![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বার্তা স্পষ্ট। এটি আসলে শুধু আদালত স্থানান্তরের মামুলি কোন আদেশ নয়। সামনের দিনগুলো কেমন যাবে এ বার্তাটিই দেয়া হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে। তার বড় ছেলে তারেক রহমানও মামলা দু’টির আসামি। আক্রমণই আত্মরক্ষার সর্বশ্রেষ্ঠ উপায়- এ নীতি অবশ্য আওয়ামী লীগের নতুন নয়। জন্মের পর থেকেই এ নীতি অনুসরণ করে আসছে দলটি। গত সাত-আট বছরে তা আরও ক্ষুরদার হয়েছে এই যা। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মতো ঝানু রাজনীতিবিদও ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনকে ঘিরে খেলা বুঝতে পারেননি। ক্ষমতাসীনদের প্ররোচনায় কখন যে রওশন এরশাদ সবকিছু কব্জায় নিয়ে নেন তা টেরও পাননি সাবেক এই প্রেসিডেন্ট। যদিও এখন আবার সবকিছু মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। ইশারা বুঝে চলার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এই এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেই আপসহীন নেত্রীর খেতাব পেয়েছিলেন খালেদা জিয়া। যদিও তার সে খ্যাতি ক্রমশ ম্লান হওয়ার পথে। তিন বারের এই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জীবনেও সর্বশেষ নির্বাচন এক নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছে। নবম আর দশম দু’টি নির্বাচনই আসলে খালেদা জিয়ার জন্য একই রকম চ্যালেঞ্জের ছিল। নবম সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চাননি তিনি। সংসদ ভবনের বিশেষ কারাগারে এটিএম আমিনের চাপকে তিনি কেয়ার করেননি। কিন্তু জামায়াত, দলের একটি অংশ এবং বিদেশী শক্তিগুলোর চাপের কারণে সে নির্বাচনে অংশ নিতে হয় তাকে। দশম সংসদ নির্বাচন নিয়ে খেলা ছিল অবশ্য ভিন্ন। বলাবলি আছে, আওয়ামী লীগই চায়নি বিএনপি এ নির্বাচনে যাক। নির্বাচনে গেলেও অবশ্য বিএনপির জন্য ভাল কিছু ছিল না। সেক্ষেত্রে নির্বাচন না হওয়ার সম্ভাবনাই ছিল বেশি। তবে ৫ই জানুয়ারি নির্বাচনের পর ক্ষমতাসীনরা আবির্ভূত হয় আরও শক্তিশালীরূপে। নির্বাচনের পরপরই বিরোধীদের জন্য উচ্চারণ করা হয় চরম সতর্কবাণী। ক্রসফায়ার আর গুমের হার বেড়ে যায় বহুগুণ। হকচকিত বিরোধী শক্তি রাজনীতি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয় অনেকটা। খালেদা জিয়া ঘোষণা দেন দল গোছানোর। তার দলের নেতারা প্রেস ক্লাব আর বিএনপি নেত্রীর গুলশান কার্যালয়ে বন্দি করে ফেলেন নিজেদের। অবশ্য কাগুজে বাঘ নেতাদের অভাব নেই। প্রতিদিনই তারা নানান কিসিমের ঘোষণা দিচ্ছেন। দল গোছানো অবশ্য রয়ে গেছে কথার কথাই। এ অবস্থায় বুধবার বিরোধী শক্তিকে নতুন করে চ্যালেঞ্জের স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে সরকার। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা জিয়া চ্যারিটেবল এবং অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা দু’টিতে চার্জ গঠন করা হয়েছে এরই মধ্যে। এ চার্জ গঠনের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে গেলেও কোন লাভ হয়নি খালেদা জিয়ার। এখন দুই মামলায় তার বিচারের জন্য আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপন করা হবে আদালত। এখানেই বিডিআর বিদ্রোহের ফৌজদারি মামলার বিচার হয়। আলিয়া মাদরাসা মাঠে আদালত স্থানান্তরের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিচার কাজ চালাতে সরকারের দৃঢ় অবস্থানই স্পষ্ট করেছে। বিএনপির মুখমাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অবশ্য সরকারি বার্তা বুঝতে পেরেছেন। তিনি বলেছেন, আলিয়া মাদরাসা মাঠে আদালত স্থানান্তর খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার সরকারি পরিকল্পনারই অংশ। এ অবস্থায় বিএনপি তথা খালেদা জিয়া কি কৌশল গ্রহণ করেন তাই এখন দেখার বিষয়। তিনি শক্ত কোন অবস্থান নেন না আপসকামী বিবৃতি ও ভাষণসর্বস্ব নেতাদের ওপর নির্ভর করে ভবিষ্যতের দিকে এগুনোর চেষ্টা করেন সেদিকেই এখন দৃষ্টি পর্যবেক্ষকদের। যদিও আত্মরক্ষার রাজনীতি শেষ পর্যন্ত তাকে রক্ষা না-ও দিতে পারে। রাজনৈতিক মামলার আইনে লড়াইয়ের পরিণতি প্রশ্নে বেগম খালেদা জিয়ার বাড়ি নিয়ে উচ্চ আদালতে দায়ের করা রিটের ফলাফলকেও স্মরণ করা যায়। হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার রিট খারিজ করে দিয়েছিলেন। আপিল বিভাগে গিয়েও তিনি কোন সুফল পাননি। বাড়ি ইস্যুকে আদালতে নেয়ার কৌশল ঠিক ছিল কি না সে প্রশ্নে বিএনপিতে এখনও নানান মত রয়েছে। দুয়েক জন নেতা, যারা একইসঙ্গে আইনজীবীও তারাই নিজেদের সুবিধার জন্য বেগম জিয়ার বাড়ির ইস্যুকে আদালতে নিয়ে যান বলে অভিযোগ রয়েছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ছাড়াও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলা রয়েছে। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রয়েছে ১৬টি মামলা। এর মধ্যে একটি মামলায় অবশ্য তিনি নিম্ন আদালতের রায়ে খালাস পেয়েছেন। ওই রায় ঘোষণাকারী বিচারকও অবশ্য স্বস্তিতে নেই। তার বিরুদ্ধে এরই মধ্যে নানামুখী তদন্ত চালাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন। অপরদিকে খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো ছয়টি মামলার আসামি। একটি মামলায় তার সাজা হয়েছে। যদিও তিনি জরুরি অবস্থার সময় থেকেই দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। বাংলাদেশের সামনের দিনগুলোর রাজনীতিতে জিয়া পরিবারের মামলাগুলো গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামকের ভূমিকা পালন করবে।
২| ১১ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৩৮
ভুয়া প্রেমিক বলেছেন: খালেদা জিয়া কি করবেন সেটার সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কি আপনাকে নিয়োগ দিছে নাকি?
নিজের বাসায় চাল ডাল আছে কিনা সেই চিন্তা করেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:০৭
টিট ফর টেট বলেছেন: বিএনপূর