![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার ঢাকার শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলনকে ‘অবৈধ’ আখ্যা দেয়া ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. পিয়াস করিমের বাবা ও নানা ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিরোধী। তাঁরা ছিলেন কুমিল্লা জেলা শান্তি কমিটির নেতা। শুধু তাই নয়, মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর বাবা এ্যাডভোকেট এমএ করিম ও নানা জহিরুল হক লিল মিয়ার বাড়িতে গ্রেনেড চার্জ করেছিল মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তিযুদ্ধের পর ড. পিয়াস করিমের বাবা এ্যাডভোকেট এমকে করিমকে দালালির অপরাধে দালাল আইনে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তিনি অনেকদিন কুমিল্লা কারাগারে বন্দী ছিলেন।
ড. পিয়াস করিম কুমিল্লা শহরের জজকোর্ট রোডের এ্যাডভোকেট এমএ করিমের ছেলে। তাঁর বাবা এ্যাডভোকেট এমএ করিম মুক্তিযুদ্ধের সময় জেলা শান্তি কমিটির নেতা ছিলেন। তিনি মুসলিম লীগের রাজনীতি করতেন। তাঁদের গ্রামের বাড়ি হোমনার রামপুরে। পিয়াস করিমের বাবা এমএ করিম বিয়ে করেন আরেক মুসলিম লীগ নেতা জহিরুল হক লিল মিয়ার মেয়ে বাচ্চুকে।
জহিরুল হক লিল মিয়া এর আগে আওয়ামী মুসলিম লীগের জেলা সভাপতি ছিলেন। ভাষা আন্দোলনে তিনি অংশ নেন। ছিলেন যুক্তফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রী। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সময় জহিরুল হক লিল মিয়া মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এ কারণে মুক্তিযোদ্ধারা কুমিল্লার জজকোর্টের উত্তর পাশে জহিরুল হক লিল মিয়ার বাড়ি এবং জজকোর্ট রোডের এমএ করিমের বাড়িতে গ্রেনেড চার্জ করেছিলেন। আর এ গ্রেনেড চার্জে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জামাল কবির বীরপ্রতীক, বাহার উদ্দিন রেজা বীরপ্রতীক ও মুক্তিযোদ্ধা খোকন।
বাহার উদ্দিন রেজা বীরপ্রতীকের কাছ থেকে জানা গেছে, মেলাঘর থেকে কমান্ডার হায়দারের নির্দেশে মুক্তিযোদ্ধারা জহিরুল হক লিল মিয়া এবং এমএ করিমের বাসায় গ্রেনেড হামলা করা হয়। তাঁদের বাড়িতে পাকিস্তানী বাহিনীর যাতায়াত ছিল। তিনি জানিয়েছেন, কী পর্যায়ে গেলে একজন কমান্ডার তাদের বাড়িতে হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন তা বুঝে নিতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হলে দালাল আইনে গ্রেফতার হন ড. পিয়াস করিমের বাবা এ্যাডভোকেট এমএ করিম। তিনি অনেকদিন কুমিল্লা কারাগারে ছিলেন।
কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পর বাবাকে বাঁচাতে পিয়াস করিম কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগে নাম লেখান। যদিও জেলা ছাত্রলীগে তাঁর কোন পদবি ছিল না। সে সময়ের জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট রুস্তম আলী তাঁর ছাত্রলীগে যোগ দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পিয়াস করিম কুমিল্লা মডার্ন স্কুল, কুমিল্লা জিলা স্কুল, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে পড়াশোনার পর আমেরিকায় চলে যান।
স্বাধীনবাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সম্পাদক ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এ্যাডভোকেট রুস্তম আলীর কাছ থেকে জানা গেছে, পিয়াস করিম তাঁর বাবাকে বাঁচাতে ছাত্রলীগে যোগ দিয়েছিলেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত সঙ্গে থাকেননি। তিনি জানান, পিয়াস করিম নকশালের রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। উল্লেখ্য, ড. পিয়াস করিম এক টক শোতে শাহবাগের আন্দোলনকে অবৈধ আখ্যা দেন। এ খবর শাহবাগে ছড়িয়ে পড়লে তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তাঁকে রাজাকারের দালাল আখ্যা দিয়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। ( তথ্যসূত্র: বাংলানিউজ)
ব্লগীয় পেচাল:
পিয়াস মিয়া কইলাম এমন একটা জ্ঞানীও না। পিএইচডি করছে Kasas State University থেকে যার Ranking নাই (US News এর অর্থনীতিতে উচ্চশিক্ষার শাখায় প্রথম ৮০টার Ranking আছে, বাকিগুলার কোন Ranking নাই)। আর ১৭ বছর আমেরিকার MidWest-এর চিপাচাপার এমন সব ছোটখাটো রিজিওনাল কলেজে পড়াইছে যেগুলাতে পিএইচডি তো দূরের কথা, মাস্টার্স প্রোগ্রামও নাই। জীবন পার করছে আন্ডারগ্র্যাডের পোলাপাইনগো Introductory ও Intermediate Macro-Micro Economics এর গৎবাঁধা বুলি পড়ায়া। তেমন কোন রিসার্চও করা লাগে না এসব টিচিং স্কুলে। কোন বড় চ্যালেন্জিং ও দায়িত্বশীল পদেও ছিলো না কোন দিন। আমেরিকার এই রদ্দিমালটা দেশে গিয়া ভাব লয় যে আম্রিকা থিকা বিরাট কামেল আদমি আইছে। এমন ভাব নেয় যেন উনি Harvard-এর প্রফেসর ছিলো আর World Bank ও IMF'এ নিয়মিত পলিসি লেভেলের ইস্যুতে কনসালটেন্সি কইরা বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সম্পর্কে ব্যাপক অভিজ্ঞতা অর্জন করছে!
২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:২৩
বিষন্ন পথিক বলেছেন: মারা গেছে, এইবার মাফ করেন
৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:২৭
চেয়ারম্যান০০৭ বলেছেন: ছাগ্লামি বাদ দেন।একজন মানুষ মারা গেছে,তাকে নিয়ে নোংরামী বন্ধ করেন।আর সে যেই দলের লোক ই হোক মানুষের সন্মান দিতে শিখেন।
৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৩
এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন: সত্য ঘটনা জানালেই বুঝি অজুহাত "মারা গেছে, এইবার মাফ করেন "
৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:১৯
চেয়ারম্যান০০৭ বলেছেন: রেজাউ মিয়া কার মাল্টি তুমি ? ২ বছরে পোস্ট দেখলেই বুঝা যায় ।
৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৫
নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: শাহবাগ কে উনি অবৈধ বলেছিলেন এমন একটা সময় যখন যে কোন ভাবে শাহবাগের বিরুদ্ধাচারণ করাকে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী তৎপরতা হিসেবে দেখা হত। সে সময় এভাবে সত্যি বলা বলার জন্য যে ভয়ঙ্কর সৎ সাহস প্রয়োজন, তা তখন কারোরই ছিলনা।
শাহবাগ তো একসময় ঠিকই অবৈধ ঘোষিত হল - কিন্তু ততদিনে জল অনেক গড়িয়েছে। এখন সকলেই এক একজন মর্দে মুজাহিদ বনে গেছেন। কিন্তু বেঁচে থাকতে তাঁর মতন সৎ সাহস আর কেউই দেখাতে পারেননি। তিনি একমাত্র মানুষ, কেবল সত্যি কথা বলার অপরাধে যার বাসায় বোমা হামলা হয়েছে - খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:১৯
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: হুমমম এই তাইলে কাহিনী!