![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডপাওয়ার পর কারাগারে মন ভালো নেই বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর। তাঁর সেই চিরচেনা হুঙ্কার আর হম্বি-তম্বি যেন হারিয় গেছে।অনেকটাই নিরব হয়ে গেছেন ব্যতিক্রম চরিত্রের অধিকারী বিএনপির এই নেতা।
কাশিমপুর কারাগারে ফাঁসির সেলে কয়েদীর পোশাকে অনেকটা স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করলেও মাঝে মাঝে তাকে বিষণ্ন দেখা যায়।
কারাগার সূত্রে জানা যায়, ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদেরকে যেমন প্রায় সময়ই বিচলিত হতে দেখা যায়, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মধ্যে তেমন ভাব ফুটে না ওঠলেও কখনও কখনও তাকে বিষণ্ন মনে বসে থাকতে দেখা যায়।
২০১৩ সালের ১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়ার পর ভিআইপি সুবিধা প্রত্যাহার নেয়া হয় বিএনপির সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর। ওইদিন রাতেই তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে নিয়ে আসা হয় গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে।
সাকা চৌধুরীকে রাখা হয়েছে পার্ট-১ এর ফাঁসির সেলে। এই ইউনিটে এক হাজারেরও বেশি বন্দি। এদের মধ্যে রয়েছেন জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদসহ ৭৮ জন ফাঁসির আসামি।
কারাসূত্রে জানা গেছে, সাকা চৌধুরীর স্বভাবসুলভ আচরণ এখন আর নেই। তিনি অনেকটা নেতিয়ে গেছেন। চিন্তার রেখা সহজেই দেখা যায় তাঁর ভালে । তাঁর মুখে সেই চিরচেনা ভেঙচি কেটে কাউকে কটূক্তি করতে দেখা যায়না।
ফাঁসির আসামির পোশাক পরিয়ে কঠোর পুলিশি নিরাপত্তায় যখন রাত পৌনে ৯টার দিকে তাঁকে কাশিমপুর কারাগারে নেয়া হয় তখন প্রিজনভ্যান থেকে নেমেই কারারক্ষীদের উদ্দেশে হাসতে হাসতে বলেছিলেন, দেখ, শেখ হাসিনা আমাকে কেমন কয়েদির পোশাক পরিয়ে দিয়েছে। এ পোশাক ছাড়া নাকি আমাকে এখানে আনা যাবে না।
সাকা চৌধুরী সঙ্গে ঢাকা থেকে আনা কিছু শুকনো খাবার, ফলমূল, পরিধেয় কাপড় ও বেশ কিছু বই রয়েছে। তাঁকে কনডেম সেলের দুই নম্বর কনডেম কক্ষে দেয়া হয়। অ্যাটাচ বাথ সুবিধাযুক্ত ১০ ফুট বাই ১০ ফুট কক্ষে থাকার জন্য সাকা চৌধুরীকে চারটি কম্বল দেয়া হয়েছে।
কক্ষে ব্যক্তিগত একটি ফ্যান দেয়া হয়েছে। জেল কোড অনুযায়ী রাতে তাঁকে মোটা চালের ভাত, সবজি-মাছ ও ডাল খেতে দেয়া হয়। তিনি শুধু উপন্যাস ও ধর্মীয় বই পড়ার সুযোগ পাবেন। তাই সঙ্গে আনা বইগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর শুধু উপন্যাস ও ধর্মীয় বইগুলো তাকে দেয়া হয়েছে। অন্য বইগুলো তাকে দেয়া হয়নি।
কারাগার সূত্র জানায়, সাকা চৌধুরীকে সকাল সাতটায় রুটি ও গুড় দিয়ে নাস্তা দেয়া হয়। কারাবিধি অনুযায়ী সকাল ১১টায় দুপুরের খাবারের মেনুতে ভাত, সবজি ও ডাল থাকছে। বিকাল ৪টায় দেয়া হয় রাতের খাবার। তালিকায় থাকে ভাত, মাংস ও ডাল।
কাশিমপুরের জেল সুপার জামিল আহমেদ চৌধুরী ঢাকাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সাকা চৌধুরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে । তিনি সুস্থ ও স্বাভাবিক আছেন। তাঁর কক্ষে ফ্যান লাগানো হয়েছে। জেল কোড অনুযায়ী তিনি যেসব খাবার ও সুযোগ-সুবিধাপ্রাপ্ত হন তার সবই দেয়া হচ্ছে।
ফাঁসির আদেশ হওয়ায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাঁর ডিভিশন সুবিধা বাতিল করেছে। কনডেম সেলে তাকে মেঝেতে সাধারণ কয়েদিদের মতোই ঘুমাতে হবে। তিনি মাসে একবার স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তবে তার সেই আগের হুঙ্কার নেই। তিনি অনেকটা পাল্টে গেছেন। আগে যেমন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রসিকতা করতেন। মুখ ভেঙচিয়ে কথা বলতেন। এখন আর সেরকম নেই। তাকে মাঝে মাঝে বেশ মন খারাপ করতে দেখা যায়।
২০১৩ সালের ১ অক্টোবর একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাকা চৌধুরীর ফাঁসির আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দেন। - See more at: Click This Link
২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:১৬
নিজাম বলেছেন: হায়রে সাকা !!!!
৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৩
নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: আওয়ামী লীগের স্বভাবের কোন পরিবর্তন হলনা। ৭৪ এ আওয়ামী লুটপাটের একমাত্র প্রতিবাদী কন্ঠস্বর সিরাজ শিকদারকে ক্ষমতার বলে ফাঁসি দিয়ে শেখ মুজিব সংসদে এসে তাকে নিয়ে তামাশা করে হাঁক ছেড়েছিলেন, "কোথায় সেই সিরাজ শিকদার!"
এই যুগে এসে সত্তুরোর্ধ সাকা চৌধুরীকে কন্ডেম সেলে অমানবিক জীবন যাপনে বাধ্য করে এই তারাই আবার তার নেতিয়ে পড়া নিয়ে তামাশা করে, ভেংচি খোঁজে।
আফসুস! আওয়ামী লীগের চামচারা আওয়ামী লীগই রয়ে গেল - মানুষ হলোনা!
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:৪৯
লেখোয়াড় বলেছেন:
বিরাট খবর।
ব্যাটার অঙ্গ-ভঙ্গি কেমন যেন।