নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাস্তা পারাপারে নতুন প্রযুক্তি, সরকারের সাফল্য

০৬ ই মে, ২০১৪ সকাল ৯:৪৮

রাস্তা পারাপারে জনসাধারণকে উৎসাহিত করতে বর্তমান সরকার রাজধানীর বনানীতে দেশে প্রথমবারের মতো ওভারব্রিজে চালু করলো চলন্তসিঁড়ি। সকাল ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত এ ওভারব্রিজটি চালু রাখা হচ্ছে। এর ফলে এখন থেকে ছোট, বড় কিংবা বৃদ্ধদের জন্য কষ্ট করে ওভারব্রিজে উঠে রাস্তা পার হতে হবে না। চলন্তসিঁড়ির কারণে পথচারীদের ওভারব্রিজে উঠতে সমস্যা হলে সাহায্য করার জন্য ২ দিক দিয়ে নির্ধারিত ২ জন অপারেটর ও সাহায্যকারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পারাপারের জন্য দর্শনীয় নতুন প্রযুক্তির এ চলন্তসিঁড়ির ব্রিজটিতে দাঁড়ানো মাত্রই উপরের দিকে পথচারীদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া পথচারীদের সুবিধার্থে (ডগলেগ সিস্টেমে) প্রতিটি সিঁড়ির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে কম রাখা হয়েছে। উঠতে গিয়ে কষ্ট হয় বিধায় শুধু ওভারব্রিজটির দু’দিক থেকে উঠার জন্য চলন্তসিঁড়ি যোগ করা হয়েছে। নামতে হলে স্টিলের সিঁড়ি বেয়ে নামতে হবে। উন্নত বিশ্বে রাস্তা পারাপারে এ প্রযুক্তির ওভারব্রিজের ব্যবহার চালু হয় বহু আগেই। বর্তমান সরকারের সার্বিক সহযোগিতায় চলন্ত সিঁড়িযুক্ত ওভারব্রিজের মাধ্যমে দেশের ইতিহাসে রাস্তা পারাপারে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো।

স্বাভাবিকের চেয়ে ব্যতিক্রম এ ফুটওভার ব্রিজটি রাজধানীসহ সারাদেশের সব ফুটওভার ব্রিজের চেয়ে ভিন্ন। প্রতি ঘণ্টায় ৬ হাজার ৭৫০ জন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন এ চলন্তসিঁড়ির ওভারব্রিজটি দিয়ে চলাচলের জন্য বিদ্যুতের ৩টি লাইনের সংযোগ রয়েছে। একটি লাইনে সমস্যা থাকলে বা কোনো কারণে সিঁড়ি মেরামত করার প্রয়োজন হলে অন্য লাইনে এটি চালু করে কাজ করা হবে বা ব্রিজটি চালু রাখা হবে। ব্রিজের মধ্যে রাতে অবস্থান করাসহ কোনো ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে রাত ১১টার থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত ব্রিজের গেট বন্ধ রাখা হয়। চলন্তসিঁড়িটি ব্যবহারের ফলে মাসে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার বিদ্যুৎ বিল প্রদান করতে হবে। বিল দেবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনÑডিএনসিসি। সম্প্রতি এটি চালুর পর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

চলন্তসিঁড়িটি বিদ্যুৎ চলে গেলে বন্ধ রাখা হচ্ছে। ফলে পথচারীদের রাস্তা পারাপারে সমস্যা হচ্ছে। পথচারীদের সুবিধার্থে সার্বক্ষণিক চালু রাখতে বিদ্যুতের বিশেষ লাইন সংযোগ করা প্রয়োজন। সাধারণত স্টিলের ওভারব্রিজের উচ্চতা ২২ ফুট পর্যন্ত হলেও এ ওভারব্রিজটিকে পথচারীদের চলাচলের সুবিধার কথা চিন্তা করে ১৬ দশমিক ৫৫ ফুট উচ্চতায় তৈরি করা হয়েছে। নিচ দিয়ে যাতে করে যেকোনো ডাবল ডেকার বাস চলাচল করতে পারে এমন উচ্চতা রাখা হয়েছে। যা অনেকটা আরামদায়ক। সূত্র জানায় অতি উচ্চতায় প্রতিটি ওভারব্রিজ তৈরি করায় পথচারীরা ওভারব্রিজে উঠতে তেমন একটা আগ্রহী হয় না। ফলে ওভারব্রিজের নিচ দিয়ে রাস্তা পারাপারের সময় প্রতিদিনই দুর্ঘটনার শিকার হয় অসংখ্য মানুষ। এমনকি শুধু অবৈধভাবে রাস্তা পারাপারের কারণে রাজধানীতে মৃত্যুর সংখ্যাও কম নয়।

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ক্লিন এয়ার সাসটেইনেবল এনভায়রনমেন্ট (কেস) প্রকল্পের অধীনে নতুন এ চলন্তসিঁড়ির ওভারব্রিজটি তৈরিতে মোট ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা। মালয়েশিয়া থেকে আনা উন্নত প্রযুক্তির চলন্তসিঁড়িটি তৈরিতে ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ১৫ মাস মেয়াদে নির্দিষ্ট সময়ে এ বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে এটির নির্মাণ সম্পন্ন করে প্রস্তুতকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণের পর এক বছর ওয়ারেন্টি প্রদান করবে। পরবর্তীতে ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ চলন্তসিঁড়ির ওভারব্রিজটি পরিচালনা করবে।

রাজধানীর প্রতিটি ওভারব্রিজে প্রতিঘণ্টায় ৯ হাজার লোক পারাপার করলেও বনানীর ঐ স্থানে গড়ে ২৩ হাজার লোক পারাপার করে। তাছাড়া অতি গুরুত্বপূর্ণ ঐ স্থানটি দিয়ে গুলশানসহ স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অসংখ্য মানুষ আসা যাওয়া করতে হয়।

প্রকল্প সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় রাজধানীর বেইলি রোডে আরেকটি চলন্তসিঁড়ি নির্মাণের চিন্তা করছে। সরকারের অর্থায়নে প্রয়োজনীয় অর্থ পেলে সিটি করপোরেশন এটি তৈরি করবে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ক্লিন এয়ার সাসটেইনেবল প্রকল্পের পরিচালক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শেহাব উল্লাহ জানান, পথচারীদের সুবিধার্থে ও

রাস্তা পারাপারে উৎসাহিত করতে ও দুর্ঘটনা কমাতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে দেশে প্রথমবারের মতো চলন্তসিঁড়ির ফুটওভারব্রিজটি তৈরি করা হয়েছে। এটি চালুর পর অসংখ্য পথচারীকে

রাস্তার নিচ দিয়ে চলাচল না করে ফুটওভারব্রিজ দিয়ে রাস্তা পারাপার হতে দেখা যাচ্ছে। এ ওভারব্রিজটি বর্তমানে বিদ্যুৎ দিয়ে চলছে। তবে পথচারীদের সুবিধার্থে বিদ্যুৎ না থাকলে সব সময় কিভাবে চালু রাখা যায় এ লক্ষ্যে তারা ডেসকোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। নতুন চালু হওয়া এ ওভারব্রিজটি চালুর উদ্দেশ্য সফল হলে রাস্তা পারাপারের ঝুঁকি কমাবে ও প্রতিদিনের দুর্ঘটনা রোধে রাজধানীর আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এ ধরনের ফুটওভারব্রিজ চালু করা যেতে পারে।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মে, ২০১৪ সকাল ৯:৫৬

দূর আকাশের নীল তারা বলেছেন: সরকার যেখানে মানুষের ঘরে বিদ্যুত দিতে পারেনা, সেখানে রাস্তায় কিভাবে দেবে?

২| ০৬ ই মে, ২০১৪ সকাল ১০:০৯

আরশী বলেছেন: ভাই ণীল তারা, লেখকের কাজ সরকারের সাফল্য দূরবীণ দিয়ে খুজে বের করে আমাদের সামনে তুলে ধরা, মাইন্ড খাইয়েননা

৩| ০৬ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:২০

নিজাম বলেছেন: এটা ভালো, কিন্তু গরীব দেশে এই ব্যয়বহুল প্রকল্প কতদিন চলবে ভেবে দেখা দরকার।

৪| ০৬ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:৩৫

Eisenheim বলেছেন: রাস্তা পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনা অবশ্যই একটা সিরিয়াস ইস্যু। আর নতুন নতুন ওভারব্রিজ বানিয়ে যে আদতে তেমন একটা লাভ হচ্ছে না সেটা সরকারের নজরে গেছে এটা ভালো খবর। বিকল্প ব্যবস্থার চিন্তা করা হচ্ছে সেটা জেনেও ভালো লাগলো। তবে এই দেশে চলন্ত সিড়ির ওভারব্রিজ কতদিন পর্যন্ত সচল থাকে সেটা নিয়ে কিঞ্চিৎ সন্দেহ আছে আমার। এর সাথে বিদ্যুত খরচের ব্যপারটা নাহয় না-ই তুললাম..

৫| ০৬ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:৫৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চলন্ত সিঁড়ি দিয়া কোন লাভ নাই। আমাদের দেশের মানুষের জন্য এই সব আজাইরা খরচ। সবচেয়ে বড় কথা সরকার যদি মানুষরে রাস্তায় কোলে তুইলা পার করার কোন সিস্টেম চালু করে তাও মানুষ কোলে না উইঠা রাস্তায় এলো মেল ভাবে দৌড়াদৌড়ি কইরা পার হইব।

সরকারকে সাধুবাদ, তারা অপ্রয়োজনীয় হলেও ভিন্ন ধর্মী সুবিধা চালু করার চেষ্টা করছে। কিন্তু এটার প্রয়োজন ছিল না। ঐখানে ডগলেগ সিস্টেমের সাধারন একটা ওভারব্রিজ বানাইয়া, বাকি টাকা দিয়া লাঠি হাতে কয়েকজন লোক নিয়োগ দেয়া উচিত ছিল। নিচে দিয়া পার হইতে গেলেই মাইর! মাইরের উপর জিনিস বাঙালিদের জন্য আর হইতেই পারে না। সবাই দেখতেন খুব সুন্দর মত ওভারব্রিজ দিয়া পার হচ্ছে।

আর এটা যদি না মানেন, তাহলে আমাদেরকে বিশ্বাস করতে হবে সেনানিবাসের ভেতরে জাদু আছে। ;)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.