নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৬ আগস্ট ১৯৭৫। পত্রিকার পাতায় দেখুন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের খবরটা কীভাবে এসেছে!!!

০৫ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:১৩









জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের ৩৪ বছরের ইতিহাসে আওয়ামী লীগ ছাড়া সব সরকারই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে চাকরি দিয়ে খুনিদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করার ‘বিরল সম্মান’ দিয়েছে জিয়াউর রহমান, এরশাদ ও খালেদা জিয়ার সরকার। এই তিন সরকারের আমলে দূতাবাসগুলোতে চাকরির পাশাপাশি পদোন্নতি, ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ, রাজনীতিতে অংশগ্রহণ, দল গঠন ও সংসদ সদস্য হওয়ার সুযোগও পেয়েছে ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের প্রায় সবাই। এভাবে হত্যাকারীরা রাষ্ট্রীয় আনুকূল্য পাওয়ায় বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারও বিলম্ব হয়েছে।



১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কর্মরত এবং পরবর্তীতে রাষ্টদূত ও পররাষ্ট্র সচিব হওয়া বেশ কয়েকজন কূটনীতিকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ’৭৫-এর ৩ নভেম্বর জেল হত্যার পর কিভাবে রাষ্ট্রযন্ত্র খুনিদের দেশ থেকে বের করে নেয় এবং চাকরি দিয়ে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করে। খুনিদের বাংলাদেশের প্রতিনিধি বানিয়ে দূতাবাসগুলোতে চাকরি দেয়াকে এক লজ্জাজনক অধ্যায় অভিহিত করেছেন সাবেক কূটনীতিকরা। তারা জানান, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দূতাবাসে চাকরি দেয়ার বিষয়টি পোল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ মেনেও নেয়নি। কোন কোন কর্মকর্তা নানাভাবে এ ঘটনার প্রতিবাদও করেছেন।



১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জেলহত্যার পর ৪ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর খুনিদের একটি বিশেষ বিমানে রেঙ্গুন হয়ে ব্যাংকক পাঠিয়ে দেয়া হয়। খুনিচক্রকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে দেয়ার পেছনে একটি প্রভাবশালী দেশ প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেছে। ১৯৭৫ সালের ৬ নভেম্বর ‘ব্যাংকক ওয়ার্ল্ড’ পত্রিকায় লেখা হয় : ‘ফারুক রহমান জানান, ব্যাংককে পৌঁছার পরই তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তান দূতাবাসে তাদের উপস্থিতির খবর জানিয়ে দিয়েছেন এবং ঐ দুইটি দেশে তারা রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করবেন।’ পরদিন ‘ব্যাংকক পোস্ট’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় : জনৈক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ফারুক আজ (৬ নভেম্বর) মার্কিন কনস্যুলেটে আসেন এবং তার ও আরো ১৬ জন অফিসারের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি প্রার্থনা করেন।



পাকিস্তান সরকারের দেয়া একটি বিমানে ব্যাংকক থেকে তাদের লিবিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট মুয়াম্মার গাদ্দাফি তাদের সাদরে গ্রহণ করেন। তারা বলেন, বাংলাদেশ থেকে তাদের সঙ্গে যান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন পরিচালক এবং পরবর্তীতে পররাষ্ট্র সচিব এবং বর্তমানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শমসের মবিন চৌধুরী।



সব খুনিকে এক সঙ্গে লিবিয়ায় রাখা নিরাপদ নয় মনে করে ১৯৭৬ সালের ৮ জুন সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১২ জনকে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দেন। কয়েকজন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ইত্তেফাককে বলেন, খুনিরা লিবিয়াতে বসে জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধেও নানা ষড়যন্ত্র করতে পারে -এই আশংকা থেকেই তাদের চাকরি দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেয়া হয়। তবে হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্বদানকারী কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান ও কর্নেল খন্দকার আব্দুর রশীদ চাকরিতে যোগ দিতে রাজি হয়নি। তারা জিয়া সরকার ও লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট গাদ্দাফির সঙ্গে সমঝোতা করে সেখানে ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করে।



জিয়া সরকার যাদেরকে চাকরি দেয় তাদের মধ্যে লে. কর্নেল শরিফুল হক ডালিমকে চীন দূতাবাসে প্রথম সচিব, লে. কর্নেল আজিজ পাশাকে আর্জেন্টিনায় প্রথম সচিব, মেজর একেএম মহিউদ্দিন আহমেদকে আলজেরিয়ায় প্রথম সচিব, মেজর বজলুল হুদাকে পাকিস্তানে দ্বিতীয় সচিব, লে. কর্নেল শাহরিয়ার রশিদকে ইন্দোনেশিয়ায় দ্বিতীয় সচিব, মেজর রাশেদ চৌধুরীকে সৌদি আরবে দ্বিতীয় সচিব, মেজর নূর চৌধুরীকে ইরানে দ্বিতীয় সচিব, মেজর শরিফুল হোসেনকে কুয়েতে দ্বিতীয় সচিব, কর্নেল কিসমত হাশেমকে আবুধাবিতে তৃতীয় সচিব, লে. খায়রুজ্জামানকে মিসরে তৃতীয় সচিব, লে. নাজমুল হোসেনকে কানাডায় তৃতীয় সচিব ও লে. আবদুল মাজেদকে সেনেগালে তৃতীয় সচিব হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়। ঢাকা থেকে শমসের মবিন চৌধুরী তাদের জন্য পাসপোর্ট তৈরি করে নিয়োগপত্র, ব্যাগ, জিনিসপত্র, টাকাসহ লিবিয়া যান। আর লিবিয়ায় খুনিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সবকিছু প্রস্তুত করেন সেনা কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম শিশু।



পরবর্তীতে এরশাদ সরকার ডালিমকে বেইজিংয়ে নিয়োগ দিতে না পেরে পরে হংকংয়ে ভারপ্রাপ্ত মিশন প্রধান হিসাবে নিয়োগ দেয়। পোল্যান্ডে ডালিমকে একই পদে নিয়োগ দিলেও সে দেশের সরকার তাকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর লন্ডনে এরশাদ ও ডালিমের মধ্যে এক বৈঠকের ভিত্তিতে তাকে কেনিয়াতে হাইকমিশনার নিয়োগ দেয়া হয়। অন্যদের মধ্যে পরবর্তীতে আজিজ পাশা ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও রোমে দায়িত্ব পালন করে। একেএম মহিউদ্দিন আহমেদ সৌদি আরবের মিশন উপ-প্রধান হিসাবে নিয়োগ পায়। রাষ্ট্রদূত সিএম শফি সামীর দাবি অনুযায়ী তার বিরোধিতার কারণে এবং বেনজির ভুট্টো গ্রহণ করতে রাজি না হওয়ায় একই পদে মহিউদ্দিনকে করাচিতে নিয়োগ দিতে পারেননি এরশাদ। রাশেদ চৌধুরী টোকিও’র কাউন্সিলর হয়। নূর চৌধুরীকে এরশাদ আমলে আলজেরিয়ায় কাউন্সিলর হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়। এর আগে সে ব্রাজিলে চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স হিসাবে দায়িত্ব পালন করে। শরিফুল হোসেন ওমানে চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স নিযুক্ত হয়। অন্যরাও পদোন্নতি পায়। তাদের জন্য পদোন্নতি, সুযোগ সুবিধা সব অবারিত ছিল। শুধু তাই নয়, এসব খুনি এরশাদ ও খালেদা জিয়া সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় রাজনীতিতে অংশ নেয় এবং রাজনৈতিক দল গঠন করে। শাহরিয়ার রশিদ ও বজলুল হুদা ১৯৮০ সালের পর প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তি নামের একটি দল গঠন করে। ১৯৮৭ সালে ফারুক রহমান ও আব্দুর রশিদ গঠন করে ফ্রিডম পার্টি। পরে বজলুল হুদাও ফ্রিডম পার্টিতে যোগ দেয়। এর আগে ১৯৮৬ সালে এরশাদের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন করে লে. কর্নেল ফারুক। বজলুল হুদা ফ্রিডম পার্টির হয়ে ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে মেহেরপুর থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়। আর ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার ভোটার বিহীন এক তরফা নির্বাচনে কুমিল্লা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয় লে. কর্নেল রশিদ। এভাবে এরশাদ ও খালেদা জিয়ার আমলে খুনিরা সংসদে বসে।



খুনিরা বিভিন্ন দেশে চাকরিকালীন নানা ধরনের অনিয়ম ও বিশৃংখলা এবং চাকরিবিধি লংঘন করে দেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুণœ করে। এদের মধ্যে ডালিম নানা জায়গায় অনেক অঘটনের জন্ম দেয়। তাকে পোল্যান্ড সরকার গ্রহণ না করায় নিয়োগের আদেশ না থাকা সত্ত্বেও সে লন্ডন চলে আসে। এরশাদের লন্ডন সফরের সময় হিথ্রো বিমান বন্দরের এলকক এন্ড ব্রাউন স্যুটে এবং পরবর্তীতে হোটেলে দীর্ঘ বৈঠক করে। অথচ সে সময় তার কোন নিয়োগপত্র ছিল না। কেনিয়া সরকার ডালিমের অকূটনীতিসুলভ আচরণে অসন্তুষ্ট হয়ে তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার বাংলাদেশ সরকারের কাছে অভিযোগ করে। ডালিম চীনে কর্মরত অবস্থায় সেখানকার রাষ্ট্রদূত আব্দুল মমিনকেও নানাভাবে হেনস্তা করে। বজলুল হুদা পাকিস্তানে দূতাবাসের কর্মচারিদের মারধর করত। আজিজ পাশা তুরস্কের কাউন্সিলর থাকাকালীন তৎকালীন রাষ্ট্রদূতকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে একটি কক্ষে আটকে রাখে। ওই রাষ্ট্রদূত তখন ঢাকায় এসওএস বা জরুরি উদ্ধার বার্তা পাঠিয়ে উদ্ধার পান।



তৎকালীন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও সাবেক পররাষ্ট্র সচিব সিএম শফি সামী বলেন, খুনিদের এভাবে রাষ্ট্রীয় আনুকূল্য দেয়া, দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে দেয়া ছিল জাতির জন্য এক লজ্জাজনক অধ্যায়। এ ঘটনাগুলো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে ভয়াবহ নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। আনোয়ার সাদাত বেঁচে থাকাকালীন একজন রাষ্ট্রদূত পরিচয়পত্র পেশ করতে গেলে তাকে প্রকাশ্যেই তিনি বলেছিলেন, ‘আমার ট্যাংক দিয়েই তোমরা আমার বন্ধুকে হত্যা করেছ’। তিনি বলেন, ১৯৮৭ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত একেএম মহিউদ্দিনকে পাকিস্তানের করাচিতে ডেপুটি হাইকমিশনার নিয়োগ দেয়া হলে আমি তাকে মেনে নিইনি। পাকিস্তান সরকারকে জানিয়েই তিনি একেএম মহিউদ্দিনকে প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেন, তিনি ’৯২-’৯৩ সালে চীনের রাষ্ট্রদূত থাকাকালেও রাশেদ চৌধুরীকে উপ-হাইকমিশনার হিসাবে নিয়োগ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে সেভাবে সংগঠিত প্রতিবাদ না হলেও অনেকে অনেকভাবে প্রতিবাদ করেছিলেন।



১৯৭৫ সালে লন্ডনে ডেপুটি হাইকমিশনার এবং সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ফারুক চৌধুরী বলেন, হত্যাকারীদের বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ অনেকে মেনে নিতে না পারলেও তাদের কিছু করার ছিল না। কেননা সামরিক শাসকরাই তাদের নিয়োগ দেয়, সব নিয়মকানুন তাদের হাতে। আবুধাবীতে কর্মরত থাকার সময় আমার অধীনে অভিযুক্ত কিসমত হাসেমকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। এটা ছিল একটি অসহনীয় ঘটনা। কিন্তু রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তা হিসাবে রাষ্ট্রের নিয়োগের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা যায় না। নিয়োগের আদেশগুলো আসতো চিফ মার্শাল ল’ এডমিনিস্ট্রেটরের অফিস থেকে। তাই আদেশগুলো আমি কখনোই খুঁজে পাইনি।



হত্যাকাণ্ডের সময় ফ্রান্সে কর্মরত সাবেক পররাষ্ট্র সচিব এটিএম নজরুল ইসলাম বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনেক মেধাবী কর্মকর্তার ওপরে খুনিদের সরাসরি কাউন্সিলর, প্রথম সচিবের মত উচ্চ পদে নিয়োগ দেন জিয়াউর রহমান। এরশাদও তাদেরকে পুরস্কৃত করেন। তিনি একেএম মহিউদ্দিন, শরফুল হোসেন, আজিজ পাশাকে ঢাকায় নিয়ে আসেন এবং অন্যদের উচ্চতর পদে পদোন্নতি দেন।



বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সময় সুইজারল্যান্ডের জেনেভা মিশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান এবং পরবর্তীতে সচিব পদমর্যাদায় ফরেন সার্ভিস একাডেমির প্রিন্সিপ্যাল মহিউদ্দিন আহমদ এ বিষয়ে বলেন, জিয়া সরকার প্রাথমিকভাবে খুনিদের লিবিয়াতে নিয়ে গেলেও ষড়যন্ত্রের আশংকায় তাদের সবাইকে সেখানে একসঙ্গে রাখার সাহস পায়নি। তখন তাদেরকে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দেয়। তিনি বলেন, শমসের মবিন চৌধুরী, মেজর জেনারেল নূরুল ইসলাম শিশু ঢাকা থেকে সবকিছু তদারক করেন। নূরুল ইসলাম শিশু এখন যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমাতে বাস করেন। এই দুইজন সেনাবাহিনীতে জিয়ার ঘনিষ্ঠ ছিলেন, সহকর্মী হিসাবে খুনিদেরও চিনতেন। তিনি জানান, শমসের মবিনকে আহত মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে বঙ্গবন্ধুই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চাকরি দেন। ৭৫ এ শমসের মবিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক ছিলেন।



সাবেক রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ এমপি ’৭৫ এ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কর্মরত ছিলেন। তিনি বলেন, এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে তখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সময় পার করেছেন। অনেকে অফিসে আসতেন না। তেমন কোন কাজ-কর্ম করতেন না কেউ। অল্প কয়েকজন কর্মকর্তা সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতেন। তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়াই খুনিদের বিদেশের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দেয়া হয়েছে। তিনি জানান, অনেক দেশ তাদের নিয়োগ মেনে নিলেও ভিয়েতনাম, পোল্যান্ড কোন খুনিকে গ্রহণ করেনি। এমনকি পরবর্তীতে পাকিস্তানও একজনকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:৩৩

কাউসার রানা বলেছেন: শালারা সব কুত্তার বাচ্চা X(( X(( X(( X( X( X(
যেই মানুষটা একটা দেশের জন্য এত কিছু করলো আর তাকেই এই ভাবে জীবন দিতে হবে তাও আবার তারই দেশের তথা কথিত সোনার ছেলেদের হাতে---- ছি ঃ ছি ঃ

দেশের পত্রিকাগুলো তখন সামরিক শাষনের হাতে জিম্মি ছিল কি ??

কোথায় যেন পড়লাম, হুমায়ুন আহমেদ বলেছেন তার বাবা ইত্তেফাক এর নাম দিয়েছিল মিত্তেফাক।

২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:৩৬

লালকালো বলেছেন: তিনটি ঐতিহাসিক ছবির জন্য পোস্ট প্রিয়তে,,,,,,,,

৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:৪৭

গাজী তারেক বলেছেন: ভালো পোস্ট। +++

৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:৫১

অয়ন আহমেদ বলেছেন: তথ্য নির্ভর লেখা। কিন্তু আমার প্রশ্ন একটাই ১৯৭২-৭৪ সালের ভিতর যে অত্যাচার ঘটেছিল যেটি কেউ স্বীকার করতে চায় না কেন। আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না কেন সেই সময় হাজার মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা হয়েছিল এবং সাধারন মানুষ সেই সময় কেন এত অত্যাচারিত হয়েছিল। ৭৪'সালের দুর্ভিক্ষের সময় কেন প্রতিটি ঘরে কেউ না কেউ মরে গিয়েছিল এবং অথচ সরকারপক্ষীয় কারোর কোন ক্ষতি হয় নি। এই সব প্রশ্ন আমি করি তাদের কাছে যারা সেই সময়কার ইতিহাসের সাক্ষী। আজ আমরা নতুন প্রজম্ম ভুল ইতিহাস গ্রহন করছি কারন যারা ইতিহাসের সাক্ষী তারা দেদারসে মিথ্যা কথা বলে যাচ্ছে।

৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:০০

আমিই ঈশ্বর বলেছেন:


শেখ মুজিব ছিলেন - বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে আবাল রাস্ট্রনায়ক ।
এই লোকের বুদ্ধিসুদ্ধি আর একটু বেশী থাকলে আজকে দেশের চেহারা এমন হত না ।

এই মানুষ-টাকে কত ভাবে এই ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সর্তক করা হয়েছিল , সে কিছুই আমলে নেই নাই ।


শেখ মুজিব-কে আমি স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা হিসাবে ১০০ তে ১০০ দিব , আর সদ্য স্বাধীন দেশের রাস্ট্রনায়ক হিসাবে ৫ নম্বরও দিব না ।


শেখ মুজিব ছিলেন আপদমস্তক এক আবাল ।



৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:০৫

দেখি তো পারি কিনা..... বলেছেন: তথ্য নির্ভর লেখা। কিন্তু আমার প্রশ্ন একটাই ১৯৭২-৭৪ সালের ভিতর যে অত্যাচার ঘটেছিল যেটি কেউ স্বীকার করতে চায় না কেন। আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না কেন সেই সময় হাজার মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা হয়েছিল এবং সাধারন মানুষ সেই সময় কেন এত অত্যাচারিত হয়েছিল। ৭৪'সালের দুর্ভিক্ষের সময় কেন প্রতিটি ঘরে কেউ না কেউ মরে গিয়েছিল এবং অথচ সরকারপক্ষীয় কারোর কোন ক্ষতি হয় নি। এই সব প্রশ্ন আমি করি তাদের কাছে যারা সেই সময়কার ইতিহাসের সাক্ষী। আজ আমরা নতুন প্রজম্ম ভুল ইতিহাস গ্রহন করছি কারন যারা ইতিহাসের সাক্ষী তারা দেদারসে মিথ্যা কথা বলে যাচ্ছে। ........................??????????????????

৭| ০৫ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:১৪

ধীবর বলেছেন: ১৫ তারিখ অনেক দেরি আছে। এখন থেকেই মাতম শুরু করে দিয়েন না। আর গ্লিসারিন লাগলে বইলেন। যত্তসব ফাউল !

৮| ০৫ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:২৩

বড় ঠাকুড় বলেছেন:
-

অগাস্ট বিপ্লবের নায়কেরা সব বীর মুক্তিযোদ্বা, জাতিকে ওরা ২ বার স্বাধীনতা এনে দিয়েছে!!

সবাইকে স্যালুট!!

৯| ০৫ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:৩৫

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: অয়ন আহমেদ, বাকশালের আমলে হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে খুন বা জেল বরণ করতে হয়েছে। আমার বাবাও সেই সময় ৩ বছর জেল খেটেছে। ৭৫ এর পট পরিবরতন হওয়ার পর জেল থেকে ছাড়া পায়। ৭৫ এর পট পরিবরতন না হলে আমার জন্ম হতো কিনা সেই ব্যাপারে ঘোরতর সন্দেহ আছে। মাইন্ড ইট, সেই সময় রাজাকাররা কিন্তু রক্ষীবাহিনীর ছত্রছায়ায় ঠিকই জামাই আদর পেয়ে সাধীন দেশে সাধীনভাবে তাদের শেকড় শক্ত করেছে আর সেই শেকড়ে পানি ঢেলেছে বাকশাল। আজকে সেই বাকশালের বংশধররা যখন রাজাকারের বিচার, মুক্তিযূদ্ধের চেতনা করে মায়াকান্না কাদে তখন হাসিও পায় বিরক্তিও লাগে। এদের কাছে, এইসব হচ্ছে পাবলিকের ইমোশন পুজি করে একটা পলিটিক্যাল স্ট্যানবাজী। একটা ব্যবসা। দুরনীতি আর অপরাধ বৈধ করার হাতিয়ার। চেতনাবাদী দেশপ্রেমের নামে দেশ লোটার একটা অস্ত্র।

আমিই ঈশ্বর বলেছেন: শেখ মুজিব-কে আমি স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা হিসাবে ১০০ তে ১০০ দিব , আর সদ্য স্বাধীন দেশের রাস্ট্রনায়ক হিসাবে ৫ নম্বরও দিব না।

১০| ০৫ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:০৪

অয়ন আহমেদ বলেছেন: কুনোব্যাঙ ধন্যবাদ। আমিও এইরকম তথ্য পেয়েছি। আমার বাবাও একজন মুক্তিযোদ্ধা তিনিও এরকম কথা বলেছেন। যুদ্ধ পরবর্তী সময় তার অনেক যুদ্ধ সহযোগীদের পিটিয়ে মারা হয়েছিল। আমি তাই খুবই কনফিউজড হয়ে ভাবি, "রাজাকারের সংগা কি দাঁড়ালো"? মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকারী কেন রাজাকার নয়? কেন বিশেষ কয়েকজন চিহ্নিত করে বিচার করা হবে? সকল পাপের কেন বিচার হবে না? আগামী দিনে আরো কত হত্যাকারীর জন্ম হবে যাদের হাতে আমাদের আগামী দিনের কেউ মারা যাবে তাদের কি বিচার আদৌ হবে? নাকি সেই প্রেস ক্লাবে দাঁড়িয়ে সেই পুরানো ধারায় মৌন মিছিলে সীমাবদ্ধ।

১১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:০৭

সাবু ছেেল বলেছেন: জাতির জনক শেখ মুজিব হাজার বৎসরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী।তিনি জুগে জুগে মানুষের হৃদয়ে গ্রথিত হয়ে থাকবেন।স্বাধীনতার মুল ঘোষক এবং যার নামে মুক্তিযুদ্ধ শুরু ও শেষ হয়েছিলো;সেই বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করলো তারাও কিন্তু একের পর এক ফাসিতে ঝুলেছে এবং ইনশাল্লাহ সামনে আরও ঝুলবে।

তিনি একজন মানুষ ছিলেন,কোন ফেরেশতা বাঁ অন্য কিছু ছিলেন না।তাঁর শাসনামলে কিছু ভুল ত্রুটি থাকবেই।কিন্তু আমি মনে করি তাঁর "মস্ত বড় ভুল" ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা,তাঁর নামে মুক্তিযুদ্ধ চলা এবং অবশেষে বিজয় ছিনিয়ে আনা।দাঙ্গাবাজদের এটা সহ্য হতে যাবে কেন!!!

"আতখা"মুক্তিযোদ্ধা জিয়া,ফারুক,রশিদ চেয়েছিল ফাকিস্তানের সাথে কনফেডারেশন করে আরামে সারাজীবন থাকতে।আমাদের পাঁট বেচা অর্থ দিয়ে মুলতানের হাজার হাজার সড়ক,কারখানা,শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠলেও তাদের কিছু এসে যেত না!মীর জাফরের অতৃপ্ত প্রেতাত্মা শতাব্দীর সেরা এই জারজ সন্তানগুলোর উপর ভর করেছিলো এবং তাদের অনুসারীদের উপর এখনো করে আছে।এর থেকে তারা আমৃত্যু মুক্তি পাবে না কারণ আল্লাহপাক যাকে ইচ্ছে করেন তাঁর উপরই রহমত বর্ষণ করেন।এদের উপর আল্লাহর রহমত বর্ষণের কোন ইচ্ছা নেই বুঝা যাচ্ছে।কি হতভাগা এই নরাধম শুয়ো পোকাগুলো-ভাবতেই করুণা হয়!!

যার নামের শুরুতে লেখা রয়েছে "আমিই ঈশ্বর"সেই হতভাগা কাফেরের বিকৃত মস্তিষ্ক হতে প্রসূত অসংলগ্ন কথা-বার্তা এবং তাতে অনেকের যোগ দেওয়াকে আমরা তাই এমন কোন ব্যাপার হিসেবে দেখছিনা।কেননা তাদের স্থান অনেক আগেই নির্ধারিত হয়ে গিয়েছে।

পোস্টের লেখককে তাঁর এই তথ্যবহুল পরিশ্রমী লেখার জন্য আমি সাবু রহমান বেশ জোড়ালভাবে এ++++ দিচ্ছি।চালিয়ে যান আর মনে রাখবেন-পাকা ফলের দিকেই শিয়াল-শকুনরা ঢিল ছুড়ে সবচাইতে বেশী।পাকা ফলের তাতে বয়েই গেছে!!

পোস্টের লেখককে আবারো অনেক ধন্যবাদ এবং অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে আন্তরিক মুবারাকবাদ জানাচ্ছি।

১২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:০৮

অয়ন আহমেদ বলেছেন: কুনোব্যাঙ ধন্যবাদ। আমিও এইরকম তথ্য পেয়েছি। আমার বাবাও একজন মুক্তিযোদ্ধা তিনিও এরকম কথা বলেছেন। যুদ্ধ পরবর্তী সময় তার অনেক যুদ্ধ সহযোগীদের পিটিয়ে মারা হয়েছিল। আমি তাই খুবই কনফিউজড হয়ে ভাবি, "রাজাকারের সংগা কি দাঁড়ালো"? মুক্তিযোদ্ধা হত্যাকারী কেন রাজাকার নয়? কেন বিশেষ কয়েকজন চিহ্নিত করে বিচার করা হবে? সকল পাপের কেন বিচার হবে না? আগামী দিনে আরো কত হত্যাকারীর জন্ম হবে যাদের হাতে আমাদের আগামী দিনের কেউ মারা যাবে তাদের কি বিচার আদৌ হবে? নাকি সেই প্রেস ক্লাবে দাঁড়িয়ে সেই পুরানো ধারায় মৌন মিছিলে সীমাবদ্ধ।

১৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৩:২৭

বিবেকহীন বলেছেন: তথ্যগুলোর সূত্রের ব্যাপারে প্রশ্ন না তুলেই বলছি, শেখ মুজিবের এ ধরনের মৃত্যু কাম্য নয়, কিন্তু ৭৫ এর সে সময় দেশের সার্বিক অবস্থা েকমন ছিলো সেটাও বিবেচনায় আসা উচিৎ।

যদিও এখন কম্পিউটারের সামনে বসে সেই সময়ের অবস্থা আঁচ করতে পারা কঠিন, কিন্তু বর্তমান হাসিনার (স্বয়ং শেখ মুজিব তনয়া!!) কর্মকান্ড দেখে খানিকটা আঁচ করতে পারা কঠিন নয়। একদিকে হত্যাকান্ড ও দূর্নীতির দায়ে দন্ড প্রাপ্তদের রাষ্ট্রপতি তৈল-জিল্লুরের সহায়তায় প্রকাশ্য দিবালোকে দন্ড মওকুফের ব্যবস্থা হচ্ছে আর অন্যদিকে শেয়ারবাজার, ডেসটিনি, ইউনিপেটুসহ বিশাল সব প্রজেক্টের নামে বিশাল অংকের অর্থ বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। অর্থনৈতিক দিক দিয়ে দেশ যখন বড়-সড় লাফ দেয়ার পর্যায়ে চলে গিয়েছিলো ঠিক সেই গুরুত্বপূর্ণ সময়েই দেশকে এমনভাবে বাঁশ উপর দিলেন হাসিনা তথা মুজিব তনয়া। কুইক রেন্টালের কুইক কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী বাশের কথা না বললেই নয়। এই শেখ মুজিব তনয়ার ইচ্ছা পুরনের জন্য ৯১-৯৬ আমলে শতাধিক জঙ্গী হরতাল আর দলবাজ আমলাদের কথিত জনতার-মঞ্চ নাটকের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি বহাল হয়, অথচ সেই হাসিনাই এবার ক্ষমতার একক কর্তৃত্ব দেখিয়ে সেই তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি বাতিল করলো। এসব দেখে কি খানিকটা ধারনা করা যায় না?? কোন ঘটনাই হাওয়ার পেছনে ভর করে ঘটে না, বিশেষ করে যাদের এ হত্যাকান্ডের জন্য দায়ী করে দন্ড দেয়া হয়েছে তারা মুক্তিযুদ্ধের একেবারে ফ্রন্ট লাইনের যোদ্ধা। শেখ মুজিব হত্যার পেছনে বহিঃশক্তির স্বার্থ পরিস্কারভাবে খুজে পাওয়া যায় না, তাই ধারনা হয় কারনটা একেবারেই দেশের ভেতরের, যার রাষ্ট্রনায়ক কিনা ছিলেন স্বয়ং শেখ মুজিব।

১৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১২ ভোর ৪:৩৫

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: বিবেকহীন, আপনার প্রশ্নের উত্তর এরা কোনদিনও দিতে পারবেনা। কারণ ওরা অপরাধী ওরা পাপী। ওরা শুধু চাইবে হত্যা বা ভবিষ্যতে ফাসির দড়িতে ঝুলিয়ে মারার ভয় দেখিয়ে আপনার মুখ বন্ধ করতে। আজ বাকশাল বিরোধী বা আওমীলীগ বিরোধী কিছু বললেই তার সেটাকে টেনে মুক্তিযুদ্ধে নিয়ে যায় তারপর বলার চেষ্টা করে আপনি সাধীনতা বিরোধী মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী কথা বলছেন। এর কারণ একটাই সেটা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে ইমোশনান ব্ল্যাকমেইলিং করা। চেতনাবাদের নাম ভাঙ্গিয়ে মানুষকে ধোকা দেয়া। বাকশালের কথা বলতে গেলেই সেটাকে ৭২/৭৫ থেকে টেনে তারা সেটা ৭১ এ নিয়ে যায়। কারণ, তারা জানে তারা অপরাধী। তারা জানে তারা মিথ্যুক।

১৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০১২ ভোর ৪:৩৯

তীর্থযাত্রী বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাল লাগলো। পোস্ট প্রিয়তে

১৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:৪৫

*-._তস্রো_.-* বলেছেন: !

১৭| ২৩ শে আগস্ট, ২০১২ সকাল ১১:৪৩

ভালো থাকতে চাই বলেছেন: শেখ মুজিব ভালো ছিল বাট তার চামচারা ছিল সবছেয়ে খারাপ , খারাপ মানে যেমন তেমন না একেবারে খারাপ । এদের কারনে তিনি অনেক ভাল সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রয়োগ করতে পারেননি ।
রক্ষি বাহিনি যদি কোন অত্যাচার করে থাকে তাও সাপোর্ট করা যায়না।
কোন হত্যাকারি ধর্ষক এর জন্য কোন সাপোর্ট নেই , এসব যারা করবে তাদের বিচার হওয়া উচিৎ ।

১৮| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৩

ডাব্বা বলেছেন: শেখ মুজিব ছিলেন একজন অসাধারন বাগ্মী। আগুন জ্বালানো বক্তা। মানুষ কে আপন করে নিতেন সহজে। দেশ কে ভালবাসতেন ভন্ডামী না করে। হয়ত একজন ভাল সংগঠক ও ছিলেন।

প্রশাসক হিসেবে তিনি ছিলেন অতি কোমল। অপরিপক্ক।

ভাল মানুষ হলেই তার সবকিছু ভাল হবে এমন কোন কথা নেই। তবু তাঁর এই পরিণতি মেনে নেয়া যায় না। এটা তাঁর প্রাপ্য ছিল না।

আমরা যাকে ভালবাসি তাকে অন্ধের মত ভালবাসি। মনে করি তার কোন দোষ থাকতে নেই বা পারে না। আমরা প্রত্যেকেই একেকজন চাটুকার। নিজের অজান্তেই।

আর যাকে দেখতে পারি না তার ছায়া ও অসহ্য লাগে।

১৯| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৬

মোহাম্মদ মজিবর রহমান বলেছেন: মন্ত্রীত্ব পাইলে স্বাধীনতার ডাক আসতো কি?

২০| ০২ রা অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১১:৩৫

সৌমিক জামান বলেছেন: ভাই, শেখ মুজিব বলেন, জিয়া বলেন আর এরশাদ বলেন,সবাই এক গোয়ালের গরু।আর আমরা পাবলিক রা হলাম বলির পাঁঠা।তবে লিডার হিসাবে তারা সফল।কিন্তু রাষ্ট্র নায়ক হিসেবে অসফল।

২১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ২:৪০

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: প্রিয়তে

২২| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৪৫

ঢাকাইয়া০০৭ বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি খুব ছোট ছিলাম তাই যুদ্ধ করতে পারি নাই। তবে মুক্তেযোদ্ধাদেরকে টিউব-ওয়েল চেপে পানি খাইয়েছিলাম আর মায়ের চোখকে ফাঁকি দিয়ে মুরগীর পেটের নিচ থেকে ডিম চুরি করে পাশের বাড়ির ভাবীর সহযোগিতায় সেই ডিম সেদ্ধ করে মুক্তিযোদ্ধাদের খাইয়েছি। তবে আমার বড় ভাই এবং এক মামা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। কিন্তু যুদ্ধ পরবর্তি সময়ে আমার সেই মামা রক্ষি বাহিনী কর্তৃক অকথ্য নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আর আমার বড় ভাইকে দেখেছি রাতে রক্ষিবাহিনীর ভয়ে বোরো ধান ক্ষেতে গিয়ে ঘুমাতে। তারপরও আমাদের বাড়িতে রক্ষিবাহিনী হামলা করেছিল। এগুলি সবই আমার স্মৃতি থেকে বলছি। কারো কাছ থেকে শোনা নয় ।

২৩| ২০ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৪৪

ShusthoChinta বলেছেন: বাহ্ কি সুন্দর হেডলাইন! জাতির জনক এতো নৃশংসভাবে খুন হলো অথচ পরের দিনের পত্রিকায় প্রায় তেমন কিছুই নেই! এটার সাথে হেফাজতের সমাবেশের গনহত্যার পরের দিনের পত্রিকাগুলোর হেডলাইনের ভালো মিল রয়েছে,এ যেন ইতিহাসের পূণরাবৃত্তি! তবে একটা অংশ কিন্তু এখনো বাকি রয়ে গেছে,কালের বিবর্তনে শেখ মুজিবের খুনিদের ফাঁসি হয়েছে,আর রাতের অন্ধকারে হেফাজতিদের উপর গণহত্যা চালানো খুনিরা কি ছাড় পেয়ে যাবে? কস্মিনকালেও নয়,বরং এক্ষেত্রে আবারো ইতিহাসের পূনারাবৃত্তি ঘটবে,ঘটবেই নিশ্চিত থাকতে পারেন!

২৪| ২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫০

অেসন বলেছেন: আমি বঙ্গবন্ধুকে সন্মান করি স্বাধীনতার স্থপতি হিসাবে, রাষ্ট্রপ্রধান হিসাবে নয়। তারপরও বলি বঙ্গবন্ধু দেশ শাসন করেছিল মাত্র সাড়ে তিন বছর।
বর্তমান সময়ে একেক দল ক্ষমতায় আসে আর বলে বিগত পাঁচ বছরে অন্যদলের সরকার দেশ ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে
যুদ্ধবিধ্বস্ত কি উন্নত দেশ পেয়েছিল বলতে পারেন? বিশ্বের পরাশক্তির একটি পক্ষ এদেশকে স্বীকৃতি পর্যন্ত দেয়নি। আর সাহায্য তো দূরের কথা!
আর আইন শৃঙ্খলার কথা ! যুদ্ধফেরত সব মুক্তিযোদ্ধার হাতে অষ্ত্র। আকাশচুম্বি চাহিদা।একমাত্র বঙ্গবন্ধুর জন্য সম্ভব হয়েছিল অধিকাংশ অস্ত্র জমা নেওয়া। এরকম পরিস্থিতিতে নানারকম অনিয়ম কি অস্বাভাবিক ?

২৫| ২৯ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:৫০

অেসন বলেছেন: আমি বঙ্গবন্ধুকে সন্মান করি স্বাধীনতার স্থপতি হিসাবে, রাষ্ট্রপ্রধান হিসাবে নয়। তারপরও বলি বঙ্গবন্ধু দেশ শাসন করেছিল মাত্র সাড়ে তিন বছর।
বর্তমান সময়ে একেক দল ক্ষমতায় আসে আর বলে বিগত পাঁচ বছরে অন্যদলের সরকার দেশ ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে
যুদ্ধবিধ্বস্ত কি উন্নত দেশ পেয়েছিল বলতে পারেন? বিশ্বের পরাশক্তির একটি পক্ষ এদেশকে স্বীকৃতি পর্যন্ত দেয়নি। আর সাহায্য তো দূরের কথা!
আর আইন শৃঙ্খলার কথা ! যুদ্ধফেরত সব মুক্তিযোদ্ধার হাতে অষ্ত্র। আকাশচুম্বি চাহিদা।একমাত্র বঙ্গবন্ধুর জন্য সম্ভব হয়েছিল অধিকাংশ অস্ত্র জমা নেওয়া। এরকম পরিস্থিতিতে নানারকম অনিয়ম কি অস্বাভাবিক ?

২৬| ০২ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫৬

আশফাক সুমন বলেছেন: ShusthoChinta বলেছেন: বাহ্ কি সুন্দর হেডলাইন! জাতির জনক এতো নৃশংসভাবে খুন হলো অথচ পরের দিনের পত্রিকায় প্রায় তেমন কিছুই নেই! এটার সাথে হেফাজতের সমাবেশের গনহত্যার পরের দিনের পত্রিকাগুলোর হেডলাইনের ভালো মিল রয়েছে,এ যেন ইতিহাসের পূণরাবৃত্তি! তবে একটা অংশ কিন্তু এখনো বাকি রয়ে গেছে,কালের বিবর্তনে শেখ মুজিবের খুনিদের ফাঁসি হয়েছে,আর রাতের অন্ধকারে হেফাজতিদের উপর গণহত্যা চালানো খুনিরা কি ছাড় পেয়ে যাবে? কস্মিনকালেও নয়,বরং এক্ষেত্রে আবারো ইতিহাসের পূনারাবৃত্তি ঘটবে,ঘটবেই নিশ্চিত থাকতে পারেন! ------ হমমম। +++++

২৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৫

রাখালছেলে বলেছেন: আপনার পোষ্ট পড়ে আনন্দ পেলাম। কারন অনেকগুলো তথ্য পেলাম । খুনীদেরকে এখনও সহায়তা করা হচ্ছে । যেমন কানাডা নুরকে ফেরত দিতে অনিচ্ছুক ।


নীচের কমেন্টগুলো দেখে প্রচন্ড বিরক্ত হলাম। কেউ মুজিব বিরোধী কথা বলছে । কেউ বা আবার হেফাজতকে টেনে আনছে । এই পোষ্টে সব সত্যগুলো তুলে ধরা হয়েছে । যা আমরা অনেক আগ থেকেই জেনে আসছি । তথ্যবহুল পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ রইল । আরও পোষ্ট চাই ।

২৮| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৯

খাটাস বলেছেন: লালকালো বলেছেন: তিনটি ঐতিহাসিক ছবির জন্য পোস্ট প্রিয়তে,,,,,,,,

২৯| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫

মাথা ঠান্ডা বলেছেন: বঙ্গবন্দুকে প্রধান মন্ত্রীর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। উনি ঘৃণাভরে সেই প্রস্তাব প্রতাখ্যান করেছিলেন। সেদিন যদি সেই প্রস্তাব গ্রহন করতেন তাহলে আজকে ইতিহাস অন্যভাবে লেখা হত, আপনারা কেউ তাকে আবাল বলে গালিগালাজ করতেনা ।

পোস্ট দাতাকে অন্তর থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি পরিশ্রম করে অনেক তথ্যবহুল একটি পোস্ট দেয়ার জন্য।

৩০| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৪৩

আদরসারািদন বলেছেন: স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁর ভূমিকা ছিল অসীম, কিন্তু যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে দেশ পরিচালনায় তিনি ব্যর্ত হয়েছেন।

৩১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:২৬

াহো বলেছেন:
আদরসারািদন বলেছেন: স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁর ভূমিকা ছিল অসীম, কিন্তু যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে দেশ পরিচালনায় তিনি ব্যর্ত হয়েছেন।

মুজিব রাষ্টনায়ক হিসেবে ব্যর্থ ছিলেন বলে যারা গ্যাজান শুধু তাদের জন্যে এই পোষ্ট,
আপনাকে এমন একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে দেয়া হল,
১। যে দেশী মাত্র যুদ্ধ বিধ্বস্থ- বিশ্ব ব্যাংকের রিপোর্ট অনুযায়ী,
ক) ৬০ লাখ ঘরবাড়ি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে ( ৬০ লক্ষ x ৫ জনের পরিবার= ৩ কোটি মানুষের আবাসস্থল)
খ) ২৪ লাখ কৃষক পরিবারের কাছে জমি চাষের মতো গরু বা উপকরণও নেই
গ) পরিবহনব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, পুল-কালভার্টের চিহ্নও নেই এবং অভ্যন্তরীণ নৌ-যোগাযোগেও অনেক বাধাবিঘ্ন।
ঘ) লক্ষ মুক্তিযোদ্ধা আর হাজার দালালের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র অসংখ্য উপদল, বিপ্লবী
ঙ) দেশে পুলিশ, সেনা বা কোন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নেই।
চ) ফেরত আসা কোটি শরনার্থী
ছ) খাদ্যের ফাকা গুদাম, ব্যাংকে কোন রিজার্ভ নেই, যারা সরকারী চাকুরী করে তাদের বেতন দেবার মতো কোন তহবির আপনার হাতে নেই। (যুদ্ধের শেষদিকে পাকিস্তানি মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যত প্রতিটি ব্যবসা ক্ষেত্রই পাকিস্তানিদের দখলে ছিল তাদের সব অর্থ-সম্পদ পশ্চিম পাকিস্তানে পাচার করে দেয়। যুদ্ধ শেষে চট্টগ্রামে পাকিস্তান বিমানের অ্যাকাউন্টে মাত্র ১১৭ রুপি জমা পাওয়া গিয়েছিল। পাকিস্তান সেনাবাহিনী ব্যাংক নোট ও কয়েনগুলো ধ্বংস করে দেয়। ফলে সাধারণ মানুষ নগদ টাকার প্রকট সংকটে পড়ে। রাস্তা থেকে প্রাইভেটকারগুলো তুলে নেওয়া হয়, গাড়ির ডিলারদের কাছে থাকা গাড়িগুলো নিয়ে নেওয়া হয় এবং এগুলো নৌবন্দর বন্ধ হওয়ার আগমুহূর্তে পশ্চিম পাকিস্তানে পাচার করে দেওয়া হয়।)
জ) মুদ্রা ছাপানোর মতো পর্যাপ্ত স্বর্ণ বা বিদেশী মুদ্রার তহবিল নেই।
ঝ) সামগ্রিক শিল্প উত্পাদন ব্যবস্থা শুণ্য
ঞ) নৌবন্দরে মাইন, বিমান বন্দর ধ্বংশপ্রাপ্ত


=====================
লন্ডনের টাইমস পত্রিকায়
25 Aug 1975

মুজিব অনুসারীদের হত্যার প্রতিশোধ করার শপথ




Click This Link

=======================

মুজিব।। স্থপতির মৃত্যু ---টাইম সাময়িকী USA
আগষ্ট ২৫,১৯৭৫

তাঁর প্রশংসনীয় উদ্যোগঃ(last paragraph,link bellow full Bangla & English)
স্বাধীনতার পরের তিনবছরে ৬০০০ হাজারের ও বেশী রাজনৈতিক হত্যাকান্ড ঘটে । সহিংসতা সারাদেশব্যাপি ছড়িয়ে পরার আশংকা তৈরী হলে মুজিব রাষ্ট্রীয় জরুরী অবস্থা ঘোষনা করেন । চরমবাম ও চরম ডানপন্থী সংগঠনগুলো নিষিদ্ধ করা হয়, পত্রিকাগুলোকে নিয়ে আসা হয় সরকারী নিয়ন্ত্রনে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয় ।
এ উদ্যোগগুলো বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে গৃহীত হলেও অনেকেই সমালোচনামুখর হয়ে উঠেন । সমালোচকদের উদ্দেশ্যে মুজিব তার স্বভাবসুলভ ভংগীতে বলেনঃ-'ভুলে যেওনা আমি মাত্র তিনবছর সময় পেয়েছি । এই সময়ের মধ্যে তোমরা কোনো দৈব পরিবর্তন আশা করতে পারোনা' ।
যদি ও শেষ সময়ে তিনি নিজেই হতাশ ও বিরক্ত হয়ে কোন দৈব পরিবর্তন ঘটানোর জন্য অধৈর্য্য হয়ে পড়েছিলেন ।
সন্দেহাতীতভাবেই মুজিবের উদ্দেশ্য ছিলো তার দেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়ন ঘটানো । শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত মুজিব একটা 'সোনার বাংলা' গড়তে চেয়েছিলেন, যে 'সোনার বাংলা'র উপমা তিনি পেয়েছিলেন কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছ থেকে, ভালোবেসে মুজিব সেই 'সোনার বাংলা'র স্বপ্নকে তার দেশের জাতীয় সংগীত নির্বাচন করেছিলেন ।
Click This Link

পুরো বাংলা link
http://www.sachalayatan.com/hasan_murshed/7973

===================
বিশ্ব বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন ইউএসএ

1) পাকিস্তান এখন শেষ --শেখ মুজিব---15 মার্চ 1971

2)শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন --Apr. 05, 1971
--The World: Pakistan: Toppling Over the Brink

3)গত মার্চে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর বিশ্বব্যাংকের পরিদর্শকদের একটি বিশেষ টিম কিছু শহর প্রদক্ষিণ করে বলেছিলেন, ওগুলোকে দেখতে ভুতুড়ে নগরী মনে হয়। এরপর থেকে যুদ্ধ শেষ হওয়া পর্যন্ত এহেন ধ্বংসলীলার ক্ষান্তি নেই। ৬০ লাখ ঘরবাড়ি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ২৪ লাখ কৃষক পরিবারের কাছে জমি চাষের মতো গরু বা উপকরণও নেই। পরিবহনব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, পুল-কালভার্টের চিহ্নও নেই এবং অভ্যন্তরীণ নৌ-যোগাযোগেও অনেক বাধাবিঘ্ন। ---শেখ মুজিবুর রহমান : বন্দি থেকে বাদশা / টাইম সাময়িকী ১৭ জানুয়ারি ১৯৭২

4)Bangladesh have suffered three consecutive years of natural or man-made disasters—a calamitous cyclone in 1970, the civil war in 1971, and a crop-crippling drought this year. Jan. 01, 1973

5)শেখ মুজিবের সময়কালে ৬০০০ হাজারের ও বেশী মানুষ সহিংসতা নিহত (মুজিব।। স্থপতির মৃত্যু Time Magazine USA আগষ্ট ২৫,১৯৭৫).

6)বাংলাদেশ. "বাস্কেট কেস", নয়, Jan. 01, 1973

========================

বাকশাল ---প্রেসিডেন্ট সরাসরি নির্বাচিত হবে
বিশ্ব বিখ্যাত টাইম ম্যাগাজিন ইউএসএ
According to Time Magazine USA--Feb. 10, 1975,
Under the new system, executive powers are vested in the President, who will be elected directly every five years, and in a Council of Ministers appointed by him. Although an elected Parliament can pass legislation, the President has veto power and can dissolve Parliament indefinitely.

Parliament may remove the President, however, by a three-fourths vote "for violating the constitution or grave misconduct" as well as for physical or mental Incapacity. The amendment also empowers Mujib to set up a single "national party," thus shutting off any political opposition.



Click This Link

======================



৩২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:২৫

াহো বলেছেন:

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, ৫ই মে রাতে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে চালানো পুলিশি অভিযানে মৃতের যে সংখ্যা হেফাজত ও প্রধান বিরোধীদল বিএনপির পক্ষ থেকে করা হয় - তাদের অনুসন্ধানে তা ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়েছে।


Click This Link

৩৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৪১

ইজাজআহমেদ বলেছেন: জিয়া সত্যিই মুজিব হত্যা থেকে শুরু করে পরবর্তি ডামাডোলের অনেক কিছুই নিজ হাতে করেন নাই। কিন্তু এর সব কিছুই তিনি জানতেন। তিনি জানতেন যে, সেটা ঘটতে যাচ্ছে এবং তিনি হয়ত ঠিক করে রেখেছিলেন যে, ঘটে তো ঘটুক। অথবা তিনি হয়ত এর চেয়ে কয়েক ধাপ এগিয়েই ছিলেন বরাবর। অর্থাৎ তিনি ইচ্ছা করলে তা ঠেকাতে পারতেন। কিন্তু তা তিনি কেনইবা করতে যাবেন? এমনিতেই দেশের ততকালীন বিসৃংখলায় তিনি ছিলেন বিরক্ত এবং মুজিব সরকারকে সবকিছু গুছিয়ে নেওয়ার জন্য তিনি আরো সময় দিতেও মনে মনে প্রস্তুত ছিলেন না।
কেননা, সামরিক লোকজনের চিন্তা তো থাকে বন্দুকের মত। কেউ বিসৃংখলা করছে, তাকে গুলি করে ফেলে দিলেই তো হয়, সব মুহুর্তেই ঠান্ডা। তার জন্য বছরের পর বছর সময় নেওয়া কেন? কিন্তু রাজনীতি করতে গেলে যে অত সহজে সব কিছু ঠিক করে ফেলা যায় না, তা তো সামরিক লোকদের বোঝানো কঠিন। কারন, আজ যে ব্যক্তি বিসৃংখলা করছে, সে ব্যাক্তিই হয়ত গত ২০ বছর ধরে আমার পাশে থেকে সীমাহীন পরিশ্রম করে আমাকে ক্ষমতায় বসতে সাহায্য করেছে। তাই তার বিচার করা কি অতই সহজ একজন কৃতজ্ঞ মানুষের পক্ষে। যাহোক, এসব নিয়ে জিয়া তখন ছিলেন খুবই বিরক্ত।
আর তার পর এল রাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হবার নীল হাতছানী, যেটা কোটিতে একজনও উপেক্ষা করতে পারবে কিনা তা নিয়ে আমার এক কোটিগুন সন্দেহ আছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি হলে তো ক্ষমতায় যাওয়ার নেশায় অস্থির হয়ে আরো বেরাছেরা করে ফেলতাম। কিন্তু জিয়া পাকিস্তানের আইএসআই'র পরিকল্পনা, স্বাধীনতা বিরোধিদের মাধ্যম হয়ে তা বাস্তবায়নের চেষ্টা, ফারুক রশিদদের আক্রশকে তার সঙ্গে একীভূত করা, কর্নেল তাহেরকে সেনাবাহিনীর ঐক্য নষ্টের সুযোগ দেওয়া ইত্যাদি কাজগুলি এত নিখুত ভাবে, ধৈর্য ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে পর্যবেক্ষন করেছেন এবং হয়তবা এগুলির সমন্বয়ও করে দিয়েছেন সব কিছুর ধরা ছোয়ার আড়ালে থেকে যার প্রসংশা আমি না করে পারি না।
বাংলাদেশে হেনরি কিসিঞ্জার টাইপের নেতা থাকলে জিয়াই ছিলেন। এবং একটি দেশের রাজনীতিকে এগিয়ে নিতে গেলে, তাতে যে শুধু আবেগই না, কুটনীতিরও প্রয়োজন আছে, বাঙ্গালীদের জিয়াই তা দেখিয়েছেন এবং শিখিয়েছেন। একটু লক্ষ্য করে দেখুন, মুজিবের হত্যাকান্ড থেকে জিয়ার ক্ষমতায় আসীন হওয়া পর্যন্ত প্রত্যেকটি ঘটনা একই সুত্রে গাঁথা। পর্যবেক্ষন করলে যে কারো কাছে এটা পরিস্কার হয়ে যাবে যে এর প্রত্যেকটি ঘটনা জিয়ার জানা ছিল এবং এর পিছনে জিয়ার ইঙ্গিত বা যোগসাজস বা হাত ছিল। অথচ কোথাও তার হাতের বা পায়ের ছাপ নেই। কত দূরদর্শি মানুষ ছিলেন তিনি। কত বুদ্ধিমান?
প্রত্যেকটি মানুষেরই ভুল হয় এবং নিজে সেটা বুঝতে পারে না কেননা বুঝতে পারলে তো দুনিয়ায় কেউ ভুলই করত না। আমি বলব, জিয়াও একটি ভুল করেছিলেন তা হল, ক্ষমতার একটা পর্যায়ে এসে বাংলাদেশের রাজনীতি ও এদেশের অধিকাংশ মানুষ অনেকটা তাঁর নিয়ন্ত্রনে চলে এসেছিল। অন্তত তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ বা প্রচন্ড আন্দোলন সংগ্রাম করার এনার্জি তারা হারিয়ে ফেলেছিল। একজন দক্ষ বা ঝানু কুটনীতিক হিসাবে তখন তিনি ছোট একটি বেঈমানী করলেই সারা জীবনের জন্য নেতার নেতা হয়ে যেতে পারতেন। আর তা হল, বলতে গেলে তখন এদেশের প্রায় সবাই ছিল মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ। আর মুজিবকে যে জিয়াই কৌশলে হত্যা করেছেন সেটা মানুষ মনে মনে বুঝত। তার উপর আবার জিয়া দেশের সর্বময় ক্ষমতা দিয়ে দিলেন স্বাধীনতা বিরোধিদের হাতে। সবকিছু নিয়ে স্বাধীনতার পক্ষের মানুষেরা যারা সংখ্যায় তখন প্রায় ৭০-৮০%, তারা জিয়ার উপরে নাখোশ ছিল। যদিও পরবর্তীতে জিয়া ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকৃত করে করে মানুষের হাতে ক্ষমতা দিয়ে দিয়ে অনেক মানুষকে তার দিকে টেনে নিতে পেরেছিলেন, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তখনও ছিল না খোশ।

কিন্তু যখন তার কেন্দ্রীয় ক্ষমতা সামরিক বাহিনী ও পরবর্তিতে তার সঙ্গে যুক্ত হওয়া মানুষের দ্বারা মোটামুটি প্রায় পাকা পোক্ত, তখন তিনি স্বাধীনতা বিরোধিদের সঙ্গে একটা ডিগবাজি মারলেই হয়ে যেতো। যেমনটি তিনি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সঙ্গে করেছিলেন, তেমন একটা ডিগবাজি স্বাধীনতা বিরোধীদের সঙ্গে দিয়েই, রাজাকার কয়েকজনকে সুলে চড়িয়ে, ভারতের সঙ্গে আর একটু গরম ভাবে হাত মিলালেই সেদিন স্বাধীনতার পক্ষের মানুষ অর্থাৎ দেশের বেশিরভাগ মানুষ জিয়ার দিকে ঝুকে পড়ত। কেননা, মুজিব যেকোন ভাবেই হোক নেই এ কথাই তখন সত্যি, মুজিব আর ফিরেও আসবে না সেটাও সত্যি, আবার যাদের দ্বারা দীর্ঘ নয় মাস সীমাহীন নির্যাতন সহ্য করে এবং সীমাহীন ত্যাগ তিতিক্ষা সহ্য করে তারা সবে মাত্র স্বাধীনতার মুখ দেখেছে, সেই রাজাকারদের আস্ফালনও তারা সহ্য করতে পারছিল না। তাই স্বাধীনতার পক্ষে কেউ বিশেষকরে জিয়া একটু কথা বললেই তারা (স্বাধীনতার পক্ষের মানুষ) যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেতো।

কিন্তু জিয়া তা করলেন না। অবশ্য ভয়েই করলেন না, পিছে আইএসআই এবং স্বাধীনতা বিরোধীরা যে কায়দায় মুজিবের মত লোককে বিনাশ করে দিল, সেই কায়দা না আবার তার পিছনে প্রয়োগ করে বসে। তার চেয়ে যেভাবে চলছে, চলুক না। কিন্তু আমার ধারনা, চোখ পালটি দিলেও তার তেমন কিছুই হত না। প্রয়োজনে সেনা বাহিনীকে আর একটু খাইয়ে নিলেই হত। ভারত এবং সাথে সাথে রাশিয়া তো পিছনে থাকতই। আর দেশের বেশিরভাগ মানুষ পিছনের চলে আসলে, সেটাওতো একটা শক্তি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.