![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সেলিম জাহাঙ্গীর যে দ্যাশে নাই জীন মরণরে আমার মন ছুটেছে সেই দ্যাশে গুরু লওনা আমায় তোমার সে দ্যাশে
বনের পশুরে নয় মনের পশুকে কোরবানী করুন তাতে করে পশুরাও প্রাণে রক্ষা পায় মানুষও ভালো হয়। কোরবানী কি, কেন, কি জন্য কেন করতে হবে এবং আমরা কেন কোরবানী করছি একটু সময় করে ভাবুন উত্তর পেয়ে যাবেন।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৩২
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: ধন্যবাদ, ঈদ মোবারক
২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৫২
Abdullah Arif Muslim বলেছেন: বস কি নতুন করে বিধান দিচ্ছেন নাকি? পশুর প্রতি আপনার দয়া দেখে তো মনে হচ্ছে আপনি আল্লাহর থেকেও বেশী দয়ালু (নাউজুবিল্লাহ)
৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:২৮
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: বোখারীতে মা আয়েশা কর্তৃক বর্ণিত আছে রাসুলের কয়েকজন স্ত্রী রাসুলকে বললেন হুজুর আপনার পরলোক গমনের পর সর্ব প্রথম কোন স্ত্রী মৃত্যু হবে? রাসুল (সাঃ) উত্তর দিলেন তোমাদের মধ্যে যাঁহার হাত সর্বপেক্ষা দীর্ঘ তাহার। এই কথা শুনে রাসুলের স্ত্রীগণ একটা কাঠি দিয়ে নিজেদের হাত মাপা মাপি শুরু করে দেখলো মা ছওদার হাত সর্বাপেক্ষা দীর্ঘ। আসলে রাসুল হাত লম্বা বলতে কিন্তু কাঠি দিয়ে মাপার মত দীর্ঘ হাত বোঝায় নাই। এটা হচ্ছে যে, সব চেয়ে দান খয়রাত করতেন তার হাতের কথা বুঝিয়েছে।
আপননিও এমনটি বুঝেছেন বলে আমার ধারনা। তবে এই বিষয় নিয়ে শুরুতেই আপনার কমেন্ট পড়ে বুঝেছি আপনি সুরাত মানেন এবং জানেন কিন্তু সিরাত জানেন না।
৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৫০
Abdullah Arif Muslim বলেছেন: ওকে। তাহলে সিরাত আমাকে জানান এবং আমি শিখতে চাই। আপনি যা বলতে চান পরিষ্কার করে বলুন।
৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৫১
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: সূরা হজ্জ ২২:৩৭ আয়াত
لَن يَنَالَ اللَّهَ لُحُومُهَا وَلَا دِمَاؤُهَا وَلَكِن يَنَالُهُ التَّقْوَى مِنكُمْ كَذَلِكَ سَخَّرَهَا لَكُمْ لِتُكَبِّرُوا اللَّهَ عَلَى مَا هَدَاكُمْ وَبَشِّرِ الْمُحْسِنِينَ
অর্থঃ এগুলোর গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, কিন্তু পৌঁছে তাঁর কাছে তোমাদের মনের তাকওয়া। এমনিভাবে তিনি এগুলোকে তোমাদের বশ করে দিয়েছেন, যাতে তোমরা আল্লাহর মহত্ত্ব ঘোষণা কর এ কারণে যে, তিনি তোমাদের পথ প্রদর্শন করেছেন। সুতরাং সৎকর্মশীলদের সুসংবাদ শুনিয়ে দিন।
সূরা আন-আম ৬:১৩৬ আয়াত
وَجَعَلُواْ لِلّهِ مِمِّا ذَرَأَ مِنَ الْحَرْثِ وَالأَنْعَامِ نَصِيبًا فَقَالُواْ هَـذَا لِلّهِ بِزَعْمِهِمْ وَهَـذَا لِشُرَكَآئِنَا فَمَا كَانَ لِشُرَكَآئِهِمْ فَلاَ يَصِلُ إِلَى اللّهِ وَمَا كَانَ لِلّهِ فَهُوَ يَصِلُ إِلَى شُرَكَآئِهِمْ سَاء مَا يَحْكُمُونَ
অর্থঃআল্লাহ যেসব শস্যক্ষেত্র ও জীবজন্তু সৃষ্টি করেছেন, সেগুলো থেকে তারা এক অংশ আল্লাহর জন্য নির্ধারণ করে অতঃপর নিজ ধারণা অনুসারে বলে এটা আল্লাহর এবং এটা আমাদের অংশীদারদের। অতঃপর যে অংশ তাদের অংশীদারদের, তা তো আল্লাহর দিকে পৌঁছে না এবং যা আল্লাহর তা তাদের উপাস্যদের দিকে পৌছে যায়। তাদের বিচার কতই না মন্দ।
সূরা মায়েদা ৫:২৭ আয়াতে আদমের দুই ছেলের কোরবানী সম্বন্ধে উল্লেখ আছে এবং সেখানে ‘কুরবানী’ শব্দটিই আছে কিন্তু কী ত্যাগ (কোরবানী) করেছিলেন তার কোনো উল্লেখ নাই। সেটা একটি নির্দিষ্ট ও আল্লাহর আদেশহীন ব্যক্তিগত ঘটনা এবং ঐখানেই তার পরিসমাপ্তি; তার ধারাবাহিকতা হাবিল-কাবিল বা পরবর্তী নবিদের বংশে কোনোই প্রমাণ নেই।
৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২১
Abdullah Arif Muslim বলেছেন: সূরা হাজ্জ এর ৩৭ নং কোথায় কোরবানী নিষেধ করা হইছে? বরং এখানে বলা হইছে ইব্রাহিম আঃ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিজের সন্তানকে পর্যন্ত কোরবানী করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন এবং করেছিলেন। এতে ইব্রাহিম আঃ এর আল্লাহর নির্দেশ মানার টেন্ডেন্সী বা তাকওয়া সম্পর্কে আমরা জানতে পারি। ইব্রাহিম আঃ সেই কঠিন মুহুর্তেও আল্লাহর আদেশকেও ছেলের ভালবাসার উপরে স্থান দিয়েছিলেন।
আর এটাই তাকওয়ার মাপকাঠি। ঠিক তেমনি ভাবে যারা এখনও নিজের জমানো অর্থ সম্পদ খরচ করে আল্লাহর নামে কোরবানী করে আল্লাহর আদেশরূপে এবং সন্তুষ্টি রূপে তারাও তাকওয়ার পরিচয় দেয়। উপরের আয়াতে আল্লাহ আমাদের সান্ততা দিচ্ছেন এই বলে যে আল্লাহর নিকট রক্ত মাংশ যায় না। যায় তোমাদের তাকওয়া। আল্লাহ কে তার বিধানকে মেনে নেওয়ার ইচ্ছাকে, তার আদেশকে নিজের ভালবাসা, নিজের ইচ্ছার উপরেও প্রাধান্য দেওয়াকে।
---------------------- ---------------------- ----------------------
সূরা মায়িদাহ-২> O you who believe! Violate not the sanctity of the Symbols of Allâh, nor of the Sacred Month, nor of the animals brought for sacrifice
=>উপরের আয়াত থেকে জানা যায় কোরবানীর জন্য পশু আনা হয়। এখন আপনি যদি বলেন পশু কে হত্যা না করতে, তবে তো ধরে নিতেই হয় আমি বেশী দয়ালু।
---------------------- ---------------------- ----------------------
সূরা আন-আম ৬:১৩৬ আয়াতে যা বলা হইছে তা হইল মুশরিকদের জন্য। যারা কোরবানী করলে লাত, ওযযা, মানাত এর জন্য অংশ রাখতো। পরে ওই মুর্তিগুলোর জন্য নির্দিষ্ট অংশ ঠিক রেখে আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট অংশ থেকে কাটছাট করত। আপনার এই ফতোয়া দেওয়ানবাগীদের জন্য প্রযোজ্য হতে পারে। আমাদের মুসলিমদের জন্য না। আমরা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই তারই নামে কোরবানী করি।
আমরা মুশরিক নই ইনশাল্লাহ।
--------------------------------------------------------------------------
সূরা সাফফাত এ ইব্রাহিম আঃ এর করা কোরবানীর বর্ণনা আছে। কোরবানীটা ইসমাইল আঃ না হয়ে আল্লাহর ইচ্ছায় পশু কোরবানীতে পরিনত হয়েছিল এবং ইব্রাহিম আঃ উর্ত্তীর্ণ হয়েছিলেন সেই পরীক্ষায়। পরবর্তীতে আল্লাহ বলেছিলেন।
১০৭ ) আমি তার পরিবর্তে দিলাম যবেহ করার জন্যে এক মহান জন্তূ।
১০৮ ) আমি তার জন্যে এ বিষয়টি পরবর্তীদের মধ্যে রেখে দিয়েছি
এখানে আল্লাহ কোন বিষয়টি পরবর্তীদের মধ্যে রেখেছিলেন??????
৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:০৩
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: আপনি বলেছেনঃ সূরা হাজ্জ এর ৩৭ নং কোথায় কোরবানী নিষেধ করা হইছে?
কোরআনে কোরবানী কোথাও নিষেধও করেনী এবং সর্বজনীন ভাবে করতে বলা হয়নি ।
আর কোরআনে যাদের কোরবানী করতে বরেচে সেটা এবার দেখুন।
সূরা বাকারা ২:১৯৬ আয়াত
وَأَتِمُّواْ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ لِلّهِ فَإِنْ أُحْصِرْتُمْ فَمَا اسْتَيْسَرَ مِنَ الْهَدْيِ وَلاَ تَحْلِقُواْ رُؤُوسَكُمْ حَتَّى يَبْلُغَ الْهَدْيُ مَحِلَّهُ فَمَن كَانَ مِنكُم مَّرِيضاً أَوْ بِهِ أَذًى مِّن رَّأْسِهِ فَفِدْيَةٌ مِّن صِيَامٍ أَوْ صَدَقَةٍ أَوْ نُسُكٍ فَإِذَا أَمِنتُمْ فَمَن تَمَتَّعَ بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ فَمَا اسْتَيْسَرَ مِنَ الْهَدْيِ فَمَن لَّمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلاثَةِ أَيَّامٍ فِي الْحَجِّ وَسَبْعَةٍ إِذَا رَجَعْتُمْ تِلْكَ عَشَرَةٌ كَامِلَةٌ ذَلِكَ لِمَن لَّمْ يَكُنْ أَهْلُهُ حَاضِرِي الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَاتَّقُواْ اللّهَ وَاعْلَمُواْ أَنَّ اللّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ
অর্থঃ আর তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ্জ্ব ওমরাহ পরিপূর্ণ ভাবে পালন কর। যদি তোমরা বাধা প্রাপ্ত হও, তাহলে কোরবানীর জন্য যাকিছু সহজলভ্য, তাই তোমাদের উপর ধার্য। আর তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত মাথা মুন্ডন করবে না, যতক্ষণ না কোরবাণী যথাস্থানে পৌছে যাবে। যারা তোমাদের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়বে কিংবা মাথায় যদি কোন কষ্ট থাকে, তাহলে তার পরিবর্তে রোজা করবে কিংবা খয়রাত দেবে অথবা কুরবানী করবে। আর তোমাদের মধ্যে যারা হজ্জ্ব ওমরাহ একত্রে একই সাথে পালন করতে চাও, তবে যাকিছু সহজলভ্য, তা দিয়ে কুরবানী করাই তার উপর কর্তব্য। বস্তুতঃ যারা কোরবানীর পশু পাবে না, তারা হজ্জ্বের দিনগুলোর মধ্যে রোজা রাখবে তিনটি আর সাতটি রোযা রাখবে ফিরে যাবার পর। এভাবে দশটি রোযা পূর্ণ হয়ে যাবে। এ নির্দেশটি তাদের জন্য, যাদের পরিবার পরিজন মসজিদুল হারামের আশে-পাশে বসবাস করে না। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক। সন্দেহাতীতভাবে জেনো যে, আল্লাহর আযাব বড়ই কঠিন।
Abdullah Arif Muslim আপনি বলেছেন সূরা সাফফাত এ ইব্রাহিম আঃ এর করা কোরবানীর বর্ণনা আছে। কোরবানীটা ইসমাইল আঃ না হয়ে আল্লাহর ইচ্ছায় পশু কোরবানীতে পরিনত হয়েছিল এবং ইব্রাহিম আঃ উর্ত্তীর্ণ হয়েছিলেন সেই পরীক্ষায়। পরবর্তীতে আল্লাহ বলেছিলেন। আমি তার পরিবর্তে দিলাম যবেহ করার জন্যে এক মহান জন্তূ।
আপনি সূরা সাফফাতের কথা বলেছেন সেখানে কিন্তু ইসমাইলকে কোরবানী করেছে এমন কথা নাই আছে ইসহাকে কোরবানীর কথা। কি আমার কথা সুনে চোখ কপালে তুলছেন? হ্যাঁ আপনাদের মত হাদীস বিশ্বাসী মানুষতো কোরআন এর চেয়ে হাদীস বেশী বিশ্বাস করেন। আসুন না আকবার সূরা সাফফাত এর ১০০ আয়াত থেকে ১১২ আয়াত পর্যন্ত পড়ে দেখি কার নাম আছে।
হে আমার পরওয়ারদেগার! আমাকে এক সৎপুত্র দান কর।
فَبَشَّرْنَاهُ بِغُلَامٍ حَلِيمٍ
সুতরাং আমি তাকে এক সহনশীল পুত্রের সুসংবাদ দান করলাম।
فَلَمَّا بَلَغَ مَعَهُ السَّعْيَ قَالَ يَا بُنَيَّ إِنِّي أَرَى فِي الْمَنَامِ أَنِّي أَذْبَحُكَ فَانظُرْ مَاذَا تَرَى قَالَ يَا أَبَتِ افْعَلْ مَا تُؤْمَرُ سَتَجِدُنِي إِن شَاء اللَّهُ مِنَ الصَّابِرِينَ
অতঃপর সে যখন পিতার সাথে চলাফেরা করার বয়সে উপনীত হল, তখন ইব্রাহীম তাকে বললঃ বৎস! আমি স্বপ্নে দেখিযে, তোমাকে যবেহ করছি; এখন তোমার অভিমত কি দেখ। সে বললঃ পিতাঃ! আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে, তাই করুন। আল্লাহ চাহে তো আপনি আমাকে সবরকারী পাবেন।
وَنَادَيْنَاهُ أَنْ يَا إِبْرَاهِيمُ
তখন আমি তাকে ডেকে বললামঃ হে ইব্রাহীম,
قَدْ صَدَّقْتَ الرُّؤْيَا إِنَّا كَذَلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ
তুমি তো স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করে দেখালে! আমি এভাবেই সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।
إِنَّ هَذَا لَهُوَ الْبَلَاء الْمُبِينُ
নিশ্চয় এটা এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা।
وَفَدَيْنَاهُ بِذِبْحٍ عَظِيمٍ
আমি তার পরিবর্তে দিলাম যবেহ করার জন্যে এক মহান জন্তু।
وَتَرَكْنَا عَلَيْهِ فِي الْآخِرِينَ
আমি তার জন্যে এ বিষয়টি পরবর্তীদের মধ্যে রেখে দিয়েছি যে,
سَلَامٌ عَلَى إِبْرَاهِيمَ
ইব্রাহীমের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক।
كَذَلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ
এমনিভাবে আমি সৎকর্মীদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি।
إِنَّهُ مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِينَ
সে ছিল আমার বিশ্বাসী বান্দাদের একজন।
وَبَشَّرْنَاهُ بِإِسْحَقَ نَبِيًّا مِّنَ الصَّالِحِينَ
আমি তাকে সুসংবাদ দিয়েছি ইসহাকের, সে সৎকর্মীদের মধ্য থেকে একজন নবী।
Abdullah Arif Muslim আমি এটা পড়ে অবাক হয়েছিলাম এই কারনে যে আমি সারা জীবন জেনে এসেছি ইসমাইলকে কোরবানী করা হয়েছে। অবশ্য আপনারা এই কোরআনের বানীটির ভুল বাখ্য রেডি রেখেছেন। আমি কোরআনে এমন দেখে পূর্বের কিতাবে প্রবেশ করলাম। কেন? আল্লাহ কোরআনে অনেক জায়গায় বলেছে তোমার এই কিতাবে সন্দেহ থাকলে পুর্বৈর কিতাব দেখো। আমি তৌরাত দেখলাম সেখানেও ইসহাককে কোরবানী করছেন এমন কথাই লেখা আছে। আপনি তৌরাতও দেকতে পারেন। তৌরাতঃ পয়দায়েশ ২২ অধ্যায় (সূরা নং) ২ থেকে ১৪ পদ (আয়াত)
তবে যাই হোক বিতর্ক পরের কথা এখন আসা যাক কোরবানীতে।
আল্লআহ বলছেনঃ পশুর গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, কিন্তু পৌঁছে তাঁর কাছে তোমাদের মনের তাকওয়া।
আগে দেখতে হবে বুঝতে হবে তাকওয়াটা আসলে কি! যদি অন্তরের হয় তাহলে সেতা অনেক কিছু দিয়ে আল্লাহর তাকওয়া আদায় করা সম্ভব, তার জন্য এত গুলি পশু হত্যা কেন? আল্লাহ এই বিধান ইব্রাহীম (আঃ) কে দিলেন মানব জাতীর জন্য; কিন্তু এখন প্রশ্ন আসতে পারে এই রিতি মুসা (আঃ) , জাকারিয় (আঃ), ইয়াহিয়া (আঃ, ঈসা (আঃ) কেন পালন করলো না। হঠাত অনেক গুলি নবী পার হয়ে মুহাম্মাদ (সাঃ) কেন শুরু করলেন? না এগুলি রাসুল করেছে কেবল সূরা বাকারার ৯৭ আয়াতে যা বলা আছে তায়। বাকি কালচার গুলি চালু করেছেন হযরত আবুবকর ও ওমর (রাঃ)।
হজ্জ অর্থ: সংকল্পবদ্ধ হওযা, শপথ করা। কোরবানী অর্থ: ত্যাগ করা
উৎসর্গ করা। অর্থাৎ লোভ, হিংসা, মোহ, ক্রোধ, যাবতীয় মিথ্যা, অন্যায়,
অশ্লীল, অপস্বভাবকর্ম ত্যাগ করার শপথ এবং তা আজীবন রক্ষা করাকেই
আরবিতে হজ্জ-কোরবানী বলা হয় {সূত্র: সূরা বাকারা ২: ৯৭}।
এমন অনেক রেফারেন্স দেওয়া যেতে পারে ।
৮| ১১ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৩:৪৯
Abdullah Arif Muslim বলেছেন: কি আমার কথা সুনে চোখ কপালে তুলছেন?
বস, অফটপিক এ যান কে? সিরিয়াল মেইনটেইন করেন। যেমন ধরেন আপনারা হলেন আহলুল কোরআন।
=> হাদিস মানেন না।
=> ইসমাইল আঃ কে কোরবানীর ব্যাপারটা অস্বীকার করে বলেন ইসহাক আঃ।
আপনার সব বিষয়ের উত্তর দেবার চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ। আর ইসহাক আঃ এর কথা শুনে চোখ আগের জায়গায়ই আছে। তবে পুরোনো ক্যাসেট আবার বাজাইতে হইবো বলে মনে হচ্ছে। তবে সেই বিষয়ে প্রথমে কথা শুরু হইছিল সেটা শেষ করি।
--------------------------------------------------------------------------
لَن يَنَالَ اللَّهَ لُحُومُهَا وَلَا دِمَاؤُهَا وَلَكِن يَنَالُهُ التَّقْوَى مِنكُمْ كَذَلِكَ سَخَّرَهَا لَكُمْ لِتُكَبِّرُوا اللَّهَ عَلَى مَا هَدَاكُمْ وَبَشِّرِ الْمُحْسِنِينَ
অর্থঃ এগুলোর গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, কিন্তু পৌঁছে তাঁর কাছে তোমাদের মনের তাকওয়া। এমনিভাবে তিনি এগুলোকে তোমাদের বশ করে দিয়েছেন, যাতে তোমরা আল্লাহর মহত্ত্ব ঘোষণা কর এ কারণে যে, তিনি তোমাদের পথ প্রদর্শন করেছেন। সুতরাং সৎকর্মশীলদের সুসংবাদ শুনিয়ে দিন।
প্রথমতঃ আমি প্রশ্ন করছিলাম সূরা হাজ্জ এর ৩৭ নং কোথায় কোরবানী নিষেধ করা হইছে? আপনি বললেন কোথাও নিষেধ করা হয় নাই। ভালো কথা। আমরাও বলি কোথাও নিষেধ করা হয় নাই এবং আল্লাহ বলতেছেন তোমরা যে পশু কোরবানী কর তার রক্ত ও মাংশ আল্লাহর কাছে পৌছে না তবে তোমরা যে তাকওয়া অবলম্বন কর সেটা পৌছে।
আয়াত থেকে বুঝা যায় কোরবানীর মাধ্যমে তাকওয়া অর্জিত হয়। আমরা মুসলিমরাও চাই কোরবানী দেওয়ার মাধ্যমে তাকওয়া অর্জন করতে যেহেতু কোরআনে কোরবাণীর কথা বলা হইছে।
এখন আপনি যদি বলেন গোশত ও রক্ত কোন টা আল্লাহর কাছে পৌছায় না তাই কোরবানী দরকার নাই, তো সেটা আপনার ব্যাপার। কোরবানী দেওয়ার মাধ্যমে তাকওয়া না অর্জন করে যদি বলেন বনের পশুকে নয়, মনের পশুকে কোরবানী করতে তাহলে তো বুঝতে হবে আপনি আল্লাহর চেয়েও বেশী জ্ঞানী এবং যদি পারেন তো ম জ বাশারের মতো কোরআনকে এডিট করে সেখানে মনের পশু কথাটা বসিয়ে দিন। কারণ আল্লাহ আপনার চাহিদা মতো মনের পশুর কথা বলতে ভূলে গেছেন (নাউজুবিল্লাহ)।
--------------------------------------------------------------------------
দ্বিতীয়তঃ আপনি বললেন, আর কোরআনে যাদের কোরবানী করতে বরেচে সেটা এবার দেখুন।
সূরা বাকারা ২:১৯৬ আয়াত
وَأَتِمُّواْ الْحَجَّ وَالْعُمْرَةَ لِلّهِ فَإِنْ أُحْصِرْتُمْ فَمَا اسْتَيْسَرَ مِنَ الْهَدْيِ وَلاَ تَحْلِقُواْ رُؤُوسَكُمْ حَتَّى يَبْلُغَ الْهَدْيُ مَحِلَّهُ فَمَن كَانَ مِنكُم مَّرِيضاً أَوْ بِهِ أَذًى مِّن رَّأْسِهِ فَفِدْيَةٌ مِّن صِيَامٍ أَوْ صَدَقَةٍ أَوْ نُسُكٍ فَإِذَا أَمِنتُمْ فَمَن تَمَتَّعَ بِالْعُمْرَةِ إِلَى الْحَجِّ فَمَا اسْتَيْسَرَ مِنَ الْهَدْيِ فَمَن لَّمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلاثَةِ أَيَّامٍ فِي الْحَجِّ وَسَبْعَةٍ إِذَا رَجَعْتُمْ تِلْكَ عَشَرَةٌ كَامِلَةٌ ذَلِكَ لِمَن لَّمْ يَكُنْ أَهْلُهُ حَاضِرِي الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ وَاتَّقُواْ اللّهَ وَاعْلَمُواْ أَنَّ اللّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ
অর্থঃ আর তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ্জ্ব ওমরাহ পরিপূর্ণ ভাবে পালন কর। যদি তোমরা বাধা প্রাপ্ত হও, তাহলে কোরবানীর জন্য যাকিছু সহজলভ্য, তাই তোমাদের উপর ধার্য। আর তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত মাথা মুন্ডন করবে না, যতক্ষণ না কোরবাণী যথাস্থানে পৌছে যাবে। যারা তোমাদের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়বে কিংবা মাথায় যদি কোন কষ্ট থাকে, তাহলে তার পরিবর্তে রোজা করবে কিংবা খয়রাত দেবে অথবা কুরবানী করবে। আর তোমাদের মধ্যে যারা হজ্জ্ব ওমরাহ একত্রে একই সাথে পালন করতে চাও, তবে যাকিছু সহজলভ্য, তা দিয়ে কুরবানী করাই তার উপর কর্তব্য। বস্তুতঃ যারা কোরবানীর পশু পাবে না, তারা হজ্জ্বের দিনগুলোর মধ্যে রোজা রাখবে তিনটি আর সাতটি রোযা রাখবে ফিরে যাবার পর। এভাবে দশটি রোযা পূর্ণ হয়ে যাবে। এ নির্দেশটি তাদের জন্য, যাদের পরিবার পরিজন মসজিদুল হারামের আশে-পাশে বসবাস করে না। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক। সন্দেহাতীতভাবে জেনো যে, আল্লাহর আযাব বড়ই কঠিন।
=> দেখলাম। এখানে হাজীদের কোরবানী করতে বলা হইতেছে। আমরা মুসলিমরা কোরবানীকে বলি সুন্নাহ। করলে সওয়াব আছে না করলে গোনাহ নাই। হাজীরা মক্কায় কোরবানী করেন আর আমরা সামর্থ্য থাকলে নিজ নিজ অবস্থান থেকে করি। এটা এমন না যে বাধ্যতামূলক। শুধু কোরবানীর ঈদে না বরং সারা বছরই আমরা যত কোরবানী করি সবই আল্লাহ নামে উৎসর্গ করি। এবং কোরবানীর ঈদে আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে যার যার অবস্থান থেকে কোরবানী করি।
এখানে সমস্যা কোন জায়গায়। আপনি কি চান, আমরা সারাবছর এবং কোরবানীর ঈদের সময় আল্লাহ উদ্দেশ্যে কোরবানী না করে ""মনের পশু" টাইটেল দিয়ে নতুন সিস্টেম চালু করি?
আশা করি উপরের প্রথম এবং শেষের অংশের করা প্রশ্নের উত্তর দিবেন।
৯| ১১ ই নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৪:১১
Abdullah Arif Muslim বলেছেন: আরেকটা প্রশ্ন, আপনি কি বিশ্বাস করেন এবং স্বীকার করেন যে, আবু বকর রাঃ ও ওমর রাঃ কোরবানীর সিস্টেম চালু করছেন?
-----------------------------------
কোরবানী মূসা আঃ এর সময়ও ছিল। সূরা বাকারার ৬৭ নং আয়াতে মূসা আঃ তার জাতিকে পশু কোরবানী করার আহ্বান জানিয়েছেন।
যখন মূসা (আঃ) স্বীয় সম্প্রদায়কে বললেনঃ আল্লাহ তোমাদের একটি গরু জবাই করতে বলেছেন। তারা বলল, তুমি কি আমাদের সাথে উপহাস করছ? মূসা (আঃ) বললেন, মূর্খদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া থেকে আমি আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
বাইবেলেও কোরবানীর উল্লেখ আছেঃ-
If we deliberately keep on sinning after we have received the knowledge of the truth, no sacrifice for sins is left but only a fearful expectation of judgment and of raging fire that will consume the enemies of God. (Heb 10:26-27)
এছাড়াও অসংখ্য দলিল দেওয়া যায় কোরবানীর ব্যাপারে। তাহলে ইব্রাহিম আঃ মূসা আঃ ও ঈসাঃ আঃ এর কোরবানীর ব্যাপারে আমরা জানলাম। আমরা শুধু মাত্র সেই তথ্য গুলোই জানতে পারি যা ওহি হিসেবে কোরআনে আছে। পৃথিবীতে অসংখ্য জাতি ছিল এবং তাদের সবার নিকটই নবী পাঠানো হয়েছে। আপনি কি প্রমাণ করতে পারবেন যে তারা সবাই কোরবানী করতেন বা নামাজ পড়তেন? পারবেন না। কারণ আপনি সেই সব নবীদের সময় ছিলেন না। আমরা ততটুকই জানি যতটুক আমাদের জানানো হইছে। তাহলে আপনি কিভাবে জাকারিয় (আঃ), ইয়াহিয়া (আঃ এর কোরবানীর ব্যাপারে প্রশ্ন করেন? আমরা এটাও বলতে পারব না যে তারা কোরবানী করতেন না, আবার এটাও বলবো না যে তারা কোরবানী করতেন। কারণ তাদের ব্যাপারে আমাদের জানানো হয় নাই।
আশা করি বুঝতে পারসেন। না পারলে আবার বুঝামু ইনশাল্লাহ।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:২৪
সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: Abdullah Arif Muslim
ইসমাইলকে কোরআনে কোথায় কোরবানীর কথা বলেছে সেই সূরা ও আয়াত নম্বরটি কিন্তু আপনি পরিস্কার করেননী।
ইসহাককে যে কোরবানী দেওয়া হয়েছে সেটা আমি পেয়েছি মাবুদের লেখা কিতাব তৌরাত ও কোরআনে। ধরে নিলাম তৌরাত মানুষের লেখা কিতাব; তবে কোরআনে কি বলে দয়া করে বলুন তাহলে সকলের জানা হবে। তবে আপনি যাই বলুন না কেন দয়া করে সূরা সাফফাত এর ১০০ আয়াত থেকে ১১২ আয়াত পর্যন্ত পড়ে দেখবেন কার নাম লিখা আছে।
আমি তৌরাত দেখলাম সেখানেও ইসহাককে কোরবানী করছেন এমন কথাই লেখা আছে। আপনি তৌরাতও দেখতে পারেন। তৌরাতঃ পয়দায়েশ ২২ অধ্যায় (সূরা নং) ২ থেকে ১৪ পদ (আয়াত)
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:২৪
শায়মা বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা ভাইয়া।