নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর সফল

২৯ শে মে, ২০১৪ সকাল ৯:৪৮

জাপান বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের মধ্য দিয়ে আবারও তার প্রমাণ পাওয়া গেল। বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য চলতি অর্থবছর থেকে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে জাপান বাংলাদেশকে ৬০ হাজার কোটি ইয়েন (প্রায় ৬০০ কোটি ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৬ হাজার কোটি টাকা) সহযোগিতা দেবে। সোমবার জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের কার্যালয়ে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যকার শীর্ষ বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা জানান, বে অব বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ বেল্ট (বিআইজি-বি) ধারণার বিকাশে জাপানি প্রধানমন্ত্রী আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। জাপানি প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এ ধারণা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। শীর্ষ বৈঠকে বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট আশাব্যঞ্জক সাড়া পাওয়া গেছে। বাংলাদেশের পাঁচটি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকায় (ইপিজেড) জাপানি বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের জন্য ৪০টি প্লট ও দুটি শিল্প ইমারত সংরক্ষিত রাখার ব্যাপারেও সমঝোতা হয়েছে। এ ছাড়া আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নানা দিক নিয়ে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে।

স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠনে উন্নত যে দেশগুলো সবচেয়ে এগিয়ে এসেছিল, জাপান তার মধ্যে অন্যতম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে জাপান সফরের মধ্য দিয়ে সেই সম্পর্কের ভিত্তি রচনা করেছিলেন। দুই দেশের মধ্যকার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আরো সমৃদ্ধ হয়েছিল ১৯৭৫ সালে জাপানের সম্রাট ও সম্রাজ্ঞীর বাংলাদেশ সফরের মধ্য দিয়ে। টোকিওর ইম্পেরিয়াল প্রাসাদে জাপানের সম্রাট আকিহিতোর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় সেই ঐতিহাসিক সফরগুলোর স্মৃতিচারণা করা হয়। আমরা আশাবাদী, দুই দেশের এই সম্পর্ক উত্তরোত্তর আরো ঘনিষ্ঠ ও সুদৃঢ় হবে।

পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়নে জাপানের এ অর্থ সুষ্ঠুভাবে কাজে লাগানো গেলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। উপকূলীয় শিল্পায়নের লক্ষ্যে প্রণীত বিআইজি-বি ধারণাটিও অত্যন্ত সময়োপযোগী। বাংলাদেশ একটি ছোট্ট ভূখণ্ড, অথচ রয়েছে বিশাল জনসংখ্যা। ব্যাপক শিল্পায়ন ছাড়া এ জনসংখ্যার কর্মসংস্থান ও খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রায় অসম্ভব। দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে শিল্পায়নের কারণে ক্রমাগত কৃষিজমি কমে যাচ্ছে এবং খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। সে কারণে উপকূলীয় অঞ্চলে শিল্পায়ন নানা দিক থেকেই জরুরি হয়ে পড়েছে। আমরা আশা করি, বর্তমান সরকার জাপান ও অন্যান্য বন্ধু দেশের সহযোগিতায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাঙ্ক্ষিত গতি সঞ্চার করতে সক্ষম হবে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৯

বিপনন বলেছেন: let hope for the best. http://www.prisebond.peperonity.com

২| ৩১ শে মে, ২০১৪ রাত ৮:০৫

দেশিনুর বলেছেন: i feel a lot of missing here.do u know it loan or grand? and whats the condition we have to fulfil.u shoud discrib this.ur report must incomplit.

৩| ০৭ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৫৯

দৈনিক মজিদকন্ঠ বলেছেন: সহমত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.