নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিএনপির বরং ভারত প্রেম বেশি

১৪ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:০৯

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে প্রদত্ত সাক্ষাৎকারে বলেছেন : বিএনপিকে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে নিতে চেষ্টা করেছিল ভারত। ভারতের পররাষ্ট্রসচিব সুজাতা সিং নির্বাচনের আগে বিএনপিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিলেন। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারেও ভারত সরকারের ভূমিকা ছিল। এছাড়া খালেদা জিয়া বলেছেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার অমীমাংসিত বিষয়গুলোয় বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থরক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সরকারই ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা বিএনপি আমলে ভালো ছিল। আওয়ামী লীগের শাসনকালে তাদের পরিস্থিতি অনেক খারাপ হয়েছে। তবে বাংলাদেশের অনেক মানুষ ভারতে যাচ্ছেন তা তিনি মনে করেন না। সীমান্তে মানুষ হত্যার ঘটনা লোকজনকে উত্তেজিত ও বিক্ষুব্ধ করে তুলেছে। দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ ও সম্পর্ক বৃদ্ধির বিষয়কে তিনি ইতিবাচক বলে মনে করেন। দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সম্পর্ক জোরদার করতে ভারতের নবনির্বাচিত সরকার পথ খুঁজছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সার্ক নেতাদের আমন্ত্রণ জানানোর উদ্যোগটি ছিল দূরদৃষ্টির পরিচায়ক। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত সার্কের প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ ইতিবাচক। সার্কের আলোকে উভয় রাষ্ট্রের উন্নয়ন কাম্য। বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই। শতকরা পচানব্বই ভাগ মানুষ খালেদা জিয়ার সঙ্গে আছেন এবং জনগণ অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়। কংগ্রেস সরকার নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য বিএনপিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেও নির্বাচনে নিতে পারেনি বলে অভিমত জানিয়েছেন খালেদা জিয়া। একমাত্র ভারত এ নির্বাচনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এইচএম এরশাদের দল নির্বাচনে অংশ না নিলে মৌলবাদীরা ক্ষমতায় আসতে পারে বলেও প্রচারণা ছিল। কমনওয়েলথ ও জাতিসংঘ এ নির্বাচনকে মেনে নেয়নি। এ জন্য এটা অবৈধ সরকার। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দ্রুত নির্বাচন দিতে বলেছে। আওয়ামী লীগ সরকারকে বৈধতা দিলে তারা সংলাপে সম্মত হবে বলে তার ধারণা। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে খালেদা জিয়া বলেছেন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৩ জন নির্বাচিত হয়েছেন। দেশে কোনো গণতন্ত্র নেই। ভারত সরকার প্রতিবেশী রাষ্ট্রের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় মনোযোগী হয়েছে, কোনো সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নয়। এটা গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন। বাংলাদেশের জনগণ ভারতের সঙ্গে আন্তরিক সুসম্পর্ক কামনা করেন। দল কিংবা ব্যক্তিবিশেষের সঙ্গে নয়, জনগণের সঙ্গেই সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা হবে। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরকালে তিনি তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে চুক্তি করার ঘোষণা দিলেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বিরোধিতার কারণে তা হতে পারেনি। আসলে ঘটনা কী ঘটেছিল, বাংলাদেশের মানুষ তা জানে না। ছিটমহলের বাসিন্দারা দুর্দশায় আছেন। বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতাসীন বিজেপি এসব সমস্যার সমাধান করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন খালেদা জিয়া। ভারত কিংবা প্রতিবেশী অন্য কোনো রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মাটি যাতে ব্যবহৃত না হয় সে ব্যাপারে বিএনপি অঙ্গীকারবদ্ধ। খালেদা জিয়া ক্ষমতাসীন থাকাকালে বাবরী মসজিদ ভাঙার ঘটনাকালে তার মন্ত্রীরা নির্ঘুম রাত কাটিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়কে রক্ষা করেছেন আর আওয়ামী আমলে মন্দির ভাঙা হয়েছে। ভারতে বাংলাদেশি অবৈধ অভিবাসী রয়েছে, এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারেনি। নির্বাচনের সময় অনেক কথাই রাজনীতিকরা বলেন, যা পরে বাস্তবায়ন হয় না। বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের আদর্শিক ঐক্য নেই। বিএনপি উদার, চরমপন্থী নয়। সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর বিভাজন ও প্রভাব বিস্তারের নীতি এক ধরনের আতঙ্ক ও অনাস্থার সৃষ্টি করেছে। দুই দেশের জনগণের মধ্যে বৈচিত্র্যপূর্ণ ও ঐতিহাসিক সুসম্পর্ক ধরে রাখতে বিএনপি চেষ্টা করবে। সার্কের আলোকে দ্বিপক্ষীয় আঞ্চলিক সুযোগগুলো কাজে লাগানো হবে। খালেদা জিয়া বাংলাদেশ ও ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্কের যে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন তা ইতিবাচক নিঃসন্দেহে। তবে বাংলাদেশের সরকারকে অবৈধ ও অগণতান্ত্রিক বলে আখ্যায়িত করায় তাতে দেশের ভাবমূর্তি কতটুকু বাড়ল তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কিছুদিন আগেও খালেদা জিয়া অবৈধ সরকারের সঙ্গে সংলাপের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। গণতন্ত্রে সংলাপ, আলোচনা, পর্যালোচনা থাকবে। তবে অবৈধ সরকারের সঙ্গে সংলাপ করলে তা অবৈধ হবে কিনা সে উত্তরও খালেদা জিয়াকেই দিতে হবে। জাতীয় ইস্যুতে জাতীয় সংলাপ এবং জাতীয় মতৈক্য গঠনের কথা বলেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন দেশের নির্বাচনী সঙ্কট নিয়ে সংলাপের তাগিদ শুধু দেননি। অতীতে তিনি দুই শীর্ষ নেত্রীকে নিজে টেলিফোন করেছেন, পত্র প্রেরণ করেছেন কার্যকর সংলাপের মাধ্যমে সমস্যা নিরসনের জন্য। তাতে কাজ হয়নি। বিদেশি প্রভাবশালী রাষ্ট্র ও ব্যক্তিত্বের তৎপরতা এ ব্যাপারে দৃশ্যমান ছিল। কিন্তু কাজ হয়নি। এমনকি বিদেশি কূটনীতিকদের উদ্যোগ আর জাতিসংঘ মহাসচিবের রাজনৈতিক উপদেষ্টা ড. তারানকো বিভিন্ন দলের সঙ্গে সংলাপ করেও আওয়ামী লীগ বিএনপির মধ্যে কার্যকর সংলাপ গড়তে পারেননি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে বিলম্বিত সাড়া দিয়ে খালেদা জিয়া যা বলেছেন তাতেও খালেদা জিয়ার মনোভাব এবং দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় প্রকাশিত হয়েছে। এখন তিনি সংলাপের যুক্তিরূপে বলছেন, নির্বাচনে অংশ না নিলেও সংসদে না থাকলেও শতকরা পচানব্বই ভাগ জনগণ বিএনপির সঙ্গে আছেন। সুতরাং বিএনপির সঙ্গে বৃহৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে সংলাপে বসতে উদ্যোগী হতে হবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন নির্বাচনে অংশ না নেয়া রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের উদ্যোগ গ্রহণ করতে বলেছেন সরকারকে। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, ২০১৯ সালের আগে নির্বাচন বিষয়ে সংলাপ নয়। সরকারের সুনির্দিষ্ট মেয়াদ পূর্তির পরেই আগামী নির্বাচন নিয়ে সংলাপ হতে পারে। রাষ্ট্রপতির এ বক্তব্যকে দলীয় বক্তব্য এবং বিশ্বাসঘাতকতার শামিলরূপে গণ্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বাস্তবে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় দেশে নির্বাচন হয়েছে। আওয়ামী লীগের দাবি অনুযায়ী শতকরা ৪৫ ভাগ মানুষ ভোটে অংশ নিয়েছেন। বিএনপি-জামায়াতের নির্বাচন প্রতিহত করার তৎপরতা এবং জনগণকে ভোটে অংশগ্রহণ না করার আহ্বান ও হুমকির কারণে সবাই ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেনি, অংশ নেয়নি। এ দায় শুধু সরকার কিংবা নির্বাচন কমিশনের নয়। এর দায় বিএনপি-জামায়াতের ওপরও বর্তায়। নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে যে ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতি এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানো হয়েছে তা জনগণের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ। যুদ্ধাপরাধের মতো মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচার করারও জনগণের দাবি। নির্বাচনে অংশ না নেয়ার অধিকার থাকলেও অন্যের ভোটাধিকার ব্যাহত করা অপরাধ। সেই সূত্রে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান, দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও ভোটারদের আক্রমণ করা জঘন্য অপরাধ। এসব বিষয় আড়াল করার উপায় নেই। নির্বাচন কেন্দ্রে হামলা, অগি্নসংযোগ, ভোটারদের আহত-নিহত করা, ব্যালট বাক্সে অগি্নসংযোগ ক্ষমার অযোগ্য। দায়িত্বশীল বিরোধী দল হিসেবে জনগণের বিরুদ্ধে যাওয়া যায় না। জনগণের ভোটাধিকারে বাধা আরোপ, তাদের নিরাপত্তা বিনষ্ট করা এবং দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর চড়াও হওয়া কোনোভাবেই রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হতে পারে না। গণতান্ত্রিক হতে হলে জনগণের বিরুদ্ধে কর্মসূচি গ্রহণ করা যায় না। সরকার পতনের আন্দোলনের নামে মানুষ খুন কাম্য হতে পারে না। ধর্মীয় সংখ্যালঘুর ওপর হামলার অভিযোগে সত্য আছে। নির্বাচনের আগে ও পরে ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও দুর্বল জনগোষ্ঠীর ওপর যে সহিংসতার সৃষ্টি করা হয়, ভাংচুর ও অগি্নসংযোগের ঘটনা ঘটে তা জঘন্য অপরাধ এবং ক্ষমার অযোগ্য। এসব ঘটনার বিবরণ তুলে ধরলে খালেদা জিয়া ধন্যবাদের পাত্র হতে পারতেন। বিভিন্ন আমলে সংখ্যালঘু নিপীড়নের যেসব ঘটনা ঘটেছে সেগুলোর সঠিক পরিসংখ্যান ও প্রামাণ্য তথ্য উপস্থাপন কাম্য। ধর্মীয় সংখ্যালঘুও এ দেশের নাগরিক ও ভোটার। তার নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষা সরকারের কর্তব্য। এ কর্তব্য পালনে ব্যর্থতার দায় সরকারকে নিতে হবে। সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোথাও এ ব্যাপারে শিথিল হলে এবং সচেতন নিষ্ক্রিয়তা দেখালে তার বিরুদ্ধেও সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। ২০০১ থেকে ২০০৩ সালে মানবতার বিরুদ্ধে যেসব অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হলে তার বিচার করা হবে বলে অঙ্গীকার করেছিল। তা আজো হয়নি। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় পরবর্তী পর্যায়ে অপরাধীরা আরো উৎসাহিত হয়ে বহুগুণে নিপীড়নের ঘটনা সংঘটিত করতে পেরেছে। এ ব্যাপারে সরকার বিরোধী দলসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। নইলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ও মর্যাদা বাড়বে না। সরকারকে অবৈধ বললে সংসদকে অবৈধ বললে তাতে দেশ ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার কী লাভ হয় জানি না। নির্বাচনে অংশ না নেয়া যে আত্মঘাতী রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হয়েছে বিএনপির জন্য তা দলের নেতাকর্মীরা বুঝলেও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তা বুঝছেন না, স্বীকার করছেন না। দলকে না গুছিয়ে, দলের অভ্যন্তরে সংস্কার সাধন না করে, জামায়াতকে ত্যাগ না করে খালেদা জিয়া আরো ভুল করতে যাচ্ছেন কিনা তা তার দলে কোনো শুভাকাঙ্ক্ষী নেতৃত্ব কি বোঝানোর ক্ষমতা রাখেন। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে দলীয় নেতাকর্মীরা। সাদেক হোসেন খোকা আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিয়ে গা ঢাকা দেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম, হান্নান শাহ, এমকে আনোয়ার জেল খেটে জামিনে মুক্তিপ্রাপ্ত। এ অবস্থায় বিএনপির সংযত নীতি, আত্মমূল্যায়ন ও বিশ্লেষণ জরুরি। গণতান্ত্রিক অনুশীলনের মাধ্যমে জনগণের পক্ষে বক্তব্য রাখাই শ্রেয়। আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে ধৈর্যসহকারে। অপেক্ষা করতে হবে রাজনৈতিক সুযোগ লাভের জন্য। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, জার্মানিসহ বিশ্বের প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলো কাজ করছে। বিশ্বব্যাংক ও এডিবির ঋণচুক্তি ও সহায়তা পূর্বাপেক্ষা বেড়েছে। দেশ এখন শান্তি, উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার পথে। বিভিন্ন সময়ে দুঃখজনক কিছু ঘটনা ঘটেছে। তাতে সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হচ্ছে। এসব ব্যাপারে সরকার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করলে জনসমর্থন পাবে। ভারত-বাংলাদেশ সুসম্পর্কের ব্যাপারে খালেদা জিয়া যেসব ইতিবাচক আশাবাদ প্রকাশ করেছেন তা নিয়ে ভিন্নমত তেমন নেই। তবে সরকার এ ব্যাপারে পুরোপুরি ব্যর্থ কিংবা কিছুই সাফল্য অর্জন করতে পারেননি তা সঠিক নয়। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে এবং পর্যায়ক্রমে উভয় রাষ্ট্রের বিভিন্ন দল ও ব্যক্তির সঙ্গে আন্তঃআলোচনার ভিত্তিতে মতৈক্য ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। অযথা ভারত বিরোধিতা, সাম্প্রদায়িক হানাহানি, মৌলবাদী ও সন্ত্রাসী তৎপরতা জাতীয় রাজনীতি হতে পারে না। দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলকে দায়িত্বপূর্ণ আলোচনা ও পদক্ষেপ নিয়ে তা প্রমাণ করতে হবে।

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যে রক্তগত সম্পর্ক রয়েছে, যে ঐতিহাসিক বন্ধন ও ভৌগোলিক নৈকট্য রয়েছে তা কাজে লাগিয়ে অগ্রসর হতে হবে। পারস্পরিক সম্প্রীতি, বন্ধুত্ব, উন্নয়ন ও নিরাপত্তা গুরুত্ব দিয়ে দ্বিপক্ষীয় সমস্যা নিরসন করতে হবে। সরকারের পাশাপাশি বিরোধী দল, মিডিয়া এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এ ব্যাপারে দায়িত্বশীল ভূমিকা থাকতে হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.