নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদন্ডে যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি নেই

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:৫০

১। ঢাকায় সফররত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিফেন জে র‌্যাপ বলেছেন, কোন সংগঠনের নয়, ব্যক্তি বিশেষের যুদ্ধাপরাধের বিচার হওয়া উচিত। মঙ্গলবার রাজধানীর আমেরিকান সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ ছাড়া বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সমালোচনা করতে তিনি ঢাকায় আসেননি বলেও জানিয়েছেন।

যুদ্ধাপরাধের বিষয়ে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে স্টিফেন র‌্যাপ বলেন, যুদ্ধাপরাধের জন্য কোন সংগঠনের বিষয়ে নয়, ব্যক্তি বিশেষের বিচার হতে হবে। তাই হওয়া উচিত। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি দলের যে পর্যায়েরই হোক না কেন, শীর্ষ বা নিম্ন পর্যায়ের হলেও তার বিচার হতে হবে। এ ছাড়া শুধু ব্যতিক্রমী ও সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত অপরাধীরই মৃত্যুদ-ের শাস্তি হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যে বিচার প্রক্রিয়া চলছে, তার মান নিয়ে আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট নই। তবে তার পরেও আমরা মোটামুটি পর্যায়ে সন্তুষ্ট।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার তৃতীয় কোন দেশে নিয়ে বিচারকার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আমরা কখনই বলিনি। তবে এ নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আমাকে মিস কোট করে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। আমি বলতে চাই, তৃতীয় কোন দেশে নয়, বরং বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে আন্তর্জাতিক বিচারকদের যুক্ত করা যেতে পারে।

এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিফেন র‌্যাপ মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠক সাক্ষাতে মিলিত হন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মানুষের আকুণ্ঠ সমর্থন রয়েছে, যা উপর্যুপরি দুটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্পষ্টতই প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে সমর্থন জানানোর জন্য ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে পাশাপাশি এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের আরও জোরালো সমর্থন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রদূত র‌্যাপ বলেন, তিনি বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সমালোচনা করতে আসেননি। এই আদালত যেন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে একটি মডেল হতে পারে সে বিষয়ে সহায়তা করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে জানান যে, এই জাদুঘর বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরতে সহায়তা করছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক আদালতের প্রসঙ্গ তুলে ধরে জানান, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল একটি দেশীয় আদালত হলেও তা আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করতে সর্বদাই সচেষ্ট রয়েছে।



২।

উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণ ক্ষমতা সংসদের হাতে দেয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, বিচারপতিদের অপসারণ (অভিশংসন) নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তবে উন্নয়নশীল অনেক দেশেই এই ক্ষমতা সংসদকে দেয়া আছে। যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে আমেরিকার মনোভাবের ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী। মঙ্গলবার সচিবালয়ে যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের বিশেষ দূত স্টিফেন জে র‌্যাপের সঙ্গে এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন মন্ত্রী।

প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে আমেরিকার মনোভাবের ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে। তবে মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে বিকল্প দণ্ডের কথা বলেছেন তারা। তিনি বলেন, অপরাধ যদি গুরুতর ও মৃত্যুদ- দেয়ার মতো হয় সে ক্ষেত্রে তাদের কোন আপত্তি নেই।

বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে থাকা বাস্তবসম্মত আখ্যায়িত করে মন্ত্রী বলেন, বিচারকের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে থাকা বাঞ্ছনীয়। পৃথিবীর সব দেশেই বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের হাতে রয়েছে। ভারত, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের উদাহরণ টেনে আনিসুল হক বলেন, আমাদের এখানে যদি সেই অধিকার (সংসদকে) দেয়া হয় আমার মনে হয় না যে সেটা খুব একটা অমূলক বা অবাস্তব কিছু হবে।

১৯৭২ সালের সংবিধানে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে থাকলেও পরে সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান এক সামরিক ফরমানে ওই অনুচ্ছেদ বাতিল করেন। পরে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা দেয়া হয় ‘সুপ্রীম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের’ কাছে।

১৯৭২ সালের সংবিধানে ‘বিচারকদের পদের মেয়াদ’ শীর্ষক ৯৬ অনুচ্ছেদে ২ দফায় বলা হয়- ‘প্রমাণিত ও অসদাচরণ বা অসামর্থ্যরে কারণে সংসদের মোট সদস্য সংখ্যার অন্যূন দুই-তৃতীয়াংশ গরিষ্ঠতা দ্বারা সমর্থিত সংসদের প্রস্তাবক্রমে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতির আদেশ ব্যতীত কোন বিচারককে অপসারিত করা যাইবে না।’ উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে দেয়ার বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে আওয়ামী লীগের গত সরকারের মেয়াদে।

২০১২ সালে তৎকালীন স্পীকার ও বর্তমান রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের একটি রুলিংকে কেন্দ্র করে কয়েকজন সংসদ সদস্য হাইকোর্টের একজন বিচারপতিকে অপসারণের দাবি তোলেন। সে সময়ই বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে আনার দাবি জোরালো হয়।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিচারপতিদের অপসারণ ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে দেয়ার পক্ষে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তবে বিএনপির অবস্থান এর বিপরীতে।

আইসিটি আইনের

সংশোধনী

‘শীঘ্রই’

সংশোধিত আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের খসড়া শীঘ্রই মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী। তবে সংশোধিত এই আইনে কি কি পরিবর্তন আনা হচ্ছে- সে বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী কেবল বলেন, সংশোধনী হওয়ার পরে দেখবেন সেখানে জনগণের দাবির প্রতিফলন হয়েছে। যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিচার করার জন্য বিভিন্ন মহলের দাবি রয়েছে।

যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদ- দেয়ার বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের দূত স্টিফেন জে র‌্যাপের অবস্থান আগের চেয়ে নমনীয় হয়েছে বলেও দাবি করেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, তারা বলেছেন- ডেথ পেনাল্টি হতে পারে তবে এটাই একমাত্র সাজা কিনা তাও জানতে চেয়েছেন। আমি বলেছি, ট্রাইব্যুনাল যেখানে প্রয়োজন সেখানে মৃত্যুদ- না দিয়ে যাবজ্জীবনও দিয়েছেন। এটা ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ার। তবে প্রসিকিউশনের আইনজীবীরা সব সময় সর্বোচ্চ শাস্তিই চায়।

আইসিটি আইনের সংশোধন নিয়ে র‌্যাপের সঙ্গে কথা হয়নি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি না তার সঙ্গে এ বিষয়ে কোন আলাপের প্রয়োজন আছে। এ বিষয়ে উনি কোন প্রশ্নও করেননি।



এ নিয়ে র‌্যাপের পঞ্চমবারের মতো বাংলাদেশ সফর

আনিসুল বলেন, উনাদের সঙ্গে আমার প্রথম বৈঠক হলো। ট্রাইব্যুনালের ব্যাপার নিয়ে উনার যে ধারণা ছিল, তাতে বিরাট পরিবর্তন হয়েছে বলে তার কথা-বার্তায় বুঝেছি। মৃত্যুদণ্ড দিয়ে বিশ্বে তর্ক-বিতর্ক আছে। তা নিয়ে আমার মতামত জানতে চাইলে আমি তাকে বলেছি- ১৯৭১ সালে বীভৎস এবং অত্যন্ত অন্যায়ভাবে মুক্তিযোদ্ধা ও জনগণকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে মৃত্যুদ- ছাড়া অন্য কোন শাস্তি আমরা যথাযথ মনে করি না।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:০২

রবিউল ৮১ বলেছেন: আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে আন্তর্জাতিক বিচারকদের যুক্ত করা যেতে পারতো এবং সরকার সেটা করলে ভালো হতো,অনেক বির্তক থেকে বেচে যেতাম।তবে আমাদের দেশের যুদ্ধাপরাধের জন্য ব্যক্তির পাশাপাশি সংগঠনের বিচার হওয়া উচিত।কারণ ৭১ সালে ব্যক্তিগত পর্যায়ে ব্যক্তির সিদ্ধান্তে যুদ্ধাপরাধ হয় নাই হয়েছে সাংগঠনিকভাবেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.