![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১) ‘আসুন বিএনপিকে রক্ষা করি’ শীর্ষক একটি লিফলেট নিয়ে হুলস্থূল চলছে বিএনপিতে। ‘তৃণমূল নেতৃবৃন্দ’র নামে গত দুই সপ্তাহ ধরে ছড়ানো হচ্ছে এ লিফলেট। বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়, নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সভা-সমাবেশ চলাকালে এ লিফলেট ছড়ানোর ঘটনা ঘটেছে কয়েকবার। সোমবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর বিএনপি আয়োজিত দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান চলাকালেও কয়েকজনকে ভিড়ের মধ্যে লিফলেট ছুড়ে দিয়ে সরে যেতে দেখা গেছে। লিফলেটটি ছুড়ে মারার সময় দুইজনকে ধরে গণপিটুনি দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে সেখানে। লিফলেটটি পড়ে দেখা গেছে, তার বিষয়বস্তু ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠনে অনিয়ম। লিফলেটের শীর্ষভাবে রয়েছে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেলের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রমণাত্মক নানা তথ্য। বিশেষ করে ঢাকা মহানগরের বাইরের নেতা হিসেবে নগর কমিটিতে তার অযোগ্যতা প্রমাণই লিফলেটের মূল লক্ষ্য। লিফলেটের প্রধান দাবি মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব পদ থেকে সোহেলের অপসারণ ও অভিযুক্তদের প্রভাবমুক্ত হয়ে অঙ্গদলগুলোর পুনর্গঠন। সোহেলকে দিয়ে শুরু হলেও লিফলেটে আক্রমণের তীর ছোড়া হয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবিহউদ্দিন আহমেদ, আবদুল কাইয়ুম, দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ, সাবেক যুগ্ম মহাসচিব হারিছ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুন, হাওয়া ভবনের কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বকুল, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নীরব, মহিলা দলের সম্পাদক শিরিন সুলতানা, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারী বাবু ও ছাত্রদলের বর্তমান সভাপতি আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলের বিরুদ্ধে। হাবিব-উন নবী সোহেল ও রফিকুল ইসলাম বকুলের বিরুদ্ধেই করা হয়েছে সবচেয়ে বেশি আক্রমণ। লিফলেটে ঢাকা মহানগর, ছাত্রদল, যুবদল, মহিলা দলের চলতি কমিটি গঠন ও কর্মসূচি প্রণয়নে প্রভাব সৃষ্টি এবং আন্দোলনে ব্যর্থতার জন্য উল্লিখিত নেতাদের দায়ী করা হয়েছে। এদিকে আন্তর্জাতিক গুম দিবসের মানববন্ধন শেষে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে লিফলেটের বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেন কয়েকজন সিনিয়র নেতা। মানববন্ধন শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার কক্ষে গেলে সেখানে জড়ো হন অভিযুক্তদের অনেকেই। এ সময় সেখানে দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান ও কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, শহীদউদ্দিন চৌধুরী, শিরিন সুলতানা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেল, মীর সরফত আলী সপু, সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। মির্জা আলমগীরের কাছে এ লিফলেট বিতরণকারী গ্রুপের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান নেতারা। শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেন, সরকারের এজেন্টরাই এ লিফলেট বিতরণ করছে। চিহ্নিত করে এসব এজেন্টের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। এ সময় মির্জা আলমগীর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিএনপির মিটিংয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে লিফলেট বিতরণের কথা চিন্তা করা যায়? এটা ভাল লক্ষণ নয়। এটা দল ভাঙার ষড়যন্ত্রের অংশ। যে কোন মূল্যে দলের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে।
২)
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, রাজনীতিতে ধর্মের অবদান থাকতে পারে, কিন্তু ধর্মকে ভিত্তি করে কোনো রাজনৈতিক দল হতে পারে না।
দেশ ও জনগণের উন্নয়নে জিয়াউর রহমানের দর্শন সবার কাছেই গ্রহণযোগ্য মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, জিয়াউর রহমান বিশ্বাস করতেন, কোনো রাজনৈতিক আদর্শ ধর্মকে ভিত্তি করে হতে পারে না। এর একটা অবদান থাকতে পারে। কিন্তু ধর্মকে কেন্দ্র করে কখনো রাজনীতি করা যেতে পারে না। ধর্মকে কেন্দ্র করে পাকিস্তান আমলে রাজনীতি বিফল হয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পূর্ব লন্ডনের অ্যাট্রিয়াম ব্যাংকুয়েট হলে সোমবার যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান এ কথা বলেন। ই-মেইল বার্তা ও অনলাইনের মাধ্যমে তাঁর এ বক্তব্য পাওয়া গেছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি শায়েস্তা চৌধুরী কুদ্দুস। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম কয়ছর আহমেদ।
সভার শুরুতে জাতীয় সংগীত, এরপর দলীয় সংগীত পরিবেশন করে যুক্তরাজ্য জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস)। অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠা থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির কর্মকাণ্ডের বিভিন্ন দিক তুলে ধরতে 'লং ওয়াক টু ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট' শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
সোয়া এক ঘণ্টার বক্তব্যে বিএনপির প্রতিষ্ঠা, বিএনপির দর্শন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের উন্নয়নে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা এবং পঁচাত্তরের হত্যাকাণ্ডের পূর্বাপর বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন তারেক রহমান।
তারেক বলেন, বাংলাদেশের জনগণের কাছে জিয়াউর রহমানের গ্রহণযোগ্যতা ও বিপুল জনপ্রিয়তার কারণেই শেখ মুজিব হত্যার সঙ্গে যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল কিংবা যাঁরা তাঁকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছেন তাঁরাই জিয়াউর রহমানকে অপপ্রচারের টার্গেট করেছেন। ইতিহাস বিকৃত করছেন। তিনি বলেন, দুজন ব্যক্তি তখন রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। একজন হলেন মোশতাক আহমদ। অন্যজন বিচারপতি সায়েম। জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রের ক্ষমতা নিতে চাইলে এত দিন অপেক্ষা করার দরকার ছিল না। কারণ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে গৌরবজনক ও সাহসী ভূমিকার কারণে জিয়াউর রহমান দেশের জনগণের কাছে প্রিয় ছিলেন।
বিএনপির দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের আহ্বানকারী জিয়াউর রহমানের কারণেই আওয়ামী লীগ এখন নিজ নামে বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগ পাচ্ছে। শেখ মুজিবের দীর্ঘদিনের রাজনীতির একমাত্র আদর্শ বাকশাল। যাঁরা শেখ মুজিবকে নেতা কিংবা পিতা মনে করেন, তাঁরা আওয়ামী লীগ করেন, তাঁরা তাঁদের নেতার আদর্শের সঙ্গেই বিশ্বাসঘাতকতা করছেন।
তারেক বলেন, যাঁরা এখন বিএনপি কিংবা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়ান, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তাঁদের অনেকেরই গৌরবজনক অংশগ্রহণ ছিল না। তাঁদের অনেকেই ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানিদের কাছে স্বেচ্ছাসমর্পণের আগে নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। এই তেলবাজরা এখন নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে তেল ব্যবহার করছেন। নিজেদের মতো করে তৈলাক্ত ইতিহাস রচনা করছেন।
বিএনপির নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক। মুক্তিযুদ্ধে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা হানাদারদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র সংগ্রাম করেছেন। ছিনিয়ে এনেছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রধান ছিলেন। অত্যন্ত জনপ্রিয় রাজনীতিক ছিলেন। ছিলেন সার্কের স্বপ্নদ্রষ্টা। বাংলাদেশে তাঁর হাত দিয়েই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতাও তিনিই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। পৃথিবীর ইতিহাসে তাঁর মতো নেতা বিরল।
তারেক রহমান বলেন, ১৯৭৮ সালের মে মাসে জিয়াউর রহমান ১৯ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ওই কর্মসূচির ওপর জনগণের আস্থা আছে কি না তা যাচাইয়ে ৩০ মে গণভোট হয়। কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানিয়ে ৯৮.৮৮ শতাংশ ভোট পড়ে।
তারেক বলেন, জিয়াউর রহমান সামরিক আইন ও ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেননি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সামরিক আইন ও ২৬ সেপ্টেম্বর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেন মোশতাক। জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর সামরিক আইন প্রত্যাহার করেছিলেন। তিনি দালাল আইন বাতিল করেননি।
সরকারের মনি্ত্রসভার সদস্য হাসানুল হক ইনু ও রাশেদ খান মেননের ভূমিকারও সমালোচনা করেন তারেক রহমান।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসিরুদ্দিন আহমেদ অসীম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমান, নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার নওশাদ জমীর, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ব্যারিস্টার মীর হেলাল, যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক এম এ মালেক, সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এ সালাম ও আব্দুল হামিদ চৌধুরী।
২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৫৭
শেখ মফিজ বলেছেন: স্বাধীনতার কূশিলবদের চরিত্রহননের চেষ্টা যারা করেছেন ও করছেন তারা আসলে নিজেরাই চরিত্রহীন ।
৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৪:৫৩
এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন: মোনাফেক কাজ, ষড়যন্ত্র, ব্যাক্তিস্বারথ দিয়ে রাজনীতি করা যায় না।
বি-এন-পি'এর প্রতিষ্ঠা হয়ে ছিল ষঢ়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে।
মোনাফেক জিয়া দেশনায়ক (বংগবন্ধু'র হত্যা ষঢ়যন্ত্রের খবর পাওয়ার পর দেশনায়ককে না জানানো। এটা তার দায়ত্ব)
মোনাফেকরা আজ হোক কাল বিলীন হবেই। মীরযফর হয়েছে, মোনায়েম খাঁ হয়েছে, মোস্তাক হয়েছে, সাহা আজিজ হয়েছে, জিয়া হয়েছে। খালেদা ও তারেক জিয়াও হবে। এ হোল ইতিহাসের নিরব বিধান।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১৩
মুদ্দাকির বলেছেন:
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ
বাংলাদেশী জাতিয়তাবাদ জিনাদাবাদ
জিয়া জিন্দাবাদ !