![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এবার ট্যাক্স ফাঁকির অভিযোগ উঠল শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে এবং এই ট্যাক্সের পরিমাণ প্রায় ৩ শ কোটি টাকা। ড. ইউনূসের মালিকানাধীন ১৪ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি। প্রতিষ্ঠাগুলোর বোর্ড ও পরিচালনা পর্ষদ থাকলেও চেয়ারম্যান হিসেবে এবং আর্থিকসহ পুরো কর্তৃত্বই মূলত ড. ইউনূসের। তাঁর বিরুদ্ধে আয়কর ফাঁকি থেকে রক্ষা পেতে তথ্য গোপন ও অসত্য তথ্য প্রদান করে আইনি কৌশলের আশ্রয় নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। ইউনূস সেন্টার ও ড. ইউনূসের আইনজীবী সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এর আগে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠলেও তিনি সেসব অভিযোগ অত্যন্ত কৌশলে সমাধান করেছেন। কিছু সময় অভিযোগের বিপরীতে নীরব থেকেছেন, কিছু সময় সরব প্রতিবাদলিপি দিয়েছেন গণমাধ্যমে। তবে যে কোনো অভিযোগের সময় তিনি গণমাধ্যম থেকে দূরে থাকেন। দেশের ক্রান্তি-সঙ্কটকালে তিনি প্রায় ধরাছোয়ার বাইরে থাকেন। অত্যন্ত কৌশলী ড. ইউনূসকে নিয়ে দেশের সাধারণ মানুষের অনেক প্রত্যাশা থাকলেও তিনি শুধু নিজের স্বার্থরক্ষায় সবসময় বলিষ্ঠ। তার একটি নমুনা পাওয়া গেল রাজস্ব ফাঁকিতে। গ্রামীণ গ্রুপের ১৪ টি প্রতিষ্ঠান এর মধ্যে রয়েছে। আয়কর ফাঁকি দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছেÑ প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ট্রাস্ট, ইউনূস সেন্টার, ইউনূস ক্যালেডোনিয়া কলেজ অব নার্সিং, গ্রামীণ শক্তি, গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট, গ্রামীণ ট্রাস্ট, গ্রামীণ কল্যাণ, গ্রামীণ ব্যবসা বিকাশ, গ্রামীণ মৎস্য ও পশুসম্পদ ফাউন্ডেশন, গ্রামীণ ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড, গ্রামীণ কম্যুনিকেশন, গ্রামীণ ব্যাংক বায়োয়ার্স ইনভেস্টমেন্ট ট্রাস্ট ও গ্রামীণ সামগ্রী। এ ছাড়া গ্রামীণ ব্যাংকের ৭০ কোটি টাকার আয়কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস আইন-কানুনের তোয়াক্কা করেন না। ব্যক্তিগত ও প্রতিষ্ঠানের আয়কর না দিতে অনেক সময় অসত্য তথ্য ও ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টসহ তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ঢাকা, সাভার, আশুলিয়া, গাজীপুর, মাওনা, সাতক্ষীরা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৫ হাজার বিঘা জমি কিনেছেন। ১৯৭২ সালের ৯৮ নম্বর আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির নামে ৬০ বিঘার বেশি জমি কিনতে হলে সরকারের অনুমোদন নেওয়ার বিধান রয়েছে। এ আইন লঙ্ঘন করে সরকারের অনুমতি ছাড়া জমি ক্রয় করলে তা বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রের অনুকূলে নেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু প্রচলিত আইনের তোয়াক্কা না করে এ বিপুল জমি ক্রয় করেছেন ড. ইউনূস। অসহায় ও নি:স্ব নারীদের তিলে তিলে গড়া সঞ্চয়ের টাকায় দেশে ও বিদেশে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানি নামে-বেনামে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকাকালীন ওই ব্যাংকের নামে আসা কয়েক হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক সাহায্য ও সরকারি অর্থ নিয়মবহির্ভূতভাবে তার কর্তৃত্বাধীন গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ কল্যাণসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করেন। ভূমিহীন গরিব তথা গ্রামীণ নারীদের কল্যাণে সরকারের অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত বিশেষায়িত গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকাকালে দেশের অভ্যন্তরে ও বিদেশে বিমানের বিজনেস ক্লাসে যাতায়াত করতেন। কর্মকর্তা হয়ে ড. ইউনূস প্রাডো গাড়িতে ঘুরে বেড়ালেও গ্রামীণ ব্যাংকের মালিক নারী পরিচালকরা যাতায়াত করতেন বাদুড়ঝোলার মতো বাসে চড়ে। বিদেশ যেতে বা প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করার ক্ষেত্রে পরিচালনা পর্ষদের অনুমতি নিতেন না তিনি। গরিব সদস্যদের অর্থে ও বিদেশি অনুদানে রাজধানীর মিরপুরে ২১তলা গ্রামীণ ব্যাংক প্রধান কার্যালয় নির্মাণ করা হয়েছে। নিয়ম-নীতি না মেনে এমডি পদের অপব্যবহার করে ড. ইউনূস ভবনের ১৬তলা ১১৫০০ বর্গফুটের ফ্লোর ইউনূস সেন্টারের নামে মাসিক মাত্র এক হাজার টাকায় নামমাত্র মূল্যে ভাড়া নেন। ওই ভবনের বর্তমানে প্রতি বর্গফুট ৩০ টাকা হারে মাসিক ভাড়া দাঁড়ায় ৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। ১১তলায় ১১০০০ বর্গফুটের ফ্লোর ইউনূস আর্কাইভের নামে বিনামূল্যে ভাড়া নেন। এর বর্তমান মাসিক ভাড়া ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এ ছাড়া নিচ তলায় বিনামূল্যে তিনি ভাড়া নেন নোবেল গ্যালারি নামে ৫৫০০ বর্গফটের ফ্লোর। ভাড়া ১ লাখ ৮১ হাজার টাকা। ভাড়া থেকে বছরে ১ কোটি ৩ লাখ ৮ হাজার টাকা গ্রামীণ ব্যাংকের গরিব সদস্যরা বঞ্চিত হচ্ছেন। গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি থাকাকালে পদে পদে দুর্নীতি, অনিয়ম ও আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ গ্রামীণ ব্যাংকের রিভিউ কমিটির রিপোর্ট ও বাংলাদেশ ব্যাংকের অডিট রিপোর্টে প্রমাণ মেলেছে।
কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে, গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের বিরুদ্ধে ২০১১-১২ এবং ২০১২-১৩ করবর্ষে ২১০ কোটি টাকার আয়কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। আয়কর না দিতে হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আয়কর আদায়ের ওপর ৬ মাসের স্থগিতাদেশ রয়েছে। ২০০৯-১০ এবং ২০১০-১১ করবর্ষে গ্রামীণ ট্রাস্টের কাছ থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকা আয়কর পাওনা রয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের। পাওনা আদায়ে প্রতিষ্ঠানের প্রতি দাবিনামাও জারি করেছে সংস্থাটি। বর্তমানে মামলাটি আপিলাধীন রয়েছে।
সূত্র মতে, গ্রামীণ ব্যাংক বায়োয়ার্স ইনভেস্টমেন্ট ট্রাস্টের কাছ থেকে ২০০৯-১০ এবং ২০১০-১১ করবর্ষে প্রায় ২০ কোটি টাকা আয়কর পাওনার দাবিনামা জারি করা হয়েছে। এ মামলা আপিলাধীন অবস্থায় রয়েছে। গ্রামীণ কল্যাণের বিরুদ্ধে প্রায় ১১ কোটি টাকার আয়কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এনবিআর দাবিনামা জারির বিষয়ে মামলাও আপিলাধীন রয়েছে। এ ছাড়া ২০১১-১২ করবর্ষে গ্রামীণ ব্যবসা বিকাশের সঙ্গে এনবিআরের মামলার আদেশ বলে ২ লাখ ও ২০১২-১৩ করবর্ষে ৬ লাখ টাকার দাবি নামা জারি করা হয়। এ মামলাটিও আপিলাধীন রয়েছে।
জানা গেছে, গ্রামীণ শক্তির বিরুদ্ধে ২০০৭-০৮ করবর্ষ থেকে ২০১২-১৩ করবর্ষ পর্যন্ত আয়কর আদায়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু এ কার্যক্রমের ওপর হাইকোর্টের স্থাগিতাদেশ রয়েছে। গ্রামীণ ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড ও গ্রামীণ সামগ্রীর বিরুদ্ধে কয়েক বছরের আয়কর ফাঁকির অভিযোগ ওঠায় অডিটের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। এ নিয়ে শুনানির কার্যক্রম চলছে। অন্যদিকে, গ্রামীণ ব্যাংকের বিরুদ্ধে প্রায় ৭০ কোটি টাকা আয়কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ সংক্রান্ত মামলাটিও আপিলাধীন অবস্থায় রয়েছে।
কর ফাঁকি দেওয়া প্রতিষ্ঠানের তালিকায় গ্রামীণ ব্যাংকের নামও রয়েছে। ২০১২-১৩ করবর্ষে মামলার ৮৩(২) ধারায় আদেশ অনুসারে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ৭০ কোটি ৬০ লাখ টাকা দাবিনামা জারি করেছে এনবিআর। কিন্তু এখনও টাকা আদায় করতে পারেনি। এ সংক্রান্ত মামলাটিও আপিলাধীন রয়েছে। উল্লিখিত কর আদায় করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ববোর্ড।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ কল্যাণেরও আয়কর ফাঁকি দিয়েছেন। এ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ২০১২-১৩ করবর্ষে মামলার ৮৩(২) ধারায় আদেশ অনুসারে ১০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা দাবিনামা জারি করেছে এনবিআর। এ প্রতিষ্ঠানের মামলাটিও আপিলাধীন অবস্থায় রয়েছে।
কর ফাঁকি দেওয়ার তালিকায় গ্রামীণ ব্যবসা বিকাশের নামও রয়েছে। ২০১১-১২ করবর্ষে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে এনবিআরের মামলা ৮২বিধি (১)/৯৩/৮৩(২) ধারা আদেশ বলে ২ লাখ ও ২০১২-১৩ করবর্ষে ৬ লাখ টাকার দাবিনামা জারি করা হয়। এ মামলাটিও আপিলাধীন রয়েছে। এ টাকা উদ্ধার করার জন্য চেষ্টা করলেও রাজস্ববোর্ড সফল হতে পারেনি।
ড. ইউনূসের কর ফাঁকি দেওয়ার তালিকায় গ্রামীণ মৎস্য ও পশুসম্পদ ফাউন্ডেশনও রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানের কাছে ২০১০-১১ করবর্ষে ২৩ লাখ টাকা পাওনার জন্য প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে রাজস্ববোর্ডের মামলায় ১২০ ধারা আদেশমূলে দাবিনামা জারি করেছে সংস্থাটি। এ মামলাটিও আপিলাধীন। এছাড়া এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ২০০৭-৮, ২০০৮-৯, ২০০৯-১০, ২০১২-১৩ করবর্ষের কর পাওনা নিয়ে মামলা রয়েছে। এ সব মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ার কারণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড টাকা আদায় করতে পারছে না।
গ্রামীণ ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডও একটি কর ফাঁকি দেওয়া প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আয়কর ফাঁকির সন্দেহ হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির আয়কর রিটার্ন (হিসাব বিবরণী) অডিটের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। আয়কর আইন ১৯৮৪-এর ৮৩(১) ও ৭৯ ধারায় শুনানি চলছে বলে জানা গেছে।
রাজস্ব বোর্ড গ্রামীণ কম্যুনিকেশনের বিরুদ্ধেও কর ফাঁকির অভিযোগ এনেছে। গ্রামীণ ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের মতো গ্রামীণ কম্যুনিকেশনের আয়কর রিটার্ন অডিটের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। আয়কর আইন ১৯৮৪-এর ৮৩(১) ও ৭৯ ধারায় শুনানি চলছে।
গ্রামীণ শক্তি নামের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও ২০০৭-২০০৮ করবর্ষ থেকে ২০১২-১৩ করবর্ষ পর্যন্ত কর বাবদ পাওনার বিষয়ে আয়কর আইনের ১২০ ধারায় কার্যক্রম গ্রহণের উদ্যোগ নেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। এ কার্যক্রমের ওপর হাইকোর্টের স্থাগিতাদেশ রয়েছে। ফলে এ কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য বন্ধ রয়েছে।
এদিকে গ্রামীণ সামগ্রী নামের প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারেও কর ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে। ২০১১-১২ ও ২০১২-১৩ করবর্ষে প্রতিষ্ঠানটির আয়কর হিসাবের বিবরণীতে কর ফাঁকির সন্দেহ হওয়ায় অডিটের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানেরও অডিট করা হবে। শুনানীও হবে।
গ্রামীণ হেলথ কেয়ার ট্রাস্টেরও কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশি¬ষ্ট সূত্র। গ্রামীণ হেলথ কেয়ার ট্রাস্টের ২০০৭ থেকে ২০১১ পর্যন্ত করবর্ষে পাওনা নিয়ে মামলা নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ২০১১-১২ করবর্ষে পাওনা বাবদ ৫ লাখ টাকার দাবিনামা জারি করেছে এনবিআর।
প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ট্রাস্ট নামের প্রতিষ্ঠানেরও কর ঠিক মতো দেওয়া হয়নি অভিযোগ ওঠার পর ২০১১-১২ করবর্ষে পাওনা বাবদ ১৭ লাখ টাকার দাবিনামা জারি করার পর পাওনা পরিশোধ করেছে সংস্থাটি।
এদিকে ইউনূস সেন্টারের বিরুদ্ধেও রাজস্ব বোর্ডের মামলা রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ২০০৮ থেকে ২০১১ পর্যন্ত করবর্ষে পাওনা নিয়ে এনবিআরের সঙ্গে মামলা নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। তবে ২০১১-১২ করবর্ষে ৯১ হাজার টাকা দাবির প্রেক্ষিতে কর পরিশোধ করা হয়েছে। ইউনূস ক্যালেডোনিয়া কলেজ অব নার্সিংও আরো একটি কর ফাঁকি দেওয়া প্রতিষ্ঠান। ২০১১ থেকে ২০১৩ করবর্ষে পাওনা নিয়ে ইউনূস ক্যালেডোনিয়া কলেজ অব নার্সিংয়ের সঙ্গে এনবিআরের মামলা নিষ্পত্তির অপেক্ষায়।
জানা গেছে, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিজেকে সৎ ও ভালো মানুষ দাবি করেন সবসময়ই। আর বাংলাদেশের সব মানুষকে দেখেন তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যভাবে। ওয়ান-ইলেভেনের পর রাজনীতি করার নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সেই সময়ে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের অভিপ্রায়ে প্রকাশ্যে রাজনৈতিক বক্তব্য দিতেন। তিনি তখনও আইন মানেননি। অথচ জেলে অবস্থান করেন শীর্ষ দুই নেত্রী। রাজনীতিকদের ছবক দিতেন। ঢাকায় নিজের বাড়ি ও ফ্ল্যাট থাকলেও পরিচালনা পর্ষদকে চাপ দিয়ে নিয়মবহির্ভূতভাবে গ্রামীণ ব্যাংক ক্যাম্পাসে এমডির বাসভবনে এখনও অবস্থান করছেন। প্রায় ৪ বছর আগে তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
ড. ইউনূসের ঘনিষ্ঠজনরা বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশের প্রভাবশালী ব্যক্তির ড. ইউনূসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা থাকায় বাংলাদেশের আইন-কানুনের তোয়াক্কা করেন না। সে সব দেশের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, এমনকী বিখ্যাত ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের কর্ণধাররা আয়কর ফাঁকি দিলে কিংবা দুর্নীতি করলে সেদেশের আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। অনেকের জেল ও জরিমানার ভুরি-ভুরি নজির রয়েছে। কিন্তু আয়কর ফাঁকি, অনিয়ম ও দুর্নীতির সুস্পষ্ট প্রমাণ থাকলেও বাংলাদেশ সরকার ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সাবেক প্রধান বিচারপতি বলেছেন, আইনের ঊর্ধ্বে কেউই নন। নোবেল পাওয়ায় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। আয়কর ফাঁকিসহ প্রচলিত আইন-কানুনের লঙ্ঘন করে থাকলে তার বিরুদ্ধে সরকারকেই আইনিব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি ১৯৮৪ সালের আয়কর আইনের ১৬৩ ধারা উল্লেখ করে বলেন, কারো বিরুদ্ধে আয়কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে ৩ বছর জেল ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার শাস্তির বিধান রয়েছে। ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর জেলের বিধান রয়েছে। কোনো পাবলিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোনো দুর্নীতি করলে দুর্নীতি দমন আইনেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সোভিয়েত ইউনিয়নের শান্তিতে নোবেল বিজয়ী আলেকজান্ডার সোলেজেনেৎ সিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশে অপরাধের কারণে নোবেল বিজয়ীরাও জেল খেটেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সাবেক উপাচার্য বলেন, নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আয়কর ফাঁকিসহ দুর্নীতির যেসব অভিযোগের কথা শোনা যাচ্ছে, এসব অভিযোগ কোনো রাজনৈতিক নেতা কিংবা কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উঠলে দেশে তোলপাড় শুরু হতো। শান্তিতে নোবেল পেলেও বাংলাদেশের মানুষের শান্তির জন্য কাজ করার নজির চোখে পড়েনি। বরং পদ্মা সেতুর জন্য বিশ্বব্যাংকসহ দাতাদের অর্থ বন্ধে ভূমিকা রেখেছেন বলেও গুঞ্জন রয়েছে। হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় সোনালী ব্যাংকের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ূন কবিরসহ ৪০ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হয়েছে। মামলার চার্জশিটও প্রদান করা হয়েছে এবং বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। কিন্তু অন্যায় করে ড. ইউনূস কিভাবে পার পেয়ে যাচ্ছেন তা দেশবাসীর বোধগম্য নয়।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:৩০
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ট্রাস্ট, ইউনূস সেন্টার, ইউনূস ক্যালেডোনিয়া কলেজ অব নার্সিং,ইউনুস ....