![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন জামায়াত নেতাদের প্রধান আইনজীবী ও দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক নিজেই মামলার ফাঁদে পড়ে এখন লাপাত্তা। তবে কিছুটা স্বস্তিতে আছেন তিনি ধানমন্ডি ও কলাবাগান থানায় দুটি মামলা হওয়ার আগেই বিদেশে পাড়ি জমিয়ে। গ্রেপ্তার এড়াতে তাই আপাতত দেশে ফিরছেন না লন্ডনে অবস্থানরত জামায়াতের গুরুত্বপূর্ণ এ নেতা। এ সময়ে আরও কয়েকটি দেশ সফর করে দল ও নিজেকে রক্ষার জন্য
আন্তর্জাতিক মহলে তৎপরতা চালাচ্ছেন তিনি। জামায়াতে ইসলামী সূত্র এ তথ্য দিয়ে জানায়, সমঝোতা অথবা বর্তমান সরকারের পরিবর্তন ছাড়া তার দেশে ফেরার সম্ভাবনা নেই। তার অনুপস্থিতিতে জামায়াত নেতাদের মামলা পরিচালনায় বেশ জটিলতার মধ্যে পড়েছেন জুনিয়র আইনজীবীরা।
মহাজোট সরকারের সময় ২০১০ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জামায়াতের শীর্ষ নেতারা কারারুদ্ধ হন। এসব নেতার মুক্তিসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে সরকারের কঠোর নীতির কারণে বাকি নেতাদেরও অনেকে কারারুদ্ধ হন, নয়তো আত্মগোপনে যান। এ দুর্যোগের মধ্যে শীর্ষ নেতাদের মামলা পরিচালনাসহ দলের নীতিনির্ধারণে বিশেষ ভূমিকা রাখেন ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন নেতাদের রক্ষার জন্য দেশে আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সমর্থন পেতে ব্যাপক তৎপরতা চালান তিনি। এরই অংশ হিসেবে ট্রাইব্যুনালের সমালোচনা করে বক্তব্য-বিবৃতি দিয়ে ভূমিকা রাখেন আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ মামলা পরিচালনায় বিশেষজ্ঞ মার্কিন আইনজীবী টবি ক্যাডম্যান। বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও পরোক্ষভাবে জামায়াত নেতাদের পক্ষে বক্তব্য-বিবৃতি দিতে দেখা যায়। এতসব তৎপরতা সত্ত্বেও মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধে ট্রাইব্যুনালের রায়ে দ-িত হন জামায়াতের শীর্ষ চার নেতা। এরই মধ্যে চূড়ান্ত বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গত বছর ১২ ডিসেম্বর ফাঁসি কার্যকর হয় দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার। এতে দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের মাঝে চরম হতাশা নেমে আসে।
এমনই এক পরিস্থিতিতে কাদের মোল্লার ফাঁসির পাঁচ দিনের মাথায় দেশ ত্যাগ করেন ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক। ওইদিন ঢাকা থেকে প্রথমে তিনি যুক্তরাষ্ট্র এবং সেখান থেকে যান লন্ডনে। বর্তমানে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন। অবশ্য গত মাসে তিনি ওমরা উপলক্ষ্যে কিছুদিনের জন্য সৌদি আরবে গিয়েছিলেন। উদ্ভূ¢ত সংকটাবস্থা থেকে দল ও নেতাদের রক্ষায় আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের জন্যই ব্যারিস্টার রাজ্জাক বিদেশে গেছেন বলে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট মহল থেকে দাবি করা হয়েছিল। লন্ডন ও সৌদি আরবে জামায়াতসহ বিভিন্ন মহলের সঙ্গে মতবিনিময় ও যোগাযোগের খবরও পাওয়া গেছে। তবে প্রায় চার মাসেও দেশে না ফেরায় তার এ সফর নিয়ে ওই মহলে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। তিনি কবে দেশে ফিরবেন তা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না কেউই।
তবে জামায়াতের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতা ও আইনজীবী জানান, ব্যারিস্টার রাজ্জাক লন্ডনে যাওয়ার উদ্দেশে দেশত্যাগ করার পরদিন ১৮ ডিসেম্বর কলাবাগান থানায় তার বিরুদ্ধে ভাঙচুর ও বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা দিয়েছে পুলিশ। এতে জামায়াতের স্থানীয় আরও বেশ কয়েকজন নেতাকে আসামি করা হয়। একইভাবে আরেকটি মামলা দেওয়া হয় ধানমন্ডি থানায়। কাদের মোল্লার ফাঁসি-পরবর্তী তার মামলা পরিচালনাকারী প্রধান এ আইনজীবীর বিরুদ্ধে ভাঙচুর ও নাশকতার অভিযোগে দুটি মামলা দায়েরের পরিপ্রেক্ষিতে এর উদ্দেশ্য নিয়ে ব্যারিস্টার রাজ্জাকসহ বেশ শঙ্কিত হয়ে পড়েন দলের শীর্ষ নেতা ও আইনজীবীরা। বিদেশে যাওয়ার পর এসব মামলা হলেও তিনি দেশে ফিরলে আটক হতে পারেন বলে সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা করছেন। এজন্যই গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি এখনই দেশে না ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে তার এ সফর সাংগঠনিক নাকি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে সে বিষয়ে জামায়াতের কেউ মুখ খুলতে রাজি হননি।
জামায়াতের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শীর্ষ এক নেতা বলেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে ব্যারিস্টার রাজ্জাকের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালেও মামলা শুরু করার উদ্যোগ নেওয়ার আভাস পাওয়া যায়। এসব আভাস পেয়েই তিনি দেশে ফিরছেন না। সরকার পরিবর্তন না হলে তিনি আর দেশে আসবেন না বলেও এ নেতা আভাস দেন। দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যোগাযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা তো অন্যায় কোনো কাজ নয়।
এদিকে দীর্ঘদিন দেশে না থাকায় জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের মামলা পরিচালনায় জটিলতায় পড়েছেন জুনিয়র আইনজীবীরা। বিষয়টি স্বীকার করে ট্রাইব্যুনালে জামায়াত নেতাদের মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী প্যানেলের অন্যতম সদস্য তাজুল ইসলাম বলেন, তার অভাব পূরণ হওয়ার নয়। কোর্টে বিভিন্ন মামলার শুনানিতে তার বিকল্প
আইনজীবী পাওয়া যাচ্ছে না। সরকার জেনেবুঝেই মামলা পরিচালনা থেকে দূরে রাখতে তার বিরুদ্ধে দুটি মিথ্যা
অভিযোগে মামলা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তাজুল ইসলাম জানান, ব্যারিস্টার রাজ্জাক ব্যক্তিগত কারণেই বিদেশে গেছেন। আপাতত দেশে ফিরছেন না বলেও তিনি উল্লেখ করেন। অন্য আইনজীবী আসাদ উদ্দিন বলেন, ব্যারিস্টার রাজ্জাক কবে দেশে ফিরবেন তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছেন না। দেশে ফিরলেই সরকার তাকে আটক করতে পারে বলেও আশঙ্কা করেন তিনি।
২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:০০
মুনেম আহমেদ বলেছেন: জামায়াতের একজন নেতা মামলার ভয়ে দেশে ফিরতাছেনা। হা হা হা গ্রেট জোক
৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৩৯
মুদ্দাকির বলেছেন: মুনেম আহমেদ বলেছেন: জামায়াতের একজন নেতা মামলার ভয়ে দেশে ফিরতাছেনা। হা হা হা গ্রেট জোক
আসলেই জোক
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:২১
নিজাম বলেছেন: তাই নাকি? ও ভাগলো ক্যান?