নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতির পিতার উপর এত আক্রোশ কেন?

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:০৬

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাজার বছরের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। তিনি বলতেন_ ফাঁসির মঞ্চে গিয়েও বলব, আমি বাঙালি, বাংলা আমার ভাষা, বাংলাদেশ আমার দেশ। বাঙালি ও বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা তিনি। পাকিস্তানের শুরু থেকেই তিনি বাঙালিদের স্বার্থের বলিষ্ঠ প্রবক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন। শুধু তাই নয়, পাকিস্তান সৃষ্টির আগে থেকেই বাংলা ও বাঙালির স্বার্থরক্ষায় তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা ও অবদান রেখে আসছেন। জন্ম তার শুভক্ষণে শুভদিনে কিন্তু পরাধীনতার মধ্যে। দুই পর্বের পরাধীনতা ও শোষণ তাকে ভোগ করতে হয়েছে। প্রথমত ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শোষণ দ্বিতীয়ত পাকিস্তানি শোষণ-নির্যাতন, জেল-জুলুম-হুলিয়া আরো কত কী। কোনো কিছুই দমাতে পারেনি তাকে। এমনকি মৃত্যুও ।

এ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। জেল-জুলুম, নির্যাতন, হুলিয়া বহন করেছেন তিনি। পূর্ববাংলার শোষিত-বঞ্চিত-নিপীড়িত জনগণকে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছেন তিনিই এবং প্রতিষ্ঠাও করেছেন তিনি। তিনি না হলে তো এ দেশ স্বাধীনই হতো না। যুগে যুগে কিছু মহাপুরুষ পৃথিবীতে আসেন কোনো কোনো জাতির ত্রাণকর্তা হিসেবে। বঙ্গবন্ধুও তেমনি একজন। মহাপুরুষদের মধ্যে মানবিকতা ও সরলতা এ দুটি গুণ অতিমাত্রায় থাকে। যার কারণে দেশ এবং দেশের মানুষের প্রতি থাকে তাদের সীমাহীন আস্থা ও ভালোবাসা। বঙ্গবন্ধুরও তেমনটা ছিল। এই আস্থা ও ভালোবাসাই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

সাধারণ মানুষকে কাছে টানা ও সম্মোহন করার ক্ষমতা ছিল তার অসীম। এমন অসীম ক্ষমতার অধিকারী মানুষ বাংলাদেশে আর একজনও জন্মগ্রহণ করেননি। অথচ বঙ্গবন্ধুর খ্যাতি ও অবদান মস্নান করে দেয়ার জন্য, তার মর্যাদাহানির জন্য বাংলাদেশবিরোধী একটি মহল উঠেপড়ে লেগেছে। একটি মহল দীর্ঘদিন থেকেই বলে আসছে, তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি, প্রধানমন্ত্রিত্ব চেয়েছেন। তারা আরো বলে আসছে, তিনি পশ্চিম পাকিস্তানিদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। তিনি স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্য বাঙালিকে প্রস্তুত করতে পারেননি বলেই ২৫ মার্চ কালরাতে এত মানুষ মারা গেছে। তারা আরো বলেন, তিনি বাকশাল গঠনের মাধ্যমে একদলীয় শাসন কায়েম করে সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ করেছিলেন। ভারতের এক তথাকথিত প্রবক্তা বলেছিলেন, শেখ মুজিব বেশি কথা বলতেন। আর এখন এ কে খন্দকার তার ১৯৭১ : ভেতরে বাইরে গ্রন্থে লিখেছেন_ একাত্তরের ৭ মার্চের ভাষণের শেষে বঙ্গবন্ধু জয় পাকিস্তান বলেছেন। বিরোধী পক্ষ এটাকে লুফে নিয়েছে। তারা বলছে, এ কে খন্দকার তার গ্রন্থে সত্য কথা লিখেছেন। এ নিয়ে জাতীয় সংসদ থেকে শুরু করে মিডিয়ায় আলোড়ন ও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এ কে খন্দকার সাহেব স্বাধীনতার ৪৩ বছর পর এ কথা লিখলেন কেন? তিনি কার স্বার্থ রক্ষা করতে চান? তিনি তো শেখ হাসিনা সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে পরিকল্পনামন্ত্রী ছিলেন। তখন তিনি এ বিষয়ে কোনো কথা বলেননি কেন। আসলে রাজনীতিতে শত্রুমিত্র চিহ্নিত করা কঠিন।

১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের কথা কে না জানে। ওই দিনে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে) এক কালজয়ী ভাষণ প্রদান করেন পূর্ব বাংলার লাখ লাখ শোষিত-বঞ্চিত মানুষের উদ্দেশে। এ ভাষণ সেদিন উদ্দীপিত করেছিল দেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষকে। বাঙালির সবচেয়ে গৌরবদীপ্ত ও উজ্জ্বল ঘটনা হচ্ছে এই ভাষণ। মূলত একজন রাজনৈতিক কবির অসাধারণ কবিতার নাম হচ্ছে ৭ মার্চের এই ভাষণ। সেদিন বিশ্বের ইতিহাসে নজিরবিহীন এক ভাষন প্রদান করেন বঙ্গবন্ধু। মাত্র ১৭-১৮ মিনিটের অনবদ্য এ ভাষণটি কোনো লিখিত ভাষণ নয়। একটিবারের জন্য ছন্দপতন ঘটেনি ভাষণে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল কঠিন সঙ্কটে ভারসাম্যপূর্ণ অথচ আবেগময় অসাধারণ বক্তৃতা। ভাষণের প্রতিটি লাইন উদ্ধৃতিযোগ্য। বাঙালির জীবনে ৭ মার্চ উজ্জ্বলতম মাইলফলক। এ ভাষণ ছিল বহুমাত্রিক তাৎপর্যম-িত, সে বিষয়টি আজ পরিষ্কার। এটা ছিল এক মহাকাব্যিক ভাষণ। এমন উদাত্ত কণ্ঠে সম্মোহনী জাগানো ভাষণ আর কারো পক্ষে দেয়া সম্ভব ছিল না। যদিও অনেকে এ মহাকাব্যিক ভাষণের তুলনা করে থাকেন আব্রাহাম লিংকনের গেটিসবার্গের ভাষণের সঙ্গে। বাঙালির স্বাধিকার স্বায়ত্তশাসন ও মানবমুক্তির স্বপ্ন সবই ছিল জাতির পিতার ঐতিহাসিক ভাষণটিতে। সেদিনের রেসকোর্স ময়দান ও বর্তমানের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সেই ভাষণটিকে কেন্দ্র করে বিপুল মানুষের সমাবেশ মানবসভ্যতার ইতিহাসের বিরল ঘটনা। ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদানের পর শুধু ঢাকা শহর নয়, বরং দেশের রাজনৈতিক চেহারা বদলে যেতে শুরু করে। অল্প সময়ের মধ্যে পাল্টে যেতে থাকে সামগ্রিক প্রেক্ষাপট। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু বজ্রকণ্ঠে বলেন_ ভায়েরা আমার, প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো। তোমাদের যার যা আছে তাই নিয়ে মোকাবিলা করতে হবে। বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন ৭ মার্চের পর পশ্চিম পাকিস্তানিরা তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আটকাবস্থায় প্রহসনের বিচার করতে পারে তাই তিনি বলেছিলেন_ আমি যদি হুকুম দিবার নাও পারি তোমরা সব রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেবে। তিনি সাধারণ মানুষের প্রতি আস্থা রেখে বলেছেন_ প্রত্যেক গ্রামে, প্রত্যেক মহল্লায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তুলুন এবং আপনাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকুন। বঙ্গবন্ধু আরো বলেন_ হাতে যা আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকুন। রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেব। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশা আল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।

লাখ লাখ মানুষ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ শোনার পর মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিল। একজন মানুষ দিনে দিনে নিজেকে চালকের আসনে এনে একটি আন্দোলনকে জনগণের প্রাণের দাবিতে পরিণত করতে পারেন, এমন উদাহরণও বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বাঙালি জাতির দীর্ঘদিনের শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল একটি কণ্ঠ। অন্যায়, অগণতান্ত্রিক আচরণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে, জাতিগত বৈষম্যের বিরুদ্ধে জাতিকে পরিপূর্ণভাবে জাগিয়ে তুলেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেখানে জয় পাকিস্তান বলা না বলাতে কী আসে যায়। বঙ্গবন্ধুর এসব কৃতিত্ব, অবদান, ত্যাগ ও সংগ্রামকে যারা মস্নান করে দিতে চায়, তারা তো নানা কথা বলবেই। কুৎসা রটনা করবে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে।

আমরা বাঙালি জাতি এতটাই অকৃতজ্ঞ যে, যিনি আমাদের স্বাধীনতা ও জাতিরাষ্ট্রের স্বীকৃতি এনে দিলেন ও প্রতিষ্ঠা করলেন আর আমরা তাকেই সপরিবারে অত্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে খুন করলাম। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতির রক্তে রঞ্জিত লাশ সিঁড়ির ওপর পড়ে রইল। আর খুনিরা উল্লাসে মেতে উঠল। রাষ্ট্রীয় উচ্চ পর্যায়ের কিছু লোকের অন্যায়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়ার কারণেই খুনিদের এ উল্লাস ছিল বহু বছর। অবাক ব্যাপার যে, পাকিস্তানিরা যেখানে তাকে হত্যা করতে সাহস পায়নি, বন্দি করে নিয়ে যাওয়ার পরও_ সেখানে স্বাধীন দেশের মাটিতে তাকে নিষ্ঠুরভাবে খুন হতে হলো। জাতি হিসেবে এর চেয়ে লজ্জা আর ঘৃণার আর কী থাকতে পারে? জাতির পিতাকে খুন করার কারণেই বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি স্বাধীনতার ৪৩ বছরেও খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। অস্থিরতা আর অরাজকতা চলছে চারদিকে।

এ কথা সত্য যে, ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই এসেছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ কোনো কাকতালীয় বিষয় নয় বরং পশ্চিম পাকিস্তানের শোষণ-নির্যাতনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২৪ বছরের রাজনৈতিক আন্দোলনের ফসল এই স্বাধীনতা। কোনো জাতি যখন স্বাধীনতা চায় তখন সে প্রত্যাশিত স্বাধীনতাকে ঠেকিয়ে রাখার শক্তি আর কারো থাকে না। ৭১-এ স্বাধীনতা অর্জনের বিষয়ে সমগ্র জাতি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়েছিল। কারণ বাঙালি চেয়েছিল স্বাধিকার তথা স্বায়ত্তশাসন। দেখেছিল স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার স্বপ্ন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করতে হয়েছে দেশের আবালবৃদ্ধবনিতা সবাইকে। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সংগ্রাম ও প্রজ্ঞার ফল আমাদের এই স্বাধীনতা। ৩০ লাখ প্রাণের বিসর্জন এবং আড়াই লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে পৃথিবীর বুকে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। আমরা পেয়েছি লাল সবুজের রক্তস্নাত পতাকা, যার নেতৃত্বে ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

বাংলাদেশ সৃষ্টির পূর্বাপর দুটি ঘটনা কোনোভাবেই সাধারণ চোখে দেখার সুযোগ নেই। একটি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং অন্যটি পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা। জীবনের মায়া ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে আপামর বাঙালির স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং মরণপণ লড়াই করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনা। এ সমষ্টিগত অসাধ্য কাজটি দ্বিতীয়বার করা বাঙালি জাতির পক্ষে আর সম্ভব নয়। সেই দেশপ্রেম আর আবেগের সংমিশ্রণ ঘটানোও আর সম্ভব নয়। আজ একুশ শতকে এসে আরো একটি মুক্তিযুদ্ধ করাও আর আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই মুক্তিযুদ্ধকে সাধারণ চোখে দেখা ও বিবেচনা করা অন্যায়। ঠিক তেমনি পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টকেও সাধারণ চোখে দেখা অন্যায়। বাঙালি কতখানি নিষ্ঠুর ও ক্ষমতা-অন্ধ হলে এমন ঘটনা ঘটাতে পারে তা ভাবতেও গা শিউরে ওঠে।

বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি আমরণ সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি স্বপ্ন দেখতেন ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশের। অথচ স্বাধীনতার ৪৩ বছরেও তার স্বপ্নের বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলতে পারিনি। এর মূল কারণ রাজনৈতিক বিদ্বেষ, দলীয় সংকীর্ণতা ও হানাহানি। যে বাঙালির জন্য তার স্বপ্ন ও সংগ্রাম ছিল, ওই বাঙালিরই একটি অংশ তাকে বাঁচতে দিল না। বঙ্গবন্ধুর অপরাধ কি এত বেশি ছিল যে তাকে সপরিবারে হত্যা করতে হবে? এর চেয়ে দুঃখ আর পরিতাপের বিষয় আর কী হতে পারে? তাতে কি দেশের কোনো লাভ হয়েছে? দেশ প্রগতিশীল ধারা থেকে প্রতিক্রিয়াশীল ধারায় ফিরেছে। রাজাকার ও স্বাধীনতাবিরোধীদের উত্থান ঘটেছে। আধুনিক ও গণতান্ত্রিক বিশ্বের কাছে আমরা ছোট হয়ে গেছি।

এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেতাম না। কারণ বাঙালির স্বাধিকার ও স্বায়ত্তশাসন প্রশ্নে নেতৃত্ব দেয়ার মতো যোগ্য লোক পূর্ববাংলায় দ্বিতীয়জন ছিলেন না। আমাদের আজও পশ্চিম পাকিস্তানিদের গোলামি করতে হতো। আজ যে বাঙালিরা স্বাধীন দেশে রাষ্ট্রীয় উচ্চপদে আসীন আছেন, স্বাধীনভাবে কাজ করছেন, মুক্ত বাতাসে ইচ্ছামতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন_ এর কোনো সুযোগ ছিল না। এ কঠিন সত্যকে ভুলে গিয়ে একশ্রেণির মানুষ বঙ্গবন্ধুকে ছোট করতে গিয়ে নিজেই ছোট হয়ে যাচ্ছে। কতটা অকৃতজ্ঞ আর হীনমন্য হলে মানুষ জাতির জনক সম্পর্কে এমন সব কথা বলতে পারে?

মনে রাখতে হবে, বঙ্গবন্ধু কারো প্রতিপক্ষ নন। জীবদ্দশায় যেমন ছিলেন না, মৃত্যুর পরেও নন। স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনকের প্রতিপক্ষ কেউ হতে পারে না, যৌক্তিক ও সঙ্গতও নয়। যদি কেউ অসম অসুস্থ ও হাস্যকর প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হন তবে তাকে পাগল ছাড়া আর কী বলা যেতে পারে? লেখক: সালাম সালেহ উদ্দীন, যায়যায়দিন

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:৪৯

শেখ মফিজ বলেছেন: আমরা তার মত হতে পারিনি. তাই

২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৫

কালের সময় বলেছেন: জাতির পিতা বলে তাকে পাপী না করে জাতির নেতা বা বাংঙালীর জাতীয় নেতা বলতে শিখুন ।
প্লীজ ভুল বুজবেন না ।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.