![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াতের বেশিরভাগ শীর্ষ নেতা কারাগারে। দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসি হয়েছে। মতিউর রহমান নিজামীর রায় যে কোনো দিন। যুদ্ধাপরাধসহ সন্ত্রাসী কর্মকা- চালিয়ে বাকি অনেক নেতাও হয় আটক নয় পলাতক কিংবা আন্ডারগ্রাউন্ডে। হাইকোর্টে বাতিল হয়েছে দলীয় নিবন্ধন। রাজনীতি নিষিদ্ধ হতে পারে এমন শঙ্কাও নাকের ডগায়। বহুযুগের গণদাবির ধারাবাহিকতায় ৯ অপরাধে জামায়াত নিষিদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সুপারিশের পর সামনে চলে এসেছে একই প্রশ্ন, কোন পথে যাচ্ছে জামায়াতের রাজনীতিÑ প্রকাশ্যে নাকি আন্ডারগ্রাউন্ডে? জামায়াত নামেই থাকবে, নাকি নতুন দল গঠন বা জোটে একীভূত হয়ে রাজনীতির মাঠে সরব হবে নেতারা? ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার নিষিদ্ধের সুপারিশের বিরুদ্ধে ২৫ মার্চেই আইনগত ও রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলার ঘোষণা দিয়েছে জামায়াত। বাইরে যতই হুঙ্কার দিক না কেন জানা গেছে, শিগগিরই মিশরের মুসলিম ব্রাদারহুডের ভাগ্যবরণ করতে হবে ধরে নিয়ে নিষিদ্ধ পরবর্তী করণীয় ঠিক করছে বিএনপির মিত্র উগ্রবাদী এ দলটি। নাম পরিবর্তন, আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের ন্যায় আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাওয়াসহ নানা পরিকল্পনা থাকলেও দলটির অধিকাংশ নেতাকর্মী দেখতে চায় আসলেই জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হয় কি না?
তবে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে রাজনীতির মাঠে টিকে থাকতে বিকল্প সব পথেই হাঁটছেন নেতারা। এ ক্ষেত্রে মিশরের মুসলিম ব্রাদারহুড, জাস্টিস পার্টি এবং তুরস্কের একে পার্টির ইতিহাস সামনে রেখে এগুচ্ছেন তারা। মিশরের মুসলিম ব্রাদারহুড বা ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি এবং তুরস্কের একে পার্টির সঙ্গে জামায়াতের আদর্শিক মিল রয়েছে। রয়েছে যোগাযোগও। অনেকটা কাছাকাছি সময়ে এসব দল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এসব দল কয়েকবার নিষিদ্ধ হয়। এর পর নতুন নামে রাজনীতি করতে থাকে দলগুলো। সর্বশেষ তুরস্কের একে পার্টি তিন দফায় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত রয়েছে। একইভাবে প্রচ- গণবিক্ষোভের মাধ্যমে সেনাসমর্থিত হোসনি মোবারকের পতনের পর মিশরের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় মোহাম্মদ মুরসির নেতৃত্বে ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি। যদিও এক বছরের মাথায় সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে ক্ষমতাচ্যুত হন মুরসি। সেখানে এখন ব্রাদারহুড নিষিদ্ধ সংগঠন। নেতারা মৃত্যুদ-ের মুখে।
এ দুটি দেশের বিশেষত মুসলিম ব্রাদারহুডের উত্থান-পতনের ঘটনা থেকে বর্তমান রাজনৈতিক সংকটকাল অতিক্রম করতে জামায়াত নেতারা পথ বের করছেন বলে জানা গেছে। দলের নিবন্ধন শেষ পর্যন্ত ফিরে পাওয়ার পরিবর্তে নিষিদ্ধ হলে রাজনৈতিক মাঠে টিকে থাকতে বিকল্প সব প্রস্তুতিই নিচ্ছেন জামায়াতের শীর্ষ নেতারা। প্রথমে আপিল বিভাগ নিবন্ধনের বিষয়ে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখলে ভিন্ন কোনো নামে রাজনীতি করার চিন্তা-ভাবনা রয়েছে নেতাদের। জামায়াত সমর্থিত কোনো ইসলামী-সমমনা দলের সঙ্গে নিজেদের একীভূত করারও চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে ১৯ দলের অন্তর্ভুক্ত কমপক্ষে ৫টি দল রয়েছে যেখানে জামায়াত মিশে যেতে পারে। এসব দলের যে কোনো একটিতে বা আরও কয়েকটি দলের সমন্বয়ে একটি নতুন জোট বা দলে একীভূতও হতে পারে জামায়াত। জামায়াতের মাঠপর্যায়ের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, জামায়াত নিষিদ্ধ করা হলে যে কোনো নাম নিয়ে দল বা জোট গঠন করা হতে পারে। এতে কোনো সমস্যা হবে না। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, জামায়াত নিষিদ্ধ হতে পারে, কিন্তু নেতাকর্মীরা তো থাকছেই। মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতারা বিচারের সম্মুখীন হয়েছেন। ইতোমধ্যে দলের ৬ শীর্ষ নেতাকে মৃত্যুদ-সহ বিভিন্ন মেয়াদের সাজা দেওয়া হয়েছে। ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়েছে দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার। রায় ঘোষণার অপেক্ষায় জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর মামলাটিরও। বাকিদেরও বিচার কাজ চলছে। চূড়ান্ত রায়ের অপেক্ষায় রয়েছে সাঈদীর মামলা। অন্যদিকে শীর্ষ নেতাদের মুক্তির আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী কর্মকা- চালিয়ে অসংখ্য নেতাকর্মী এখন কারাগারে। গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে রয়েছেন বাকিরা।
কেন্দ্র থেকে মহানগর, জেলা-উপজেলা এমনকি অনেক ইউনিয়ন পর্যায়েও নেতৃত্ব দিচ্ছেন তৃতীয় সারির নেতারা। দলটির কেন্দ্রীয় আমির ও সেক্রেটারি জেনারেলসহ অধিকাংশ শীর্ষ নেতা দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে রয়েছেন। এ অবস্থায় আমির ও সেক্রেটারি জেনারেলসহ অনেক পদই এখন ভারপ্রাপ্তদের দিয়ে চলছে। একই অবস্থা অনেক মহানগর, জেলা ও উপজেলা কমিটির ক্ষেত্রেও। ভারপ্রাপ্তদের ভারে ক্রমেই সংকটাপন্ন জামায়াত। দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের ওপর সাম্প্রতিক হামলার ঘটনার পেছনেও জামায়াত-শিবিরকে দায়ী করা হচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে। যদিও দলটি এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। এছাড়া রাজপথে সহিংস আন্দোলনের অভিযোগ তো আছেই। মগবাজারের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, পুরানা পল্টনের মহানগরী অফিসসহ অধিকাংশ মহানগর, জেলা-উপজেলা কার্যালয় এখন তালাবদ্ধ। প্রকাশ্যে কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারছে না দলটির নেতাকর্মীরা।
জামায়াত-শিবির দমনে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সরকার তথা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। স্বাধীনতার পর এমন সংকট আর আসেনি দলটিতে, জানিয়েছেন একাধিক নেতা। নানা দিক থেকে সংকট ও কোণঠাসা জামায়াত আগামী দিনে কোন পথে পরিচালিত হবে? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন অধিকাংশ মানুষ। বৈধভাবে রাজনীতি করতে পারবে, নাকি পারবে না? কিংবা নতুন কোনো দল বা জোটে একীভূত হয়ে রাজনীতির মাঠে আসবে জামায়াতÑ এ প্রশ্ন এখন বার বার ঘুরপাক খাচ্ছে।
রাজনীতির মাঠে টিকে থাকতে সম্ভাব্য সব পথেই হাঁটছেন দলটির বর্তমান শীর্ষ নেতারা। মানবতাবিরোধী অপরাধে শীর্ষ নেতাদের মুক্তির জন্য চলমান আন্দোলন অব্যাহত রাখবে জামায়াত-শিবির। এ ক্ষেত্রে কিছু কৌশলী কর্মসূচিতে যাবে তারা। অন্যদিকে দলের নিবন্ধন ফিরে পেতে আপিল বিভাগে লড়বে আইনজীবী প্যানেল। তবে শেষ পর্যন্ত নিবন্ধন ফিরে পাওয়া অনিশ্চিত ধরে নিয়েই এগোচ্ছে দলটির নেতারা। সে ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখছেন তারা। একটি মধ্যপন্থি ইসলামী দল হিসেবে আমেরিকা ও ইউরোপের মতো দেশগুলোর সঙ্গে জামায়াত সুসম্পর্ক গড়ে তুলেছে অনেক আগেই। এর ধারাবাহিকতায় পাশের দেশ ভারতের সঙ্গেও সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে চায় জামায়াত। এ জন্য জামায়াতের একটি কূটনৈতিক মিশন কাজ করছে বলে জানা গেছে। প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব সফর করে দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক লবিংয়ের কাজ করছেন সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক। নতুন পরিকল্পনা সফল করতে যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতাদের আইনজীবী রাজ্জাক এ মুহূর্তে অবস্থান করছেন আমেরিকায়। ছুটে বেড়াচ্ছেন কখনও নিউ ইয়র্ক, কখনও ওয়াশিংটন বা ক্যালিফোর্নিয়ায়। প্রকাশ্যে তৎপর না থাকলেও ব্যারিস্টার রাজ্জাক নিভৃতে বসে নেই। তার সঙ্গে নিউ ইয়র্কের জামায়াতি মিডিয়া ও জামাতি মতাদর্শের সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে।
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করে। এ সময় তারা ইসলামিক ডেমোক্রেটিক লীগ (আইডিএল) নামে তাদের কার্যক্রম চালায়। পরবর্তী সময়ে জিয়াউর রহমানের সরকার তথাকথিত বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করলে জামায়াতে ইসলামী আবারও রাজনীতি করার সুযোগ পায়। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জামায়াত নিষিদ্ধ হলে ভিন্ন কোনো নামে কার্যক্রম চালাবে দলটি। বর্তমান সংকট উত্তরণে জামায়াত নেতাদের একটি নতুন রাজনৈতিক দল হচ্ছে বলেও একটি গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা গেছে। এ ক্ষেত্রে একজন সিনিয়র আইনজীবী নেতার তত্ত্বাবধানে একটি প্রতিনিধি দল কাজ করছে। বিচলিত না হয়ে নতুন নামে নতুন ধারার রাজনীতি শুরু করার পক্ষে অনেক জামায়াত নেতাকর্মী। তবে তারা আশঙ্কা ব্যক্ত করেন, তা না করে জামায়াত যদি হটকারীর পথ বেছে নেয় তাহলে জামায়াত নেতাকর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। দলের একটি অংশ মনে করে, নতুন নামে নতুনভাবে এলে মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতার মতো গালমন্দ থেকেই রেহাই পাওয়া যাবে। আর নতুন নেতৃত্ব গঠনের এমন নির্দেশনা কারাবন্দি এক শীর্ষ নেতাও দিয়েছেন। এক অংশের ধারণা, দেশের প্রধান প্রধান দলগুলো দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। নতুন নামে এসে আদর্শ সমুন্নত রাখতে পারলে তৃতীয় শক্তি হিসেবে তাদের আবির্ভাব হবে সময়ের ব্যাপার। তবে নেতাকর্মীরা অপেক্ষা করছেন জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত। ইতোমধ্যে নামও চূড়ান্ত হয়ে গেছে বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। যদিও জামায়াত সরাসরি এসব তথ্য স্বীকার করছে না। নতুন সংগঠনের নাম হতে পারে ইসলামী লিবারেল পার্টিÑআইএলপি। এ অবস্থায় জামায়াতের ভবিষ্যৎ রাজনীতি নিয়ে কৌতূহল চারদিকে। দলটির সংস্কার নিয়েও নানা কথা শোনা যায়। তবে জামায়াতের ভেতরে সংগঠিতভাবে এ নিয়ে কোনো আলোচনা নেই বলেও দাবি অনেকের। ব্যক্তিগতভাবে কোনো কোনো নেতা সংস্কারের গুরুত্ব উপলব্ধি করেন। নতুন দল গঠন নিয়েও তাদের মধ্যে চিন্তা থাকতে পারে, কিন্তু জামায়াতের নীতিনির্ধারণী কোনো ফোরামে এখন পর্যন্ত দলের সংস্কার অথবা নতুন দল গঠন নিয়ে কেউ কোনো আলোচনার সূত্রপাত করেননি। মজলিসে শূরা অথবা কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদে এ নিয়ে কোনো আলোচনাও হয়নি। দলটির বর্তমান নীতিনির্ধারকদের মধ্যে সংস্কার নিয়ে কোনো চিন্তাও নেই। কেবল সরকার যদি জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে তখনই নতুন দল নিয়ে চিন্তা করার পক্ষপাতি তারা।
২০১১ সালে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক পত্রিকায় লেখা এক কলামে নিজের রাজনৈতিক ভাবনা প্রকাশ করেছিলেন। ওই লেখায় তিনি লিখেছিলেন, ভারতে ৬০ বছরের জামায়াত তার নাম পরিবর্তন করে ওয়েলফেয়ার পার্টি অব ইন্ডিয়া নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেছে পুরানো জামায়াতের ব্যর্থতার কারণে। ভারতের নতুন দলটিতে ১৬ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ক্যাথলিক খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের এক ফাদারসহ ৫ জন অমুসলিমকে রাখা হয়। জামায়াতের আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান কারাগার থেকে লেখা এক চিঠিতে দলে সংস্কারের পরামর্শ দিয়েছিলেন। ওই চিঠিতে তিনি নতুন নামে দল গঠনের পরামর্শ দিয়েছিলেন। চিঠিতে গণতান্ত্রিক ধারায় রাজনীতি অব্যাহত রাখতে বর্তমানে কার্যকর নেতাদের পরামর্শ দেওয়া হয়। সর্বশেষ ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় পাঠানো জামায়াতের বিবৃতিতে ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ ও সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান দাবি করেছেন, তদন্ত প্রতিবেদনে জামায়াতের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তার সঙ্গে জামায়াতের কোনো সম্পর্ক নেই। এসব অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও দুরভিসন্ধিমূলক। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জামায়াতের বর্তমান কার্যকর শীর্ষ পর্যায়ের নেতা স্বদেশ খবরকে বলেন, সদ্য সমাপ্ত চার ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ৩২টি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। পরবর্তী নির্বাচনে জামায়াত আরও কয়েকটি চেয়ারম্যান পদে জয়লাভের আশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, চরম সংকটকালীন সময়ে প্রতিকূল পরিবেশে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেও প্রাপ্ত ফলাফল আশাব্যাঞ্জক হওয়ায় দলের নেতাকর্মী-সমর্থকরা বেশ উজ্জীবিত। ফলে সারাদেশে তৃণমূল পর্যায়ে জনসমর্থন থাকায় বর্তমানে দেশের তৃতীয় বৃহত্তম এ রাজনৈতিক দলটি অন্য নামে আত্মপ্রকাশ করেও তৃতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হিসেবে সহজেই প্রতিষ্ঠিত হতে সক্ষম। বর্তমান উপজেলা নির্বাচনে ইতোমধ্যে এটি প্রমাণিত হয়েছে বলেও দাবি করেন জামায়াতের এ নেতা।
©somewhere in net ltd.