নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

কত ঈদ এল, কত ঈদ গেল, বিএনপির আন্দোলন এল না!

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:০২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্কে জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগদান শেষে দেশে ফিরে সংবাদ সম্মেলনে দৃঢ়কণ্ঠে যা জানিয়ে দিলেন তাতে বিএনপি জোটগত আন্দোলনের রণহুংকার হতাশার চাদরে ঢাকা পড়ে যাচ্ছে।

ঈদ-উল-আযহাও অতিবাহিত হল। কিন্তু বিএনপির হুংকারের অবসান ঘটছে না। ঈদের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা দিয়ে দিলেন খুনীদের সঙ্গে কোন সংলাপ নয়। তারপরও বিএনপির পক্ষে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান দিলেন আলোচনা না হলে সংঘাত অনিবার্য। বিএনপির সঙ্গেই আলোচনায় বসতে হবে। বিএনপির পক্ষে দফায় দফায় সংলাপে বসার এমন আকুতি তাদের রাজনৈতিক দৈন্যদশার ফল বলেই রাজনৈতিক অঙ্গনে জোরালোভাবে আলোচিত হচ্ছে। রাজনৈতিক বোদ্ধাদের মতে, এ দলটির সবকিছুতে যেন গোড়ায় গলদ। জন্মে গলদ, দেশের সঠিক ইতিহাস পাল্টে ফেলাতে গলদ, যুদ্ধাপরাধী জঙ্গীদের সঙ্গে জোটবেধে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টায় গলদ। সর্বোপরি, নাতি সমতুল্য বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে জাতির পিতাকে নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে আবোল তাবোল নানা বক্তব্যে গলদের ঘটনা নিয়ে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে। আওয়ামী লীগের বিগত সরকারে থাকাকালীন সময়ে শেখ হাসিনা ও তাঁর দল আওয়ামী লীগ বিএনপিকে সংসদে আসার জন্য আকুতির পর আকুতি জানিয়েছে। কিন্তু বিএনপি এ আহ্বান বর্জন করেছে পুরো পাঁচটি বছর। এরপর এলো নির্বাচন। এবারও প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর দল বিএনপিকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য আহ্বানের পর আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু না, এবারেও যথারীতি একই রূপ। যাকে এ দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়ে থাকে আপোসহীনতা। এদেশের মানুষ নির্বাচনকে উৎসব হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। আর এ উৎসবে তারা শামিল হলো না। উল্টো বলা হলো কোন অবস্থাতেই এ সরকারের অধীনে তারা নির্বাচনে যাবে না, নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। নির্বাচন হওয়ার পর বলা হলো আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসতে দেয়া হবে না। বসার পর বলা শুরু হলো থাকতে দেয়া হবে না। রাজনীতির জটিল সমীকরণ ফলাফলে দেখা যাচ্ছে বিএনপি কোন অবস্থাতেই ব্যাটে-বলে সংযোগ ঘটাতে পারছে না। ফলে চারও নেই, ছক্কা তো দূরের কথা। অতএব, নিরুত্তাপ বিএনপি রাজনীতির আবহ।

রাজনৈতিক অঙ্গনের বিশেষজ্ঞ বিভিন্ন সূত্রে জানানো হচ্ছে, সংসদে ও নির্বাচনে যাওয়ার জন্য যে আহ্বানকে বিএনপি সাড়া দেয়নি- ঐ ঘটনার উল্টো চিত্র প্রতিভাত হচ্ছে বর্তমানে। সংলাপের জন্য বিএনপির আকুতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা তার দল আমলে আনা তো দূরের কথা, পাত্তাও যেন দিচ্ছে না। বিএনপির প্রতিটি ক্ষেত্রে অনুরূপ অবস্থার প্রেক্ষাপটে বার বার হুংকার ছেড়ে দেয়া হচ্ছে, যা মূলত নিষ্ফল হিসেবেই জনগণের কাছে ধরা পড়ছে। এ হুংকারের ভাঙ্গা ক্যাসেটের কর্কশ শব্দে বড্ড বিরক্তিকরও ঠেকছে শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষের কাছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে বলা হচ্ছে, বিএনপির সব কিছুতেই গোড়ায় গলদের কারণে তারা কাক্সিক্ষত ফল পেতে বিফল হচ্ছে। সর্বশেষ অপসারিত মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অগ্রহণযোগ্য বক্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজনীতির মাঠ ঘোলা করার অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। এতেও কোন সুফল এলো না। কারণ, মাঠ গরম হওয়ার আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরার পথে লন্ডনে বসেই ঐ মন্ত্রীর মন্ত্রিত্ব খতম করে দেয়ার ঘোষণা দিয়ে বসেন। ফলে আশায় গুড়েবালি। দেশে ফিরে সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রনায়কোচিত মনোভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বভাবসূলভ ভঙ্গিতে পরিষ্কার করে দিলেন জনমনে উঁকি দেয়া সব প্রশ্নের উত্তর। পাশাপাশি সংলাপে বসার বিএনপির আকুতির বিপরীতে জোরালো কণ্ঠে ঘোষণা দিলেন বিএনপি-জামায়াত খুনের রাজনীতি করছে। খুনীদের সঙ্গে কিসের সংলাপ। আর লতিফ সিদ্দিকীকে নিয়ে পরিষ্কার করে দিলেন তাঁর ও তাঁর সরকারের অবস্থান। বলে দিলেন ঐ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিতে তিনি এক সেকেন্ডও দেরি করেননি। রাষ্ট্রপতি হজ সম্পাদন শেষে দেশে ফিরলেই লতিফের বিদায়। শেখ হাসিনার শুক্রবারের এ সংবাদ সম্মেলনের পর দেশের আপামর মানুষ যে মেসেজ পেয়েছে- তাতে তাদের সকল জিজ্ঞাসার উত্তর মিলেছে। অথচ, বিএনপি এ সংবাদ সম্মেলনের পর নিজেরা সংবাদ সম্মেলন ডেকে বলল জাতি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে হতাশ। সংলাপের জন্য আলোচনা না হলে সংঘাত অনিবার্য। বিএনপির সঙ্গেই আলোচনায় বসতে হবে বলে হুঁশিয়ারের সুরে মেসেজ দিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রাজনৈতিক অঙ্গনে সর্বশেষ আলোচনার বিষয় ছিল মন্ত্রী আবদুল লতিফকে নিয়ে সরকার কি ব্যবস্থা নিচ্ছে তা নিয়ে। প্রধানমন্ত্রী তা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিলেন। অযাচিতভাবে যারা এ প্রক্রিয়ায় ধীরগতি হওয়ার বিষয়টি নানাভাবে উত্থাপন করেছিল তাদের সংসদীয় রুলস অব বিজনেসের বিষয়টিও স্মরণ করিয়ে দিয়ে সকল অপপ্রচার ও অপচিন্তার অবসান ঘটিয়ে দিলেন। শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে অনেক বেশি দৃঢ়চেতা ও রাষ্ট্রনায়কোচিত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয়েছেন বলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচিত হচ্ছে। জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনে যেখানে প্রশ্নবাণে প্রধানমন্ত্রীকে আটকানো যায়নি, উল্টো তিনি প্রশ্ন কর্তাদের কাউকে কাউকে প্রশ্ন করে রীতিমতো থমকে দিয়েছেন। এ ঘটনাও তাঁর ও তাঁর সরকারের ইতিবাচক প্রভাব এনে দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বর্তমানে দেশজুড়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব শারদীয় দুর্গাপুজো উদযাপন শেষে মুসলিম সম্প্রদায়ের বিশাল জনগোষ্ঠী ঈদ-উল-আযহা উদযাপন আনন্দে মাতোয়ারা। এহেন পরিবেশে বিএনপির ভাঙ্গা ক্যাসেট বারে বারে শুনতে শুনতে কান যেন জ্বালাপালা হয়ে আছে। গত ঈদ-উল-ফিতরের আগে ও পরে এবারের ঈদ-উল-আযহার আগে বিএনপির সকল হুংকার রীতিমতো ঝংকারে পরিণত হয়েছে। নতুন হুংকার এসেছে ঈদ-উল-আযহার পরে তাদের পক্ষে দেখিয়ে দেয়ার সে পুরনো বুলি। রাজনৈতিক সূত্রগুলোর মতে, এ সব বুলিতে সাধারণ মানুষকে যেমন বিভ্রান্ত করা যাচ্ছে না, তেমনি নতুন কোন আশার আলোও তারা পাচ্ছে না। এছাড়া যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের পাশাপাশি জঙ্গী তৎপরতায় সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বিএনপির যে যোগসাজশ তা প্রতিনিয়ত পরিষ্কার হয়ে জনগণকে সচেতন করে তুলছে। বলা হয়েছে বিএনপির অপরাজনীতির কারণে শেখ হাসিনা ও তাঁর দলীয় সরকারের অবস্থান নড়বড় নয়, বরঞ্চ পাকাপোক্তই হচ্ছে। আর এ কারণেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অকুতোভয়চিত্তে ঘোষণা দিতে পারছেন পাঁচ বছরের আগে নির্বাচন নয়। রাজনীতিতে হার-জিত চিরস্থায়ী নয় বলে যে কথাটি বহুল প্রচারিত সে ক্ষেত্রে বিএনপি রাজনীতির হার ছাড়া জেতার কোন লক্ষণ খুঁজে পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ- এ অভিমত রাজনীতিকবোদ্ধাদের।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:১৫

ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: এক বছরে ২টা ঈদ না হয়ে কমপক্ষে ৫ টা হলে বিএনপি আন্দোলন করার জন্য আরো সময় পেত ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.