে হাদীস নিয়ে নানান মতবিরোধ করছি। হাদীস লিপিবদ্ধ করা রাসুলের বারণ ছিলো নিম্নের হাদীস গুলি দেখি।
হযরত আবু ছাইদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত: রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন যে, কোরআন ব্যতীত আমার কোন কথাই লিখিও না। আর কোরআন ব্যতীত আমার নিকট থেকে অন্য কিছু লিখে থাকলে, তা যেন মুছে ফেলা হয়।” [ দ্র: সহিহ্ মুসলিম, আ. ফা. ভুইয়া, ১ম খ. ১ম সংস্করণ, পৃ: ৫১]
শরীয়তি আলেমরা কি সব মুছে ফেলেছে?
আমার কাছ থেকে তোমরা কোরান ছাড়া আর কিছুই লিখবেনা। যদি কেউ লিখে থাকে তবে অবশ্যই তা নষ্ট করে ফেল।'' -সহিহ মুসলিম, ভলিউম১, পৃষ্ঠা ২১১, হাদীস নং ৫৯৪, প্রিন্টার-মতকবে আদনান, বৈরুত,১৯৬৭।
শরীয়তি আলেমরা কি সব নষ্ট করে ফেলেছে
হাদীসটি সম্বন্ধে বিশ্বের সকলেই একমত; আবার বিশ্বের সকলেই (শরীয়ত) হাজারো ফন্দি-ফিকির, কুট-কৌশলে হাদীসটি বাতিল বলে সাব্যস্ত করার আপ্রাণ চেষ্টা করে থাকেন।
হাদিছ সংকলনে খোলাফায়ে রাশেদ্বীনের ভূমিকা
হযরত আবুবকর
প্রথম খলিফা হযরত আবুবকর ছিদ্দীক (রা) নিজে পাঁচ শত হাদিছের
এক সংকলন তৈরি করেছিলেন। কিন্তু জীবনের শেষ ভাগে তিনি নিজেই তা বিনষ্ট করে ফেলেন (জ্বালিয়ে ফেলেন)। এর কারণ স্বরূপ মুহাদ্দিস ও ঐতিহাসিকগণ উল্লেখ করেছেন যে, হাদিছসমূহ সংকলন করার পর তিনি মোটেই স্বস্তিলাভ করতে পারেননি। তার মনে কয়েক প্রকার ভয়ের সঞ্চার হয়। তিনি এজন্য ভাবিত হয়ে পড়েন যে, তাঁর সংকলিত হাদিছ সমূহের মধ্যে একটি কথাএকটি শব্দও যদি রাছুল করিমের মূল বাণীর বিন্দুমাত্রও বিপরীত হয়ে পড়ে, তা হলে রাছুলের কঠোর সতর্কবাণী অনুযায়ী তাকে জাহানড়বামের ইন্ধন হতে হবে।
দ্বিতীয়ত তার মনে এই ভয়ও জাগ্রত হল যে, তার সংকলিত হাদিছ
গ্রন্থকে মুসলিম জনগণ যদি কোরানের সমতুল্য মর্যাদা দিয়ে বসে কিংবা অন্যান্য ছাহাবীদের বর্ণিত ও সংকলিত হাদিছ অপেক্ষা অধিক মর্যাদা দিতে শুরু করে, তা হলেও মুসলমানদের পক্ষে বিশেষ ক্ষতির কারণ হইবে। তার ফলে হাদিছ সংকলনের ক্ষেত্রে ব্যাপক কাজ ও অগ্রগতি ব্যাহত হতে পারে। এই সব চিন্তার ফলেই তিনি তা নষ্ট করে ফেলেন। ব্যাপারটিকে আমরা যতই গভীর ও সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে বিচার করে দেখি না কেন, একে একটি বিশেষ মনস্তাত্ত্বিক ও মানসিক অবস্থার পরিণাম বলা ছাড়া অন্য কিছু বলা যায় না-।”
হযরত ওমর ফারূক
হযরত ওমর ফারূক (রা)-এর সময়ই সরকারি পর্যায়ে বিচ্ছিনড়ব হাদিছ সম্পদ সংকলন ও লিপিবদ্ধ করা হয় এবং সু-সংবদ্ধ করে নেয়ার প্রশ্ন সর্বপ্রথম উত্থাপিত হয়। হযরত ওমর (রা) নিজেই এই বিরাট কাজ সম্পন্ন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন এবং এ সম্পর্কে অন্যান্য ছাহাবীর সঙ্গে পরামর্শও করেছিলেন। মুসলমানরা তাঁকে এর অনুকূলেই পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে তাঁর নিজের মনেই এই সম্পর্কে দ্বিধা ও সন্দেহের উদ্রেক হয় যে, এটা করা সমীচীন হবে কিনা! তিনি প্রায় একমাস কাল পর্যন্ত অনেক চিন্তা-ভাবনা ও ইস্তেখারা করতে থাকেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি নিজেই একদিন বললেন: ‘আমি তোমাদের নিকট হাদিছ লিপিবদ্ধ ও সংকলিত করার কথা বলেছিলাম, একথা তোমরা জান। কিন্তু পরে মনে হল তোমাদের পূর্বের আহ্লে কেতাব লোকেরাও এমনিভাবে নবির কথা সংকলিত করেছিল, ফলে তাঁরা তাই আঁকড়ে ধরল এবং আল্লাহর কিতাব
পরিত্যাগ করল। আল্লাহর শপথ, আমি আল্লাহর কিতাবের সাথে অন্য
কিছুই মিশ্রিত করব না।’ অতঃপর তিনি হাদিছ সংকলিত করবার সংকল্প ত্যাগ করেন-।”
হযরত ওসমান
হযরত ওসমান [রা] নিজে হাদিছ বর্ণনা করেছেন। কিন্তু খুব অল্প সংখ্যক হাদিছই তার নিকট হইতে বর্ণিত হয়েছে। এর কারণ প্রদর্শন সম্বন্ধে তিনি নিজেই বলেছেন: ‘রাছুলের ছাহাবীদের মধ্যে রাছুলের অধিক হাদিছ সংরক্ষণকারী আমি নই; এই কারণটি আমাকে রাছুলের হাদিছ বর্ণনা করা হতে বিরত রাখে নি। বরং হাদিছ বর্ণনা হতে বিরত থাকার কারণ এই যে, আমি নিজেই রাছুল করীমকে [সা] এই কথা বলতে শুনেছি বলে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, রাছুল যা বলেননি তা যদি কেউ তার উপরে আরোপ করে তবে সে যেন জাহানড়বামে তাঁর আশ্রয় খুঁজে নেয়।’ হযরত ওসমান অল্প কয়েকটি হাদিছ বর্ণনা করা ছাড়া অপর কোনো বৃহত্তর খিদমত করেছেন বলে কোথাও উল্লেখ পাওয়া যায় না।
হযরত আলী
যে কয়জন ছাহাবী নিজেদের হাতে রাছুলের নিকট শ্রুত হাদিছ লিপিবদ্ধ করে রেখেছিলেন, হযরত আলী [রা] তাঁহাদের অন্যতম। তিনি কোরানের ব্যাখ্যা ও বিশে−ষণ সম্পর্কে কয়েকটি হাদিছ রাছুলের নিকট হতে শ্রবণ করে লিখেছিলেন। - একে ভাঁজ করে তিনি তাঁর তলোয়ারের খাপের মধ্যে রেখে দিয়েছিলেন। এতে ব্যবহারিক কাজ-কর্ম সংক্রান্ত হুকুম আহকামের কয়েকটি হাদিছ লিখিত ছিল। (সূত্র-হাদিছ সংকলনের ইতিহাস; মু: আ: রহিম; ১ম সংস্করণ, সলামিক ফাউন্ডেশন; ৬ষ্ঠ প্রকাশ, পৃ: ২৯০-৩০০, খায়রূন প্রকাশনী;, পৃ: ২৯০ ও কোরান বনাম শরিয়ত
১১| ১৬ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১:১৫
নির্ণয় বলেছেন:
আপনার তথ্য ভুল।
আচ্ছা। আপাপতত আপনার কথাটাই থাকলো হাদিসের সংখ্যার ব্যাপারে। লিংক দিয়েন, ভুল ঠিক করে নেয়ার জন্য তো পড়া দরকার। আমি উইকির বুখারি আর্টকেলে ৩০০০০০ সংখ্যা দেখেছিলাম। সম্ভব হলে ওটা সুত্রসহ সংশোধন করে দিয়েন।
কিন্তু প্রাথমিক কালেকশনের সংখ্যা ৩০০০০০ না হয়ে ৬০০০০০ হলেই বা কী আসে যায় আপনার? আপনি ২৬০২ টাকে কমিয়ে কোরানের সমান বা তারও কম না করতে চান, ৭৩৯৭ টাকে তো কমাতে চান কোরানের সমান বা তারও নিচে। এরপরের কথাগুলো আগেই লিখেছি যেগুলোর ব্যাপারে আপনার কিছুই বলার নেই বলেই মনে হচ্ছে।
সাত হাজার তিন শত সাতানব্বই বার নফল নামাজ পড়েছেন দীর্ঘ নয় বছরে এবং তার হাদীস লিখার কাজ একাই সম্পাদন করেছেন।
তারপরও তার অবদান প্রশ্নবিদ্ধ। কারণ? আগেই বলেছি সেটা কী।
১০:৩৬ আয়াতে আল্লাহ্ বলে
وَمَا يَتَّبِعُ أَكْثَرُهُمْ إِلاَّ ظَنًّا إَنَّ الظَّنَّ لاَ يُغْنِي مِنَ الْحَقِّ شَيْئًا إِنَّ اللّهَ عَلَيمٌ بِمَا يَفْعَلُونَ
অর্থঃ বস্তুতঃ তাদের অধিকাংশই শুধু আন্দাজ-অনুমানের উপর চলে, অথচ আন্দাজ-অনুমান সত্যের বেলায় কোন কাজেই আসে না। আল্লাহ ভাল করেই জানেন, তারা যা কিছু করে।
কথাটা কিন্তু অবিশ্বাসীদের জন্য বলা। আপনি সেটাকে ব্যবহার করছেন বিশ্বাসীদের একাংশের বিরুদ্ধে। তাছাড়াও একই আয়াত আপনার বিরুদ্ধেও ব্যবহার করা যেতে পারে হাদিসকে বাতিল করার চেষ্টার কারণে।
কেনই বা তার চার জন খলিফা এই গুরু দায়ীত্ব পালন করলেন না। তবে কি তারা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে!
হা হা হা! কুরান সংকলন করেছেন কী আবু বকর(র)? তিনি করেননি বলে কী তিনি ব্যর্থ? তিনি করেননি বলে ওসমান(র) করেননি?
কুরানে নুক্তা সংযোজন করেছেন কে - চার খলিফার কেউ? তাহলে কী তারা ব্যর্থ? যেহেতু তারা করেননি সেহেতু কুরানে নুক্তা সংযজোন কী ঠিক হয়নি?
হাদিছ সংকলনে খোলাফায়ে রাশেদ্বীনের ভূমিকা
আপনারে আর কিছু লেখার নেই আপাতত। এখন আপনাকে চিন্তা করার জন্য টাইম দেয়া দরকার । চিন্তা করেন - এইসব ভূমিকার বর্ণনা কুরানের কোথায় আছে? খুঁজে পেলে সুরা-আয়াত জানিয়েন। বাই দা ওয়ে, হাদিস থেকে নয়তো!!!
১৬ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ২:৫০
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: কথাটা কিন্তু অবিশ্বাসীদের জন্য বলা। আপনি সেটাকে ব্যবহার করছেন বিশ্বাসীদের একাংশের বিরুদ্ধে। তাছাড়াও একই আয়াত আপনার বিরুদ্ধেও ব্যবহার করা যেতে পারে হাদিসকে বাতিল করার চেষ্টার কারণে।
আমি কিন্তু অনুমানের উপর কথা বলিনাই। কোরআন থেকে বলছি। হাদীস যেহেতু লিখিত আকারে ছিলো না কেবল মানুষের মূখে থেকে শুনে তিন থেকে সাড়ে তিন শত বছর মতান্তরে চার শত বছর পরে সংগ্রহ । যাকে বলে কেবল অনুমান। এতগুলি বছরে পৃথিবী থেকে অন্তত সাত পুরুষ মারা গেছে। এই মানুষগুলির কাছে থেকে সেটা কেবল গল্পের মত করে ধরে রাখা। অনুমান ছাড়া কিছুনা।
কুরানে নুক্তা সংযোজন করেছেন কে - চার খলিফার কেউ? তাহলে কী তারা ব্যর্থ? যেহেতু তারা করেননি সেহেতু কুরানে নুক্তা সংযজোন কী ঠিক হয়নি?
কোরআনে নুক্তা সংযোজন করেছেন এটা আয়াতে নতুন কিছু সৃষ্টি নয়। এটা আরবের বাইরের মানুষ যেন সহজে পড়তে পারে সেই সুবিধার জন্য নুক্তা সংযোজন করা হয়েছে। ভালো থাকবেন।
১২| ১৬ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ৭:০৫
মেলবোর্ন বলেছেন: How Do We Check the Authenticity of Ahadith?
All ahadith have been written through chains of narrators. These chains comprise of several links of reporters, in many instances, more than ten. When our scholars sit down to check on a reported hadith, their research begins and ends at one point. That is whether the narrator is reliable or not. People named in a particular hadith, were they real or fictitious, when were they born, why were they born, where did a particular storyteller live, when did he die, what was his temperament, how good was his memory, was his
beard long enough, was he the son of a bondwoman, or his mother was divorced. One was caught listening to music. Another one was seen drinking date-wine. He was seen drinking water with his left hand, and
another was conducting ablution with the right hand, etc.
Dr. Henry Springer of Austria, and Dr.John Gibbs of Britain, the great orientalists, noted this massive chaos among Muslim scholarship. They comment that Muslim scholars proudly claim that they have preserved the names of 500,000 narrators. The dilemma is that the same narrator who is perfectly reliable in the eyes of two scholars is totally unreliable and curseworthy according to ten others. Muslim scholars, for centuries, have been going through this mental punishment. They might well have invented 500,000 gods.
সুত্র:A SELECTION OF AHADITH
http://www.ourbeacon.com/?page_id=11605
১৬ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ১০:৪৩
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: লিংকটি পড়ে দেখবো
১৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ৮:৫৬
মেলবোর্ন বলেছেন: The Prophet (S) had commanded, “La taktabu ‘anni
ghair-al-Quran; wa mun kataba ‘anni ghair-al-Quran falyamhah.” (Write from me nothing but the Quran and if anyone has written, then he must erase it.) - Saheeh Muslim, vol 1 pg 211 Hadith number 594,
Printer Maktaba Adnan, Beirut 1967.
১৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৫:৫৪
সজল বস বলেছেন: নিজেকে আর কত হাস্যকর করবেন? আপনি যে বিষয়ে আলোচনা করছেন বা বিতর্ক জন্ম দেওয়ার চেষ্টা করছেন সে বিষয়ে আলোচনা করতে সাধারণ ছাগলদেরও ইচ্ছা করেনা। ভাই আমাকে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন?
১. আপনি কোরআন কতটুকু পড়েছেন?
২. কোরআন কিভাবে পড়েছেন?
৩. নাসেখ-মানসুখ বোঝেন?
৪. কোন তাফসির পড়েছেন?
৫. হাদীস সংকলনের ইতিহাস জানেন?
৬. হাদীসের প্রয়োজন কেন হল জানেন?
৭. হুকম শরীয়া বোঝেন?
৮. কারীনা বোঝেন?
৯. সহীহ, জয়ীফ, হাসান, জাল হাদীসের পার্থক্য বোঝেন?
১০. মুস্তাহিদ চেনেন? মুস্তাহিদ হতে হলে কি কি গুনাবলী থাকতে হয় জানেন?
আপনি হয়তো অনেক পড়েছেন। কিন্তু তা কি যথেষ্ঠ? ধরুন আমি অক্টোবর বিপ্লব সম্পর্কে জানিনা, অথচ লেলীন আমার আদর্শ, বিষয় টা কেমন হয়ে যায়?]
....................................................................................................
আবার ধরেন, আপনি বলিভিয়ান ডায়রী পড়েননি, আপনি চে গুয়েভারা কে আলোচনা সভার আয়োজন করছেন, কেমন হবে?
...................................................................................................
ক্যাপিটাল না পড়ে যদি বলেন কার্ল মার্কস পৃথিবীর সেরা দার্শনিক কেমন শোনাবে?
...................................................................................................
সত্যজিৎ এর কোন সিনেমা না দেখে যদি তর্ক করেন তাকে নিয়ে কেমন লাগবে?
...................................................................................................
আপনাকে আরো অনেক প্রশ্ন করতে পারলে ভাল হত। কিন্তু ইচ্ছা করেনা। ভাই আপনাকে আপনার অবস্থান নিয়ে কিছু বলব না। কয়েকটা মিসিং লিঙ্ক জানার চেষ্টা করেন। কোরআন বা হাদীস পড়তে বলব না। কারন আপনি বা আপনারা তা পড়ার যোগ্যতা রাখেন না।
আপনি জানেন উদ্বৃত্তমূল্য কি? কেন মার্কসীয় ত্বত্ত পৃথিবীতে ব্যর্থ হল? ডারউইনের প্রাণের অস্তিত্ব ত্বত্তের মিসিং লিঙ্ক গুলো ব্যাখ্যা করতে পারবেন?
ভাই আমি ইংলিশ মিডিয়ামের ছাত্র ছিলাম। মাদ্রাসার না। সত্য জানার চেষ্টা করি উন্মুক্ত হয়ে। আপনার মত লক হয়ে না।
নিজের বিশ্বাসের ভিত্তিগুলো আগে ঠিক করেন।
১৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ৮:২৭
সজল বস বলেছেন: আপনার পোষ্ট সংক্রান্ত কিছু কথা বলি..............
১. মাজহাব মানা জরুরী কোন বিষয় না।
২. সব হাদীস হুকুম শরীয়ার অংশ না।
৩. হাদীসের রাবী এবং সনদের গড়মিল থাকলে তা গ্রহনযোগ্যনা।
৪. রাবীর কোন নৈতিকতার সমস্যা থাকলে সেই হাদীস গ্রনযোগ্যনা।
৫. সনদে সন্দেহ থাকলে তা নীতিমালাতে আসবে না।
৬. হাদীস সংকলক অনেক থাকাতে সমস্যা কোথায়? মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস যদি ৫ জন লেখে তাতে কি ১৯৭১ মিথ্যা হয়ে যাবে?
৭. কোরআন হাদীসের সত্যায়ন করে। কোরআনে আল্লাহ বলছেন-আনুগত্য কর আল্লাহ, রাসুল (সাঃ) এবং তোমাদের নেতার।
তাছাড়া আল্লাহ আরো বলেছেন রাসুলের মধ্যে রয়েছে তোমাদের উত্তম আদর্শ।
আর এক জায়গায় বলছেন রাসুল যা বলে তা তার নিজের কথা নয়, বরং তা আল্লাহরই আদেশ।
৮. বুখারী, মুসলিম, মুয়াত্তা ইবনে মালিক হল পুরোপুরী গ্রহনযোগ্য হাদীস গ্রন্থ্য।
৯. এছাড়া আরো হাদীস কিতাব আছে তার মধ্যে দূর্বল হাদীসের সংমিশ্রণ আছে।
১০. কোরআনের বিপরীতে গেলে সেই হাদীস জাল।
১১. কিছু কিছু ঐতিহাসিক হাদীস আছে যা কোরআনের আয়াতের আদেশকে রহিত করে। যেমন বিদায় হজের ভাষণের মাধ্যমে দাস প্রথার বিলোপ সাধন। অর্থাৎ প্রাথমিক অবস্থায় দাসীদের সাথে সেক্স করার অনুমতি রহিত করা হয়েছে। মুতানিকা রহিত করা হয়েছে। ক্ষমাপ্রর্থনা কারী বন্ধীকে হত্যা না করা। গনীমতের মাল হিসাবে মহিলা বন্টন নিষিদ্ধ করা। গনীমতের মালকে ব্যক্তিগত পর্যায়ের থেকে রাষ্ট্রিয় করন।
১২. হাদীসকে অস্বীকার করছেন, তাহলে আছার নিয়ে তো কথা বলার জায়গা থাকেনা। তাহলে ইসলামী অর্থনীতির গঠন টিকে থাকেনা।
১৩. হাদীসের কোন বক্তব্য কোরআনের পাশে বসেনি। আপনি যদি আরবী ব্যকরণ জানতেন, তাহলে মূর্খের মত প্রশ্ন করতেন না।
কোরআনের শাব্দিক গঠন অর্থপূর্ন ছন্দবৃত্তে বাধা। যদি পারেন আরবীতে চেষ্টা করে দেখেন। মাত্র একটা লাইন তৈরী করতে। কারন আরবীতে অর্থ মিললে ছন্দ মিলেনা। একমাত্র কোরআন এর ব্যতিক্রম।
১৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১১:৩৪
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: সজল বস
১. আপনি কোরআন কতটুকু পড়েছেন?
২. কোরআন কিভাবে পড়েছেন?
৩. নাসেখ-মানসুখ বোঝেন?
৪. কোন তাফসির পড়েছেন?
৫. হাদীস সংকলনের ইতিহাস জানেন?
৬. হাদীসের প্রয়োজন কেন হল জানেন?
৭. হুকম শরীয়া বোঝেন?
৮. কারীনা বোঝেন?
৯. সহীহ, জয়ীফ, হাসান, জাল হাদীসের পার্থক্য বোঝেন?
১০. মুস্তাহিদ চেনেন? মুস্তাহিদ হতে হলে কি কি গুনাবলী থাকতে হয় জানেন?
ভাইজান আমি আপনার মত কের হাদীস কোরআন পরিনাই ঠিকি তবে আমি পড়েছে দিব্য জ্ঞানে। কোরআর জ্ঞানীদের জন্য, বোদ্ধাদের জন্য, চিন্তাশীলদের জন্য এই কথা কোরআনে অনেক বার বলেছে। কোরআনে হাদীস প্রনেতাদের জন্য উপদেশ থাকলেও সেখান থেকে তারা কোন উপদেশ নেয় নাই অথবা পড়েনাই।
এক আল্লাহ, এক কোরআন, এক কেবলা অথচ নানান মাজহাবের আজ জন্ম হয়েছে হাদীস গ্রন্থগুলি থেকে।আচ্ছা বলুনতো
১। ঈশা (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
২।ইব্রাহীম (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
৩। ইসমাইল (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
৪। ঈশাহাক (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
৫। ইদ্রীশ (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
৬। ইয়াকুব (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
৭। ইউসুফ (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
এই নবীগুলির উম্মতদের হাদীসের নাম বলুন। তারা হাদীস ছাড়া চলতে পারলে আপনি আমি মুল গ্রন্থ নিয়ে কেন চলতে পারবো না।
তবে কি উম্মত হিসাবে আমরা খুব দূর্বল?
ভাইজান আমি এতগুলি রেফারেন্স দিলাম তারপরেও আপনি বলেছেন আমি কোন কিছু না জেনে বলছি। আপনি বলেনতো নাজানা আর জানার মধ্যে পার্থক্য কি?
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ২:৫৯
মহান পংকজ বলেছেন: সেলিম ভাই আরো আলোচনা চাই, কুরআন আর হাদিসের মাঝে সাংঘর্ষিক অনেক কিছু আছে, অনেক সময় তা সম্পূর্ণ বিপরীত হয়ে যায়, যারা ইসলাম ধর্ম অনুসারী তারা হাদিস মানলে হাসরের ময়দানে কি উত্তর দিবে? তাই আমার মনে হয় যারা এ বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান রাখে (শিক্ষিত আলেমগন) তাদের এই দ্বন্দ নিরসনে একটা ব্যাবস্থা নেওয়া দরকার। এটা ইসলামকে বিভক্ত করবে বলে আমার মনে হয়না, উল্টো মানুষ প্রকৃত সত্যের পথে আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি।