![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ না নিয়ে আসলে মহা বিপদেই পড়েছে বিএনপি। এটাতো ঠিক, শক্তিমানকে সবাই গুরুত্ব দেয়, মর্যাদা দেয়_ শক্তিহীন দুর্বলকে কেউ পাত্তা দেয় না। ভারতের মোদি সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার প্রথম বিদেশ সফরে আসেন বাংলাদেশে। তিনি অন্য দেশে না গিয়ে প্রথম বাংলাদেশে আসায় এটাই ইঙ্গিত করে যে, ভারত প্রতিবেশী বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে আন্তরিকভাবেই আগ্রহী। সফরের সময় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের সঙ্গে তাদের যার যার সরকারি কার্যালয়ে গিয়ে সাক্ষাৎ করেছেন। দেশের অন্যতম বড় দল বিএনপির নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার হোটেলে গিয়ে দেখা করেছেন।
ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সময় বেগম জিয়া বলেছেন_ 'বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই। বর্তমান সংসদ জনগণের ইচ্ছা প্রতিফলিত করে না। বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতন্ত্রের দেশ তার প্রতিবেশী দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ দেখতে চায় কিনা। পার্শ্ববর্তী দেশে গণতন্ত্র অনুপস্থিত থাকলে এ অঞ্চলের উন্নয়ন ব্যাহত হয়।' এসব কথাই ছিল বেগম জিয়ার বক্তব্যের সারমর্ম। বাংলাদেশে বর্তমানে গণতন্ত্র নেই বলে যে বেগম জিয়া ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে নালিশ করেছেন, এই অভিযোগ কতটুকু সত্য? আর যদি গণতন্ত্র দেশে অনুপস্থিত হয়েই থাকে, তার জন্য কে দায়ী? বেগম জিয়ারা সংসদে না থাকার কারণেই কি দেশে গণতন্ত্র অনুপস্থিত নয়? ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সদ্য সমাপ্ত সংসদে বিরোধীদলীয় নেত্রী ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। ওই ৫ বছরে বেগম জিয়া এবং তার দল ক'দিন সংসদে গিয়েছেন? সদস্যপদ রক্ষার জন্য বেগম জিয়া যে ৫-৭ বার সংসদে যাওয়ার দরকার, তাই গেছেন। তার দলেরও একই অবস্থা।
সংসদে না গিয়েও বেতন-ভাতা, প্রোটোকলসহ সব প্রকার সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন বেগম জিয়া ও তার দলের এমপিরা। বর্তমান বিরোধী দল থেকে কয়েকজন মন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও তারাতো অন্তত সংসদে যাচ্ছেন। বেগম জিয়া গত ৫ বছর কি কোন পজিটিভ রাজনীতি করেছেন? স্বাধীনতাবিরোধী একাত্তরের ঘাতক জামায়াতকে নিয়ে গত ৫ বছরে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত এবং চার লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন বেগম জিয়া ও তার দল।
গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ওয়াদা করেছিল, ক্ষমতায় গেলে মহাজোট একাত্তরের ঘাতকদের বিচার করবে। মহাজোট নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় গিয়ে প্রদত্ত ওয়াদা ও নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী একাত্তরের ঘাতকদের বিচার শুরু করেন। বিচার বানচালের দাবিতে একাত্তরের ঘাতক দল জামায়াত-শিবির এমন কোন সন্ত্রাসী অপকর্ম নেই যা করেনি। তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হত্যা থেকে শুরু করে রেল লাইনের ফিশপ্লেট উঠিয়ে রেল চলাচল ব্যাহত, যানবাহনে আগুন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনের বাড়িঘরে হামলাসহ দেশে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। দিনের পর দিন হরতাল দিয়ে জামায়াত-শিবির দেশের অর্থনীতিকে চরমভাবে বিপর্যন্ত করে। অথচ সবাই জানে বেগম জিয়ারা মদদ না দিলে জামায়াত-শিবির গণরোষ থেকে বাঁচার জন্য গর্তে লুকাতো। এখনও এদেশে স্বাধীনতাবিরোধীদের একমাত্র অবলম্বন হচ্ছেন বেগম জিয়া ও তার পরিবার।
বিএনপির রাজনীতি যতদিন জিয়া পরিবারের নেতৃত্বে থাকবে ততদিন এদেশে একাত্তরের ঘাতকদের নির্মূল করা যাবে না এবং দেশে গণতন্ত্রও প্রতিষ্ঠিত হবে না। বেগম জিয়ারা ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ধরনা দিতে গিয়ে দেশে গণতন্ত্র নেই বলে যে দাবি করেছেন, এর জন্য তিনি নিজেই সিংহভাগ দায়ী। ১৯৯১ সাল থেকে ২০১৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত বেগম জিয়া দু'বার মতান্তরে ৩ বার ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী এবং দু'বার সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্বে ছিলেন। তিনি প্রথমবার (১৯৯১-১৯৯৬) দেশ মোটামুটি ভালোভাবে পরিচালনা করলেও নির্বাচন শেষে আরেকটি একদলীয় নির্বাচন করে ক্ষমতা পুনরায় দখল করেন। তখন আন্দোলনের মুখে এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে খালেদার অবৈধ সরকারের পতন ঘটে। মোদ্দা কথা, দুইবার প্রধানমন্ত্রীত্ব শেষে একবারও তিনি গণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করেননি। প্রথমবার শেখ হাসিনার আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছাড়লেও দ্বিতীয়বার দলীয় রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিনের মাধ্যমে দেশে ওয়ান-ইলেভেন সৃষ্টি করেছেন। এই খালেদার আমলেই সংসদের তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়। তার আমলেই সংসদ সদস্য শামস কিবরিয়া ও আহসানউল্লাহ মাস্টারসহ বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়। বিএনপির তথাকথিত গণতান্ত্রিক শাসনামলে তার গুণধর পুত্র হাওয়া ভবনে সমান্তরাল শাসন কায়েম করেন। তিনি ক্ষমতায় থাকতেই বিদেশি পত্রিকায় তারেক রহমান মি. টেন পার্সেন্ট এবং দুর্নীতির বরপুত্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। বেগম জিয়ার আমলে ২০০৪ সালে ১০ ট্রাক চোরাই অস্ত্র আটক হয়। সেই মামলায় উনার শিল্পমন্ত্রী ও একাত্তরের ঘাতক নিজামী, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবরসহ পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের বিচারে ফাঁসি হয়েছে।
বেগম খালেদা জিয়া দুইবার প্রধানমন্ত্রী থাকাকালেও সংসদে নিয়মিত উপস্থিত থাকেননি। আর বিরোধীদলীয় নেত্রী থাকাকালে শুধু সদস্যপদ রক্ষার জন্যই বছরে ২-১ বার সংসদে হাজিরা দিয়েছেন। বেগম জিয়ার কাছে জানতে চাই_ তিনি কি দয়া করে বলবেন, ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ৫ বছরে এক মাসও কেন তিনি সংসদে যাননি? উনি নিজে কি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন? উনার দলে গত ৩১ বছরে ক'বার কাউন্সিল হয়েছে? উনার পুত্রকে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বানানো হয়েছে কোন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে? বিএনপির গঠনতন্ত্রে কি এই দুই আজগুবি পদের অস্তিত্ব ছিল? শুধু একজন পলাতক আসামিকে পদায়ন করার জন্য যে দলের গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করে পদ সৃষ্টি করা হয়, সেটাকে কি কোন গণতান্ত্রিক দল বলা যায়?
আমাদের জানা মতে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপির সিনিয়র নেতারাসহ দলের একটি বড় অংশ নির্বাচনে অংশ নেয়ার পক্ষপাতি ছিলেন। তিনি কেন নির্বাচনে অংশ নিলেন না? নির্বাচনে কারচুপি হবে এই কল্পিত আশংকায় তিনি নির্বাচনে অংশ নেননি। নির্বাচনে কারচুপি হলে তো জনগণকে নিয়ে তিনি আন্দোলন করতে পারতেন। কিন্তু তিনি সেই গণতান্ত্রিক পথে না গিয়ে নির্বাচন বানচালের ঘোষণা দিলেন। আর সেই নির্বাচন বানচালের জন্য তিনি ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা কত মানুষ হত্যা করেছেন, দেশকে অর্থনৈতিকভাবে কত পিছিয়ে দিয়েছেন, এর হিসাব কে দেবে? বেগম জিয়া নির্বাচনে অংশ না নিয়ে জনগণকে শাস্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানাতে পারতেন। পৃথিবীর কোন গণতান্ত্রিক দেশে কি নির্বাচন বানচালের নামে আইনানুগভাবে প্রতিষ্ঠিত সরকারের বিরুদ্ধে বেগম জিয়ার স্টাইলে এমনিভাবে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে? হয়নি। কিন্তু সন্ত্রাসী আন্দোলন সত্ত্বেও বেগম জিয়ারা নির্বাচন বানচাল দূরের কথা, ১০টি আসনের নির্বাচনও বন্ধ রাখতে পারেননি।
বেগম জিয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করছেন। এই তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতিতো তিনিই ধ্বংস করেছেন। ৫ বছর মেয়াদ শেষে বেগম জিয়ারা যদি ২০০৬ সালে নির্দলীয় নিরপেক্ষ এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে প্রধান উপদেষ্টা বানিয়ে ওই সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতেন, তাহলে তো তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি দেশে হয়তো আজও প্রচলিত ও প্রতিষ্ঠিত থাকত। বিএনপির দালাল, মেরুদ-হীন দলীয় রাষ্ট্রপতি প্রফেসর ইয়াজউদ্দিনকে বেগম জিয়ারা একই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বানিয়েছিলেন। দলীয় রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিনকে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বানিয়ে বেগম জিয়াই তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতিও ধ্বংস করেছিলেন।
আওয়ামী লীগ তো নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছে। সেই বিচার বাধাদানকারী একাত্তরের ঘাতক জামায়াত-শিবিরকে নিয়ে বেগম জিয়া কেন আন্দোলনের নামে দেশকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিলেন। ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে দেশে গণতন্ত্র নেই বলে নালিশ দানকারী বেগম জিয়ার গত আড়াই দশকের অগণতান্ত্রিক কর্মকা- ও সন্ত্রাসী আন্দোলন নিয়ে ডজন ডজন বই লেখা যাবে। বেগম জিয়া সুষমার কাছে জানতে চেয়েছেন, ভারত প্রতিবেশী বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ দেখতে চায় কিনা। আমরা বিএনপি নেত্রীর কাছে জানতে চাই, আমাদের দেশে গণতন্ত্র থাকা না থাকার ব্যাপারে প্রতিবেশী অন্য দেশের কি কিছু করার আছে? বেগম জিয়া, ১৯৭১ সালে আপনি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মেহমান ছিলেন। ৩০ লাখ শহীদদের রক্তের বিনিময়ে সাড়ে ৭ কোটি বাঙালি এই দেশ স্বাধীন করেছে। এই প্রজাতন্ত্রের মালিক দেশের জনগণ। বাংলাদেশ কারও জমিদারি নয়। বাংলার জনগণই ঠিক করবে এদেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ থাকবে কিনা।
ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন_ 'বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে চাই।' ২৯ জুন বেগম জিয়ার প্রিয় পত্রিকা প্রথম আলো ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎকারে দু'দেশের সম্পর্ককে আরও উন্নত করার ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সুষমা স্বরাজ। তাছাড়া বেগম জিয়ার অতীত রাজনীতি সম্পর্কে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী কমবেশি অবহিত আছেন। এই সেই বেগম জিয়া, যিনি ভারতের রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশ সফরের সময় তার সঙ্গে সাক্ষাৎকারের সময় ঠিক করে পরে দেখা করতে যাননি। তখন তিনি সংসদে বিরোধীদলীয় নেত্রী ছিলেন। দেশে বিভিন্ন সময়ে নির্বাচনের প্রাক্কালে এই বেগম জিয়া কতবার বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশকে ভারত দখল করে নেবে। ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে এই বেগম জিয়াই বলেছিলেন, নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হলে, ফেনী পর্যন্ত ভারতের অংশ হয়ে যাবে। তিনি নির্লজ্জের মতো আরও বলেছেন, আওয়ামী লীগ জিতলে মসজিদে আজান হবে না, উলু ধ্বনি হবে। উনার ওইসব নিম্নমানের মন-মানসিকতা সম্পর্কে কি সুষমারা কিছুই জানেন না?
ভারত এটাও জানে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে পাকিস্তান গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই বাংলাদেশে ঘাঁটি বানিয়ে ভারতের পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যে অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে না। অন্যদিকে বিএনপি ক্ষমতায় থাকলেই আইএসআই বাংলাদেশে ঘাঁটি বানিয়ে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের রাজ্যগুলোতে গোলযোগ সৃষ্টি করার সুযোগ পায়। বিএনপির কথায় কথায় ভারত বিরোধিতা নতুন কিছু নয়। ২৮ জুন বিবিসি সংলাপেও একজন বিএনপি নেতা নির্লজ্জের মতো বলেছেন_ ৫ জানুয়ারির নির্বাচন অনুষ্ঠানের সঙ্গে নাকি ভারতীয় কর্মকর্তারা জড়িত ছিলেন। আসলে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনী ট্রেন মিস করে বেগম জিয়া ও তার দল চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেগম জিয়া এবং তার দলের আন্দোলন করার কোন ক্ষমতা নেই, জনসমর্থনও নেই।
এদিকে সুষমা-খালেদা সাক্ষাৎকার বিষয়ে ২৯ জুন দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকায় 'খালেদাকে গিয়ে দেখা দিতে রাজি হননি সুষমা' শীর্ষক খবরে বলা হয় : 'বেগম জিয়ার সঙ্গে সুষমাকে গিয়ে দেখা করতে বিএনপির পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়। সুষমা এতে রাজি হননি। এরপর বিএনপি নেতারা সুষমার সঙ্গে দেখা করতে তাদের নেত্রীকে নিষেধ করেন। কিন্তু তিনি তা শোনেননি। সুষমা ও তার মেয়ের জন্য ২টি জামদানি শাড়ি নিয়ে দেখা করতে যান খালেদা। সাক্ষাতে সুষমা ১০ মিনিট কথা বললেও নিরাপত্তার অজুহাতে ছবি তুলতে দেননি ফটোগ্রাফারদের। বিএনপির পক্ষ থেকে পত্রিকায় ছবি সরবরাহ করা হয়েছে। পরে সুষমা বলেন, খালেদা একটি বড় দলের নেত্রী। তাই তাকে দেখা করার সুযোগ দিয়েছেন। ২৮ জুন কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে 'প্রটোকল শিকেয় তুলে সুষমার হোটেলে খালেদা' শিরোনামে খবরটি প্রকাশিত হয়।
এদিকে শক্তিশালী বিরোধী দল না থাকাতে দেশের গণতন্ত্রের চরম ক্ষতি হচ্ছে। সরকারও বিরোধী দল বিএনপিকে পাত্তা দিচ্ছে না। আর এই সুযোগে ক্ষমতাসীন দলটি ক্রমেই দৈত্যে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়া গত ৫ বছর সংসদে গিয়ে সরকারের ভুল, দুর্নীতি ও নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরলে বিগত নির্বাচনে বিএনপি অনায়াসে ক্ষমতায় চলে আসতো। কিন্তু আস্থার সংকটে খালেদা এখন পথহারা। এটা ঠিক, আমাদের দুই নেত্রীই কারও পরামর্শ শোনেন না। তারপরেও বিএনপিকে নালিশের সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। জামায়াতকে বাদ দিয়ে বিএনপি নতুনভাবে গঠনমূলক বিরোধী দল হিসেবে সরকারের ভুলগুলো জনসমক্ষে তুলে ধরতে পারে। বর্তমানে দেশ যেভাবে চলছে, এভাবে চলতে থাকলে আন্দোলন লাগবে না, এমনিতেই সরকার ধরাশায়ী হবে। আম পেকে গেলে বাতাস ছাড়াই পড়ে যায়। ঐতিহ্যবাহী আওয়ামী লীগকে গত ৫ বছরে বলতে গেলে শেষ করে দেয়া হয়েছে। স্বৈরশাসক এরশাদের সব সময়ই আমি সমালোচনা করি। তবে সম্প্র্রতি সংসদে বাজেট বক্তৃতায় তিনি কিছু সত্য কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে এরশাদ দেশের মানুষকে সন্ত্রাস, লুটপাট, দুর্নীতি, গুম, অপহরণ থেকে মুক্তি দেয়ার আবেদন জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য কি পদক্ষেপ নেন তা দেখার জন্য আমাদের আরও কিছুকাল অপেক্ষা করতে হবে।
২| ০২ রা জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৪
বিডিট্রন বলেছেন: পেইড পোষ্ট.......
৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৪ সকাল ১০:২৬
হাসিব০৭ বলেছেন: খালেদার ভারত প্রেমে আপনাদের মত পেইড দালালদের এত জ্বলে কেন?
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:১৯
দাকুড়াল বলেছেন: কেউ কেউ সহবাস করলেও দোষ না।আবার কেউ কেউ হেসে কথা বললেও প্রেম
