![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠন ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের আন্দোলনের মুখে পিছু হটেছে পিয়াস করিমের পরিবার। সোমবার তারা ঘোষণা দিয়েছিল— বুধবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে রাখা হবে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য প্রয়াত পিয়াস করিমের মরদেহ। সেখানে তারা নাগরিক শ্রদ্ধানুষ্ঠানের আয়োজন করবে। এ খবর চারপাশে ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলো ‘ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’- এর ব্যানারে শহীদ মিনারের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে। একই সঙ্গে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে পিয়াস করিমের মরদেহ আনা প্রতিহত করারও ডাক দেয়া হয়। এ অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে তার ছোট ভাই জহির করিম জানান, পিয়াস করিমের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হবে না। তবে এর কারণ সম্পর্কে তিনি কিছু বলেননি।
এদিকে মঙ্গলবার পর্যন্ত শহীদ মিনারে পিয়াস করিমের নাগরিক শ্রদ্ধানুষ্ঠানের জন্য কোনো আবেদন পাননি বলে জানিয়েছেন ঢাবির ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. এমএ আমজাদ আলী। তিনি বলেন, ‘অনুমতি ছাড়া তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ঢুকতে দেয়া হবে না। যেহেতু কোনো আবেদন করা হয়নি, সেহেতু পিয়াস করিমের মরদেহ ঢুকতে দেব কেন?।’
এদিকে বুধবার পিয়াস করিমের মরদেহ যাতে শহীদ মিনারে না আনা হয়, সেজন্য মঙ্গলবার সকাল থেকে সেখানে অবস্থান নেন ঢাবি চারুকলা অনুষদের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা। ‘বিক্ষুব্ধ চারুশিল্পীবৃন্দ’র ব্যানারে তারা ‘রাজাকারভুক্ত পিয়াস করিমের লাশের ভার বইবে না শহীদ মিনার/রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ’— এই স্লোগানে পথচিত্র অঙ্কনের কর্মসূচি নেয়া হয়।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকের ইভেন্টের মাধ্যমে মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে প্রতিবাদী পথচিত্র অঙ্কনের এ কর্মসূচি শুরু হয়। এতে সংহতি জানায় গণজাগরণ মঞ্চ, স্লোগান’৭১ ও গৌরব’৭১, ছাত্র সংগ্রাম পরিষদসহ প্রায় ২০টি সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন।
সেখানে উপস্থিত শিল্পী ও গ্যালারি চিত্রকের পরিচালক মনিরুজ্জামান বর্তমানকে বলেন, ‘বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের সময়কাল থেকেই চিত্রশিল্পীরা সব সময় রাজপথে ছিলেন, এখনও আছেন, ভবিষ্যতেও থাকবেন। পিয়াস করিমকে বিভিন্ন সময় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর টকশোতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিপক্ষে ও পাকিস্তানের পক্ষে কথা বলতে দেখা গেছে। তার বংশ পরিচয়েও পাকিস্তানপ্রীতির প্রমাণ রয়েছে। এমন একজন লোকের মরদেহ কোনো মতেই শহীদ মিনারে আসতে পারে না।’
শহীদ মিনারের উত্তর পাশের বেদিতে প্রবেশের মূল পথে আঁকা হয় প্রতিবাদী মানববন্ধনের ছবি। পাকিস্তানের তারকাখচিত জাতীয় পতাকাবৃত কফিনে রাজাকার গোলাম আযমসহ আরেকজন পিয়াস করিমের লাশ নিয়ে যাওয়ার প্রতীকী ছবি। পাশাপাশি সড়কে লেখা ‘কোনো পাকি দালালের লাশ বইবে না পবিত্র শহীদ মিনার, লাশ নিয়ে যা পাকিস্তান।’
পথচিত্র অঙ্কন কর্মসূচিতে অংশ নেয়া চারুকলার সাবেক শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান রণো জানান, ‘পারিবারিক সূত্রেই পিয়াস করিম পাকিস্তানের একজন দালাল হিসেবে পরিচিত। যে শহীদ মিনারে দেশবরেণ্য ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা জানাতে আনা হয়, সেখানের স্বাধীনতাবিরোধী কোনো দালালের লাশ আসতে পারে না।’ এ সময় তিনি সর্বস্তরের জনগণকে এ কর্মসূচিতে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, সোমবার ভোরে হূদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. পিয়াস করিম। - See more at: Click This Link
২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৫৪
জামান শেখ বলেছেন: আমাদের মধ্যে এখন মানবিক জ্ঞান কমে গেছে।আমরা হিংস্র হয়ে যাচ্ছি। এখন পিয়াস করিমকে নিয়ে যা হলো ভবিষ্যতে অন্য কাউকে নিয়ে যে হবে না তার গ্যরান্টি নেই। আমার মনে হয় শহীদ মিনারে ভবিষ্যতে যার লাশ রাখবে তার বিরোধীরা এর প্রতিবাদ করবে। খারাপ সংষ্কৃতির উদ্ভব হলো। এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করে ছত্রলীগ নিজের পায়ে কুড়াল মেরেছে। আর কিছু ব্লগার তাদের মনবিক জ্ঞান হারিয়েছে।
৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯
এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন: সমস্যাটা হচ্ছে চেতনাগত এবং দর্শনগত জায়গায়। নানা মতাদর্শের পথ মাড়িয়ে পিয়াস করিম শেষ পর্যন্ত যে দর্শন ফেরি করে গেছেন সেটা ওই শহীদ মিনারের মতাদর্শের পরিপন্থি। নানা ঘাটের জল খেলেও পিয়াস করিম তার বয়সের বিবেচনায় অপূর্ণ জীবনের শেষদিকে এসে তার প্রয়াত পিতার মতোই মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের বিরোধিতা করে গেছেন। শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত যে পাকিস্তানি মতাদর্শের ভিত্তিমূলে আঘাত করার কারণে পিয়াসের পিতা এম করিমদের শত্রু হিসেবে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন, সেই পাকিস্তানি আদর্শকেই বুকে ধারণ করেছেন পিয়াস করিম।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:০৮
অ িনর্বাি চত বলেছেন: আপনার লেখার শিরোনা দেখে একটি মন্তব্য না করে পারলাম না। এক ব্যক্তি তার জন্মদাতা পিতাকে শত শত লোকের সামনে সজোরে দিল এক লাতি। লাতি খেয়ে পিতা মাটিতে পড়ে গিয়ে যখন কাতরাচ্ছে,তখন ঐ সন্তান উপস্থিত সব লোকদের গলা ফাঁটিয়ে বলছে-
“আমি আমার পিতাকে লাথি দিলাম,অথচ আপনারা কেউ আমাকে কিছুই বললেন না। দেখছেন ভাইরা মানির মান আল্লাই রাখে”
সুতারং ড.পিয়াস করিম মারা যাবার পর যখন তার সব শুভাকাঙ্খীরা শোকাহত,অসহায়,তখন আপনাদের এই ধরনের কুৎসিত আনন্দের মধ্যে কি ক্রেডিট আছে, তা বুঝতে কষ্ঠ হয়।