নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রথম আলো বর্জন চলছে সর্বত্র

২১ শে মে, ২০১৪ সকাল ৮:৫০





মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ‘টিএসসির সকল সাংস্কৃতিক সংগঠন’ ব্যানারে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানকে দুই দিনের মধ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।



“তা না হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষার্থীদের কণ্ঠস্বর জেগে উঠবে, আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কণ্ঠস্বর জেগে উঠলে তার পরিণতি কী হয়- তা একাত্তরে পাকিস্তানিরা বুঝেছিল,” হুঁশিয়ারি দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি শামীমা আক্তার জাহান।



গত ১৭ মে প্রথম আলোয় ‘চা-বিক্রেতা থেকে প্রধানমন্ত্রী’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্পর্কে বলা হয়, তিনি ‘আরএসএসের প্রচারক হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর’।



ওই দিন কোনো তথ্যসূত্র উল্লেখ করা না হলেও এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে পর দিন দেয়া ব্যাখ্যায় প্রথম আলো প্রতিবেদনটির তথ্যের উৎস হিসেবে বার্তা সংস্থা আইএএনএস--এর নাম উল্লেখ করে বলে, প্রতিবেদনে আইএএনএস--এর তথ্য হুবহু রাখা হয়েছে।



টিএসসির সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, প্রথম আলো বদলে যাও বদলে যাও স্লোগান নিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসকে ‘বদলে দেয়ার’ কাজে নেমেছে।



‘ইতিহাস বিকৃতির দায়ে মতিউর রহমানকে গ্রেফতার কর’ লেখা প্ল্যাকার্ডও ছিল তাদের সমাবেশে।



সমাবেশে ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক শোয়াইব আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের সভাপতি রিয়াজুল হক রাজু ও সাধারণ সম্পাদক নাবিল আল জাহান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সভাপতি মহসীন আলী, স্লোগান ’৭১ সভাপতি ভূঁইয়া মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ, ঢাবি সাইক্লিং ক্লাব সভাপতি আমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।



১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে ‘ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ’ বলায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেইসবুকে সমালোচনার মুখে পড়েছে বাংলা দৈনিক প্রথম আলো।

Print Friendly and PDF

1







8





6162







শনিবার ‘চা-বিক্রেতা থেকে প্রধানমন্ত্রী’ শিরোনামে প্রথম আলোর আন্তর্জাতিক খবরের পাতা ‘সারাবিশ্বে’ ভারতের হবু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বুলেট পয়েন্ট জীবনী ছাপা হয়।



এর একটি অংশে বলা হয়, “মোদি আরএসএসের ‘প্রচারক’ হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর।”



ওই নিবদ্ধের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ব্যাপক তোপের মুখে পড়ে প্রচার সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা এই দৈনিকটি।



প্রথম আলোর ওই লেখার স্ক্রিনশট ফেইসবুকে শেয়ার করে জয়দেব নন্দী নামে এক অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট লিখেছেন, “'প্রথম আলো' আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধকেও অস্বীকার করলো? আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধকে 'গুন্ডে' সিনেমার মতো পাক-ভারত যুদ্ধ বলে চালানো শুরু করে দিলো? তাহলে এই অবস্থা?”



নাসিম রূপক ফেইসবুকে লিখেছেন, “১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধকে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হিসাবে আখ্যায়িত করে মুক্তিযুদ্ধের অবমাননা করলো প্রথম আলো।”



জয়দেব নন্দীর স্টাটাসে করা মন্তব্যে খান আসাদুজ্জামান মাসুম বলেন, “৭১'র পাক-ভারত যুদ্ধ বলে যারা বলছেন তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া জরুরি। এটা বলে প্রকারান্তরে তারা মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করেন।”



রোববার পত্রিকাটির অনলাইন সংস্করণে ওই কথাটি বদলে দেয়ার পাশাপাশি প্রিন্ট ও অনলাইন সংস্করণে বার্তা সম্পাদকের পক্ষে একটি ব্যাখা ছাপা হয়।



ব্যাখ্যায় বলা হয়, “চা-বিক্রেতা থেকে প্রধানমন্ত্রী’ শিরোনামে গতকাল শনিবার প্রথম আলোর পৃষ্ঠা ৭-এ (সারা বিশ্ব) প্রকাশিত প্রতিবেদনে নরেন্দ্র মোদি সম্পর্কে বলা হয়েছে, তিনি ‘আরএসএসের প্রচারক হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর।



“প্রতিবেদনটির তথ্যের উৎস ছিল বার্তা সংস্থা আইএএনএস৷ তাই প্রতিবেদনে সূত্রের তথ্য হুবহু রাখা হয়৷”



সূত্রের দোহাই দেয়া হলেও ওই লেখাটির কোথাও সূত্রের উল্লেখ ছিলো না।



প্রথম আলোর ব্যাখ্যায় আরো বলা হয়, “১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্যায়ে ভারত ও পাকিস্তান সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। হয়তো সে কারণে নিজস্ব প্রেক্ষাপটে কোনো কোনো বিদেশি সংবাদমাধ্যম কখনো কখনো একে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধও বলে থাকে৷ কিন্তু ১৯৭১ সাল বিশ্ব ইতিহাসে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের বছর হিসেবেই সর্বজনীনভাবে স্বীকৃত৷”



এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে ভারতীয় চলচ্চিত্র ‘গুন্ডে’ তে মুক্তিযুদ্ধকে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ বলে উল্লেখ করায় সামাজিক মাধ্যমগুলোতে সমালোচনার মুখে পড়েছিলো ভারতীয় নির্মাতা প্রতিষ্ঠান যশরাজ ফিল্মস। পরে এর জন্য ক্ষমা চাওয়া হয় নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি পক্ষ থেকে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মে, ২০১৪ সকাল ৯:৪৯

পাহাড়ের বালক বলেছেন: ভাই সরকার এর বিরোধি মনভাবের কারনে যদি দুটি টিলিভিষন চ্যানেল একটি সংবাদপদত্র কয়েক মিনিটের নিেটের নোটিশে সম্পূর্ন বন্থ করে দিতে পারে তবে দেশ দ্রোহিতার কারনে প্রথম আলো বন্ধ হছ্চেনা কেন ???

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.